-সত্যানন্দ মহারাজ
গুরু শিষ্য সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ সে সম্পর্কে শাস্ত্রে অনেক কিছুই দেওয়া আছে। আবার উপযুক্ত শিষ্যের ঘটনাও বাস্তবে খুব বেশি না হলেও কিছু ঘটনা আমরা মনে প্রাণে স্বীকার করে নিয়েছি।
তার মধ্যে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের প্রিয় শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রী মহৎ শঙ্করাচার্য তাঁর গুরুদেবের প্রিয় শিষ্য ছিলেন, অর্জুন ছিলেন দ্রোণাচার্য্যের উপযুক্ত শিষ্য, একলব্যও ছিলেন দ্রোণাচার্যের একজন যোগ্য শিষ্য, পিতামহ ভীষ্ম ছিলেন ভগবান পরশুরামের যোগ্য শিষ্য, আরুনী ছিলেন তাঁর গুরুদেবের প্রিয় শিষ্য, নচিকেতা ছিলেন যমরাজের উপযুক্ত শিষ্য ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাই শিষ্য কেমন হবে তা তার যোগ্যতা, আধার বা পাত্র তার ওপর নির্ভর করে। যে কেউ শিষ্য হতে পারে কিন্তু উপযুক্ত হবে কি হবে না, তা গুরুদেবের বিচারের ওপর নির্ভর করে। যেমন একজন স্কুল বা কলেজের শিক্ষক তাঁর উপযুক্ত ছাত্র বা ছাত্রী তিনিই বিচার করে বলতে পারবেন।
কিন্তু ছাত্র বা শিষ্যরও পরম কর্তব্য বা কর্ম হয়ে পড়ে শ্রীগুরুর উপযুক্ত হয়ে ওঠার সাধনা করা। সেখানে কোন অজুহাত চলে না। তাই হে গুরুদেব আমায় কৃপায় পাত্র করো।
কথায় আছে- ‘গুরু মেলে লাখ-লাখ, শিষ্য না মেলে এক।’
এই কথা ধরলে শিষ্য হয়ে ওঠা-যাকে উপযুক্ত শিষ্য বলা হয়- তা হয়ে ওঠা খুবই কঠিন।
শাস্ত্রে আছে- ‘সে এক এমন ঠাঁই, গুরু শিষ্যে দেখা নাই।’
তাই মহাত্মা জনক তাঁর শিষ্য সুকদেবকে ব্রহ্মজ্ঞান দেওয়ার পূর্বেই দক্ষিণা চেয়ে নিয়েছিলেন বলে শোনা যায়।
শ্রীগুরুদেব বলতেন- ‘গুরুর কাছে জ্ঞান নিতে হলে প্রথমেই তোমার যা জ্ঞান আছে তা মুছে দিতে হবে। তোমার কোন পার্সোনাল ইচ্ছা থাকা যাবে না। তাই চাই পূর্ণ-শরণাগতি।’
হে প্রভু- তোমার চরণে শুদ্ধভক্তি দাও!
……………………………………
আরো পড়ুন:
গুরুজ্ঞান
ভগবানের সর্বব্যাপীতা
জীবনধারা
এটা মহাপুরুষের দেশ
ভগবান কোথায় থাকেন?
সংসার ধর্ম
গুরু শিষ্য ধারণা
ত্রি তাপ জ্বালা
ভগবানকে কেন ডাকি?
আমার জীবন জুড়িয়ে দাও
জীবাত্মা ও পরমাত্মা
পরশ পাথর
খারাপ দিন
সব থেকে বড় হৃদয়
সদগুরু সঙ্গ
রথ ও রথের মেলা
আমরা সাধারণ মানুষ
কি ভাবে সংসার করবো?