ভবঘুরেকথা

মরমী

সৃষ্টিতে অনন্দে ভরা দেখে

সৃষ্টিতে অনন্দে ভরা দেখে আমি আত্মহারা জিয়ন্তে হইয়াছি মরা কোথায় রইলা জগৎ স্বামী।। ঞ্জানী হয়ে কিতাব লয়ে বিদ্যার বড়াই করছি…

শোনা স্বর্গ শুনতে শোনায় আছে

শোনা স্বর্গ শুনতে শোনায় আছে অনেক দুরেতে দেখা স্বর্গ ভোগ করে যাও অন্তরে জ্বালাইয়া বাতি।। পির দেওয়ানা আগা ফকির কোথায়…

জ্যোতির্ময় এই রবি-শশী

জ্যোতির্ময় এই রবি-শশী ঠিক রাখে ঐ দিবা নিশি গ্রহ তারায় মিলেমিশে অনন্তকাল ঘুরিতেছে।। উপুড় করা পাত্রটা ঐ আকাশ আমরা কই…

আর আমি দেখলাম না চোখে

আর আমি দেখলাম না চোখে আধার ঘরে দিন রজনী কেবা কোথায় বাঁশি ফুঁকে।। অষ্ট তলা নয়টি দুয়ার রাস্তা হয় বাহাত্তর…

এ বিশ্ব বাগানে সাঁই নিরঞ্জনে

এ বিশ্ব বাগানে সাঁই নিরঞ্জনে মানুষ দিয়া ফুটাইল ফুল, এ বিশ্ব বাগানে।। আদমকে নিষেধ করে গন্দম খেওনা গন্দমকে হুকুম দিল…

দেখিয়ে আদম পাছে ফিরে গন্দম

দেখিয়ে আদম পাছে ফিরে গন্দম বলে তুমি অমর হবে খাইলে আমারে।। শয়তান আসিয়া মেয়ে তখন সাজিয়া গন্দম খাওয়াইয়া পাঠায় দোঁহারে,…

ছিল না আসমান-জমি

ছিল না আসমান-জমি, আগুন- মাটি-হাওয়া-পানি বেদ-বেদান্ত শাস্ত্র-গ্রন্থ ধর্মবাক্য কোরানখানি।। নির্ব্বিকল্প নিরাকার অখন্ড সে মন্ডল-আকার চঞ্চল প্রভু একা তাঁহার ছিলনা কেউ…

ভাব বিনে কি ভাবের মানুষ

ভাব বিনে কি ভাবের মানুষ ধরতে পারা যায়, অচেনা এক ভাবের পাখি, হৃদাকাশে উড়ছে সদায়।। প্রমময়ের প্রেম-মুখ, দেখবার আশে কতই…

বসন্ত বাতাসে ফুল ঝরে

বসন্ত বাতাসে ফুল ঝরে নতুন গাছ তলে সাধু বিনে পায়না মধু তারাই গিয়া ফুল তুলে, ডালে যখন ধরে কলি মনরঙ্গে…

মায়া নদীর অতল নীরে

মায়া নদীর অতল নীরে তরীটি ভাসাইয় দে-রে দিন গেলেই আসিবে রাতি শেষে কিন্তু পারবি নারে।। ভাটির দিকে দমে টানে শমন-রাজার…
error: Content is protected !!