১.
রাখে কৃষ্ণ মরে কে! মারে কৃষ্ণ রাখে কে?
২.
ভগবান দয়াবান।
৩.
হাতে দৈ, পতে দৈ, তবুও বলে কৈ কৈ!
৪.
এলোমেলো করিলে ধর্ম হয় না।
৫.
ধ্যান করবে বনে, কোণে ও মনে।
৬.
সংসারের গুরুমন্ত্র দেয় কানে, জগৎগুরু মন্ত্র দেয় প্রাণে।
৭.
যাহা রাম, তাহা নাহি কাম, যাহা কাম তাহা নাহি রাম, দিবস-রজনী নাহি রহে এক ঠাম।
৮.
পদে পদে অপরাধ ক্ষমা কর রঘুনাথ।
৯.
ফল ফলাচ্ছ কলাগাছে।
১০.
মেয়ে না মায়া, সব নিল খাইয়া।
১১.
জানায় মানায় না।
১২.
মুক্তিমিজ্জন্তি চে:বিষয়ান বিষবৎ ত্যজেৎ।
১৩.
ভগবান, ভগবত ও ভক্ত তিন সমান, রূপে প্রভেদ।
১৪.
বিদ্যারূপে দিয়া জ্ঞান, কাকে কর পরিত্রাণ, আবার অবিদ্যায় আবৃত করে মোহ গর্তে টেনে ফেলে।
১৫.
আমরা যে খেয়ে আছি এত ভগবানের অসীম দয়া। কত লোক না খাইয়া মারা যাইতেছে।
১৬.
তাঁর ইচ্ছা ব্যতীত গাছের একটি পাতাও নড়ে না।
১৭.
ভগবানের কৃপার শেষ নাই।
১৮.
জপ, তপ কর কিন্তু মরতে পারলে হয়।
১৯.
সারাজীবন জপ করা কেবল শেষ সময়ে ভগবানকে মনে করার জন্য।
২০.
ভগবানই সার আর সকল অসার।
২১.
তোতাপাখি সারাজীবন হরেকৃষ্ণ বলে, বিড়ালে ধরলে ট্যা ট্যা করে। জীবও সমস্ত জীবন হরি হরি বলে, শেষকালে আত্মীয়-স্বজন মনে করে।
২২.
যখন ভগবান যাহাকে যেভাবে রাখেন, তাহাকে সেভাবেই থাকিতে হয়।
২৩.
ব্রহ্মা বিষ্ণু অচৈতন্য; জীবে কি তাঁকে জানতে পারে।
২৪.
দেব দ্বিজ, গুরুমন্ত্রে বিশ্বাস থাকা উচিত।
২৫.
ভগবানের কৃপা ব্যতিরেকে মুক্তিলাভ হয় না।
২৬.
সাপ হয়ে কাট তুমি, ওঝা হয়ে ঝাড়। হাকিম হয়ে হুকুম দেও, প্যাদা হয়ে মার।
২৭.
সকলই তোমার ইচ্ছা, ইচ্ছাময়ী তারা তুমি। তোমার কর্ম তুমি কর, লোকে বলে করি আমি।
২৮.
দিনমে মোহিনী, রাতমে বাঘিনী, পলক পলক লহু দোষে। দুনিয়া ভরকে বাউরা হোকে ঘরঘর বাঘিনী পোষে।
২৯.
তুচ্ছং ব্রহ্ম পদং পরবধু-সঙ্গ:কুত:।
৩০.
কাম ছাড়লে রাম, রতি ছাড়লে সতী।
৩১.
আমল করকে করে ধ্যান,
সংসারী হোকে বাতায় জ্ঞান,
সন্ন্যাসী হোকে বাতায় জ্ঞান,
সন্ন্যাসী হোকে কুটে ভগ,
এই তিন কলিকা ঠগ।
৩২.
হবিষ্যান্ন খাইয়াও গোমাংস খাওয়া হয়, আবার গোমাংস খাইয়াও হবিষ্যান্ন খাওয়া হয়।
৩৩.
মনমে চাঙ্গা, কোটরমে গঙ্গা।
৩৪.
আপনারে আপনি দেখ, যেও না মন কারো ঘরে,
যা চাবে এখানে পাবে, খোঁজ নিজ অন্ত:পুরে।।
৩৫.
জীব যখন শিব হয় শিব যখন শব হয়,
মা সচ্চিদানন্দময়ী তখন হৃদয় কমলে নাচেন।
৩৬.
ঘৃণা, লজ্জা, ভয় তিন থাকতে নয়।
৩৭.
মানুষ শব্দের অর্থ= মন+হুঁশ।
৩৮.
আমার কর্ম দ্বারা আমি বন্ধ, আমার কর্ম দ্বারা আমি মুক্ত হব, কে রাখে?
৩৯.
মেয়ে বা পুরুষ বলিয়া, আত্মায় কোন ছাপ দেওয়া নাই।
৪০.
মেয়েদের কোথা গিয়াও ধর্ম হয় না। তাহাদের ধর্ম হয় ঘরে বসে।
৪১.
যে তাঁকে চায় সে তাঁকে পায়।
৪২.
মেয়ে ভক্ত কেঁদে গড়াগড়ি দিলেও তাহাকে বিশ্বাস করিতে নাই।
৪৩.
প্রাক্তন ভোগ কেউ খণ্ডাইতে পারে না।
৪৪.
জীব তিনরকম- বদ্ধ, মুক্ত ও মুমুক্ষু।
বদ্ধ: বদ্ধ জীব নিজেও ঠাকুরের নাম নেয় না অপরকেও নিতে দেয় না।
মুক্ত: মুক্ত জীব সর্বদা সচ্চিদানন্দ সাগরে সন্তরণ করে।
মুমুক্ষু: মুমুক্ষু জীব ভগবানের দিকে চাহিয়া থাকে এবং তাঁহার দয়া হইলে ধন্য হইয়া যায়।
৪৫.
মানুষের বাহিরের আকা রএক হইলেও ভেতরে তাকাইলে দেখা যায়, কেহ বাঘ, কেহ ভাল্লুক।
৪৬.
মায়ের দশ ছেলে, তিনি কাহারে চুষি দিয়া ভুলাইয়া রাখিয়াছেন, কাহাকেও এটা-ওটা দিয়ে মত্ত করিয়া রাখিয়াছেন, আর অশান্ত ছেলেটিকে কোলে করিয়া বসিয়া আছে কিন্তু যেই কোন অশান্ত ছেলে সমস্ত ত্যাগ করিয়া মা মা বলিয়া কাঁদিয়া উঠে, মা অমনি তাহাকে কোলে স্থান দেন ও শান্ত করেন। সেইরূপ এ সংসারেও যে মানুষ সমস্ত খেলা ছাড়িয়া মা’র জন্য আকুল হয়, চিষ্ময়ী মা তাহাকে কোলে তুলিয়া নেন।
৪৭.
ভগবানের কৃপা হইতে জ্বালার হাত এড়ান যায়, নচেৎ নয়।
৪৮.
ভগবান মঙ্গলমন।
৪৯.
জনক রাজা চতুর ছিলেন, কিছুতেই ছিল না ত্রুটি।
একূল-ওকূল দু’কূল রেখে খেয়ে গেলেন দুধের বাটি।
৫০.
ত্রিসন্ধ্যা যে বলে কালী পূজা সন্ধ্যা সে কি চায়?
সন্ধ্যা তার সন্ধানে ফিরে, তবু সন্ধান নাহি পায়।