ভবঘুরেকথা
ভক্তের প্রকার ভক্তি ভক্ত

-মূর্শেদূল মেরাজ

‘সাধুগুরুপাগল’ যেমন ভাববাদ আলোকিত করে রাখে। তেমনি তাতে বাড়তি সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে ভক্তকুল। ভক্তকুল বিনে সাধুরবাজারের হাটবাজার বসে না। হয় না লেনাদেনা। গুরুবাদে যেমন নানার বৈশিষ্ট্যের গুরু দৃষ্ট হয় তেমনি রয়েছে নানান ভক্তের প্রকার।

সাধারণ বিচারে কেউ প্রেমময়, কেউ উগ্র, কেউ বিনয়ী, কেউ চালাক, কেউ অতি-চালাক, কেউ চতুর, কেউ বোকা, কেউ যুক্তিবাদী, কেউ ভক্তি-যুক্তি বাদী, কেউ কর্মবাদী, কেউ জ্ঞানী, কেউ প্রজ্ঞাবান, কেউ তথ্যসংগ্রহকারী, কেউ সমালোচক, কেউ আলোচক, কেউ সুবিধাবাদী, কেউ সাম্যবাদী, কেউ গুলবাজ ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।

আসলে মানুষ যেমন বৈচিত্রময় তেমনি ভক্তও বৈচিত্রময়। বিশেষ কোনো প্রকার-প্রকরণে তাদের ভাগে ভাগ করা মোটেও সহজ নয়। আমি আমার দেখা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা ভক্তদের নিয়ে এ বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করার চেষ্টা করছি মাত্র-

সাধনের যেমন নানা মত-পথ-প্রকার-প্রকরণ আছে। তেমনি ভক্তেরও আছে নানার প্রকার। মোটা দাগে সাধনপথকে তিনভাগে ভাগ করেন অনেক। অনেকে চারভাগে। অনেকে আবার বহুভাগে।

তিনভাগে বিভক্ত সাধনপথের ধারা হলো- জ্ঞানযোগ, কর্মযোগ ও ভক্তিযোগ। অনেকে এর সাথে ধ্যানযোগকে যুক্ত করে চারভাগে ভাগ করে।

তবে এর প্রতিটির আবার রয়েছে অসংখ্য শাখা-প্রশাখা। সেসব আলোচনা না হয় সাধনপথের প্রকার-প্রকরণ নিয়ে কোনো লেখায় উল্লেখ করা যাবে। আপাতত ভক্তের প্রকার নিয়ে যৎকিঞ্চিৎ কথা বলা যাক। তার আগে বরাবরের মতো সতর্কীকরণটা দিয়ে দেয়া যাক।

শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ তার পথের সাথী গ্রন্থে লিখেছেন- “মন্দিরের পুরোহিতের চাকুরী পাইয়াই মনে করিয়া বসিও না যে তুমি ভক্ত হইয়াছ, পুস্পচয়নের অধিকার পাইয়াই ভাবিও না যে তুমি ভক্ত হইয়াছ। ভোগ-রাগ সাজাইবার নির্দ্দেশ পাইয়াছ বলিয়াই মনে করিও না যে তুমি ভক্ত হইয়াছ।

এই লেখা নিতান্তই নবীন সাধকদের জন্য। যারা আধ্যাত্মবাদ-ভাববাদ-গুরুবাদ সম্পর্কে আগ্রহী নবীন তাদের জন্য। যারা এই পথে অনেকটা হেঁটেছেন তারা তো অনেকটাই জানেন তাদের প্রতি ভক্তি রেখে এই লেখা শুরু করছি। নবীনরা যাতে নিজেদের প্রশ্নগুলোকে একটু গুছিয়ে নিতে পারে সেটাই প্রচেষ্টা তার বেশি কিছু নয়।

সাধনপথে নানারূপ ভক্তের সাথে সাক্ষাৎ হয়। আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তাদের যেমন দেখেছি-দেখছি। তাদের নিয়ে যে ভাবে ভেবেছি বা ভাবি। তা নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা থেকেই এই লেখা।

শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ তার পথের সাথী গ্রন্থে লিখেছেন- “মন্দিরের পুরোহিতের চাকুরী পাইয়াই মনে করিয়া বসিও না যে তুমি ভক্ত হইয়াছ, পুস্পচয়নের অধিকার পাইয়াই ভাবিও না যে তুমি ভক্ত হইয়াছ। ভোগ-রাগ সাজাইবার নির্দ্দেশ পাইয়াছ বলিয়াই মনে করিও না যে তুমি ভক্ত হইয়াছ।

