আল্লাহ তাআলার মহান সত্তা যেমন একক লা-শরীক, তেমনি তাঁহার গুণাবলীতেও তিনি অনন্য। তাঁহার অসংখ্য গুণবাচক নামসমূহের একটি হইতেছে:কোনরূপ পূর্ব নমুনা ব্যতীতই সম্পূর্ণ লূতনভাবে উদ্ভাবনকারী, যাহার সৃষ্টিকর্মে কোনরূপ উপায়-উপকরণ বা যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয় না।
আল্লামা রাগিব ইস্পাহানী তদীয় বিখ্যাত মুফরাদাতুল কুরআনে লিখিয়াছেন- “কোনরূপ পূর্ব নমুনার অনুকরণ-অনুসরণ ব্যতিরেকে উদ্ভাবন করাকে ইবদা বলা হয়।”
“আর বাদী শব্দটি যখন আল্লাহর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয় তখন এই অর্থ হয় সেই সত্তা যিনি কোন যন্ত্রপাতি, উপায়-উপকরণ, স্থান-কাল-পাত্র ব্যতিরেকেই সৃষ্টি করিয়াছেন, অস্তিত্বে আনয়ন করিয়াছেন।” (মুফরাদাত)
একই অর্থে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে নিজের সম্পর্কে বলিয়াছেন- “আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা এবং যখন তিনি কোন কিছু করিতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন, ‘হও’ আর অমনি উহা হইয়া যায়।” (২:১১৭)
বিশ্ব সৃষ্টি সংক্রান্ত কুরআনুল কারীমের আয়াতসমূহ পর্যালোচনা করিলে ইহার দ্বিবিধ তত্ত্ব পাওয়া যায়। কোন কোন আয়াতের দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি করিয়া তারপর আকাশমণ্ডলী সৃষ্টি করেন। যেমন-
“তিনি পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন। তৎপর তিনি আকাশের দিকে মনসংযোগ করেন এবং উহাকে সপ্ত আকাশে বিন্যস্ত করেন; তিনি সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত।” (২:২৯)
“তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন; অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হন। তিনিই দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন যাহাতে উহাদের একে অন্যকে দ্রুত গতিতে অনুসরণ করে, আর সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি, যাহা তাঁহারই আজ্ঞাধীন তাহা তিনিই সৃষ্টি করিয়াছেন। জানিয়া রাখ, সৃজন ও আদেশ তাঁহারই। মহিমময় বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ্।”
“যিনি পৃথিবী ও সমুচ্চ আকাশমণ্ডলী সৃষ্টি করিয়াছেন তাহার নিকট হইতে উহা (কুরআন) অবতীর্ণ।” (২০:৪)
“বল, তোমরা কি তাঁহাকে অস্বীকার করিবেই যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন দুই দিনে এবং তোমরা তাঁহার সমকক্ষ দাঁড় করাইতেছ? তিনি তো জগৎসমূহের প্রতিপালক। তিনি স্থাপন করিয়াছেন অটল পর্বতমালা ভূ-পৃষ্ঠে এবং উহাতে রাখিয়াছেন কল্যাণ এবং চারিদিনের মধ্যে উহাতে ব্যবস্থা করিয়াছেন খাদ্যের সমভাবে যাাকারীদের জন্য।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যাহা ছিল ধুম্রপুঞ্জবিশেষ। অনন্তর তিনি উহাকে ও পৃথিবীকে বলিলেন, তোমরা উভয়ে আস (আল্লাহর বিধানের অনুগত হইয়া) ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। ইহারা বলিল, আমরা আসিলাম অনুগত হইয়া।
অতঃপর তিনি আকাশমণ্ডলীকে দুই দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে উহার বিধান ব্যক্ত করিলেন এবং আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিলাম প্রদীপমালা দ্বারা এবং করিলাম সুরক্ষিত। ইহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।” (৪১:৯-১২)
