ভবঘুরেকথা
ফকির লালন সাঁইজি

লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব তেরো

-মূর্শেদূল মেরাজ

ফেসবুক অন করলেই আপনার ছবি দেখতে দেখতে আমি চরম বিরক্ত। নিজের ছবি পোস্ট করার একটা মাত্র ও কারণ থাকা প্রয়োজন। আর যদি আপনি মডেল হতেন তাহলে না হয় ভিন্ন কথা ছিল। যার কাজ সারাদিন নিজের ছবি পোস্ট করা তাকে ফেসবুকে রাখতে পারছি না ভাই দু:খিত।

পরে মনে হয়েছিল, এভাবে না বললেও পারতাম। তিনি হয়তো বেশ কষ্ট পেয়েছেন। ছবি পোস্ট করাতেই হয়তো তিনি আনন্দ পান। আমি কি দেখবো সেটা তো আমার বিষয় তাই না? কিন্তু আমার ওয়ালে যখন এইরূপ অযাচিত জিনিস চলে আসে, তা পরিস্কারের দায়িত্বও তো আমার। তাই তো?

যাক এই কথাটা বললাম এই কারণেই যে, সকল কিছুই লাইভ করার কোনো মানে হতে পারে না। অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি উঠে আসলে আমাদের সকলের জন্য যেমন। তেমন ভবিষ্যতের জন্যও উপকারী তথ্য হয়ে থাকবে। কিন্তু সকল কিছু চলে আসলে তার গুরুত্ব থাকে না।

আবার যথাতথা লাইভ করে অনেকক্ষেত্রে সাধুগুরুরা নিজেদের হালকাও করে তুলছেন। যে বিষয়গুলো একান্তে শুনে পরম আনন্দ পেয়েছি। সেই বিষয়গুলো লাইভে শুনে মনে হয়েছে এসব কথা বলাবার কি মানে? এ তো একান্তে শিষ্যের সাথে গুরুর কথা।

আবার এ প্রশ্নও তোলা যায় এখানে- তবে কেনো গীতা, অষ্টবক্র গীতা বা শ্রী গুরুগীতার মতো গুরু-শিষ্য বাক্যালাপ সকলের জন্য উন্মুক্ত? এর উত্তরে শুধু এইটুকুই বলতে হয়, সেই ভাবে বলতে পারলে সকল কিছুই উন্মুক্ত। যা উপযুক্ত লোকে বুঝে নিবে।

ফকিরকুলের শিরোমণি ফকির লালন সাঁইজিও তাঁর সকল ভাব-ভাবনা-মত-পথ সবই তার পদে বলে গেছেন। কেবল আমরা সকলে বুঝে উঠতে পারি না; এই যা।

আবার বেশি বুঝতে চাই বলেও অনেক সময় বিভ্রান্ত হই। অস্থির হই। আসলে যার যতটা জ্ঞান সে ততটাই বুঝবে। এটা মেনে নিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কারণ সূত্র বুঝতে পারলে বাকিটা ধীরে ধীরে ধরা দিবেই।

যাদের এখনো বলবার মতো সময় হয়নি। সকল কিছুরই একটা সময় থাকে। স্থূল-প্রবর্ত-সাধক-সিদ্ধি। ফকিরি ধারার এই ধাপে কে কোথায় আছেন। সেটা নির্ণয় করা জরুরী। নতজানু হয়ে বিনয়ের সাথে পরিশেষে বলছি, শিষ্য-ভক্তদের দায়িত্ব নিয়ে নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে আপন আপন গুরু-গুরুভাইদের বুঝিয়ে বলা।

এতে অস্থিরতার কিছু নেই। নিজে নিজে ভেবেই উত্তরে যাওয়া যাবে। নইলে উপযুক্ত লোকের কাছে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের মধ্য দিয়ে জেনে নিতে হবে। এটাই পথ।

আর এই বেশি বুঝতে যাওয়ার খিদেই সাধককে স্থির হতে দেয় না। এই বেশি বুঝতে যাওয়ার খিদেকে পুঁজি করে যারা সাপের লেজ দেখিয়ে দেখিয়ে মার্কেটিং করে। লাইভে তারা আদতে লালন সাঁইজির কি উপকার করছেন তা হিসেবে মিলে না।

