ভবঘুরেকথা

মা সারদা দেবীর বাণী : দুই

“কষ্ট ছাড়া কখনো উন্নতি সম্ভব নয়।”

 

‘আমি সত্যেরও মা, অসত্যেরও মা।”

 

“ধ্যান, জপ ও ঈশ্বর চিন্তায় পাপ কাটে।”

 

“ঈশ্বর ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হওয়ার সাধ্য নেই।”

 

“যে ব্যাকুল হয়ে ডাকবে সেই তাঁর দেখা পাবে।”

 

“বিশ্বাস আর নিষ্ঠাই মূল, এই দুটো থাকলেই হলো।”

 

“যখন জীবনে সুসময় আসে, তখন ধ্যান চিন্তা আসে।”

 

“সৎসঙ্গে মেশো, ভালো হতে চেষ্টা করো। ক্রমে সব হবে।”

 

“যদি শান্তি চাও, কারোর দোষ দেখোনা, দোষ দেখবে নিজের।”

 

“জগৎকে নিজের করে নিতে শেখো। কেউ পর না, জগৎ তোমার।”

 

“যে অল্পেতে তুষ্ট থাকে, তার কাছে এই পৃথিবীর সব কষ্ট সহজ হয়ে যায়।”

 

“জানবে কেউ না থাক, তোমার একজন মা আছেন। আমি মা থাকতে ভয় কি।”

 

“কাজের সঙ্গে সকাল সন্ধ্যে জপ-ধ্যান না করলে, কি করছো না করছো বুঝবে কি করে?”

 

“ভালোবাসায় সবকিছু হয়, জোর করে কায়দায় ফেলে কাউকে দিয়ে কিছু করানো যায়না।”

 

“মনটাকে বসিয়ে আলগা না দিয়ে কাজ করা ঢের ভালো, মন আলগা হলে যত গোল বাধায়।”

 

“সব সয়ে যেতে হবে কারণ কর্মানুসারে সৎ যোগাযোগ হয়, আবার কর্মের দ্বারা কর্মের খন্ডন হয়।”

 

“একশো জনকে খাওয়াতে হবেনা কিন্তু চোখের সামনে একজন ক্ষুদার্তকে দেখলে তাকে একটু খেতে দিও।”

 

“কেউ যদি তোমাকে ভালো না বলে তাতে মন খারাপ করোনা, কারণ এক জীবনে সবার কাছে ভালো হওয়া যায়না।”

 

“যারা এসেছে, যারা আসেনি, যারা আসবে। আমার সকল সন্তানকে জানিয়ে দিও, আমার আশীর্বাদ সকলের উপর আছে।”

 

“সংসারে কেমন করে থাকতে হয় জানো? যখন যেমন তখন তেমন, যাকে যেমন তাকে তেমন, যেখানে যেমন সেখানে তেমন।”

 

“কাজ করা চাই বইকি; কর্ম করতে করতে কর্মের বন্ধন কেটে যায়, তবে নিষ্কাম ভাব আসে। একদন্ডও কাজ ছেড়ে থাকা উচিত নয়।”

 

“যিনি ব্রহ্ম, তিনিই শক্তি আর তিনিই মা। দরকার নেই ফুল, চন্দন, ধূপ, বাতি, উপাচারের। মাকে আপন করে পেতে শুধু মনটাকে দেও তাঁরে।”

 

“যেমন ফুল নাড়তে নাড়তে ঘ্রাণ বের হয়, চন্দন ঘষতে ঘষতে গন্ধ বের হয়, তেমনই ভগবত তত্ত্বের আলোচনা করতে করতে তত্ত্বজ্ঞানের উদয় হয়।”

 

“ভাঙতে সবাই পারে, গড়তে পারে কজনে? নিন্দা ঠাট্টা করতে পারে সব্বাই, কিন্তু কি করে যে তাকে ভালো করতে হবে, তা বলতে পারে কজনে।”

 

“ঠাকুর এবার এসেছেন ধনী-নির্ধন-পন্ডিত-মূর্খ সকলকে উদ্ধার করতে; মলয়ের হওয়ার খুব বইছে, যে একটু পাল তুলে দেবে স্মরণাগত ভাবে সেই ধন্য হয়ে যাবে।”

 

“যখন মনে কোনো বিষয় উদিত হবে, জানবার ইচ্ছা হবে। তখন একাকী কেঁদে কেঁদে তাঁর নিকট প্রার্থনা করবে। তিনি সমস্ত মনের ময়লা ও কষ্ট দূর করে দেবেন আর বুঝিয়ে দেবেন।”

 

“দেখো মা, যেখান দিয়ে যাবে তার চতুর্দিকে কি হচ্ছে না হচ্ছে তা সব দেখে রাখবে। আর যেখানে থাকবে সেখানকার সব খবরগুলি জানা থাকা চাই, কিন্তু কাউকে কিছু বলবে না।”

 

“আমাদের যা কিছু সবের মূল ঠাকুর, তিনিই আদর্শ। যা কিছু করো না কেন, তাঁকে ধরে থাকলে কোনোও বেচাল হবে না। ঠাকুর একমাত্র রক্ষাকর্তা, এটি সর্বদা মনে রাখবে। এটি ভুললে সব ভুল।”

 

“ভগবান দর্শন বলো, ধ্যান বল, সবই মন। নিত্য ধ্যান করবে। কাঁচা মন কিনা? ধ্যন করতে করতে মন স্থির হয়ে যাবে। সর্বদা বিচার করবে। যে বস্তুতে মন যাচ্ছে তা অনিত্য চিন্তা করে ভগবানে মন সমর্পণ করবে।’

 

“ঠাকুর বলতেন, ছিপ ফেলে বসলে কি রোজই রুইমাছ ওঠে? অনেক মাল-মশলা নিয়ে একাগ্র হয়ে বসলে কোনোদিন বা একটা এসে পড়ল, কোনোদিন বা নাই পড়ল, তাই বলে বসা ছেড়ো না। জপ বাড়িয়ে দাও।”

<<মা সারদা দেবীর বাণী: এক

…………………
আরও পড়ুন-
শ্রীরামকৃষ্ণদেবের বাণী: এক
শ্রীরামকৃষ্ণদেবের বাণী: দুই
মা সারদা দেবীর বাণী: এক
মা সারদা দেবীর বাণী: দুই

…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!