মাওলানা রুমির বাণী: তিন
৬১.
সুন্দর ও উত্তম দিন তোমার কাছে আসবে না; বরং তোমারই এমন দিনের প্রতি অগ্রসর হওয়া উচিত।
৬২.
সব কিছু জেনে ফেলাই জ্ঞান নয়, জ্ঞান হলো কী কী এড়িয়ে যেতে হবে বা বর্জন করতে হবে তা জানা।
৬৩.
যা কিছু হারিয়েছো তার জন্য দুঃখ করো না। তুমি তা আবার ফিরে পাবে, আরেকভাবে, আরেক রূপে।
৬৪.
প্রেম কোন ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে থাকে না, প্রেম অসীম সাগরের মত, যার কোন প্রারম্ভ বা সমাপ্তি নেই।
৬৫.
যখন তুমি ক্রোধের অবয়ব দেখতে পাও, তার গভীরে লক্ষ্য কর, সেথা তুমি দম্ভের অবয়ব দেখতে পাবে।
৬৬.
প্রতিটি মানুষকে একটা নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং সেই কাজটি তার হৃদয়ে গ্রন্থিত আছে।
৬৭.
যদি তুমি আধ্যাত্মিক জগতের কাউকে পাও, তবে বিনয়ের সাথে কথা বলো এবং কিছু শেখার আগ্রহী হও।
৬৮.
আমরা তো সেই লোকটির মতো। যে গাধার পিঠে বসে গাধার কাছেই জানতে চায় যে কোথায় যেতে হবে!!!
৬৯.
আত্মাকে শোনার ক্ষমতা দিয়ে যে কান দান করা হয়েছে তা এমন কিছু শুনতে পায় মন যা বুঝতেও পারে না।
৭০.
সুফিগণ প্রেমিক, ধৈর্যই তাঁদের পোষাক। তাঁরা জানেন যে, পূর্ণিমার আলো দিতে চাঁদকে পূর্ণ হতে সময় লাগে।
৭১.
আমি অনেক মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ঘুরেছি কিন্তু পরম সত্ত্বাকে কেবল নিজের মধ্যেই অনুধাবন করতে পেরেছি।
৭২.
তুমি ঘুমন্ত অথবা জাগ্রত, লেখো কিংবা পড়, যাই করো না কেন, এক মুহূর্তও খোদাকে স্মরণ না করে থেকো না।
৭৩.
এমনকি বসন্তে অস্তিত্ব লাভ করা বস্তুও শরতের শেষে এসে ক্ষয়ে যায়; কিন্তু, প্রেম! সে তো কোন নির্দিষ্ট মৌসুমের নয়।
৭৪.
সুঁচে গাঁথিবার সুতা কখনও দু’পাল্লা হয় না, তুমি যখন আমার সাথে এক হইয়া গিয়াছ তখন এক সুঁচে প্রবেশ কর।
৭৫.
তুমি যত বেশি নিশ্চুপ থাকবে, তত বেশি শুনতে পাবে। তোমার চোখের পাতা তোমার হৃদয় থেকে কবিতা লিখবে।
৭৬.
যেদিন তোমার প্রেম আমায় স্পর্শ করব সেদিন আমি এতোটাই উন্মাদ হবো যে, সকল উন্মাদ ও আমা হতে পালাবে।
৭৭.
যে তার জ্ঞান দিয়ে মনের খারাপ ইচ্ছাগুলোকে জয় করতে পারে, সে স্বর্গের ফেরেশতাদের থেকেও বেশি সম্মানিত।
৭৮.
তোমার কাছে যা-ই আসুক না কেন তুমি কৃতজ্ঞ থেকো, কেননা তোমার কাছে যা পাঠানো হয় তা তার পক্ষ থেকে পথনির্দেশ।
৭৯.
হে প্রিয় বৎস! তোমার উপর যদি মুর্শিদের ছায়া না থাকে, তবে শয়তানের ওয়াসওয়াসাহ তোমাকে সর্বদা অস্থির করে রাখবে।
৮০.
তুমি তাদের এড়িয়ে যাও যারা তোমাকে ভীত সন্ত্রস্ত ও দুঃখিত করে, যারা তোমায় রোগ ও মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে ফেলবে।
৮১.
আউলিয়াগণ (হৃদয়) মসজিদের ভিতরেই (অবস্থান করে) থাকেন উহাই আল্লাহ লাভের জন্য, সকলের (কাবা) সেজদার স্থান।
৮২.
দুনিয়াবি সাধারণ দরজায় কষাঘাত করো না, তোমার হাত এতটাই প্রসস্থ যে, ইচ্ছে করলেই তুমি বেহেস্তী দরজার কড়া নাড়তে পার।
৮৩.
দিপ্তীমান মোমবাতির মত হওয়া মোটেও সহজ নয়! অন্যকে আলোকিত করতে চাইলে সর্বপ্রথম নিজেকে আগুনে পুড়ে শুদ্ধ হতে হয়।
৮৪.
এই পথটা তোমার, তুমি পথ চলো একা। তোমার চলার পথে হয়ত কেউ সঙ্গী হবে। কিন্তু তোমার পথটা অন্য কেউ হেঁটে দিবে না।
৮৫.
গতকাল আমি বুদ্ধিমান ছিলাম, তাই পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।
৮৬.
তোমাকে ঘিরে থাকা কালো মেঘ থেকে নিষ্কৃতি লাভ করো! এরপর দেখবে তোমার নিজের আলো পূর্ণিমার চাঁদের মতই উজ্জ্বল!
৮৭.
যদি কামেল লোকের সোহবত ক্ষণিকের জন্যেও পাও, তাহা গ্রহণ করো। জেনে রেখো, তাহা হাজার বছরের ফকিরি হতেও উত্তম।
৮৮.
যখনই নিজের স্বার্থপর সত্ত্বার উপর বিজয় অর্জন করতে পারবে, ঠিক তখনই মনের সমস্ত অন্ধকার আলোতে রূপান্তরিত হয়ে যাবে।
৮৯.
তোমার দু’টো চোখকেই বন্ধ করে দাও। যদি অন্য চোখটি দিয়ে দেখতে চাও। তুমি যত বেশি নিশ্চুপ থাকবে, তত বেশি শুনতে পাবে।
৯০.
মানুষ যতক্ষণ অন্যায় অসত্যের বন্ধনে থাকে ততক্ষণই অদৃশ্য খোদার এবাদত করে এবং নবী ও রাসুলগণের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে।
………………………
আরো পড়ুন:
মাওলানা রুমির বাণী: এক
মাওলানা রুমির বাণী: দুই
মাওলানা রুমির বাণী: তিন
মাওলানা রুমির বাণী: চার
মাওলানা রুমির বাণী: প্রসঙ্গ প্রেম
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….