ধারাপাত (অধ্যাত্মবিজ্ঞান)
১
১ -এ আল্লাহ্।
২ -এ রাসূল।
৩ -এ আদম।
আহাদ এর দম আদম।
৪ -এ চন্দ্র।
চার চন্দ্র। -সরল, গরল; আদি; রুহানী।
৫ -এ পঞ্চ আত্মা।
রুহ আবাদী, রুহ যাবাদি; রুহ হায়ানী;
রুহ ইনসানী; রুহের নাম রহমানী।
৬ -এ ষড়রিপু।
৭ -এ শ্বাস সমুদ্দুর। শ্বাস ছুটলেই সমুদ্দুর।
শ্বাসতঃ সালাতের পূর্ব্ব তুমি।
৮ -এ অষ্টপশু। মনি,মগজ; হাড়; রগ -বাপের।
রক্ত, চর্ম; লহু; পশম -মায়ের। এ অষ্টপশুর
সমন্বয়ে মানবদেহের গঠন।
৯ -নবজন্ম, নয়া; নবগ্রহন।
নয়টা চাঁন আছে দেহের মাঝে। নয়মাস
মায়ের পেটে ছিলাম।
১০-এ দিক।
দশ দিক জয় না করলে, মানুষ হওয়া যায় না।
১১ মানে এক।
দশ মানে শূন্য। এগারো মানে এক।
২
২ -এ রাসূল।
৮ -এ অষ্টপশু। মনি, মগজ; হাড়; রগ -বাপের।
রক্ত, চর্ম; লহু; পশম -মায়ের। এ অষ্টপশুর
সমন্বয়ে মানবদেহের গঠন। আট কুঠুরি।
১০ -এ দিক। দশ মানে ‘শূন্য’। মোহমুক্ত হওয়া,
বিসর্জন দেয়া; কোরবানী করা/হওয়া।*
জীব তড়াইবার লাইগ্যা আসে গুরু।
৩
৪ -এ চন্দ্র।
চার চন্দ্র -সরল, গরল; আদি; রুহানি।
চাইরটা খুটি ছাড়া ঘর অয় না। নবীজীর চাইর
কুরসি (নবীজীর পিতা আবদুল্লাহ্, তাঁর পিতা
আবদেল মোত্তালিব; তদ্বীয় পিতা আবদে হাশেম;
তদ্বীয় পিতা আবদে মন্নাফ), চাইর কিতাব; চাইর
যুগ; চাইর মাযহাব; চাইর তরিক।
শরীয়ত, তরীক্বত; হাকীক্বত; মারেফত -প্রাইমারী
স্কুল, হাই স্কুল; কলেজ; ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যা
-লয়ে গেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের লগে দেখা অইব।
চাইরে পরমান(প্রমান), চাইরে পরচার(প্রচার)।
শরীয়ত হইল পরচার; মারেফতে পরমান।
(চার>আচার>বিচার>প্রচার)
৪
চার কার।
নৈরাকার, খোয়াকার; দ্বন্ধাকার; সাকার।
আবার,
আ -কার, ই -কার; এ -কার; কে কার?