আবার অনেকে বেশ গুছিয়ে সুন্দর করে এই কাজটি করছেন। তারা সাধুবাদ পেতেই পারেন। অনেকে তত্ত্বের ভেদে বিষদে না গিয়ে সাঁইজির পদকে দেশীয় যন্ত্রের সাথে সহজ উপস্থাপন করছেন। অনেক সাধুগুরু আছেন যারা মিডিয়াকে ফেস করতে জানেন।

তাদেরকে প্রশ্নের ফাঁদে ফেলে সঞ্চালক কিছু বের করে নিতে পারেন না। যতটা না তারা বলতে চান। একেবারে কাজ যে হচ্ছে না তা নয়। কিন্তু ভালো যা হচ্ছে তা সংখ্যায় এতোটাই কম যে, তা চোখে পড়ে না বিশেষ। কারণ সংখ্যায় বেশি করার জন্য একই সঞ্চালক হয়তো এমন এমন মানুষকে এগিয়ে নিয়ে আসেন।

যাদের এখনো বলবার মতো সময় হয়নি। সকল কিছুরই একটা সময় থাকে। স্থূল-প্রবর্ত-সাধক-সিদ্ধি। ফকিরি ধারার এই ধাপে কে কোথায় আছেন। সেটা নির্ণয় করা জরুরী। নতজানু হয়ে বিনয়ের সাথে পরিশেষে বলছি, শিষ্য-ভক্তদের দায়িত্ব নিয়ে নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে আপন আপন গুরু-গুরুভাইদের বুঝিয়ে বলা।

অন্যদিকে সাধুগুরুরাও যদি আপন আপন শিষ্য-ভক্ত-অনুসারীদের সেই শিক্ষা দেয়। কোথায় কি বলবে। কতটা বলবে। সীমা কতটা। তাহলেই হয় এর সহজ সমাধান।

পরিশেষে ফকির লালন সাঁইজি শুদ্ধভাব যাতে মানুষ শুদ্ধরূপে বুঝতে পারে সেই চেষ্টাটা থাকা জরুরী। ভিউ বাড়ানো যাতে শেষ উদ্দেশ্য না হয়। এটাই কাম্য। জয়গুরু।।

লালন চর্চায় ইউটিউব

আসলে লালনকে নিয়ে ইউটিউবে এখনো প্রকৃত কোনো কাজ হয়নি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ভিডিও ধারণ করে ইউটিউবে দেয়া হচ্ছে। শিল্পীরা ব্যক্তিগত ভাবে বা সমষ্টিগত ভাবে প্রফেশনাল/নলপ্রফেশনাল ভাবে রেকর্ড করে গান আপলোড দিয়ে চলছে।

ছোটবড় আয়োজন করে বা একক এসব গান বাজার পাচ্ছে সত্য কিন্তু লালন বা লালনের মতাদর্শ ছড়িয়ে দিতে কতটা ভূমিকা রাখছে তার প্রশ্নবিদ্ধ করেই রাখছে।

আনাড়ি হাতে কিছু ডকুমেন্টারি করার চেষ্টা করা হয়েছে। কোনোটাই প্রফেশনাল বা গবেষণাপ্রসুত বলা যায় না। তবে সবগুলোই যে খুব আনাড়ি তাও নয়। আর যে কাজটি সবচেয়ে বেশি করার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে তা হচ্ছে সাধুগুরুদের সাক্ষাৎকার।

বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি করে কিছু চটুল বিষয় তুলে ধরে ভিউ বাড়ানোর একটা প্রবণতা ইদানিং তীব্র হচ্ছে। বিষয়টা বেশ ভাববার। কারণ এতে হিতে বিপরীতই হচ্ছে। এতে যা কিছু প্রকাশ্যে আনবার কোনো প্রকার প্রয়োজন নেই বা দায় নেই তাও চলে আসছে সম্মুখে।

যা কিছু যথাযথ নয় বা একমাত্র পথ নয় তাকেও দৃঢ়তার সাথে প্রমাণের চেষ্টা চলছে। আবার কিছু সুবিধাবাদী মানুষ লালনকে বদনাম করবার উদ্দেশ্যে এমন সব ভিডিও উপস্থাপন করে চলেছে যা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। আসলে লালন এখন মুনাফার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাধুগুরুদের সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেকে তাদের ব্যবহার করছে ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য। আবার এর উল্টোটাও দেখা যায়, অনেকে পোশাকী গুরু ভক্ত বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এমন সব চটুল কথা বলেন; যাতে তাদের বাজার বাড়ে।

