চল রূপনগরে
মন রে, চল রূপনগরে।
আগে পারাসারা কর ফুটের দ্বারে।।
গোলোকের পতি, তার মূলে স্থিতি,
সে রূপ সতত বিরাজ করে,
ও তার দ্বি-দল পদ্ম নাম, বৃন্দাবন ধাম,
তাহে গোলোকপতি বিলাস করে।।
সুষুম্না ধরিয়ে, মৃণাল বাহিয়ে, উঠ সেই-পদ্ম ’পরে।
দেখবি চৌষট্টি কুঠুরি আছে সারি সারি,
মণিময় চাঁদা সেই শহরে।।
রূপাশ্রয় করি, চল অধ: ছাড়ি
রূপ ধ’রে চল মণিপুরে।
পাবে এক মহাজন, মানুষ রতন,
দেখতে হ’লে জেন্তে রবি ম’রে।।
বেদে নাহি বলে, সূর্য নাহি টলে,
তবু কালাচাঁদ কহে বারে বারে।
সেথা জন্মমৃত্যু নাই, গুণাতীত ঠাঁই,
গোপালে কি জানবি কামাতুরে।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পর্যায়ের গানগুলি বীরভূম, বাঁকুড়া, মোদিনীপুর, বর্ধমান, নদীয়া, চব্বিশ পরগণা যশোহর, ফরিদপুর, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলার নানা স্থান হইতে বিভিন্ন সময়ে সংগৃহীত এবং এই মতবাদের সাধিকা নবদ্বীপের শ্রীমতী অমিয়বালা দাসীর গানের সংগ্রহ খাতা ও ঘোষপাড়ার নিকটবর্তী মদনপুরের ফকির আকবর শাহের সংগীত সংগ্রহ খাতা হইতে গৃহীত।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….