গৌতম বুদ্ধের বাণী: চার
১০১.
নিষ্ক্রিয়তা হচ্ছে মৃত্যুর একটা ছোট রাস্তা। কঠোর পরিশ্রমই ভালো জীবনের রাস্তা হয়ে থাকে। নির্বোধ মানুষরা নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে এবং বুদ্ধিমান মানুষরা কঠোর পরিশ্রমী হয়। – গৌতম বুদ্ধ
১০২.
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের সমন্বয়ই জীবন। কেবল একটি সঠিক মুহূর্ত পাল্টে দেয় একটি দিন। একটি সঠিক দিন পাল্টে দেয় একটি জীবন। আর একটি জীবন পাল্টে দেয় গোটা বিশ্ব। – গৌতম বুদ্ধ
১০৩.
জীবনে হাজার লড়াই জেতার থেকে ভালো, তুমি নিজের উপর বিজয়প্রাপ্ত করে ফেলো। তখন সর্বদা তোমারই হবে আর সেই জয় তোমার থেকে কেউই ছিনিয়ে নিতে পারবে না। – গৌতম বুদ্ধ
১০৪.
যিনি যত অধিক ভাষণ করুন না কেন তাতে তিনি ধর্মধর হতে পারেন না। যিনি অল্পমাত্র ধর্মকথা শুনে নিজের জীবনে তা আচরণ করেন এবং ধর্মে অপ্রমত্ত থাকেন তিনিই প্রকৃত ধর্মধর। – গৌতম বুদ্ধ
১০৫.
সত্যের পথে চলার সময় মানুষ মাত্র দুটো ভুলই করতে পারে- এক: সে হয়তো সেই পথকে পুরো শেষ করতে পারবে না অথবা দুই: সে হয়তো সেই পথে যাওয়ার কোনদিন চেষ্টাই করবে না। – গৌতম বুদ্ধ
১০৬.
তোমার কাছে যা কিছু আছে, সেগুলোকে কখনোই অন্যের কাছে বাড়িয়ে বলো না আর অন্যকে দেখে ঈর্ষাও করো না। যে অন্যদের দেখে ঈর্ষা করে, সে কখনোই মানসিকভাবে শান্তি পাবে না। – গৌতম বুদ্ধ
১০৭.
হিংসা ত্যাগ করে সকলের প্রতি মমতাশীল হও। পরের দুঃখে দঃখী হও। পরের সুখে সুখী হও। দুঃখকে সমভাবে দেখ। এ চারটি যথাক্রমে মৈত্রী, করুণা, মুদিতা ও উপেক্ষা ভাবনা। যার নাম ব্রহ্মবিহার। – গৌতম বুদ্ধ
১০৮.
কোনো হিংস্র পশু অপেক্ষা কোনো শয়তান বন্ধুকে আপনার বেশি ভয় পাওয়া উচিৎ। কারণ হিংস্র পশু আপনার শরীরের ক্ষতি করতে পারে কিন্তু একজন খারাপ বন্ধু আপনার বুদ্ধির ক্ষতি করে দিতে পারে। – গৌতম বুদ্ধ
১০৯.
চলে যাওয়া সময় কখনোই ফিরে আসবে না। আমরা অনেকস ময় এটা ভাবি যে, আজ যেই কাজটা হচ্ছে না সেটা কাল হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবে যেই সময় একবার চলে যায় সেটা আর কোনোদিনও আসবে না। – গৌতম বুদ্ধ
১১০.
তুমি কতটা ভালোবাসা দিলে, কতটা পূর্ণতার সাথে জীবনকে উপভোগ করলে এবং কতটা গভীরতার সাথে হতাশাকে জীবন থেকে ত্যাগ করলে- এই সবকিছুই সবশেষে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। – গৌতম বুদ্ধ
১১১.
ভালো কাজ সবসময় কর। বারবার কর। মনকে সবসময় ভালোকাজে নিমগ্ন রাখো। সদাচরণই স্বর্গসুখের পথ। পরের কৃত ও অকৃত কার্যের প্রতি লক্ষ্য না রেখে নিজের কৃত ও অকৃত কার্যের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। – গৌতম বুদ্ধ
১১২.
জগতে মাতা ও পিতার সেবা সুখকর। শ্রমণ ও পণ্ডিতদের পরিচর্যা জগতে সুখ দায়ক। বার্ধক্য পর্যন্ত শীল (নীতি) পালন সুখকর। শ্রদ্ধায় প্রতিষ্ঠিত হওয়াই সুখদায়ক। প্রজ্ঞালাভই সুখ জনক, পাপ না করাই সুখাবহ। – গৌতম বুদ্ধ
১১৩.
