ভবঘুরেকথা

মহানবীর বাণী: তিন

১০১.
অহংকার, প্রতারণা ও ঋণমুক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা বেহেশতবাসী হবার একটি শর্ত।

১০২.
মুমিন মুমিনের সাথে প্রাচীরের গাঁথুনির মতো মজবুত সম্পর্ক রাখে। (সহীহ বুখারী)

১০৩.
অবস্থাপন্ন ব্যক্তির জন্য ও শক্তিমান পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তির জন্য জাকাত নেওয়া হালাল নয়।

১০৪.
ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীকে দেখতে যাও এবং ক্রীতদাসকে মুক্ত কর। (বোখারী)

১০৫.
তোমাদের মধ্যে আমার নিকট সেই ব্যক্তি বেশী প্রিয় যে বেশী চরিত্রবান। (বোখারী)

১০৬.
আল্লাহর প্রতি ঈমান আনো ; অতপর এ কথার উপর অটল থাকো। (সহীহ মুসলিম)

১০৭.
প্রত্যেক ব্যক্তি তার কাজের সেই ফলই পাবে, যা সে নিয়ত করেছে। (সহীহ বুখারী)

১০৮.
যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে। (সহীহ বুখারী)

১০৯.
প্রতারক, কৃপণ এবং যে ব্যক্তি দান করে খোটা দেয়, সে বেহেশত্ প্রবেশ করবে না।

১১০.
প্রতিটি শোনা কথা বলে বেড়ানোটাই মিথ্যাবাদী হবার জন্যে যথেষ্ট। (সহীহ মুসলিম)

১১১.
দোযখ এতোই ভয়াবহ যে, তার থেকে পলায়নকারীর চেখে ঘুম আসে না। (তিবরানী)

১১২.
প্রত্যেক জিনিসেরই একটা মাজন রয়েছে, আর অন্তরের মাজন হলো আল্লাহর জিকির।

১১৩.
যার উদ্দেশ্য হয় পরকাল লাভ করা, আল্লাহ তার অন্তরে প্রাচুর্য দান করেন। (তিরমিযী)

১১৪.
যার মনে বিন্দু পরিমাণ অহংকার আছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহীহ মুসলিম)

১১৫.
যে তোমার সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে, তুমি তার সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করো না। (তিরমিযী)

১১৬.
আল্লাহ সকল কিছুর প্রতি দয়া ও সহানুভূতি দেখাবার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম)

১১৭.
যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করেন। (সহীহ বুখারী)

১১৮.
যে আল্লাহর পথে একটি দান করে, আল্লাহ তার জন্যে সাতশ ; গুণ লিখে দেন। (তিরমিযী)

১১৯.
যে আল্লাহকে ভয় করে, তার জন্যে অর্থের প্রাচুর্যের চেয়ে শারীরিক সুস্থতা উত্তম। (মিশকাত)

১২০.
তোমাদের মধ্যে ভালো মানুষ তারা, যাদের দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। (ইবনে মাজাহ)

১২১.
সে মুমিন নয়, যে নিজে পেট পুরে খায় আর পাশেই তার প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে। (বায়হাকী)

১২২.
ঐ ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গ মুসলমান যার মুখ ও হাতের অনিষ্ট হতে মুসলমানরা নিরাপদ থাকে। (মুসলিম)

১২৩.
রাত্রে ঘণ্টাখানেক জ্ঞান চর্চা করা সারা রাত জেগে (ইবাদতে নিরত) থাকার চেয়ে উত্তম। (দারমী)

১২৪.
তিনটি দোয়া কবুল হয় তাতে সন্দেহ নেই। পিতার দোয়া, মুসাফিরের দোয়া ও মজলুমের দোয়া।

১২৫.
মতভেদ কারো না। তোমাদের পূর্বে যারা মতভেদ করেছিল, তারা ধ্বংস হয়েছে। (সহীহ বুখারী)

১২৬.
তোমাদের মধ্যে বৃদ্ধদেরকে সম্মান কর এবং ছোটদেরকে স্নেহ করো। (আমালিয়ে সাদুক, পৃ ৯৪)

১২৭.
মিথ্যা হতে দূরে থাকো, কেন না মিথ্যা চেহারাকে কালো করে দেয়’। (মুস্তাদরাক, খণ্ড ২, পৃ ১০০)

১২৮.
কোন কিছুকে অশুভ অমঙ্গল বা কুলক্ষণ গণ্য করিও না-ঐরূপ ধারণা অলীক ভিত্তিহীন। (বোখারী)