কেউ কারো নয়,
কারুকে ছাড়া কেউ নয়।
৫
৭ এ শ্বাস সমুদ্দুর।
শ্বাস ছুটলেই সমুদ্দুর।
শ্বাসত সালাতের পূর্ব্ব তুমি।
দায়েমী সালাত(শ্বাসত সালাত) আদায় না করলে,দায়মূল শোধ অইব না।
৬
পাঁচ -এ পঞ্চ আত্মা।
পঞ্চ আত্মা, পঞ্চবাণ; পঞ্চ রস;
আরও আছে পঞ্চ জন।
পঞ্চে পঞ্চে বাইন্ধা রাখছে,খোদার তীর(ত্রি) ভূবন।
পঞ্চ আত্মা একাত্র করাই হইল ‘তৌহীদ’ করা।
(একাত্ম না করলে, পঞ্চাত্মা পঞ্চভূতে বিলীন
হইয়া যাইব)
৭
৮-এ অষ্টপশু।
বাপের চার, মায়ের চার; এই অষ্টপশু দিয়া মানব
দেহের গঠন। মনি, মগজ; হাড়; রগ -এই চার
বাপের থেইক্যা। রক্ত, চর্ম; লহু; পশম -এই চার
মায়ের থেইক্যা। আট কুঠুরি।
দেহডা হইল বাপ-মায়ের হোটেল।
৮
৯ -এ নবজন্ম, ৯ -এ নয়া।
নয়টা চাঁন আছে দেহের মাঝে। নয় মাস ছিলাম
মায়ের পেটে।নয়টা ছিদ্রপথ আছে দেহের মাঝে
-নয় দরজা।
পবিত্র সেই পরম সত্তা-যিনি এক ও অদ্বিতীয়,
যাঁর সৃষ্টি সকল পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ কিন্তু
সাদৃশ্যহীন।কারো সাথে কারু মিল নাই -সবকিছু
নয়া। যেনো ‘এক’ প্রকাশিত নবগুনে।
৯
১০-এ দিক।
দশ দিক জয় না করলে, মানুষ হওয়া যায় না।
কোরবানী ১০ তারিখ, হজ্ব ১০ তারিখ; নবী’র বংশ ধ্বংস -মহররমের ১০ তারিখ;
বিজয়া দশমী -১০ তিথী; পৃথিবীর দশ দিক; মানবদেহের দশদিক -একটা বন্ধ, নয়টা খোলা।
দশ মানে ‘০’(শূন্য)।-মোহ মুক্ত হওয়া, বিসর্জন দেয়া।
দশ দিক এক কইরা, জ্ঞানের আশ্রয়ে চলতে অয়।
১০
১১ মানে এক(১)।
দশ মানে শূন্য। এগারো মানে এক।’
দশ দিক জয় কইরা, সে -ই একজনা।
আত্মা আমি যখন মাতৃ জঠর হইয়া দশ দিক
বিশিষ্ট পৃথিবীতে অবতরণ করি, তখন আমারও
দশ দিক খুইলা গেছিলো। আবার যখন উৎসে
প্রত্যাবর্তন করি,তখন দশ দিক কেন্দ্রে সংকুচিত হইয়া যায়।
বৃত্তের পরিধি ধইরা ঘুরলে অসীম, কেন্দ্রে ৩৬০
ডিগ্রী। কেন্দ্র থেইক্যাই পরিধি সম্প্রসারিত, এবং
পরিধি সংকুচিত হয় কেন্দ্রে।
আত্মার জোরে কর্তা।
১১
দেহে আছে পাঁচটা শালা। দুই চোখ, দুই কান;
মুখ। পঞ্চ আত্মা।*
দেহে আছে পাঁচটা শালা। তারে বাধ্য করতে
হইলে, যাইতে হইব তৌহীদের পাঠশালা।
একটা দেহই, একটা তৌহীদের পাঠশালা।
গুরু হইল জ্ঞান। ভক্ত হইল চোখ,কান;নাক;
মুখ;হাত;পা; লিঙ্গ;গুহ্য।
এক কানে শুনছি মায়ের কথা, আরেক কানে
বউয়ের কথা; মুখ দিয়া কইছি আরেক কথা
-ফাসেকী। কোটি বছর ইবাদত করলেও, লাভ নাই।
যা দেখছি, যা শুনছি; যা বলব -জ্ঞানের আশ্রয়ে
বলব। এক জবানে আওলিয়া।
তৌহীদ করা মানে -এক করা, একাত্ম হওয়া।
*পূর্বোক্ত।
………………………
১২
সাত দোজখ, আট বেহেশত।
সাতে সাতে কাটা,
একটাই চিরস্থায়ী জান্নাত।
১
দেহ’ডা হইল রাধা।
জ্ঞান’ডা/আত্মা’ডা হইল কৃষ্ণা।
দশ ইন্দু আর ষড়রিপু হইল, ষোলশ’
গোপিনী। দুই কান হইল জটিলা-কূটিলা।
হৃদয়’ডা হইল বৃন্দাবন।
রাধা কৃষ্ণ’র প্রেমের গুরু।
কৃষ্ণ রাধার জ্ঞানের গুরু।
২
(বাংলাদেশ-পৃথিবীর একমাত্র দেশ-ষড়ঋতুর দেশ)
বাংলাদেশে আছে ষড়ঋতু,
এই দেহে আছে ষড়রিপু;
ষড়রিপু জয় করলে,ছয় লতিফা জাইগা উঠে।
তিন ছয় আঠারো হাজার মাখলুকের হিসাব আছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশ হইল পরশের খনি। দেহতত্ত্ব,আত্মতত্ত্ব;
মারেফাত প্রচার-প্রমাণের দরজা।
তাইতে, ৩৬০ আউলিয়া সহ সাধু, সন্যাসী, দরবেশ,
পীর, ফকির, মোস্তান, আউল, বাউল গণ যুগে যুগে
এইদেশে আইসা থান নিছেন।
৩
৬ -এ ষড়রিপু।
বাংলাদেশে আছে ষড়ঋতু।
এই দেহে আছে ষড়রিপু।
ষড়রিপু জয় করলে ছয় লতিফা জাইগা উঠে।
এই তিন ছয় আঠারো হাজার মাখলুকের হিসাব
আছে বাংলাদেশে।বাংলাদেশ হইল পরশের খনি।
দেহতত্ত্ব, আত্মতত্ত্ব, মারেফাত-প্রচার, প্রমানের দরজা।
বর্ণমালা
…………………………..
