Reiki হচ্ছে জাপানি শব্দ। রেই (Rei)মানে সর্বব্যাপী বা মহাজাগতিক, কি (ki) মানে জীবনীশক্তি বা প্রাণশক্তি। Reiki আধ্যাত্মিক শক্তি সঙ্গে কাজ করার একটি পদ্ধতি। এই শক্তিকে রেইকি বলা হয়, কিন্তু এটি বিভ্রান্তিকর, কারণ শক্তির নিজের নাম নেই, শুধুমাত্র পদ্ধতিটি Reiki বলা যেতে পারে। Reiki শব্দটি নিজেই ‘সর্বজনীন আধ্যাত্মিক শক্তি।’
ড: মিকাও উসুই ১৫০ বছর আগে এই শক্তির নাম দিয়েছেন ‘রেইকি’। দেশ ও জাতিভেদে এর নামের ভিন্নতা আছে।
জার্মান বলে ‘মেসমেরিজম’, ভারত বলে ‘মহাজাগতিক শক্তি’, চীন বলে ‘চী’, আমেরিকা বলে ‘কসমিক এনার্জি’। নাম ভিন্ন হলেও পদ্ধতি মূলত একই। সাধারণত হাতের মাধ্যমে পজিশনে বা রোগীর কষ্টের স্থানে স্পর্শ করে রেইকি দেয়া হয়। তবে দূরবর্তী হিলিং এর ক্ষেত্রে রোগীকে স্পর্শ না করে রেইকি দেয়া হয়।
সময়, স্থান কালভেদে পাৰ্থক্য হয়। সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা বিশ থেকে একুশ মিনিট সময় লাগতে পারে। রোগের উপর নির্ভর করে কয়দিন লাগবে নির্ভর করে। সাধারণত মানুষ Reiki নেয়ার সময় শারীরিক কিছু ‘অনুভূতি’ অনুভব করেন, যা শেষ হওয়ার পরে ইতিবাচক পরিবর্তন হিসেবেই কাজ করে।
রেইকি যে কেউ ইচ্ছে করলেই শুরু করতে পারবেন না এর জন্য উপযুক্ত শিক্ষকের বা গুরুর কাছ থেকে দীক্ষা নিতে হবে। এটা গুরুমুখী বিদ্যা। রেইকির মাধ্যমে আপনাদের শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির জন্য ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন!!
রেইকি যে কোন শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় কাজ করে। রেইকি দিয়ে সকল ইতিবাচক কাজ করা সম্ভব, রেইকি কখনো কোন নেতিবাচক কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
রেইকি যে নিবেন তাকে নিজে বুঝে চাইতে হবে এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। রেইকি কোনো জাতি, ধর্ম বা বর্ণের কোন কিছু না। এটা যে কেউ যে কোন সময় নিতে পারে তার শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক যে কোন কারণে।
রেইকি যে কেউ ইচ্ছে করলেই শুরু করতে পারবেন না এর জন্য উপযুক্ত শিক্ষকের বা গুরুর কাছ থেকে দীক্ষা নিতে হবে। এটা গুরুমুখী বিদ্যা। রেইকির মাধ্যমে আপনাদের শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির জন্য ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন!!
–সায়মা সাফীজ সুমী
রেইকি মাস্টার হিলার
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
…………………..
আরও পড়ুন-
রেইকি সারসংক্ষেপ
রেইকি এলো কোথা থেকে
রেইকির প্রাথমিক আলাপ
1 Comment