“আমি কি করি নাই ভূমিকে শয্যা ও পর্বতসমূহকে কীলকঃ আমি সৃষ্টি করিয়াছি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায়। তোমাদের নিদ্রাকে করিয়াছি বিশ্রাম এবং রাত্রিকে করিয়াছি আবরণস্বরূপ এবং দিবসকে করিয়াছি জীবিকা আহরণের সময়।
আর আমি নির্মাণ করিয়াছি তোমাদের ঊর্ধ্বদেশে সুস্থিত সপ্ত আকাশ এবং সৃষ্টি করিয়াছি প্রোজ্জ্বল দীপ এবং বর্ষণ করিয়াছি মেঘমালা হইতে প্রচুর বারি, যাহাতে তদ্বারা আমি উৎপন্ন করি শস্য, উদ্ভিদ ও ঘন সন্নিবিষ্ট উদ্যান।” (৭৮ ও ৬-১৬)
“নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক মহাস্রষ্টা মহাজ্ঞানী।” (১৫:৮৬; আরো দ্র. ৩৬:৮১)
“পৃথিবীর সবকিছুই তিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন।” (২:২৯)
আবার বহু আয়াতে আকাশরাজি সৃষ্টির কথা প্রথমে উল্লিখিত হইয়াছে যাহাতে ধারণা হইতে পারে যে, আকাশমালাই পৃথিবীর পূর্বে সৃষ্টি হইয়াছে। যেমন- “সকল প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আকাশমণ্ডলী ও যমীন সৃষ্টি করিয়াছেন, আর সৃষ্টি করিয়াছেন অন্ধকার ও আলো।” (৬১)
“তিনিই যথাবিধি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন।” (৬ ও ৭৩)
“তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন; অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হন। তিনিই দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন যাহাতে উহাদের একে অন্যকে দ্রুত গতিতে অনুসরণ করে, আর সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি, যাহা তাঁহারই আজ্ঞাধীন তাহা তিনিই সৃষ্টি করিয়াছেন। জানিয়া রাখ, সৃজন ও আদেশ তাঁহারই। মহিমময় বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ্।” (৭:৫৪; আরও দ্র. ১১:৭; ১৪ ও ১৯ ও ৩২; ২৫:৫৯; ২৭ ও ৬; ২৯ ও ৪৪; ৩৬:৮১; ৩০ ও ৮; ৩৯ ও ৩৮, ৪৫ ও ২২, ৫৭ ও ৪; ৬৪ ও ৩; ৬৫:১২ ইত্যাদি)
এখানে ছয় দিনে সৃষ্টি সংক্রান্ত আয়াতসমূহের দিন শব্দটির ব্যাখ্যায় মুফাসসিরগণ ইহা যে দুনিয়ার ২৪ ঘন্টার দিন নহে তাহা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করিয়াছেন (দ্র. ই.ফা. প্রকাশিত আল-কুরআনুল কারীম ৭:৫৪-এর টীকায়, পৃ. ২৩৪)
মুফতী মুহাম্মদ শফী (র) বলেন:“বিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ তাআলার কাছে দিবারাত্রির পরিচয়ের অন্য কোন লক্ষণ নির্দিষ্ট থাকিতে পারে। যেমন জান্নাতের দিবারাত্রি সূর্যের পরিক্রমণ অনুযায়ী হইবে না।”
আল-কুরআনের সূরা হজ্জে বলা হইয়াছে- “তোমাদের প্রতিপালকের নিকট একদিন তোমাদের গণনার সহস্র বৎসরের সমান।” (২২:৪৭) অন্য আয়াতে বলা হইয়াছে- “এমন একদিনে যাহার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বৎসর।” (৭০:৪)
বলা বাহুল্য, সূরা আরাফ (৭:৫৪)-এ ছয় দিনে সৃষ্টি সংক্রান্ত আয়াতের টীকায় মাওলানা আবদুল মাজেদ দরিয়াবাদী ‘প্রাক-সৃষ্টি যুগের সেই দিনগুলি যে আমাদের কয়েক ঘন্টার পৃথিবী ও সূর্যের গতি ভিত্তিক দিন ছিল না, তাহাই বলিয়াছেন।
আল্লামা ইউসুফ আলীও তদীয় কুরআন অনুবাদের টীকায় (১৯৩৪ সালে প্রকাশিত) ইয়াওম বলিতে দিন বুঝাইবার উপর গুরুত্ব আরোপ করিয়াও শেষ পর্যন্ত ছয় দিন বলিতে সৃষ্টির বিবর্তনের সুদীর্ঘ ছয়টি মেয়াদ বুঝানো হইয়াছে বলিয়া তিনিও মন্তব্য করিয়াছেন।