১
ক-তে কর্ম, খ-তে খোলা; গ-তে গতি;
ঘ-তে ঘোরাঘুরি; ঙ-তে অমর বানী;
ন অক্ষরে নবী; হ অক্ষরে হবি;
ম-তে মহামত, মোহাম্মদ;
মহব্বতের পসিনায় মোহাম্মদের পয়দা;
স, শ, ষ -তিন শ’ যে এক করছে সে-ই মহাশয়;
ব-তে বন্ধু’র হিত কর্তব্য; র-তে রহস্যজগৎ;
ত-তে তপস্বী’রা বনে থাকে, মনের বনে;
ঃ(বিসর্গ)- ডবল জিরো;
ঁ(চন্দ্রবিন্দু)-আকাশে উইঠা গেছে।
(জ্ঞেয় সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করতে হলে এবং
অধ্যাত্মবিদ্যা বুঝতে হলে অবশ্যই বাংলা ভাষার মর্মার্থ উপলব্ধি করতে হবে।)
২
ক-তে কর্ম, খ-তে খোলা; গ-তে গতি;
ঘ-তে ঘোরাঘুরি; ঙ-তে অমর বানী।
(ফল লাভের আশা না করে, দায়িত্ববোধ থেকে ‘কর্ম’ কর।
হৃদয় ‘খোলা’ রাখো,জ্ঞান আহরনার্থে।
গুরু নির্দেশিত পথে সাধনার ‘গতি’ ‘থির’ কর।
দেহজগৎ ও বিশ্ব জগৎ পরিভ্রমন কর।
এবং ‘অমর বানী’/ঐশীবানী/এলহাম অর্জন কর।)
৩
ক -তে, কঠোর বাক্য কহা নিষেধ।
৪
আ-কার, ই-কার; এ-কার; কে কার?!
কেউ কারো নয়।
কারু কে ছাড়া কেউ নয়।
৫
এক মা -বসুমতি(পৃথিবী)।
এক মা -সরস্বতী(বিদ্যা)।
এক মা -জন্মদাত্রী।
আরেক মা -অর্ধাঙ্গিনী। মায়ের প্রমাণ -চার বার। বাপের প্রমাণ -এক বার। -বীজে। (নিজের অর্ধাঙ্গিনীকে মা ভাবতে বলা হয়নি।
তবে, তারও মাতৃত্ব আছে এবং তিনি কারো মা’ও হতে পারেন।)
৬
লা শরীক।
লা মানে-নাই, শরীক মানে -আছে।
ঐ ফু’ডা (ফুৎকারে প্রবেশ করানো
রুহ/ তাঁরই জাত) দেহে যতক্ষণ শরীক হইয়া
আছে, ততক্ষণ তুমি জিন্দা। লা হইয়া গেলে
মউত। থাকতেই আত্মার পাত্তা লাগাও।
<<ফকির কাশেম আলী চিশতীর বাণী : এক
………………………
আরো পড়ুন-
ফকির কাশেম আলী চিশতী কাদ্দসাল্লাহ সের্রুহু’র বাণী : এক
ফকির কাশেম আলী চিশতী কাদ্দসাল্লাহ সের্রুহু’র বাণী : দুই
ফকির কাশেম আলী চিশতী কাদ্দসাল্লাহ সের্রুহু’র বাণী : তিন
ফকির কাশেম আলী চিশতী কাদ্দসাল্লাহ সের্রুহু’র বাণী : চার
ফকির কাশেম আলী চিশতী কাদ্দসাল্লাহ সের্রুহু’র বাণী : অন্যান্য