একটি হেমের গাছে প্রেমের লতা
একটি হেমের গাছে প্রেমের লতা
বেষ্টিত হ’য়ে আছে।
শুধু হেম নয় ও নীলকান্তমণি
তাতে মিশায়েছে।।
ফুল ছাড়া ফল ধরে,
ফুল থাকে আট ক্রোশ অন্তরে,
তবে তায় ফল ধরে কি ক’রে?
তবে সেচের গুণে হ’তে পারে,
সলিল থাকে কোন্ সায়রে?
সে যে মালীর পরিপাটী
মাটি কর খাঁটি,
নীর ফেলে ক্ষীরে সেচ করেছে।।
কি বস্তু ফলের ভিতরে
খাইলে জীয়ন্তে মরে,
অনিত্য জীব বাঁচাতে পারে;
সে ফল সুধা-মাখা,
গরল-ঢাকা,
জন্মাবধি হয় না পাকা;
সে ফলে কাঁচাতে সুরস,
রসে করে বশ,
সেই রসেতে যেজন ডুবে আছে।।
শাখা নেই, পল্লব বাড়ে,
তরু যায় ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে,
ছত্রিশ কোটি যোজন উপরে;
তার উপরে রসের কলি-
বিকশিত, উড়ছে অলি;
ফুলের কিবা বর্ণ ভিন্ন,
সাড়ে সাত বর্ণ
যে ফুলেতে জগৎ মেতে আছে।।
আসমানে তার গাছের গোড়া,
ডালপালা তার জমিন বেড়া,
আয় নাগরী, দেখে যা তোরা;
গোঁসাই হরি পোদোয় ভণে,
পোদোর কি ভাব উঠল মনে,
সে তো বার দিনের কথা,
বৃক্ষ আছে যথা,
ছত্রিশ দিনের তিন দিন
লও গো বেছে।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামের বাউল সমাবেশ হইতে বিশেষভাবে সংগৃহিত-
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….