খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর পত্র : তিন
(কুতুবউদ্দিন কাকীকে লেখা পত্র)
অদ্বৈতের রহস্য সম্পর্কে অবহিত, লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদের নূরে অভিজ্ঞ, ভাই খাজা কুতুবুদ্দিন দেহলবি, খোদা তোমার মর্যাদা বর্ধিত করুন।
ফকির মুঈনুদ্দিন সঞ্জরির খুশি, শওক, জওক ও মহব্বত ভরা সালাম জানবে। বাহ্যিক সুস্থতা দরুণ কৃতজ্ঞ আছি। খোদা তোমকে উভয় জগতের সুস্থতা দান করুন।
ভাই, আমার শায়েখ খাজা উসমান হারনি বলেছেন যে, আহলে মারফত ব্যতীত অন্য কাউকে প্রেমের রহস্য সম্বন্ধে জ্ঞান দান করা অনুচিত।
একদিন শেখ সাদী আমার হাদিয়ে রওশন জামির পীরে দস্তগিরকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আহলে মারফতকে কী উপায়ে চিনতে পারা যায়?
উত্তরে তিনি বলেছেন, আহলে মারেফতের পরিচয় হল ত্যাগ।
কুতুবুদ্দিন! মনে রেখো, যে ব্যক্তি ত্যাগ স্বীকার করতে পেরছে সে মারফত দলভুক্ত হয়েছে এবং সে খোদাতত্ত্ব হাসিল করেছে। যে ত্যাগ স্বীকার করতে সক্ষম হয়নি, তার ভেতরে মারফতের নাম-গন্ধও নেই।
দৃঢ় বিশ্বাস রেখো, কলেমা শাহাদাত ও নফি-ইসবাত (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্) খোদার মারফত। দুনিয়ার ধন-দৌলত ও সম্পদ এক বড় বুৎ এবং এটা অসংখ্য ব্যক্তিকে সৎপথ থেকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে।
এ ধন-সম্পদ আবার অনেকের মাবুদের স্থান অধিকার করেছে।
কারণ তারা শুধু ধন-সম্পদের পূজা অর্চনা করে থাকে। যে দুনিয়ার ধন-সম্পদের মহব্বত অন্তর থেকে দূরীভূত করেছে, সে প্রকৃত নফি করেছে।
যে মারেফতে এলাহি হাসিল করেছে সে পরিপূর্ণ ভাবে ইসবাত করেছে। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ শুধু মুখে উচ্চারণ নয়; প্রকৃত আমলে পরিণত করলে উক্ত মঞ্জিলে পৌঁছা সম্ভব হয়। কলেমা শাহাদত আমলে পরিণত না হলে খোদাতত্ত্ব হাসিল হয় না।
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর পত্র:৪>>
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
…………………….
আরো পড়ুন:
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর পত্র:১
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর পত্র:২
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর পত্র:৩
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর পত্র:৪
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর পত্র:৫
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর পত্র:৬
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতীর পত্র:৭