-বার্ট্রান্ড রাসেল
কিন্তু আমার কাছে এটা একটা সহজসাধ্য সমাধান বলে মনে হয়। হিটলারের আদর্শ প্রধানত নিৎসের কাছ থেকে এসেছে যার মধ্যে সম্পূর্ণ আন্তরিকতার প্রতিটি সাক্ষ্য রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত হেগেলের দ্বান্দ্বিকতা ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে এই বিষয়টা হটানোনা যাবে, ততক্ষণ আমি বুঝতে পারছি না আমরা কীভাবে জানবো যে, ঈশ্বর, যার মধ্যে আদর্শটি মূর্তমান, তিনি জিহ্বা অথবা ওটান।
এই ধারণাটা যে, ঈশ্বরের চিরন্তন স্বর্গসুখ গরিবের কাছে একটা স্বাচ্ছন্দ্য, এটা তো সর্বদা ধনীদেরই রয়েছে, কিন্তু গরিবরা এতে তো চরম বীতশ্রদ্ধ হতে শুরু করেছে। সম্ভবত, এ-সময় পর্যন্ত ঈশ্বরের এই ধারণাকে আর্থিক অবিচারের সমর্থনে সংযুক্ত করা আদৌ বিচক্ষণ হবে না।
মহাজাগতিক উদ্দেশ্যের ঈশ্বরবিশ্বাসী মতবাদের মতো সর্বেশ্বরবাদীরা বিশ্বাস করেন যে, সময় যদি শেষাবধি বাস্তব না হয়, তাহলে বিশ্ব ইতিহাসের সর্বোত্তম জিনিসগুলো আগে না এসে, পরে আসে কেন? বিপরীত ক্রমটা কী সঠিক হতে পারত না?
ঘটনাসমূহের তারিখ থাকাটা যদি বিভ্রম হয়, যে-বিভ্রম থেকে ঈশ্বর মুক্ত, তাহলে তিনি কেন প্রীতিজনক ঘটনাবলীকে শেষে ঘটিয়ে অপ্রীতিজনক ঘটনাসমূহকে প্রথম ঘটান? এই বিষয়টার ভাবনায় আমি ডিন ইনগের সঙ্গে একমত যে, এই প্রশ্নটা উত্তরহীন।
এর পরেই আমরা ‘উত্থানশীল’ মতবাদের আলোচনায় গিয়ে বলতে পারি যে, এই মতটা এই অসুবিধা এড়াতে পারে এবং দৃঢ়ভাবে সময়ের বাস্তবতা সমর্থন করে। কিন্তু আমরা এটা দেখব যে, এই মতবাদ বেশ বড়ো মাপের অন্যান্য অসুবিধা ডেকে আনে।
প্রতি মুহূর্তে নতুন কিছুর আবির্ভাব ঘটে কিন্তু অতীত কখনও মরে যায় না। এটা স্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকে, কারণ ভুল কেবলমাত্র আপাত। এভাবে পৃথিবী ধারাবাহিকভাবে, বিষয়বস্তুগতভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এটি একটি সুন্দর আবাস হয়ে উঠবে।
বিবিসি-র আলোচনার পরিধিতে, যেখান থেকে আমি এইসব উদ্ধৃতিগুলো ব্যবহার করছি, সেখানে এই ‘উত্থানশীল’ মতবাদের একমাত্র প্রতিনিধি প্রফেসর আলেকজান্ডার। তিনি শুরু করেন এটা বলে যে, মৃত বস্তু, জীবন্ত বস্তু, এবং মন পরম্পরাগতভাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং তিনি বলে চলেন যে,
‘মি. লয়েড মরগান এই ধারণা এবং এই শব্দটি প্রচলন এবং পুনঃপ্রচলন করেছেন। এখন তাঁর ধারণার বিকশিত রূপ হলো উত্থানশীলতা। জীবন, বস্তু থেকে আবির্ভূত হয় এবং মন, আবির্ভূত হয় জীবন থেকে। একটি জীবন্ত সত্ত্বা একটি বস্তুগত সত্ত্বাও বটে।
কিন্তু একটি নতুন গুণ প্রমাণে এত সচেষ্ট যে এই নতুন গুণটাই হলো জীবন। জীবন থেকে মনে উত্তরণের ব্যাপারে এই একই কথা বলা যায়। একটি মননশীল সত্ত্বা একই জীবন্ত সত্ত্বা। কিন্তু বিকাশের এত জটিলতা, এর কোন্ অংশে এত সূক্ষ্মভাবে এটা সংগঠিত বিশেষত স্নায়ুতন্ত্রে?