তাই যার যেমন সুবিধা সে সেই ভাবেই লালনকে ব্যবহার করছে অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে। এতে লালন ফকির বা তাঁর মতাদর্শের বারোটা বাজছে অনেকক্ষেত্রেই। এই বিষয়ে এখনি সচেতন না হলে বিপদ। কিন্তু সাধুুগুরুরা বিশেষ করে যারা বলতে পারেন।

নতুন প্রযুক্তি, সকলের কাজ করার অধিকার থাকায় কিছু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কথা সত্য। কিন্তু একটু শুদ্ধতার চর্চা হলে এখানেও ভালো কিছু হবে তাতে সন্দেহ নেই। আর সেই দিনের অপেক্ষায়। জয়গুরু।।

চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/স্থিরচিত্র/চিত্রকলা-

ফকির লালন সাঁইজিকে দুই বাংলায় মিলে কয়েকটা চলচ্চিত্র। বিশ্বজুড়ে কিছু তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। লালনকে ভেবে কিছু চিত্রও আঁকা হয়েছে। লালনের মতাদর্শ যারা বহন করে, লালনের মতাদর্শকে কেন্দ্র করে যে সকল সঙ্গ হয় সে সবের প্রচুর স্থিরচিত্র তোলা হয়েছে।

এছাড়াও নাটক, যাত্রা, পুতুল নাচ সহ আরো অনেক কিছুই নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু শেষ বিচারে সবগুলোই আদৌতে নির্মিত হয়েছে লালন সাঁইজির জীবনী নিয়ে। তার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিষয়টাতে তুলে ধরবার চেষ্টা হয়েছে। তাঁর মতাদর্শ নিয়ে সেভাবে কাজ বিশেষ চোখে পরে না।

কিছু তথ্যচিত্রে অবশ্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরবার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সেগুলো সকলের জন্য উন্মুক্ত না হওয়ায়; তা অনেকের কাছেই পৌছায়নি। স্থিরচিত্র/চিত্রকলায় বাউল-ফকির একটা বড় অংশ জুড়ে আছে।

তারপরও শিল্প-শিল্পী সকল সময়ই নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকবার চেষ্টা করেই যায়। পিছিয়ে পরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রকৃত শিল্পীরা কখনো কাপণ্য করে না। যদিও অনেক সময় নিজের অজ্ঞাতে স্রোতে ভেসে যায়। তারপরও শিল্পীসমাজের কাছে হেরে যাওয়া মানুষ-পিছিয়ে পরা মানুষ-সংখ্যালুঘু মানুষের প্রত্যাশা থেকেই যায়। সকলে সেই প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে আসে সকল সময় তা হয়তো নয়।

বাংলার লোকো ভাবধারাকে ফুটিয়ে তুলতে বাউলের ব্যবহারে জুড়ি নেই। এমনকি বিভিন্ন চলচ্চিত্র, নাচ, গান, নাটক, যাত্রায় বাউলকে ব্যবহার করা হয়েছে হাস্য রসের উপাদান হিসেবে। গানের পেছনে একতারা নিয়ে বাউলরা নাচছে এমন ব্যবহার বাংলা ছবিতে নতুন নয়।

আবার কোনো কোনো চলচ্চিত্রে বাউলকে বিশেষ সম্মানও দেয়া হয়েছে। আসলে চিরকালই ফকিরদের শহুরে মানুষ গুলিয়ে ফেলেছে বাউল-বোষ্টুমী থেকে। তাদেরকে উপস্থাপন করা হয়েছে ভিখারি বেশে। গান শুনিয়ে হাত পাতাই যেন তাদের রীতি।

আদতে বিষয়টা মোটেও তেমন নয়। লালন ঘরের ফকির মানে ভিখারি নয়। তারা সমস্ত কিছু দান করে দিয়ে তবে ফকির হয়। আবার অনেক সময় সাধক আর শিল্পীদের মাঝেও গুলিয়ে ফেলা হয়। আসলে ফকির লালন সাঁইজি যে, যে মত-পথ দিয়ে গেছেন।

