ভবঘুরেকথা
সৃষ্টিতত্ত্ব রহস্য ব্রহ্মাণ্ড জগৎ মহাজগত মহাবিশ্ব

-বার্ট্রান্ড রাসেল

মহাবিশ্বের যদি মনের বিবর্তন ঘটানোই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে আমাদের অবশ্যই এটাকে এত দীর্ঘ সময়ে এত কম উৎপাদনের জন্য অযোগ্য বিবেচনা করতে হবে। এটা অবশ্যই সম্ভব যে, পরে অন্য কোথাও আরও মন সৃষ্টি হবে।

কিন্তু এ সম্পর্কে আমাদের সামান্যতম বৈজ্ঞানিক সাক্ষ্য নেই। এটা উদ্ভটই মনে হয় যে, আকস্মিকভাবে জীবন শুরু হবে কিন্তু এই বিশাল ব্রহ্মাণ্ডে আকস্মিকতা তো ঘটবেই।

এমনকি যদি আমরা এই কৌতূহলী ধারণাটাও গ্রহণ করি যে, মহাজাগতিক উদ্দেশ্যটা বিশেষভাবে আমাদের এই ক্ষুদ্র গ্রহ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট, তাহলেও আমরা দেখবো সংশয় করার কারণ রয়েছে যে, এই গ্রহের কাজ সম্পর্কে ধর্মতাত্ত্বিকরা যা বলেন পৃথিবী নামক গ্রহটা কি তাই করে?

পৃথিবীটা (যদি না আমরা যথেষ্ট বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করে সমুদয় জীবন ধ্বংস করে ফেলি) সম্ভবত আরও বহু সময় ধরে বাসযোগ্য থাকবে, কিন্তু চিরকাল থাকবে না। সম্ভবত, আমাদের পরিমণ্ডল ক্রমে ক্রমে মহাশূন্যে মিলিয়ে যাবে, সম্ভবত জোয়ার-ভাটা পৃথিবীর একটা দিককে সর্বদা সূর্যমুখীন করে দেবে।

এর ফলে একটা গোলার্ধ ভীষণ গরম হবে এবং অন্যটি বেজায় ঠাণ্ডা হবে। সম্ভবত (যেমনটা জেবিএস-এর একটা নীতিগল্পে রয়েছে) চাঁদ হুমড়ি খেয়ে পৃথিবীতে পড়বে।

আমরা এখনও জীবনের অর্থ সম্পর্কে কেবলমাত্র অনুমান করতে পারছি যা সমস্ত দৃশ্যতার কাছে এত বিরল। এটাই কি শেষ শীর্ষবিন্দু যার অভিমুখে সমুদয় সৃষ্টি চলমান, যার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে অবাসযোগ্য নক্ষত্র এবং নেবুলায় বস্তুর রূপান্তর, এবং মরুভূমিতে বিকিরণের অপচয়, এসবগুলো অবিশ্বাস্য বেহিসাবি প্রস্তুতি?

প্রথম যদি এসব ঘটনার একটিও না ঘটে, আমরা সবাই যেভাবেই হোক ধ্বংস হয়ে যাবো যখন সূর্যটা বিস্ফোরিত হয়ে একটি ঠাণ্ডা শ্বেত বামনে পরিণত হবে। যেমনটা জিনস্ আমাদের বলেছেন যে, এটা ঘটবে প্রায় এক মিলিয়ন মিলিয়ন বছরে, যদিও সঠিক তারিখটা এখনও কতকটা অনিশ্চিত।

এক মিলিয়ন মিলিয়ন বছর শেষের সে-দিনের জন্য তৈরি হবার কিছুটা সময় দেবে এবং আমরা আশা করি ইতোমধ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞানে এবং বড়ো কামনা নির্মাণ কৌশলে যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটবে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বাসযোগ্য গ্রহ সমেত আর একটা নক্ষত্র আবিষ্কার করে ফেলতে পারেন এবং গোলন্দাজরা ওই গ্রহের অভিমুখে আমাদের উড়িয়ে দিতে পারেন আলো চলার গতিতে।

এমন হলে, এমন, যাত্রার যাত্রীরা যৌবনে যাত্রা শুরু এঁদের মধ্যে কেউ কেউ বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যুর আগে ওই গ্রহে পৌঁছতে পারবেন। এটা সম্ভবত একটা ক্ষীণ আশা। কিন্তু এটার ভালো দিকটা ভাবনায় থাকুক।

