-আবুতালেব পলাশ আল্লী
মানবদেহে ১০টির মধ্যে প্রধান ইন্দ্রিয় চারটি- চোখ, কান, নাক ও জিহ্বা। রূপক সাহিত্যে এদের প্রধান চার প্রতীতি বলা হয়। রূপক সাহিত্যে চোখকে বলা হয় দ্রষ্টা, কানকে বলা হয় শ্রোত্র, নাককে বাঁশি ও জিহ্বাকে বলন বা সুবোল।
এদেরকে আরবি ভাষায় মিকাইল, আযরাইল, ইসরাফিল ও জিব্রাইলও বলা হয়।রূপক সাহিত্যে ইন্দ্রিয়দের রূপক নাম ব্যবহারের কারণে সাধারণ লোকে বিভ্রান্ত হয়।
চোখ
এটি রূপক সাহিত্যের বৈক্তিক সদস্য সারণির মূলক-পরিবারের একটি অন্যতম ‘মূলক সদস্য’ এবং ‘চোখ’ পরিবার প্রধান বিশেষ। এর রূপক পরিভাষা ‘দ্রষ্টা’। এটি একটি ‘মূলক-প্রধান’ সত্তা।
চক্ষের কাজ-
১. চর্ম চোখ দিয়ে স্থূল বিষয় দর্শন করা যায়।
২. জ্ঞান চোখ দিয়ে অতি সহজে বৃত্তি ও ব্যবসা করা যায়।
৩. অন্তর চোখ দিয়ে কল্পনা, বিচার ও বিবেচনা করা যায়।
৪. দিব্য চোখ দিয়ে অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কালের সকল বিষয়াদি অনুধাবন করা যায়।
কান
কান (রূপ)- শ্রোত্র, শ্রাবক, শ্রবনেন্দ্রিয় ক্রি শ্রবণ করা, হৃদয়ঙ্গম করা, কথা বা শব্দ অনুধাবন করা ২.হাল, বৈঠা, মাঝি, কাণ্ডারী ৩.কোণ, কোনা, চতুর্ভূজের বিপরীত কোণা যুক্তকারী রেখা।
কানের কাজ-
১. শব্দ অনুধাবন করা হয়।
২. সুরের ভালোমন্দ বিচার ও বিবেচনা করা হয়।
৩. যেসব প্রাণীর চোখ নেই তারা কান দিয়ে শব্দ সংকেত ব্যবহার করে চলাচল করে।
নাক
এটি রূপক সাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির মূলক-পরিবারের একটি অন্যতম ‘মূলকসদস্য’ এবং ‘নাক’ পরিবার প্রধান বিশেষ। এর রূপক পরিভাষা ‘বাঁশি’, উপমান পরিভাষা ‘বীণ’ এবং ছদ্মনাম পরিভাষা ‘শিঙ্গা’। এটি একটি ‘রূপক-প্রধান’ সত্তা।
নাকের কাজ-
১. সুঘ্রাণ ও দুর্গন্ধ অনুভব করা যায়।
২. শ্বাস-প্রশ্বাস করা যায়।
জিহ্বা
১. কথা বলা যায়।
২. আহারের স্বাদ নেয়া যায়।
ত্বক
১. স্পর্শজ্ঞানলাভ করা যায়।
২. শীতল-উষ্ণতা অনুভব করা যায়।
বাক্
বাক্- কথা, ভাষণ, জিব্রাইল।
এটি রূপক সাহিত্যের বৈক্তিকসদস্য সারণির ‘ইঙ্গিত’ পরিবারের অন্যতম একটি ‘চারিত্রিক পরিভাষা’। এর মূলকসদস্য ‘ইঙ্গিত’, রূপক পরিভাষা ‘প্রত্যাদেশ’, উপমান পরিভাষা ‘ঐশিবাণী, দীপন ও দৈববাণী’, অন্যান্য চারিত্রিক পরিভাষা ‘গীর্বাণ, গীষ্পতি ও সুবোল’ এবং ছদ্মনাম পরিভাষা ‘অবতার ও ঐশিদূত’।
……………………………
তথ্যসূত্র: আত্মতত্ত্ব ভেদ (৬ষ্ঠ খণ্ড)
……………………………
পুনপ্রচারে বিনীত: আবুতালেব পলাশ আল্লী
মা শাহে সেতারার রওজা বা দরবার শরিফ
খুলনা, বাংলাদেশ।