(তাল-যৎ)
তোরা দেখসে এক সোনার মানুষ এসেছে।
মানুষ কোন দেশে ছিল কার কাছে।।
এত বিধির গঠন নয় গো কখন, মানুষে মানুষ মিশেছে।।
সখী ছিল মানুষ যার হুজুরী, করেছে তার কি ধন চুরি,
হয়ে ছিল ফেরয়ারী, এমন জ্ঞান হতেছে।
শেষে পায় ধরে করেছে রফা, তাইতো দিয়ে অঙ্গ ঝাপা।।
সে দিয়ে তার রূপের ছাপা, দাগ দিয়ে ছেড়ে দিছে।।
যেন বড় মানুষের নিশানা, বৈভবের অভাব ছিল না,
তার বুঝি কিছু দিল না, ভাবে বুঝা গিয়েছে।
উহার সর্বস্ব নিয়াছে কেড়ে, দাগ দিয়া দিয়াছে ছেড়ে,
মনাগুণে যাচ্ছে পুড়ে, জুড়াতে না পারতেছে।।
মানুষ পুরুষ কি প্রকৃতি ছিল, তার নিদর্শন নাহি হ’ল,
অন্তর ওর কালো কালো, যেন ঝলক দিতেছে।
ভুলাইল পুরুষ নারী, শাক্ত শৈব ব্রহ্মচারী,
সবে বলে হরি হরি, মানুষের জন্যে কাঁদতেছে।।
সখী যে দেখে ছিল এ মানুষ, খেয়েছে সে দেশের মানুষ,
তাইতে উহার মনের মানুষ, এ শাস্তি করে দিছে।
এ দেশ কি ও রাখবে বাকী, এই সময় চল যাই গো সখী,
আর কেন সই কুলে থাকি, কুলে কি আর কুল আছে।।
আমার হরিচাঁদ সেই প্রেমের মানুষ, বিশুদ্ধ সহজের মানুষ,
কলির মানুষ করতে মানুষ, মানুষের করণ দিতেছে।
গুরুচাঁদ তার করণধারী, গোলকচাঁদ চরণবিহারী,
মহানন্দ প্রেম ভিক্ষারী, তারক কাঁদে মিছে।।