যাই হোক, ব্রহ্মাণ্ডের চারদিকে ভ্রমণ, এটা যদি সর্বোত্তম যথার্থ, বৈজ্ঞানিক দক্ষতায় করা হয় তবুও এটা চিরকালের জন্য জীবনকে প্রসারিত করতে পারে না।

তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র আমাদের জানায় যে, মোটের ওপর, শক্তি সর্বদা বেশি সঙ্কুচিত থেকে কম সঙ্কুচিত অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়, এবং পরিশেষে সব শক্তিকেই একটা রূপের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হতে হবে যেখানে পরবর্তী পরিবর্তন অসম্ভব।

এটা যখন ঘটে গেছে, যদি আগে না ঘটে থাকে, জীবনকে অবশ্যই থেমে যেতে হবে। আর একবার জিনকে উদ্ধৃত করা যায়, ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গে মরণশীলদের একটাই সম্ভাব্য জীবন হলো কবরের দিকে অগ্রগমন। এটা কতিপয় ধারণার দিকে তাকে চালিত করে যেটা আমাদের বিষয়ের পক্ষে প্রাসঙ্গিক।

‘পৃথিবীর বহুত্ববাদে বিশ্বাসের জন্য জিওর্দানো ব্রুনোর শহীদত্ব বরণের পরে অতিবাহিত তিনটি শতক ব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে প্রায় বর্ণনাতীতভাবে বদলে দিয়েছে। কিন্তু এসব ধারণা (প্রশংসনীয়ভাবে) জীবনের সঙ্গে ব্রহ্মাণ্ডের সম্পর্কের ব্যাপারে বোধগম্যতার কাছে পৌঁছে দেয়নি।

আমরা এখনও জীবনের অর্থ সম্পর্কে কেবলমাত্র অনুমান করতে পারছি যা সমস্ত দৃশ্যতার কাছে এত বিরল। এটাই কি শেষ শীর্ষবিন্দু যার অভিমুখে সমুদয় সৃষ্টি চলমান, যার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে অবাসযোগ্য নক্ষত্র এবং নেবুলায় বস্তুর রূপান্তর, এবং মরুভূমিতে বিকিরণের অপচয়, এসবগুলো অবিশ্বাস্য বেহিসাবি প্রস্তুতি?

অন্য লোকেদের দেহ নেই, কিন্তু তাদের মন আছে, জিনসের এই শেষ বিকল্পটা সন্তোষজনক তত্ত্ব নয়। এটা এমন একটা তত্ত্ব যার কথা, আমি একা শূন্য ব্রহ্মাণ্ডে, মানবজাতি, পৃথিবীর ভূবিদ্যার বয়স, সূর্য, নক্ষত্র, এবং নেবুলা এসব আবিষ্কার করছি আমার উর্বর কল্পনার সাহায্যে।

অথবা এটা কি কেবল আকস্মিক এবং সম্ভবত পুরোপুরি গুরুত্বহীন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার উপজাত, যেগুলোর অন্য কোনো এবং আরও প্রকাণ্ড সমাপ্তি, যেটা দেখা যাচ্ছে?

অথবা এটা কি আরও বিনয়ী চিন্তার দিকে দিকপাত? এটাকে কি আমরা একটা রোগের প্রকৃতির মতো কিছু বলে বিবেচনা করব, যেটা বস্তুকে পরিণত অবস্থায় প্রভাবিত করে যখন এটা অধিক উত্তাপ হারিয়েছে এবং উচ্চমাত্রার বিকিরণ তৈরির ক্ষমতা যার সঙ্গে মিশে কম বয়েসি এবং অধিক সবল বস্তু তৎক্ষণাৎ জীবন ধ্বংস করবে?

অথবা দীনতা পাশে সরিয়ে রেখে আমরা কি কল্পনার ঝুঁকিপূর্ণ উদ্যোগ নেবো যে, এটাই একমাত্র বাস্তব যেটা সৃষ্ট হবার পরিবর্তে সৃষ্টি করে নক্ষত্র ও নেবুলার বিপুল ভর এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানীয় সময়ের প্রায় অভাবনীয় দীর্ঘ দিগন্ত?