এই স্নায়ুতন্ত্র মনকে বহন করে। আপনি চাইলে এটাকে চৈতন্যও বলতে পারেন।
তিনি আরও বলেন যে, এমন কোনো কারণ নেই যার ফলে এই প্রক্রিয়া মনের সঙ্গে থেমে যাবে। পক্ষান্তরে, এটা মনের অতীত একটি অতিরিক্ত অস্তিত্বের গুণের কথা বলে, যেটি মনের সঙ্গে সম্পর্কিত। কারণ মন তো জীবন এবং জীবন তো বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
এই গুণটাকে আমি দেবতা বলি এবং যে-সত্ত্বা এই গুণকে ধারণ করে সেই-তো ঈশ্বর। অতএব, আমার আছে এটা মনে হয় যে, সমুদয় বস্তুই এই গুণের প্রকাশমানতার দিকে নির্দেশ করে। এই কারণেই আমি বলেছিলাম যে, বিজ্ঞান নিজে, যখন একটা ব্যাপকতর ধারণা গ্রহণ করে, তখন এর একটি দেবতার প্রয়োজন হয়।
তিনি বলেন যে, পৃথিবীটা চেষ্টা করছে অথবা ঝুঁকে পড়ছে, দেবত্বের দিকে। কিন্তু পৃথিবীর অস্তিত্বের এই পর্যায়ে দেবতা তাঁর স্বাতন্ত্র্যনির্দেশক প্রকৃতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত আবির্ভূত হননি।’ তিনি আরও বলেন যে, তাঁর কাছে ঈশ্বর ঐতিহাসিক ধর্মে বলা একজন স্রষ্টা নন, কিন্তু তিনি সৃষ্ট।
প্রফেসর আলেকজান্ডারের ধারণার সঙ্গে বার্গসনের সৃষ্টিশীল বিবর্তনের ধারণার একটা ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য রয়েছে। বার্গসন মনে করেন যে, বহিঃর্নিয়ন্ত্ৰণবাদ ভুল, কারণ বিবর্তনের গতিপথে প্রকৃত অভিনবত্ব দেখা দেয় যা নিয়ে আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না এবং এমনকি কল্পনাও করা যায় না।
একটা রহস্যজনক শক্তি যা সবকিছুকেই বিবর্তিত হতে তাড়িত করে। উদাহরণস্বরূপ, দেখতে পায় না এমন একটি প্রাণীর দর্শনের কতিপয় রহস্যময় পূর্বাভাস আছে এবং প্রাণীটি এমনভাবে কাজ করে যা তার চোখের বিকাশকে চালিত করে।
প্রতি মুহূর্তে নতুন কিছুর আবির্ভাব ঘটে কিন্তু অতীত কখনও মরে যায় না। এটা স্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকে, কারণ ভুল কেবলমাত্র আপাত। এভাবে পৃথিবী ধারাবাহিকভাবে, বিষয়বস্তুগতভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এটি একটি সুন্দর আবাস হয়ে উঠবে।
কিন্তু এটা হলো যে-কোনো কিছু আলাদা যা আমরা আমাদের জ্ঞান অথবা আমাদের ভাবনার সাহায্যে জানতে পারি। এই অনুভূতিকে গুরুত্ব দেবার কোনো কারণ তিনি দেন না, অথবা তার তত্ত্ব যেমন দাবি করে, মানসিক বিকাশ জীবনে একটি বৃহত্তর উপাদান হিসাবে তৈরি করে দেয়।
যেটা এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তা হলো প্রজ্ঞাকে এড়িয়ে চলতে হবে যেটা পশ্চাঙ্গামী এবং নিশ্চল বলে প্রতিভাত হয়। আমাদের যেটা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে তা হলো স্বজ্ঞা, যা নিজের মধ্যে সৃষ্টিশীল অভিনবত্বের তাড়না ধারণ করে থাকে।
এটা অবশ্যই ধরে নেওয়া যাবে না যে, মন্দ জীববিজ্ঞানের আনুষঙ্গিক টুকরোসমূহের বাইরে ল্যামার্কের স্মারক হিসাবে এসব কিছু বিশ্বাস করার জন্য কারণ দর্শানো হয়েছে। বার্গসনকে কবি হিসাবে বিবেচনা করতে হবে এবং তার নিজের নীতিসমূহের বিষয়ে সবকিছু এড়িয়ে যেতে হবে যা প্রজ্ঞার কাছে আবেদন রাখে।
আমি মনে করি না যে, প্রফেসর আলেকজান্ডার বার্গসনের দর্শনকে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ধারণাগত মিল রয়েছে যদিও তারা দু’জনেই স্বাধীনভাবে এই ধারণা বিকশিত করেছেন। যাই হোক, তত্ত্বাবলী সময়ের উপর জোর দেবার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করে।