আল্লামা ইবন কাছীর (মৃ. ৭৭৪ হি.) আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া গ্রন্থে বলেন, তাফসীরকারগণ উক্ত ছয় দিনের পরিমাণ সম্পর্কে দ্বিবিধ মতামত প্রকাশ করিয়াছেন। জমহুর মুফাসসিরীন ঐ দিনগুলো আমাদের প্রাত্যহিক ছয়দিন বলিয়া মনে করেন।
অপরদিকে ইবন আব্বাস, মুজাহিদ, দাহহাক, কাব আহবার উহাকে আমাদের দিবস হিসাবে এক হাজার বৎসরের এক এক দিন বলেন। ইবন জারীর ও ইবন আবী হাতিম এই রিওয়ায়াতসমূহ বর্ণনা করিয়াছেন।
ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র) জাহমিয়াদের বিরুদ্ধে লিখিত গ্রন্থে এই মতের প্রতি সমর্থন জানাইয়াছেন। ইব্ন জারীর এবং পরবর্তী যুগের কিছু সংখ্যক আলিমও এই মতের সমর্থক। (১খ, পৃ. ১২)
মুফতী মুহাম্মদ শফী (র) বলেন:“বিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ তাআলার কাছে দিবারাত্রির পরিচয়ের অন্য কোন লক্ষণ নির্দিষ্ট থাকিতে পারে। যেমন জান্নাতের দিবারাত্রি সূর্যের পরিক্রমণ অনুযায়ী হইবে না।” (মাআরিফুল কুরআন, সংক্ষেপিত, পৃ. ৪৪৫, মদীনা মুনাওয়ারা সং)
বিশুদ্ধ রিওয়ায়ত অনুযায়ী, যে ছয় দিনে জগত সৃষ্টি হইয়াছে উহা রবিবার হইতে শুরু করিয়া শুক্রবার শেষ হয়, শনিবারে জগৎ সৃষ্টির কাজ হয় নাই (ইব্ন কাছীর)
সূরা হা-মীম সাজদার (৪১) নবম ও দশম আয়াতে দুইদিনে ভূমণ্ডল সৃষ্টি এবং দুই দিনে পাহাড়-পর্বত, সাগরমালা, খনি, উদ্ভিদ, মানুষ, জীব-জানোয়ার সৃষ্টির কথা বলা হইয়াছে। যেমন- “তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন দুই দিনে।” (৫১:৯)
“ইহাতে খাদ্যের ব্যবস্থা করিয়াছেন চারি দিনে।” (৪১:১০)
যে দুই দিনে ভূমণ্ডল সৃষ্টি করা হইয়াছে উহা ছিল রবিবার ও সোমবার, দ্বিতীয় যে দুই দিনে ভুমণ্ডলের সাজ-সরঞ্জাম, পাহাড় পর্বত, নদ-নদী ইত্যাদি সৃষ্টি করা হয় তাহা ছিল মঙ্গল ও বুধবার।
“যাহারা কুফরী করে তাহারা কি ভাবিয়া দেখে না যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী মিশিয়াছিল ওৎপ্রোতভাবে, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করিয়া দিলাম এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিলাম পানি হইতে, তবুও কি উহারা ঈমান আনিবে না।”
“অতঃপর তিনি আকাশমণ্ডলীকে দুই দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করিলেন।” (৪১ ও ১২) বলাবাহুল্য, এই দুই দিন হইবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার। ইব্ন জারীর সৃষ্টি শুরুর প্রথম দিন সম্পর্কে মুহাম্মাদ ইব্ন ইসহাকের বরাতে বলেন।
“তাওরাতপন্থীরা (অর্থাৎ ইয়াহুদীরা) বলে, আল্লাহ সৃষ্টি শুরু করেন রবিবারে। ইনজীল অনুসারী খৃস্টানরা বলে, আল্লাহ সৃষ্টি শুরু করেন সোমবারে। আমরা মুসলমানগণ বলি, আল্লাহ্ সৃষ্টি শুরু করেন শনিবার দিন, যেমনটি রাসূলুল্লাহ্ (সা) হইতে আমাদের নিকট পর্যন্ত তথ্য পৌঁছিয়াছে।”
ইমাম ইব্ন কাছীর সাহাবী আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর হাদীছও উদ্ধৃত করিয়াছেন যাহাতে বলা হইয়াছে।
“আল্লাহ্ তাআলা শনিবারে মাটি সৃষ্টি করেন।” (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া, ১খ, পৃ. ১২) তারপর তিনি লিখেন?
