৫১.
সুখি, যত কাল থাকি, ততকাল শিখি।
৫২.
পুরাণাদি সকলই সত্য, কিছুই ভুল নয়।
পরমহংদেব বলিতেন, তাও বটে, তাও বটে।
৫৩.
একদিন মুহম্মদ ঘুমাইয়া আছেন, শত্রুগণ তাঁহাকে ঘেড়িয়াছে। একজন তাঁহাকে তদবস্থায় মারিতে চাহিল; কিন্তু তাহাদের ভিতর বাদানুবাদের পর স্থির হইল, জাগাইয়া মারা হইবে। তখন তাঁহাকে জাগান হইল। অন্য একজন মহম্মদের বুকের উপর বল্লম ধরিয়া জিজ্ঞাসা করিল, মহম্মদ এখন কে তোমাকে রক্ষা করিবে? তখন মহম্মদ বুকের কাপড় ফেলিয়া জোর করিয়া বলিয়া উঠিলেন, “আল্লাহ আমাকে রক্ষা করিবেন।” এই কথা বলা মাত্র শত্রুদের হস্তস্থিত বল্লম পরিয়া গেল এবং তাহারা কাষ্ঠ পুত্তলিকার মত দাঁড়াইয়া রইল।
৫৪.
যীশু পেরেকবিদ্ধ হইয়া বলিয়াছিলেন, “ভগবান, ইহাদের দোষ গ্রহণ করিও না কারণ ইহারা জানে না কি করিতেছে।
৫৫.
মহাপ্রভু বলিতেন, রমণীর কোল মাগুর মাছের ঝোল; বোল হরি বোল।
৫৬.
একই ভগবান সর্বঘটে বিরাজ করিতেছেন।
৫৭.
ব্রহ্ম সত্য ; জগৎ মিথ্যা।
৫৮.
ভগবান ও তাঁহার ভক্ত কাহারও দোষ গ্রহণ করেন না; কারণ গুণগাহী জনার্দ্দন।
৫৯.
পাশ বন্ধ ভবেৎ জীব:
পাপমুক্ত: সদা শিব:।
৬০.
মায়াকে চিনিলে, মায়া আপনি পালায়।
৬১.
যত্র জীব তত্র শিব, যত্র নারী তত্র গৌরী।
৬২
হ’তে হ’তে যাহা হয় এই সংসারে কেহ কিছু করিতে পারে না, সকলই তাঁর ইচ্ছা।
৬৩.
মঙ্গলময় হইতে অমঙ্গল হয় না।
৬৪.
মনে বলে পাপ কর্ম করিব না আর
স্বভাবে করায় কর্ম কি দোষ আমার?
৬৫.
সুমতি কুমতি সবই মা ভগবতী।
৬৬.
বনের বাঘে খায় না মনের বাঘে খায়।
৬৭.
যাহার যেমন ভাব, তাহার তেমন লাভ।
৬৮.
এই হাসি এই কান্না বলে গেছে রাম সন্ন্যা।
৬৯.
দোষ করিলে ভগবানের নিকট ক্ষমা চাহিতে হয়,
তিনিই কেবল আমাদের দোষ ক্ষমা করিতে পারেন।
৭০.
পাপ ও পাযরা কখনও গোপন থাকে না, সময়ে প্রকাশ পায়ই।
৭১.
ভ্রমিয়া বার, ঘরে বসিয়া তের।
৭২.
যুবতী কন্যার সহিত পিতাও নির্জনে থাকিবে না।
৭৩.
যতদিন পুড়ে শ্মশানে না পরে ছাই ততদিন সতীত্বের বিশ্বাস নাই।
৭৪.
পূজা, ধ্যান, জপ সকলই শেষ মুহুর্তে ভগবৎ ভাব জাগাইবার জন্য।
৭৫.
যাদৃশ্য ভাবমা যস্য সিদ্ধির্ভবতি তাদৃশী।
৭৬.
পঞ্চভূতের ফাঁদে ব্রহ্ম পরে কাঁদে।
৭৭.
সংসারের কথাবার্তা কাক কোন্দলবৎ।
৭৮.
যদ্যপি আমার গুরু শুড়ি বাড়ি যায়,
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
৭৯.
বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ তর্কে বহুদূরে।
৮০.
লিঙ্গই সিংহ হইয়া ঘাড় কামরায়।
৮১.
কেহ কেহ সিদ্ধিলাভ করিয়া সাধনা করে বেনন লাঊ কুমড়ায় আগে ফুল পরে ফুল।
৮২.
চারা গাছে বেড়া।
৮৩.
প্রাত:কালে তোলা মাখন যেমন জলে মিশে না, সেইরূপ ছোটকালে ভগবৎপরায়ণ হইলে আর মায়াবদ্ধ হয না।
৮৪.
কলিকালে বহুলোক কীর্তন করিবে নাচিয়া গাহিয়া শেষে নরকে যাইবে।
৮৫.
লোকের ভাল লোকের মন্দ, কাক কোন্দলবৎ মনে করিবে।
৮৬.
গুরু, কৃষ্ণ, বৈষ্ণব তিনের দয়া হল, একের দয়া বিনা জীব ছারখারে গেল।
৮৭.
প্রদীপের স্বভাব আলো দেওয়া কেহ ভাগবৎ পাঠ করিতেছে, কেহ রান্না করিতেছে, কেহবা জাল বুনিতেছে।
৮৮.
কাঁচা মাটিতে পড়ন চলে, একবার তাহা পাকা হইলে শত চেষ্টাতেও তাহার পরিবর্তন হয় না।
৮৯.
মূলা খেলে মূলার ঢেকুর উঠে, যাহার হৃদয়ে যে বাব আছে, তাহা আপনি বাহির হইয়া পরে।
৯০.
মেয়ে হিজরে, পুরুষ খোজা, তবে হবে কর্তা ভজা।
৯১.
পতঙ্গ আলো ভালবাসে আলো দেখিলেই তাতে পরে, বাধা মানে না সেইরূপ ভক্ত ভগবানের নিকট চলিয়া যায়, সংসারে শত বাঁধা তাহাকে রাখিতে পারে না।
৯২.
অমৃত কুণ্ডে যেভাবেই হউক পরিলেই হইল।
৯৩.
ভগবান তন, মন ও ধন দিতে হয়।
৯৪.
ভাবের ঘরে যেন চুরি না হয়।
৯৫.
মানুষ ব্রহ্মাকে না জানিলে সংসার ছাড়িতে পারে না। জলৌকা যেমন একটি অবলম্বন গ্রহণ করিয়া অন্যটি ছাড়ে, সেইরূপ জীব ভগবানের বিমল সুখ পাইলে সংসারনন্দ ভুলিতে পারে।
৯৬.
এ সংসার ধোঁকার টাটি।
৯৭.
ভগবান যাকে ধরে তার পা বেতালে পরে না।
৯৮. দেহে জানে আর জানি আমি, মন তুমি আনন্দে রহ।
৯৯. সাধ করে ফোড়াইলাম কান কচু দিতে যায় প্রাণ।
১০০.
খামে একান্তা ওকান্তা।
১০১.
সোনার বেনে জানে সোনা যে মূল্য,
কাঙ্গালের দুয়ারে রঙ্গ সমতুল।