তার বিশাল একটা অংশই গুপ্ত। আর এই গুপ্ত ধারার সন্ধান না জেনে বা সে পথের অনুসন্ধান না করে ধরেই নেয়া হয়েছে। একতারা হাতে পথে পথে যারা ঘুরে বেড়ায় তারাই ফকির। তারাই বাউল। আসলে এর সাথে একটা মতাদর্শ জড়িয়ে আছে। সেটা অনেক সময়ই খেয়াল রাখা হয় না।

তারপরও শিল্প-শিল্পী সকল সময়ই নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকবার চেষ্টা করেই যায়। পিছিয়ে পরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রকৃত শিল্পীরা কখনো কাপণ্য করে না। যদিও অনেক সময় নিজের অজ্ঞাতে স্রোতে ভেসে যায়। তারপরও শিল্পীসমাজের কাছে হেরে যাওয়া মানুষ-পিছিয়ে পরা মানুষ-সংখ্যালুঘু মানুষের প্রত্যাশা থেকেই যায়। সকলে সেই প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে আসে সকল সময় তা হয়তো নয়।

তারপরও প্রত্যাশা তো থেকেই যায়। আর সেই প্রত্যাশা থেকেই লালনের জীবনীতেই সীমাবদ্ধ তা থেকে তার মতাদর্শকে শুদ্ধরূপে উপস্থাপনের দাবী তারে প্রতি করা যেতেই পারে। আর যারা করে চলেছেন তাদের প্রতি ভক্তি। জয়গুরু।।

শেষ কথা-

এতো সব আলোচনা যার জন্য তা হলো আমরা কোন পথে লালন চর্চা করছি সেটা স্বল্পজ্ঞানে বুঝে নেয়ার চেষ্টা মাত্র। এটা কোনো জ্ঞানগর্ভ-গবেষণা প্রসূত লেখা নয়। এটা কেবলই নিজেদের মতো করে একটু বুঝে নেয়ার চেষ্টা। বিবেচনায় আনা আমরা কি করছি? আর কি করা উচিত।

এই লেখায় কোনো ব্যক্তি-বস্তু-প্রতিষ্ঠানকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে তোলা হয়নি। তেমনি কোনো ব্যক্তি-বস্তু-প্রতিষ্ঠানকে হেও করার চেষ্টাও নেয়া হয়নি। এই লেখা কেবলই আত্মবিশ্লেষণ। যদি আরেকটু সুন্দর করে লালন ফকিরকে বুঝা যায় সেটাই বড় বিষয়।

আক্ষেপের বিষয় হলো লালনচর্চায় এখনো আমরা সর্বদিক দিয়েই রয়েছি অনেকটাই পিছিয়ে। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে যেমন কাজের গতি পায়নি। আবার পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েও অনেক কাজ আলোর মুখ দেখেনি। তাই এসবকে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা মুশকিল।

তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি গবেষণায় এগিয়ে আসে। তাহলে ভাবের অর্থ না হোক শব্দের অর্থ নিয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে অন্ত্যত। আর আমরা যারা লালনকে নিয়ে ভাবি, যারা লালনকে কেন্দ্র করেই জীবন যাপন করি।

তারা যদি নিজেদের অহং ভুলে এক কাতারে হতে পারি। তাহলে অনেক কাজই অনেক সহজে হবার সম্ভাবনা যে সৃষ্টি হবে সে বিষয়ে সন্দেহ থাকবার কথা নয়। আধুনিক সময়ে সেটা যদিও খুবই দুরহ ব্যাপার। তারপরও কোথাও না কোথাও থেকে তো শুরু হতেই হবে।

অচিরেই তা আরম্ভ হোক এই প্রত্যাশায়। সকল সাধুগুরুপাগলগোঁসাইভক্তঅনুরাগীর চরণে ভক্তি দিয়ে এই লেখার ইতি এখানেই টানছি। ভুল-ত্রুটি নিজগুণে ক্ষমা করবেন। জয়গুরু।।

(সমাপ্ত)

<<লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব এক

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

……………………………………
আরো পড়ুন-
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব এক
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব দুই
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব তিন
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব চার
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব পাঁচ
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব ছয়
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব সাত
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব আট
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব নয়
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব দশ
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব এগারো
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব বারো
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব তেরো

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!