“সুতরাং সৃষ্টিকার্য ছয় দিনেই সম্পন্ন হয় এবং ঐদিনগুলোর শেষ দিন ছিল শুক্রবার। এই জন্য মুসলমানগণ উহাকে সাপ্তাহিক ঈদরূপে গ্রহণ করে- যে দিনটি হইতে আমাদের পূর্বেকার আহলে কিতাবকে আল্লাহ্ বিচ্যুত করিয়া দিয়াছিলেন।” (পূ. এ/১খ, পৃ. ১৩)
সৃষ্টির সূচনা সম্পর্কিত এই বিবরণটি ঈষৎ গরমিলসহ বাইবেলে বর্ণিত হইয়াছে (তু. পবিত্র বাইবেল, পুরাতন ও লূতন নিয়ম, বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি, আদি পুস্তক)
এখানে প্রশ্ন জাগিতে পারে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ যেখানে কুন (বা হও) বলমাত্র সব কিছু হইয়া যায়, সেখানে সৃষ্টি কার্যে এই ছয় দিন বা ছয়টি বিশাল মেয়াদকাল অতিবাহিত হইল কেন? হযরত সাঈদ ইবন জুবায়র (র) এই সম্পর্কে বলেন-
“মহান আল্লাহ্ তাআলা স্বীয় কুদরতে নিঃসন্দেহে এক নিমেষে সবকিছু সৃষ্টি করিতে পারেন, কিন্তু মানুষকে বিশ্বব্যবস্থা পরিচালনায় ধারাবাহিকতা ও কর্মসম্পৰ্কতা শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যেই হইতে ছয় দিন ব্যয় করা হইয়াছে [মাআরিফুল কুরআন (সংক্ষেপিত), পৃ. ৪৪৫]।
সূরা আম্বিয়ার একটি আয়াত হইতে প্রতীয়মান হয় যে, পৃথিবী ও আকাশমণ্ডলী প্রথমে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে একত্রে মিশিয়া ছিল। আল্লাহ্ তাআলা বলেন-
“যাহারা কুফরী করে তাহারা কি ভাবিয়া দেখে না যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী মিশিয়াছিল ওৎপ্রোতভাবে, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করিয়া দিলাম এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিলাম পানি হইতে, তবুও কি উহারা ঈমান আনিবে না।” (২১:৩০)
…………………………
সীরাত বিশ্বকোষ থেকে
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
……………………………..
আরও পড়ুন-
মহাবিশ্বের উৎপত্তি : প্রথম কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি : দ্বিতীয় কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : প্রথম কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : দ্বিতীয় কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : তৃতীয় কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : চতুর্থ কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : পঞ্চম কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : ষষ্ঠ কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : সপ্তম কিস্তি
সৃষ্টিরহস্য সম্পর্কে প্লাতনের মতবাদ
মহাবিশ্বের সৃষ্টি কাহিনী
পবিত্র কোরানে সৃষ্টিতত্ত্ব
আরশ ও কুরসী সৃষ্টির বিবরণ
সাত যমীন প্রসঙ্গ
সাগর ও নদ-নদী
পরিচ্ছেদ : আকাশমণ্ডলী
ফেরেশতা সৃষ্টি ও তাঁদের গুণাবলীর আলোচনা
পরিচ্ছেদ : ফেরেশতাগণ
জিন সৃষ্টি ও শয়তানের কাহিনী
সীরাত বিশ্বকোষে বিশ্ব সৃষ্টির বিবরণ
আদম (আ) পৃথিবীর আদি মানব
আদম সৃষ্টির উদ্দেশ্য
আদম (আ)-এর সালাম
আদম (আ)-এর অধস্তন বংশধরগণ
হাদীসে আদম (আ)-এর সৃষ্টি প্রসঙ্গ
আদম (আ)-এর সৃষ্টি