ডালিম তলার মাহাত্ম্য
সতীমা ও রামশরণ ঠাকুর আউলচাঁদ মহাপ্রভুর অমৃতময় উপদেশ বাণী গভীর মনযোগ দিয়ে শ্রবণ করলেন এবং যাতে ঐ গুরুবাক্য যথাযথভাবে পালন করতে পারে তার জন্য ঠাকুরের আশির্বাদ কামনা করলেন। রামশরণের কঠিন দুরারোগ্য (শূল বেদনা) মরণ ব্যধি ছিল, ঠাকুরের কৃপায় ঐ কঠিন ব্যাধি থেকে চিরতরে মুক্তি পেলেন।
ঠাকুর সতীমাকে বললেন এই স্থানে একটি ডালিম গাছ রোপন কর এবং ঐ ডালিম তলে বসে প্রত্যেকদিন বিধিমত সত্যনাম স্মরণ, মনন, জপ, তপ, সাধন ভজন করবি, সাধনায় সিদ্ধিলাভ হবে, আর তুই হবি ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারিণী।
আউলচাঁদ মহাপ্রভুর আজ্ঞামত সতীমা ঐ স্থানে একটি ডালিম গাছ রোপন করলেন এবং ঐ ডালিম তলায় বসেই সত্যনাম স্মরণ-মনন-সাধন-ভজন-জপ-তপ করে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং বাকসিদ্ধা, ঐশ্বরিক ক্ষমতা ও অতিমানবীয় গুণাবলীর অধিকারিণী হয়েছিলেন। সতীমার স্ব-হস্তে রোপিত ডালিম গাছটি (প্রায় তিনশত বছর) আজও বিদ্যমান।
আর এ ডালিম গাছটি কল্পবৃক্ষে পরিণত হবে, এখানে মালিকের উপর অটল ভক্তি-বিশ্বাস রেখে প্রার্থনা করলে মালিক তার মনোবাসনা পূর্ণ করবে, এজন্য আপনা-আপনি বহু অর্থ আসবে, এই অর্থ কিছু নিজে ভোগ করবি আর লোক হিতকর কাজ ও ঠাকুরের মহোৎসবে ব্যয় করবি, সাবধান এই অর্থের উপর যেন লোভ না আসে, যখনই লোভ করবি তখনি গরল দেখা দিবে।
আউলচাঁদ মহাপ্রভুর আজ্ঞামত সতীমা ঐ স্থানে একটি ডালিম গাছ রোপন করলেন এবং ঐ ডালিম তলায় বসেই সত্যনাম স্মরণ-মনন-সাধন-ভজন-জপ-তপ করে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং বাকসিদ্ধা, ঐশ্বরিক ক্ষমতা ও অতিমানবীয় গুণাবলীর অধিকারিণী হয়েছিলেন। সতীমার স্ব-হস্তে রোপিত ডালিম গাছটি (প্রায় তিনশত বছর) আজও বিদ্যমান।
…………………………………..
সূত্র ও কৃতজ্ঞতা:
১. ভবের গীত
২. কর্তাভজা সত্যধর্ম
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
…………………..
আরও পড়ুন-
কর্তাভজা সত্যধর্মের ৩০ ধারা
রামশরণ ও সতীমার দীক্ষাগ্রহণ
সতী মা
কর্তাভজা সত্যধর্ম
কর্তাভজার দশ আজ্ঞা
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আবির্ভাব
ডালিম তলার মাহাত্ম্য
বাইশ ফকিরের নাম
কর্তা
দুলালচাঁদ
কর্তাভজা সত্যধর্মের পাঁচ স্তম্ভ
সাধন-ভজন ও তার রীতি নীতি
ভাবেরগীত এর মাহাত্ম্য
কর্তাভজা সত্যধর্মের আদর্শ ও উদ্দেশ্য