১.
সৃষ্টির কালই হল যৌবনকাল।
২.
বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়।
৩.
পক্ষপাতহীন বিচারকই ন্যায় বিচার করতে পারে।
৪.
অতীত মুছে ফেলার শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে স্থান পাল্টানো।
৫.
বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না- ইহা দূরেও ঠেলিয়া ফেলে।
৬.
অপরের অপমান দেখার নেশা, মানুষের একটি বড় নেশা।
৭.
কোনো বড় ফলই বড় রকমের দুঃখভোগ ছাড়া পাওয়া যায় না।
৮.
ক্ষমার ফল কি শুধু অপরাধীই পায়, যে ক্ষমা করে, সে কি কিছুই পায় না?
৯.
যে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জনপদ ভস্মসাৎ করে ফেলে, আয়তনে সে কতটুকু জানো?
১০.
মানুষের মরণ আমাকে বড় আঘাত করে না, করে মনুষ্যত্বের মরণ দেখিলে।
১১.
শ্রদ্ধা ও স্নেহের অভিনন্দন মন দিয়ে গ্রহণ করতে হয়, তার জবাব দিতে নেই।
১২.
হৃদয়ের দুর্মূল্য বস্তু, কিন্তু চৈতন্য কে আচ্ছন্ন করতে দিলে এতবড়ো শত্রু আর নেই।
১৩.
মহত্ব জিনিসটা কোথাও ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে না। তাকে সন্ধান করে খুঁজে নিতে হয়।
১৪.
সমস্ত ধর্মই মিথ্যা, আদিম যুগের কুসংস্কার। বিশ্ব মানবতার এত বড় শত্রু আর নাই।
১৫.
যাকে তাকে গছিয়ে দেওয়ার নামই বিবাহ নয়! মনের মিল না হলে বিবাহ করাই ভুল।
১৬.
যারা মহৎপ্রাণ, তাঁদের যেকোন অবস্থাতেই, পরের বিপদে নিজের বিপদ মনে থাকে না।
১৭.
যেদিন বুঝবে রূপটাও মানুষের ছায়া, মানুষ নয় -সেইদিনই শুধু ভালবাসার সন্ধান পাবে।
১৮.
টিকিয়া থাকাই চরম সার্থকতা নয় এবং অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে।
১৯.
তিক্ততার মধ্য দিয়ে সংসার ছেড়ে শুধু হতভাগ্য লক্ষ্মীছাড়া জীবনই যাপন করা চলে, কিন্তু বৈরাগ্য সাধন হয় না।
২০.
রাজার আইন, আদালত, জজ, ম্যাজিস্ট্রেট সমস্ত মাথার উপরে থাকিলেও দরিদ্র প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিঃশব্দে মরিতে হইবে।
২১.
এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমস্তটাই পরিপূর্ণ সত্য। মিথ্যার অস্তিত্ব যদি কোথাও থাকে, তবে সে মনুষ্যের মন ছাড়া আর কোথাও না।
২২.
দীপের যে অংশটা শিখা হইয়া লোকের চোখে পড়ে, তাহার জ্বলার ব্যাপারে কেবল সেইটুকুই তাহার সমস্ত ইতিহাস নহে।
২৩.
যাহার প্রাসাদতুল্য অট্টালিকা নদীগর্ভে ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে, সে আর খান কতক ইট বাঁচাইবার জন্য নদীর সহিত কলহ করিতে চাহে না।
……………………….
আরো পড়ুন:
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাণী: এক
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাণী: দুই