১২৯.
একজনের উপর আরেকজনের কোনো মর্যাদা নেই। তবে আছে আল্লাহ ভীতি ভিত্তির। (তিবরানী)

১৩০.
দুনিয়াতে এমন ভাবে জীবন যাপন করো যেন তুমি একজন গরীব কিংবা পথিক। (সহীহ বুখারী)

১৩১.
যার অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশীরা নিরাপদ নয়, সে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। (বোখারী)

১৩২.
নিশ্চয়ই সুদ এমন বস্তু যার পরিণাম হচ্ছে সংকুচিত হওয়া যদিও তা বৃদ্ধি মনে হয়। (ইবনে মাজাহ)

১৩৩.
তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ তারা, যাদের আচার ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। (সহীহ বুখারী)

১৩৪.
তোমাদের সন্তানদের মর্যাদা দান করো এবং তাদের সুন্দর আচার ব্যবহার শিখাও। (ইবনে হিব্বান)

১৩৫.
মুসলমান সে, যে নিজের অনিষ্টকর ভাষা ও কর্ম থেকে মুসলমানদের নিরাপদ রাখে। (সহীহ বুখারী)

১৩৬.
অনুমান ও কু-ধারণা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা অনুমান হলো বড় মিথ্যা কথা। (সহীহ বুখারী)

১৩৭.
আল্লাহ ততক্ষণ বান্দার সাহায্য করেন, যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে। (সহীহ মুসলিম)

১৩৮.
আল্লাহ তোমার ভাগে যা রেখেছেন, তাতে সন্তুষ্ট থাকো, তবেই হবে সবচেয়ে প্রাচুর্যশালী। (মিশকাত)

১৩৯.
যুলম করা থেকে বিরত থাকা। কেন না, কিয়ামতের দিন জুলুম অন্ধকারের রূপ নেবে। (সহীহ মুসলিম)

১৪০.
যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন নিজের মেহমানকে সম্মান-যত্ন করে। (সহীহ বুখারী)

১৪১.
যে আল্লাহর কিতাবের পথ ধরে সে দুনিয়াতে বিপথগামী হয় না এবং পরকালে হয় না দুর্ভাগা। (মিশকাত)

১৪২.
যে ভালো কাজের আদেশ করে না এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করে না, সে আমার লোক নয়। (তিরমিযী)

১৪৩.
মনের মধ্যে লোহার মতোই মরীচিকা পড়ে। আর তা দূর করার উপায় হলো ক্ষমা প্রার্থনা করা। (বায়হাকী)

১৪৪.
মানুষের অবস্থা উটের মতো, একশটি উটের মধ্যে ও একটি ভালো সোয়ারী পাওয়া যায় না। (সহীহ মুসলিম)

১৪৫.
মানুষ যখন অপরাধ স্বীকার করে এবং তাওবা করে, তখন আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন। (সহীহ বুখারী)

১৪৬.
যে তার প্রভুকে স্মরণ করে, আর যে করে না, তাদের উদাহরণ হলো জীবিত ও মৃতের মতো। (সহীহ মুসলিম)

১৪৭.
সব আদম সন্তানই ভুল করে। তবে এদের মধ্যে উত্তম হলো তারা যারা ভুলের জন্যে তাওবা করে। (তিরমিযী)

১৪৮.
যখন তোমার লজ্জা শেষ হয়ে যায় তখন তুমি সব কিছু করতে পারো। (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ৬৮, পৃ ৩৩৬)

১৪৯.
আল্লাহ তোমাদের চেহারা সুরত ও ধনসম্পদ দেখবে না, তিনি দেখবে তোমাদের অন্তর ও কাজ। (সহীহ মুসলিম)

১৫০.
যারা পৃথিবীতে আছে তাদের দয়া করো, তাহলে যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাকে দয়া করবেন। (মিশকাত)

মহানবীর বাণী: চার>>

……………….
আরও পড়ুন-
মহানবীর বাণী: এক
মহানবীর বাণী: দুই
মহানবীর বাণী: তিন
মহানবীর বাণী: চার
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: এক
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: এক
গৌতম বুদ্ধের বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: তিন
গৌতম বুদ্ধের বাণী: চার

গুরু নানকের বাণী: এক
গুরু নানকের বাণী: দুই
চৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী
কনফুসিয়াসের বাণী: এক
কনফুসিয়াসের বাণী: দুই

…………………….

আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!