এটা, আমি মনে করি, বিকল্পের বর্ণনা করে যেটা বিজ্ঞান সঠিকভাবে এবং পক্ষপাতিত্বহীনভাবে হাজির করেছে। সর্বশেষ সম্ভাবনা যে, মনই হলো একমাত্র বাস্তবতা এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের স্থান ও সময় এটার দ্বারাই সৃষ্ট, এটার পক্ষেই যৌক্তিকভাবে অনেক কিছু বলতে হবে।

কিন্তু বিষণ্ণ সিদ্ধান্ত এড়ানোর আশায় যারা এটা গ্রহণ করেন তাঁরা পুরোপুরি বুঝতে পারেন না এটা কী দরকার। আমি সরাসরি যে সব জানি সেসব আমার মনের অংশ এবং যে-অনুমান থেকে অন্যান্য বস্তুর অস্তিত্বে পৌঁছই সেগুলো কোনোক্রমেই তর্কাতীত নয়।

সুতরাং এটা হতে পারে যে, আমার মন ছাড়া কিছুই অস্তিত্বশীল নয়। সেক্ষেত্রে আমি যখন মারা যাব, ব্রহ্মাণ্ডটা শেষ হবে। কিন্তু আমি যদি আমার নিজের মনটি ছাড়াও অন্যের মন স্বীকার করি, তখন আমাকে অবশ্যই গোটা জ্যোতির্বিজ্ঞানীর ব্রহ্মাণ্ডকে স্বীকার করতে হবে, কারণ উভয় ক্ষেত্রেই সাক্ষ্য সমান শক্তিশালী।

অন্য লোকেদের দেহ নেই, কিন্তু তাদের মন আছে, জিনসের এই শেষ বিকল্পটা সন্তোষজনক তত্ত্ব নয়। এটা এমন একটা তত্ত্ব যার কথা, আমি একা শূন্য ব্রহ্মাণ্ডে, মানবজাতি, পৃথিবীর ভূবিদ্যার বয়স, সূর্য, নক্ষত্র, এবং নেবুলা এসব আবিষ্কার করছি আমার উর্বর কল্পনার সাহায্যে।

আমি যতদূর জানি এই তত্ত্বের বিরুদ্ধে কোনো স্বীকার্য তর্কশাস্ত্রীয় যুক্তি নেই। কিন্তু অন্য কোনো মতবাদের বিরুদ্ধে যে, মনই হলো একমাত্র বাস্তবতা সেখানে অন্য মানুষের মন থাকার সাক্ষ্য তাদের দেহ থাকার সাক্ষ্য থেকে গৃহীত।

অন্য মানুষদের যদি তাদের মন থাকে তাহলে তাদের দেহও রয়েছে। কেবলমাত্র একজনেরই বিদেহী মন থাকতে পারে, কিন্তু কেবলমাত্র এই একজনই যদি অস্তিত্বশীল থাকে।

কোপার্নিকাসের বিপ্লব তার কাজটা ঠিকমতো করতে পারবে না যে-পর্যন্ত না এটা মানুষকে আরও বেশি বিনয় শেখাতে পারছে, যে-বিনয় তাদের মধ্যে দেখা যায় এবং এরাই ভাবেন মানুষ হলো মহাজাগতিক উদ্দেশ্যের পর্যাপ্ত সাক্ষ্য।

মহাজাগতিক উদ্দেশ্যের আলোচনায় আমি এখন শেষ প্রশ্নটায় আসব। ব্রহ্মাণ্ডের শুভ মনোভাবের এ-পর্যন্ত সাক্ষ্যের কি ঘটল? এটা বিশ্বাস করার তথাকথিত কারণ, যেটা আমরা দেখেছি, ব্রহ্মাণ্ডে আমাদিগকে সৃষ্টি করেছে। আমি এটা অস্বীকার করতে পারি না।

কিন্তু এই ধরনের একটি দীর্ঘ প্রস্তাবনায় যথার্থতা বিচার করতে আমরা কি সত্যি সত্যি এত গৌরবমণ্ডিত? দার্শনিকগণ মূল্যবোধের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন যে, আমরা ভাবি কতিপয় বস্তু উৎকৃষ্ট এবং যেহেতু এই বস্তুগুলো উৎকৃষ্ট, ওগুলো উৎকৃষ্ট ভাবতে আমাদেরও উৎকৃষ্ট হতে হবে।

কিন্তু এটা একটা প্যাচালো যুক্তি। ভিন্ন মূল্যবোধ নিয়ে একজন ব্যক্তি আমাদের এত নৃশংস বলে ভাবতে পারেন যে, প্রমাণ স্বরূপ তিনি বলবেন আমরা শয়তানের দ্বারা অনুপ্রাণিত। মানুষ একখানা আয়না সামনে ধরে তার দিকে তাকিয়ে এটা কী ভাববে যে তারা অসাধারণ সুন্দর যা কিছু দেখতে পায় সবই মহাজাগতিক উদ্দেশ্য যা সর্বদা তাদের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে?

