ভবঘুরেকথা

Search Results for : শ্রীকৃষ্ণ

    চতুর্থ খণ্ড : ভক্তিপ্রসঙ্গে : ভক্তিযোগ প্রসঙ্গে

    -স্বামী বিবেকানন্দ দ্বৈতবাদী বলে, সর্বদা দণ্ডহস্তে শাসন করিতে উদ্যত একজন ঈশ্বরকে না ভাবিলে তুমি নীতিমান্ হইতে পার না। ব্যাপারটা কি রকম? ধর একটি ঘোড়া আমাদের নীতি সম্বন্ধে বক্তৃতা দিবে। আর ঘোড়াটি ছ্যাকরা গাড়ীর হতভাগ্য ঘোড়া, সে চাবুক ভিন্ন এক পাও অগ্রসর হয় না-এইটি তাহার স্বভাবে পরিণত হইয়াছে। এই ঘোড়ার বক্তৃতার বিষয় হইল ‘মানুষ’, তাহার মতে […]

    চতুর্থ খণ্ড : দেববাণী : দেববাণী–৩

    -স্বামী বিবেকানন্দ শুক্রবার, ২৮ জুন (অদ্য সকলেই স্বামীজীর সহিত বনভোজনে যাত্রা করিয়াছিলেন। যদিও স্বামীজী যেখানেই থাকিতেন, সেখানেই অবিরাম শিক্ষা দিতেন, অদ্যকার উপদেশের কোন প্রকার ‘নোট’ রাখা হয় নাই; তাই তিনি যাহা বলিয়াছিলেন, তাহার কিছুই লিপিবদ্ধভাবে নাই। তবে বাহির হইবার পূর্বে প্রাতরাশের সময় তিনি এই কয়েকটি কথা বলিয়াছিলেনঃ) সর্বপ্রকার অন্নের জন্য ভগবানের প্রতি কৃতজ্ঞ হও-অন্নই ব্রহ্মস্বরূপ। […]

    চতুর্থ খণ্ড : দেববাণী : দেববাণী–২

    -স্বামী বিবেকানন্দ মঙ্গলবার, ২৫ জুন যখনই কোন সুখভোগ করবে, তারপর দুঃখ আসবেই আসবে-এই দুঃখ তখন তখনই আসতে পারে, অথবা খুব বিলম্বেও আসতে পারে। যে আত্মা যত উন্নত, তার সুখের পর দুঃখ তত শীঘ্র আসবে। আমরা যা চাই, তা সুখও নয়, দুঃখও নয়। এ উভয়ই আমাদের প্রকৃত স্বরূপ ভুলিয়ে দেয়। উভয়ই শিকল-একটা লোহার শিকল, অপরটা সোনার […]

    চতুর্থ খণ্ড : পরাভক্তি : মানবীয় ভাষায় ভগবৎ – প্রেমের বর্ণনা

    -স্বামী বিবেকানন্দ মানবীয় ভাষায় প্রেমের এই সর্বোচ্চ আদর্শ প্রকাশ করা অসম্ভব। উচ্চতম মানব-কল্পনাও উহার অনন্ত পূর্ণতা ও সৌন্দর্য অনুভব করিতে অক্ষম। তথাপি সর্বদেশের নিম্ন ও উচ্চ ভাবের প্রেমধর্মের সাধকগণকে তাঁহাদের প্রেমের আদর্শ বুঝিতে বা বুঝাইতে চিরকালই এই অনুপযোগী মানবীয় ভাষা ব্যবহার করিতে হইয়াছে। শুধু তাহাই নয়, বিভিন্ন প্রকারের মানবীয় প্রেমই এই অব্যক্ত ভগবৎ-প্রেমের প্রতীকরূপে গৃহীত […]

    চতুর্থ খণ্ড : ভক্তিযোগ : ভক্তির সাধন

    -স্বামী বিবেকানন্দ ভক্তিলাভের উপায় ও সাধনসম্বন্ধে ভগবান্ রামানুজ তাঁহার বেদান্তভাষ্যে লিখিয়াছেনঃ ‘বিবেক, বিমোক, অভ্যাস, ক্রিয়া, কল্যাণ, অনবসাদ্ ও অনুদ্ধর্ষ হইতে ভক্তিলাভ হয়।’ ‘বিবেক’ অর্থে রামানুজের মতে খাদ্যাখাদ্যবিচার। তাঁহার মতে খাদ্যদ্রব্যের অশুদ্ধির কারণ তিনটিঃ (১) জাতিদোষ অর্থাৎ খাদ্যের প্রকৃতিগত দোষ, যথা-রশুন, পেঁয়াজ প্রভৃতি স্বভাবতঃ অশুচি খাদ্যের যে দোষ; (২) আশ্রয়দোষ অর্থাৎ পতিত ও অভিশপ্ত ব্যক্তির হস্তে […]

