।। তথা রাগ।।
ঠাকুর-বৈষ্ণব-পদ অবনীর সম্পদ
শুন ভাই হৈয়া এক-মনে।
আশ্রয় হইয়া সেবে সেই কৃষ্ণ-ভক্তি লভে
আর সভে মরে অকারণে।।
বৈষ্ণব-চরণ-জল প্রেম-ভক্তি দিতে বল
আর কেহো নাহি বলবন্ত।
বৈষ্ণব-চরণ-রেণু মস্তকে ভূষণ বিনু
আর নাহি ভূষণের অন্ত।।
তীর্থ-জল পবিত্র গুণে লিখিয়াছে পুরাণে
সেহ সব ভক্তির-প্রপঞ্চন।
বৈষ্ণবের পাদোদক সম নহে এই সব
যাতে ভক্তি বাঞ্ছিত-পূরণ।।
নরোত্তম দাস কয় শুন শুন মহাশয়
বিষম সংসারে মোর বাস।
না দেখোঁ তারণ-পথ অসতে মজিল চিত
এই বার তরাইয়া লেহ পাশ।।
…………………
কবি নরোত্তম দাস এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের (১৯২৭ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা-২য় ভাগ, ৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, ৩০৯৫-পদসংখ্যায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….