ভবঘুরেকথা
পাখীঘর সহজ আখড়া সাধুসঙ্গ

পাখীঘর সহজ আখড়া সাধুসঙ্গ

সুধি,
আগামী মাঘী পূর্ণিমাতে (২৬ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার) কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা অন্তর্গত গোবরা-চাঁদপুরে অবস্থিত ‘পাখীঘর সহজ আখড়া’ উদযাপন করতে যাচ্ছে ৪র্থ বাৎসরিক সাধুসঙ্গ। ফকির মনোরঞ্জন গোঁসাই স্মরণে আয়োজিত অষ্টপ্রহরব্যাপী এই সাধুসঙ্গ ৯ ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণসেবার মাধ্যমে শেষ হবে। সাধুর চরণধূলি কাম্য।

বিনয়াবনত-
‘পাখীঘর সহজ আখড়া’
গোবরা-চাঁদপুর, কুমারখালী, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ

ফকির মনোরঞ্জন গোঁসাই:
মাগুরার লালন সাধক ও গবেষক কবিরাজ মনোরঞ্জন বসু অধিক পরিচিত ফকির মনোরঞ্জন গোঁসাই নামে। বাউল মতে তার এই নাম। তিনি ফকির লাল শাহের প্রোশীষ্য ফকির কোকিল শাহ’র শিষ্য ছিলেন। ২ জানুয়ারি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে ৮৮ বছর বয়সে ফকির মনোরঞ্জন গোঁসাই দেহত্যাগ করলেও বেঁচে আছেন তার অগণিত ভক্তকুলের হৃদয়ে। মনোরঞ্জন বসু ‘বাউল মতের শিকড় সন্ধানে’ নামে একটি গবেষণাধর্মী ও তথ্য বহুল বই লিখে গেছেন।

সময়:
শনিবার বিকাল ৬টা
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
২৬ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ

স্থান:
‘পাখীঘর সহজ আখড়া’
গোবরা-চাঁদপুর, কুমারখালী, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ

আয়োজন ও আমন্ত্রণে:
‘পাখীঘর সহজ আখড়া’র ভক্তবৃন্দ

অনুষ্ঠান সূচি:
২৬ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ : ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
রোজ শনিবার

প্রথম প্রহর (সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা) – অধিবাস-দ্বীন ডাকা ও দৈন্যতা বিষয়ক তত্ত্বালোচনা ও সঙ্গীত।

দ্বিতীয় প্রহর (রাত ৯টা থেকে ১২টা) – সৃষ্টিতত্ত্ব, গুরু-ভক্ত সম্পর্ক ও আত্মসংস্কার বিষয়ক তত্ত্বালোচনা ও সঙ্গীত।

তৃতীয় প্রহর (রাত ১২টা থেকে ৩টা) – রাতের সেবা, কাম-প্রেম, রস-রতি বিষয়ক তত্ত্বালোচনা ও সঙ্গীত।

চতুর্থ প্রহর (ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা) – আত্মসিদ্ধিমূলক তত্ত্বালোচনা ও সঙ্গীত, বিশ্রাম।

পঞ্চম প্রহর (ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা) – গোষ্ঠলীলা বিষয়ক তত্ত্বালোচনা ও সঙ্গীত, বাল্যসেবা।

ষষ্ঠ প্রহর (সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা) – রাধা-কৃষ্ণ ও তাঁদের যুগলাবতার শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর লীলা সংকীর্তন।

সপ্তম প্রহর (দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা) – সমাজ ভাবনা বিষয়ক তত্ত্বালোচনা ও সঙ্গীত, রাধাকৃষ্ণ বা গুরু-ভক্ত যুগল মিলন।

অষ্টম প্রহর (বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা) – পূর্ণসেবা ও সাধুগুরু বিদায়।

সংগীত পরিবেশন করবেন:
কুষ্টিয়া-মেহেরপুরসহ দেশের
প্রবীন সাধুগুরু ও বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ

যোগাযোগ :
০১৭৮ ৬৪ ৯৩ ৭১৮

-ঢাকা থেকে-
বাস সার্ভিস

সরাসরি বাসে (যমুনা সেতু দিয়ে)
গাবতলী, কল্যাণপুর ও সায়দাবাদ থেকে শ্যামলী, এসবি ইত্যাদি বাসে করে সরাসরি যাওয়া যায় কুষ্টিয়া মজমপুর গেট। এছাড়াও আরো বেশকিছু বাস এই লাইনে চলাচল করে। সেখান অটোতে লাহিনী বটতলা যেতে হবে। লাহিনী বটতলা থেকে পান্টি বলে একটা রাস্তা আছে। সেখানে থেকে সিএনজিতে করে গোবরা-চাঁদপুরে অবস্থিত ‘পাখীঘর সহজ আখড়া’।

বাস (পদ্মা পারাপার)
ঢাকার যে কোনো বাস স্ট্যান্ড যেমন গুলিস্তান, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ি, মহাখালী, উত্তরা থেকে থেকে গাবতলী হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়া যায়। আবার গুলিস্তান বিআরটিসি বাসে করে সরাসরি পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়া যায়। অবশ্য উত্তরা থেকে নবীনগর এসও পাটুরিয়ার বাস ধরা যায়।

গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়া যায়। গাবতলী থেকে সেলফী, পদ্মালাইন বা নীলাচল বাসে করে সরাসারি পাটুরিয়া যাওয়া যায়। এছাড়া অসংখ্য লোকাল বাসও পাটুরিয়া ঘাটে যায়। তবে লোকাল বাসে সময় অনেক বেশি লাগে। সরাসরি বাসে ৯০-১০০ টাকায় ঘাট পর্যন্ত যাওয়া যায় পাটুরিয়া পর্যন্ত। সময় লাগে আনুমানিক আড়াই ঘণ্টা।

পাটুরিয়া ঘাটে নেমে কয়েক মিনিটের হাটা পথেই পৌঁছে যাওয়া যায় লঞ্চঘাটে। সেখান থেকে লঞ্চ, স্প্রীডবোর্ড বা ফেরীতে করে পদ্মা পারি দেওয়া যায়। লঞ্চে ২৫ টাকার বিনিময়ে আনুমানিক ২০-২৫ মিনিটে পদ্মা পাড়ি দেয়া যায়। স্প্রীড বোর্ডে ১০ মিনিটের অনেক কম সময় লাগে পারি দেয়া যায় তবে এরজন্য বাড়িতে ভাড়া গুনতে হয়। আর ফেরীতে কম ভাড়ায় পাড়ি দেয়া গেলেও এতে সময় লাগে অনেক অনেক বেশি। তবে ঝড়-বৃষ্টির দিনে ছোট ছোট লঞ্চ বা স্প্রিড বোর্ডের চাইতে ফেরী তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।

পদ্মা পাড়ি দিয়ে দৌলতদিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে পদ্মাগড়াই ছাড়াও আরো কয়েকটা বাস আছে তাতে করে নামতে হবে কুমার খালি। সময় লাগে ২:০০-২:৩০ ঘণ্টা। ভাড়া ১১০-১৩০টাকা। কুমারখালী বাসস্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে ঘাট দিয়ে গড়াই নদী পাড়ি দিয়ে সেখানে অটো পাওয়া যাবে পান্টির পথের। নামতে হবে গোবরা-চাঁদপুরে অবস্থিত ‘পাখীঘর সহজ আখড়া’।

পদ্মা পাড়ি দিয়ে ট্রেন ধরেও যাওয়া যায় কুষ্টিয়া
সেক্ষেত্রে দুপুর ১টা ৩টা ও ৪টায় ট্রেন ছেড়ে যায় ঘাট থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে। নামতে হবে কুমারখালী স্টেশনে। সেখান থেকে ঘাট দিয়ে গড়াই নদী পাড়ি দিয়ে সেখানে অটো পাওয়া যাবে পান্টির পথের। নামতে হবে গোবরা-চাঁদপুরে অবস্থিত ‘পাখীঘর সহজ আখড়া’।

………………………………………………………
অন্যান্য জেলা শহর থেকে কুষ্টিয়া আসার যাতাযাত ব্যবস্থা জানতে ভিজিট করুন…

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!