মানুষের এই গৌরবান্বিত হওয়া কেন? সিংহ এবং বাঘের ব্যাপারে কী হবে? এরা, আমরা যা করি, তার চেয়ে অনেক কম প্রাণী অথবা মানবজীবন ধ্বংস করে এবং এরা আমাদের থেকে অনেক সুন্দর। পিঁপড়েদের ব্যাপারটাই-বা কী?

যে-কোনো ফ্যাসিস্টের তুলনায় এরা অনেক ভালোভাবে কর্পোরেট স্টেট পরিচালনা করে। আমাদের মানুষদের নিষ্ঠুরতা, অবিচার এবং যুদ্ধের পৃথিবী থেকে নাইটিঙ্গেল, গায়ক পাখি, এবং হরিণের পৃথিবী অধিকতর ভালো নয় কী?

মহাজাগতিক উদ্দেশ্যের বিশ্ববাসীরা তখাকথিত বুদ্ধিবৃত্তির থেকে বেশি প্রদর্শনের চেষ্টা করেন কিন্তু তাদের লেখাপত্র যে কোনো ব্যক্তিকে এ-ব্যাপারে সংশয়ী করে তোলে।

যদি আমাকে সর্বশক্তিমান হওয়ার যোগ্যতা প্রদান করা হত, এবং লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পরীক্ষণের সুযোগ পেতাম, তাহলে আমার সমুদয় প্রচেষ্টার ফলাফল হিসাবে মানুষকে বেশি গর্ব করতে দিতাম না।

অনালোকিত স্থানের একটা কৌতূহলী দুর্ঘটনা হিসাবে মানুষ বোধগম্য। তার পাপ ও পুণ্যের মিশ্রণ এমনই যা আকস্মিক উৎস থেকে উঠে-আসা ফলাফল হিসাবে প্রত্যাশিত। কিন্তু কেবল সীমাহীন আত্মতুষ্টি মানুষের মধ্যে একটা কারণ যেটা সর্বশক্তিমান পর্যাপ্ত বলে বিবেচনা করতে পারেন, স্রষ্টার একটা উদ্দেশ্য হিসাবে।

কোপার্নিকাসের বিপ্লব তার কাজটা ঠিকমতো করতে পারবে না যে-পর্যন্ত না এটা মানুষকে আরও বেশি বিনয় শেখাতে পারছে, যে-বিনয় তাদের মধ্যে দেখা যায় এবং এরাই ভাবেন মানুষ হলো মহাজাগতিক উদ্দেশ্যের পর্যাপ্ত সাক্ষ্য।

(সমাপ্ত)

<<মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : চতুর্থ কিস্তি ।। মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : প্রথম কিস্তি>>

…………………….
অশেষ কৃতজ্ঞতা
ধর্ম ও বিজ্ঞান : বার্ট্রান্ড রাসেল
অনুবাদক- আতা-ই-রাব্বি

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

……………………
আরও পড়ুন-
মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : প্রথম কিস্তি
মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : দ্বিতীয় কিস্তি
মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : তৃতীয় কিস্তি
মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : চতুর্থ কিস্তি
মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : পঞ্চম কিস্তি

……………………………..
আরও পড়ুন-
মহাবিশ্বের উৎপত্তি : প্রথম কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি : দ্বিতীয় কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : প্রথম কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : দ্বিতীয় কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : তৃতীয় কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : চতুর্থ কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : পঞ্চম কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : ষষ্ঠ কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : সপ্তম কিস্তি
সৃষ্টিরহস্য সম্পর্কে প্লাতনের মতবাদ
মহাবিশ্বের সৃষ্টি কাহিনী
পবিত্র কোরানে সৃষ্টিতত্ত্ব
আরশ ও কুরসী সৃষ্টির বিবরণ
সাত যমীন প্রসঙ্গ
সাগর ও নদ-নদী
পরিচ্ছেদ : আকাশমণ্ডলী
ফেরেশতা সৃষ্টি ও তাঁদের গুণাবলীর আলোচনা
পরিচ্ছেদ : ফেরেশতাগণ
জিন সৃষ্টি ও শয়তানের কাহিনী
সীরাত বিশ্বকোষে বিশ্ব সৃষ্টির বিবরণ
আদম (আ) পৃথিবীর আদি মানব
আদম সৃষ্টির উদ্দেশ্য
আদম (আ)-এর সালাম
আদম (আ)-এর অধস্তন বংশধরগণ
হাদীসে আদম (আ)-এর সৃষ্টি প্রসঙ্গ
আদম (আ)-এর সৃষ্টি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!