    চতুর্থ খণ্ড : ভক্তিযোগ : ইষ্টনিষ্ঠা

    -স্বামী বিবেকানন্দ এইবার ইষ্টনিষ্ঠা সম্বন্ধে আমাদিগকে আলোচনা করিতে হইবে। যে ভক্ত হইতে চায়, তাহার জানা উচিত, ‘যত মত তত পথ’-তাহার জানা উচিত, বিভিন্ন ধর্মসম্প্রদায় সেই একই ভগবানের মহিমার বিভিন্ন বিকাশমাত্র। ‘হে ভগবান্, লোকে তোমাকে কত বিভিন্ন নামে ডাকিয়া থাকে-লোকে তোমাকে বিভিন্ন নামে যেন ভাগ করিয়া ফেলিয়াছে। কিন্তু প্রত্যেকটি নামেই তোমার পূর্ণশক্তি বর্তমান। যে উপাসক যে […]

    চতুর্থ খণ্ড : ভক্তিযোগ : মন্ত্র

    -স্বামী বিবেকানন্দ আমরা কিন্তু এখানে মহাপুরুষ বা অবতারগণের কথা বলিতেছি না; এখন আমরা সিদ্ধ গুরুদিগের বিষয় আলোচনা করিব। তাঁহাদিগকে সচরাচর মন্ত্র দ্বারা শিষ্যগণের ভিতর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের বীজ বপন করিতে হয়। এই মন্ত্রগুলি কি? ভারতীয় দর্শনের মতে সমুদয় জগৎ নামরূপাত্মক। এই ক্ষুদ্র ব্রহ্মাণ্ডরূপ মনুষ্যচিত্তে এমন একটি তরঙ্গ থাকিতে পারে না, যাহা নামরূপাত্মক নয়। যদি ইহা সত্য […]

    চতুর্থ খণ্ড : ভক্তিযোগ : অবতার

    -স্বামী বিবেকানন্দ যেখানে লোকে তাঁহার (ঈশ্বরের) নামকীর্তন করে, সেই স্থান পবিত্র; আর যে-ব্যক্তি তাঁহার নাম করেন, তিনি আরও কত পবিত্র! আর যাঁহার নিকট আধ্যাত্মিক আলোক প্রাপ্ত হই, তাঁহার নিকট কতই না ভক্তির সহিত অগ্রসর হওয়া উচিত! ঐরূপ শ্রেষ্ঠ ধর্মাচার্যের সংখ্যা খুব বিরল বটে, কিন্তু জগৎ একেবারে এই-সকল আচার্য-বিরহিত হয় না। যে মুহূর্তে পৃথিবী একেবারে আচার্যশূন্য […]

    যোগ ও মনোবিজ্ঞান : সাধন সম্বন্ধে কয়েকটি কথা

    -স্বামী বিবেকানন্দ [ক্যালিফোর্নিয়ার লস্ এঞ্জেলেস-এ ‘হোম্-অব্-ট্রুথ’-এ প্রদত্ত বক্তৃতা] আজ সকালে প্রাণায়াম ও অন্যান্য সাধনাদি সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করিব। তত্ত্বের আলোচনা অনেক হইয়াছে, এখন তাহার সাধন সম্বন্ধে কিছু বলিলে মন্দ হইবে না। এই বিষয়টির উপর ভারতে বহু গ্রন্থ লেখা হইয়াছে। এদেশের লোক যেমন জাগতিক বিষয়ে কার্যকুশল, আমাদের দেশের লোক তেমনি ঐ বিষয়ে দক্ষ বলিয়া মনে হয়। […]

    জয় সীতা আর

    (তাল-একতালা) জয় সীতা আর সীতানাথের জয়। হল জগত ভরি জয় জয়।। ওগো জয় শচী জয় জগ্নমাতা, জগন্নাথ মিশ্রের জয়। জয় পদ্মাবতী সীতামাতা, হাড়াই পণ্ডিতের জয়।। নাড়া দেয় গঙ্গাজল, চন্দন তুলসীর দল, বলে শ্রীকৃষ্ণায়ঃ তাইতে ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথি, গ্রহণের সময় জয় জয়। (জনম নিলে সেই গ্রহণ কালে, আমার গৌর হরি) নাড়ায়ে গোলকধাম, কি মধুর হরিনাম, এল […]

error: Content is protected !!