ভবঘুরেকথা
শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৩১.
যারা ঠিকভাবে শ্রদ্ধাপূর্ণ চিত্তে আমার স্মরণ নেবে, তারাই আমার কৃপা উপলব্ধি করবে। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৩২.
বাবা মঙ্গলময়, সুতরাং যেখানে তার মূর্তি বিরাজমান, সেখানে অমঙ্গল ঘটতে পারে না। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৩৩.
দীন দারিদ্র্য অসহায় মানুষের হাতে যখন যা দিবি তা আমিই পাব, আমিই গ্রহণ করবো। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৩৪.
তোদের ডাকে আমার অন্তর বিগলিত হয়, তাই তো তোদের কাছে ধরা না দিয়ে পারি না। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৩৫.
আমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারি, তোদের বিশ্বাস নেই, কাজেই তোদের কানে ফল হয় না। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৩৬.
তোদের ছেড়ে আমি যাবই বা কোথায়? সমস্ত অস্তিত্বের মধ্যে আমি পূর্ণ হয়ে বিরাজ করছি। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৩৭.
জানি এতে তোদের প্রশ্রয় দেয়া হয়। কিন্তু সব বুঝেও কিছু না করেই বা থাকতে পারি কই? -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৩৮.
সৎকর্ম, সদুপদেশ গ্রহণ, লোক সমাজে গুরুর সম্মানার্থে গুরুর প্রিয় কাজ করাই গুরু সেবা। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৩৯.
যারা ঠিকভাবে শ্রাদ্ধপূর্ণ চিত্তে আমার স্মরণ করবে তারাই আমার কৃপা উপলদ্ধি করতে পারবে। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৪০.
ইচ্ছায় হোক, অনিচ্ছায় হোক, যে সন্তান মায়ের আদেশ পালন করে, ভগবান তার মঙ্গল করেন। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৪১.
আমার সন্তানদের উপর কারুর শাসন চলবে না। কোনোদিন উপদেশ দেইনি; এ আদেশের স্থল। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৪২.
আমি ধরা দিই বলেই তো আমাকে ধরতে পারিস, না হলে কার বাপের সাধ্য আমার কাছে ঘেঁষে? -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৪৩.
তোরা সত্যকে ধরে থাকবি নিষ্ঠা সহকারে ভগবানের শরণাগতি নিয়ে গুরু প্রদর্শিত পথে এগিয়ে চল। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৪৪.
জন্ম জন্ম ধরে কত পাপই সঞ্চয় করেছিস। এই শারীরিক মানসিক ভোগ ছাড়া যে বেহায়ের পথও নেই। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৪৫.
সঙ্গ হতে কাম, পুন: দুষ্প্রবৃত্তি হতে বুদ্ধিনাশ এবং বুদ্ধিনাশ হলেই জীব অধ:পতনের চরম সীমায় উপনীত হয়। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৪৬.
যাতে তাপ লাগে, তাই পাপ। যে কাজ করেই তুই তাপগ্রন্ত হস্ বা সমাজকে তাপগ্রস্ত করিস্, তা-ই পাপ কাজ। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৪৭.
গুরু প্রদত্ত মন্ত্রের শুদ্ধাশুদ্ধ বিচার করা শিষ্যের কর্ম নয়। গুরু যা দিয়েছেন শিষ্য নির্বিচারে তাই জপ করে যাবে। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৪৮.
আগে খণ্ডকে জানতে হবে, কারণ খণ্ডকে চাইতে না জানলে অখণ্ডের মহানন্দ চাওয়ার ভাবটি আসবে কোথা থেকে? -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৪৯.
আমার যা খুশি আমি তাই করতে পারি। তোদের বিশ্বাস নেই তাই তোদের চাওয়াটাও ঠিক হয় না। পাওয়াটাও হয় না। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৫০.
এ দেহপতের সঙ্গে সঙ্গে সব শেষ হয়ে যাবে মনে করিস না। আমি যেমনটি ছিলাম, যেমন আছি, তেমনি চিরকাল থাকবো। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৫১.
নিজেকে বড় না করে তাকে বড় কর, নিজে কর্তা না সেজে তাকে কর্তা জ্ঞান করার চেষ্টা কর, তাহলেই ত্যাগ আসবে। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৫২.
মুসলমান কথা এসেছে ‘মুছল্লম ঈমান’ কথা থেকে; যার অর্থ ষোল আনা ঈমান যার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত কেবল সেই মুসলমান। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৫৩.
তার ওপর নির্ভর করে সুখ-দু:খ বা লোকের গঞ্জনার দিকে লক্ষ্য না করে, কাকেও দু:খ না দিয়ে, আপনার কাজ করে যাও। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৫৪.
গীতা শুধুমাত্র একটা পাঠ্যপুস্তক নয়, যে তুই নিয়মিত পাঠ করবি, কষ্ট করবি সব সংস্কৃত শ্লোক, গীতা হবার সাধনা কর। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৫৫.
আমি নিত্য জাগ্রত। তোদের সুখে সুখি, তোদের দু:খে দু:খি। আমার বিনাশ নেই, আমি অবিনশ্বর, আমি আছি, আছি, আছি। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৫৬.
এতো পাহাড়-পর্বত পরিভ্রমণ করে দুজন ব্রাহ্মণ বৈ দেখিনি; একজন মক্কার আব্দুল গফুর; অপরজন কাশীর ত্রৈলাঙ্গস্বামী। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৫৭.
সত্য পালনই প্রকৃত ধর্ম। যারা সত্য রক্ষা করে না, তারা বিধর্মী -তারা অপরাধী। তাদের গতি নরকে, তারা শাস্তি পাবার যোগ্য। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৫৮.
দুই শত বছরের যোগীও যদি আমার কাছে আসে এবং সে যদি আমার স্বদেশী না হয়, তবে অবশ্য আমি তাকে ছেলে মানুষ বলব। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৫৯.
আমি কে জানার দরকার নেই। শুধু অন্তর দিয়ে প্রাণভরে আমার দয়া ভিক্ষা চাইবি। তাহলেই আমি তোদের সব কষ্ট হতে মুক্তি দেব। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

৬০.
ওরে, সে জগতের কথা মুখে বলা যায় না, বলতে গেলে কম পরে যায়। বোবা যেমন মিষ্টির স্বাদ বলতে পারে না, সেই রকম আর কি। -লোকনাথ ব্রহ্মচারী

<<লোকনাথ ব্রহ্মচারীর বাণী: এক ।। লোকনাথ ব্রহ্মচারীর বাণী: তিন>>

…………………………..
আরো পড়ুন:
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর বাণী: এক
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর বাণী: দুই
লোকনাথ ব্রহ্মচারীর বাণী: তিন

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!