ঐকমত্য বজায় রাখে এ-ব্যাপারেও যে, বিবর্তনের গতিপথে অনির্দেশ্য অভিনবত্বের আবির্ভাব ঘটে।
নানাবিধ অসুবিধা উত্থানশীল বিবর্তনের দর্শনকে অসন্তোষজনক করে। সম্ভবত এসবের মধ্যে প্রধান অসুবিধাটা হলো, বহিঃনিয়ন্ত্ৰণবাদ থেকে বেরিয়ে আসতে, ভবিষ্যদ্বাণীকে অসম্ভব করে তোলে এবং তবুও এই তত্ত্বের অনুগতরা ঈশ্বর-অস্তিত্বের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করে।
এরা যথার্থভাবেই বার্গসনের সেল-ফিসের (shell-fish) অবস্থায় যারা দর্শন করতে চায় যদিও জানে না দর্শন করাটা আসলে কী। প্রফেসর আলেকজান্ডার মনে করেন যে, কতিপয় অভিজ্ঞতায় ‘দেবতা’ সম্পর্কে আমাদের অস্পষ্ট সচেতনতা রয়েছে।
এটাকে তিনি ‘ঐশ্বরিক’ বলে বর্ণনা করেন। এ-ধরনের অভিজ্ঞতাকে বৈশিষ্ট্য দান করে এমন অনুভূতি হলো, তার মতে, কোনো কিছুর রহস্যের জ্ঞান যা আমাদের আতঙ্কিত করতে পারে অথবা আমাদের অসহায় অবস্থায় সহায়তা করতে পারে।
কিন্তু এটা হলো যে-কোনো কিছু আলাদা যা আমরা আমাদের জ্ঞান অথবা আমাদের ভাবনার সাহায্যে জানতে পারি। এই অনুভূতিকে গুরুত্ব দেবার কোনো কারণ তিনি দেন না, অথবা তার তত্ত্ব যেমন দাবি করে, মানসিক বিকাশ জীবনে একটি বৃহত্তর উপাদান হিসাবে তৈরি করে দেয়।
নৃতত্ত্ববিদদের কাছ থেকে যে-কেউ পুরোপুরি বিপরীত ধারণাটাই অবধারণ করবেন। বন্ধুত্বপূর্ণ কিংবা শত্রুতাপূর্ণ অ-মানবীয় শক্তির রহস্যের জ্ঞান, সভ্য মানুষের চেয়ে আদিম বর্বর মানুষের জীবনে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।
বর্তমান সময়ে অন্য কোথাও জীবন আছে কি না, তা নিয়ে জেমস জিনস্ খুবই সংশয়ী। কোপার্নিকাসের বিপ্লবের আগে এটা ধরে নেওয়া খুবই স্বাভাবিক ছিল যে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্য বিশেষভাবে পৃথিবীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু এটা এখন একটা অগ্রহনযোগ্য প্রকল্প হিসাবে বিবেচিত হয়।
বস্তুত, ধর্মকে যদি এই অনুভূতির সঙ্গে চিহ্নিত করতে হয় তাহলে জ্ঞাত মানুষের উন্নতির প্রতিটি পদক্ষেপে ধর্মের হ্রাসপ্রাপ্তির কথা বলতে হয়। তাহলে উত্থানশীল দেবতার জন্য ধরে-নেওয়া বিবর্তনমূলক যুক্তি এক্ষেত্রে খাটে না।
যুক্তিটা, যেভাবেই হোক, লক্ষণীয়ভাবে হালকা। যুক্তি দিয়ে বলা হয়, বিবর্তনের তিনটি স্তর–বস্তু, জীবন এবং মন। এটা ধরে নেবার কোনো কারণ নেই যে, পৃথিবীর বিবর্তন পর্যায় শেষ করে ফেলেছে। সুতরাং, সম্ভবত পরে কোনো এক সময়ে শুরু হবে চতুর্থ পর্যায়, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ প্রভৃতি, এমনটা কেউ ধরে নিতে পারে।
কিন্তু এমনটা হবে না, চতুর্থ পর্যায়ের সঙ্গেই বিবর্তন সম্পূর্ণ হবে। এখন বস্তু আগাম জীবনকে দেখতে পাচ্ছে না এবং জীবনও আগে থেকে মনকে দেখতে পারছে না, কিন্তু মন ক্ষীণভাবে পরবর্তী পর্যায় আগেই দেখতে পারছে, বিশেষত এটা যদি একজন পুয়ার অধিবাসী কিংবা একজন বুশমানের মন হয়।
এটা স্পষ্ট যে, এসব কিছুই কেবল আন্দাজি ব্যাপার। এটা সত্য হিসাবে ঘটতেও পারে কিন্তু এটা ঘটবে এমনটা ধরে নেবার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। উত্থানশীল দর্শন এটা বলায় পুরোপুরি সঠিক যে, ভবিষ্যৎ অনির্দেশ্য। কিন্তু এই দর্শনটা এটা বলেই আবার ভবিষ্যদ্বাণী পড়তে এগিয়ে যায়।
