হরির হীরের গিরে
হরির হীরের গিরে
স্থিরে অস্থিরে ধীরে জানে।
যেজন অধীরে, কি জানে গিরে?
হীরে জিরে ক্ষীরে নীরে সুজন চেনে।।
যার ঘুচেছে মনের আঁধার ধাঁধা,
আনন্দ-আস্বাদ বাঁধা,
মগ্ন যেন চকোর আর চাঁদা;
তাদের অবিচ্ছেদ নিশি-দিশি,
প্রতিপদহীন পৌর্ণমাসী,
সেথা নাহি অমাবস্যা, মুখে মৃদু মধুর হাসি
কিরণ প্রকাশিত হয় চিরদিনে।।
হীরে জিরে বিভিন্ন, নীরে ক্ষীরে বাছে হংস,
সাধু বাছে অসার-সারাংশ;
সেথা অনিত্য কি নিত্য ধাম,
ধৈর্য রামের আত্মারাম,
বেদের বিধাতা না জানে,
নইলে বিধি বলব কেনে,
অবিধি আচারে ব্রজজনে।।
গোঁসাই হরি বলছে জোরে,
সুরা রেখে স্বর্ণাগারে,
নড়াতে চাও সুমেরু ধ’রে?
পদো, তোর তেজে কি নড়ে গিরি,
ক্ষুদ্র শশধরে হেরি’
বলিস জোতে জোত না জেনে।।
……………………
অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ‘বাংলার বাউল ও বাউল গান’ গ্রন্থ থেকে এই পদটি সংগৃহিত। ১৩৬৪ বঙ্গাব্দে প্রথম প্রকাশিত এই গ্রন্থের বানান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। লেখকের এই অস্বাধারণ সংগ্রহের জন্য তার প্রতি ভবঘুরেকথা.কম-এর অশেষ কৃতজ্ঞতা।
এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- এই পদটি সংগ্রহ সম্পর্কে অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহাশয় লিখেছেন- বর্ধমান জেলার বেতালবন গ্রামের বাউল সমাবেশ হইতে বিশেষভাবে সংগৃহিত-
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন-
voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….