গুরুর নাম যার হৃদে গাঁথা
গুরুর নাম যার হৃদে গাঁথা
মুখে ধরে আত্ম-তত্ত্ব-কথা,
সে কি মুড়িয়ে মাথা
তিলক-মালা-ঝোলা ধরে।
চলে না সে সাধুর ভোলে
একই কালে
মন-মদনকে বাধ্য করে।।
গুরু-ধোপায় ধোপ দিলে পর
দেহের ময়লা যাবে ধুয়ে,
রাগ-সাবানে মন মাজিলে
হৃদ্-কমলে
আলো জ্ব’লে
সোনার মানুষ ঝলক দিবে রে।
গাভীর পেটে হয় যে বৎস,
সেই তো মাঠে ঘাটে চরে ফেরে।।
যার আছে একান্ত মন,
সেই রত্ন-ধন,
ঘরে বসে মিলবে তারে।
দীনু কয় উদয়চাঁদে,
গুরুর চরণ ভুলে
যাবি কিরে ভব-পারে।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- কেঁদুলীর মেলায় বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, মানভূম, মূর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান প্রভৃতি জেলা হইতে সমাগত বাউলদের নিকট হইতে বিশেষভাব গৃহীত বাউল গান।
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….