যে-ধারণার জন্য ‘ঈশ্বর’ শব্দটা, এ পর্যন্ত প্রচলিত রয়েছে, এই ধারণার চেয়ে মানুষ ‘ঈশ্বর’ শব্দটা ত্যাগ করতে বেশি অনিচ্ছুক। ঈশ্বর এই পৃথিবী সৃষ্টি করেননি, এটা উত্থানশীল বিবর্তনবাদীদের বোঝানোর পর তারা এটা বলতে সন্তুষ্ট যে, পৃথিবী ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছে। কিন্তু নামটি ছাড়া এ ধরনের ঈশ্বরের সঙ্গে ঐতিহ্যগতভাবে পূজিত বস্তুর প্রায় কোনো সাযুজ্য নেই।
এর রূপ যাই হোক সাধারণভাবে মহাজাগতিক উদ্দেশ্যের দুটো সমালোচনা রয়েছে। প্রথমত, যারা মহাজাগতিক উদ্দেশ্যে বিশ্বাস করেন তাঁরা সর্বদা ভাবেন যে, এ পর্যন্ত বিবর্তিত পৃথিবীর গতিপথের মতো পৃথিবীটা বিবর্তিত হতেই থাকবে।
দ্বিতীয়ত, তাঁরা মনে করেন যে, এ-পর্যন্ত যা ঘটে গেছে সেটাই ব্রহ্মাণ্ডের শুভ মনোভাবের লক্ষ্য। এই দুটো বিবৃতি নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।
বিবর্তনের গতিপথ নিয়ে যুক্তিটা প্রধানত আহরিত হয়েছে জীবন-শুরু-হওয়া থেকে এই পৃথিবীতে যা ঘটেছে সেই ঘটনা থেকে। পৃথিবীটা এখন ব্রহ্মাণ্ডের একটি ক্ষুদ্র কোণ, এবং এটা ধরে নেবার মতো কারণ রয়েছে যে, এই পৃথিবীটা বাকি অংশের মতো নির্দিষ্ট ধরনের নয়।
বর্তমান সময়ে অন্য কোথাও জীবন আছে কি না, তা নিয়ে জেমস জিনস্ খুবই সংশয়ী। কোপার্নিকাসের বিপ্লবের আগে এটা ধরে নেওয়া খুবই স্বাভাবিক ছিল যে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্য বিশেষভাবে পৃথিবীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু এটা এখন একটা অগ্রহনযোগ্য প্রকল্প হিসাবে বিবেচিত হয়।
(চলবে…)
<<মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : তৃতীয় কিস্তি ।। মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : পঞ্চম কিস্তি>>
…………………….
অশেষ কৃতজ্ঞতা
ধর্ম ও বিজ্ঞান : বার্ট্রান্ড রাসেল
অনুবাদক- আতা-ই-রাব্বি
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
……………………
আরও পড়ুন-
মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : প্রথম কিস্তি
মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : দ্বিতীয় কিস্তি
মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : তৃতীয় কিস্তি
মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : চতুর্থ কিস্তি
মহাজাগতিক উদ্দেশ্য : পঞ্চম কিস্তি
……………………………..
আরও পড়ুন-
মহাবিশ্বের উৎপত্তি : প্রথম কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি : দ্বিতীয় কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : প্রথম কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : দ্বিতীয় কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : তৃতীয় কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : চতুর্থ কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : পঞ্চম কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : ষষ্ঠ কিস্তি
মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও পরিণতি : সপ্তম কিস্তি
সৃষ্টিরহস্য সম্পর্কে প্লাতনের মতবাদ
মহাবিশ্বের সৃষ্টি কাহিনী
পবিত্র কোরানে সৃষ্টিতত্ত্ব
আরশ ও কুরসী সৃষ্টির বিবরণ
সাত যমীন প্রসঙ্গ
সাগর ও নদ-নদী
পরিচ্ছেদ : আকাশমণ্ডলী
ফেরেশতা সৃষ্টি ও তাঁদের গুণাবলীর আলোচনা
পরিচ্ছেদ : ফেরেশতাগণ
জিন সৃষ্টি ও শয়তানের কাহিনী
সীরাত বিশ্বকোষে বিশ্ব সৃষ্টির বিবরণ
আদম (আ) পৃথিবীর আদি মানব
আদম সৃষ্টির উদ্দেশ্য
আদম (আ)-এর সালাম
আদম (আ)-এর অধস্তন বংশধরগণ
হাদীসে আদম (আ)-এর সৃষ্টি প্রসঙ্গ
আদম (আ)-এর সৃষ্টি