চিন্তার প্রতিফলন ঘটে স্বভাব বা প্রকৃতিতে। যদি কেউ মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে দুঃখ তাকে অনুগমন করে।আর কেউ যদি সুচিন্তা নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে সুখ তাকে ছায়ারমত অনুসরণ করে। – গৌতম বুদ্ধ
১১৪.
জীবনে যতই ভালো বই পড় কিংবা ভালো উপদেশ শোনো না কেন, কিন্তু যতক্ষণ না তুমি সেইসবের থেকে পাওয়া তথ্যগুলোকে নিজের জীবনে ব্যবহার না করছো; ততক্ষন অবধি সেইসবের কোনো মূল্যই নেই। – গৌতম বুদ্ধ
১১৫.
জীবনের খুব কম মানুষের জীবনে পরিপক্কতা আসে। সঙ্গী হিসেবে এই পরিপক্কতাকে তোমার অর্জন করতে হবে। তবে তা ভুল মানুষকে অনুসরণ করে নয়। এই পরিপক্বতা অর্জনে বরং একলা চলো নীতি অনুসরণ করো। – গৌতম বুদ্ধ
১১৬.
কোনো পরিবারকে সুখী ও স্বাস্থ্যবান হতে হলে সবার প্রথমে দরকার অনুশাসন এবং মনের উপর নিয়ন্ত্রণ। যদি কোনো ব্যক্তি নিজের মনের উপর নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায়, তাহলে সে আত্মজ্ঞানের রাস্তা অবশ্যই খুঁজে পাবে। – গৌতম বুদ্ধ
১১৭.
একটা প্রদীপের মাধ্যমে হাজারটা প্রদীপকে জ্বালানো যেতে পারে কিন্তু তাতে সেই প্রদীপের আলো কখনোই কমে যায় না। ঠিক সেইভাবেই খুশিকে সবার সবার মাঝে ছড়ানোর দ্বারা খুশি কখনোই কমে যায়না বরং বেড়ে যায়। – গৌতম বুদ্ধ
১১৮.
দুষ্কর্ম পরিত্যাগ করে সৎকর্ম সম্পাদন কর। কায়, বাক্য ও মনেসংযম হও। মন থেকেই সৎ কর্ম ও দুষ্কর্মের ইচ্ছশক্তি উৎপন্ন হয়। প্রসন্নমনে কথা বললে ছায়ায় ন্যায় সুখ প্রদান করে। দুষ্ট মনে কাজ করলেদুঃখ ভোগ করতে হয়। – গৌতম বুদ্ধ
১১৯.
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। তারপর অন্যকে অনুশাসন কর।
নিজে নিয়ন্ত্রিত হলে অন্যকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাই কঠিন।
– গৌতম বুদ্ধ
১২০.
চিন্তার প্রতিফলন ঘটে স্বভাব বা প্রকৃতিতে।
যদি কেউ মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে দুঃখ তাকে অনুগমন করে।
আর কেউ যদি সুচিন্তা নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে সুখ তাকে ছায়ার মত অনুসরণ করে।
– গৌতম বুদ্ধ
১২১.
মৈত্রী দ্বারা ক্রোধকে জয় করবে,
সাধুতার দ্বারা অসাধুকে জয় করবে,
ত্যাগের দ্বারা ক্রোধকে জয় করবে ও সত্যের দ্বারা মিথ্যাকে জয় করবে।
– গৌতম বুদ্ধ
১২২.
যিনি অস্থিরচিত্ত, যিনি সত্যধর্ম অবগত নন,
যার মানসিক প্রসন্নতা নেই,
তিনি কখনো প্রাজ্ঞ হতে পারেন না।
– গৌতম বুদ্ধ
…………………………………………
আরো পড়ুন:
গৌতম বুদ্ধের বাণী: এক
গৌতম বুদ্ধের বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: তিন
গৌতম বুদ্ধের বাণী: চার
ভগবান্ বুদ্ধ
মহাপ্রজ্ঞাপারমিতা মন্ত্র
……………….
আরও পড়ুন-
মহানবীর বাণী: এক
মহানবীর বাণী: দুই
মহানবীর বাণী: তিন
মহানবীর বাণী: চার
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: এক
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: দুই
গুরু নানকের বাণী: এক
গুরু নানকের বাণী: দুই
চৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী
কনফুসিয়াসের বাণী: এক
কনফুসিয়াসের বাণী: দুই
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….