ভবঘুরেকথা

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দে কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাঙালীর গুরুদেব। বলা হয়ে থাকে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক জীবনে যা লিখেছেন। তা পড়তে এক জনম যথেষ্ট নয়। আর বুঝে অনুধাবন করতে লাগে কয়েক জনম।

দিন যাবে এ দিন যাবে

জানি গো, দিন যাবে এ দিন যাবে। একদা কোন্‌ বেলাশেষে মলিন রবি করুণ হেসে শেষ বিদায়ের চাওয়া আমার মুখের পানে…

মেঘ বলেছে

মেঘ বলেছে ‘যাব যাব’, রাত বলেছে ‘যাই’, সাগর বলে ‘কূল মিলেছে- আমি তো আর নাই’ ॥ দুঃখ বলে ‘রইনু চুপে…

পুষ্প দিয়ে মার যারে

পুষ্প দিয়ে মার যারে চিনল না সে মরণকে। বাণ খেয়ে যে পড়ে সে যে ধরে তোমার চরণকে॥ সবার নীচে ধুলার…

আবার যদি ইচ্ছা

আবার যদি ইচ্ছা কর আবার আসি ফিরে দুঃখসুখের-ঢেউ-খেলানো এই সাগরের তীরে ॥ আবার জলে ভাসাই ভেলা, ধুলার ‘পরে করি খেলা…

অচেনাকে ভয়

অচেনাকে ভয় কী আমার ওরে? অচেনাকেই চিনে চিনে উঠবে জীবন ভরে ॥ জানি জানি আমার চেনা কোনো কালেই ফুরাবে না,…

কোন্‌ খেলা যে খেলব কখন্‌

কোন্‌ খেলা যে খেলব কখন্‌ ভাবি বসে সেই কথাটাই- তোমার আপন খেলার সাথি করো, তা হলে আর ভাবনা তো নাই…

রজনীর শেষ তারা

রজনীর শেষ তারা, গোপনে আঁধারে আধো-ঘুমে বাণী তব রেখে যাও প্রভাতের প্রথম কুসুমে ॥ সেইমত যিনি এই জীবনের আনন্দরূপিণী শেষক্ষণে…

মরণের মুখে রেখে

মরণের মুখে রেখে দূরে যাও দূরে যাও চলে আবার ব্যাথার টানে নিকটে ফিরাবে ব’লে ॥ আঁধার-আলোর পারে খেয়া দিই বারে…

আঁধার রাতে একলা

আঁধার রাতে একলা পাগল যায় কেঁদে। বলে শুধু, বুঝিয়ে দে, বুঝিয়ে দে, বুঝিয়ে দে ॥ আমি যে তোর আলোর ছেলে,…

জয় জয় পরমা নিষ্কৃতি হে

জয় জয় পরমা নিষ্কৃতি হে, নমি নমি। জয় জয় পরমা নির্‌বৃতি হে, নমি নমি॥ নমি নমি তোমারে হে অকস্মাৎ, গ্রন্থিচ্ছদন…
error: Content is protected !!