ভক্তের প্রথমে মরে অহঙ্কার তারপরে যায় মৃত্যুভয়। কর্ত্তৃত্বাভিমান ও ভয় থাকা পর্য্যন্ত নিজেকে ভক্ত বলিয়া জাহির করা আর ‘ভক্তি’ কথাটিকে গালি দেওয়া এক কথা।”

ভক্ত শব্দে অনেক রকম অর্থ আছে। আছে অগনিত প্রতিশব্দ। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য- অনুগত, অনুরক্ত, অনুরত, অনুরাগী, অনুগামী, অটল, আসক্ত, আন্তরিক, অবিচল, আস্থাবান, উৎসর্গীকৃত, একনিষ্ঠ, নিযুক্ত, নিরত, নৈষ্ঠিক, রত, বিবেকী, পুণ্যাত্মা, ভক্তিযুক্ত, যথাযথ, বিশ্বস্ত, নিষ্ঠাবান, শিষ্য, সম্প্রদায়ভুক্ত, নির্ভরশীল, প্রেমিক, প্রণয়ী, আত্মসংসর্গকারী, সেবক, কোনও উদ্দেশ্য বা আদর্শের আন্তরিক সমর্থক।

প্রাথমিকভাবে মোটাদাগের সাধনপথের ভাগের উপর ভিত্তি করেই ভক্তদেরও তিনভাগে ভাগ করে নিচ্ছি। এতে আলোচনা এগুতে সহজ হবে। অর্থাৎ জ্ঞানবাদী ভক্ত, কর্মবাদী ভক্ত ও ভক্তিবাদী ভক্ত।

জ্ঞানবাদী ভক্তের প্রকার

জ্ঞানবাদী ভক্তকে বুঝতে গেলে প্রথম বুঝতে হবে জ্ঞান কি? সাধারণভাবে বলা হয় জ্ঞান মানে ‘আলো’। অর্থাৎ জ্ঞান হলো তাই যা দিয়ে জীবন আলোকিত হয়। তার আলো প্রজ্জ্বলিত হলে সকলে তা দেখতেও পায়। তাকে চাপা রাখা যায় না। আর সেই আলোতে অন্যরাও আলোকিত হয়।

তবে আলো বেশি প্রখর হয়ে গেলেও তার দিকে যেমন তাকিয়ে থাকা যায় না। আবার খুব নিভু নিভু হয়ে গেলেও তাকে ভালোভাবে দেখা যায় না। আবার কৃত্রিম আলোর ব্যবহার করলে একসময় না একসময় তা স্পষ্ট হয়েই যায়। আবার সকল পরিবেশে সকল আলো মানানসই নয়।

তাই আলো যে দিচ্ছে তাকেও যেমন দেশ-কাল-পাত্র বুঝতে হয়। তেমনি যারা আলো নিচ্ছে তাদেরও দেশ-কাল-পাত্র বুঝতে হয়। অর্থাৎ রোদের তেজ বেশি হলে মানুষকে নিজেদেরই তার থেকে নিরাপদে থাকতে হয়। ছায়ায় ছায়ায় থাকতে হয়। আবার আলো কম হলে নিজেকেই রোদের কাছাকাছি যেতে হয়।

তাই যিনি জ্ঞান ধারণ করছেন তাকেও যেমন বুঝতে হয় তার সামনে কে বা কারা আছে। আবার যারা জ্ঞান আহরণ করতে আগ্রহী তাদেরও বুঝতে হয় কোথা থেকে, কার থেকে, কিভাবে তা নিতে হবে।

এই পথে যদি পাশ্চাত্য মতে সাধক এগোয় অর্থাৎ ক্রমাগত প্রশ্ন করে করে তার সমাধান খুঁজতে শুরু করে। তখন তার মাঝে একটা উদ্যত আচরণ প্রবেশ করার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কারণ জ্ঞান সে একা আসে না। সে হাতে হাত ধরে গড়িমাকে নিয়ে আসে।

এতো গেলে উপরি উপরি জ্ঞান ও জ্ঞানীর কথা। তবে একটা কথা এখানেই সেরে নেয়া ভালো। সেটা হলো জ্ঞান আর ‘তথ্য সংগ্রহ’ এক বিষয় নয়। আমরা সাধারণভাবে তথ্য সংগ্রহ ও সংজ্ঞা মুখস্থ করাকেই ভাবি জ্ঞান। আর যার কাছে যত তথ্য আছে-মুখস্থ বিদ্যা আছে তাকেই জ্ঞানী ভাবি।

কিন্তু আধ্যাত্মবাদে বা আধ্যাত্মসাধনে তথ্য সংগ্রহকে বা সংজ্ঞা মুখস্থকে জ্ঞান বলে ধরা হয় না। তথ্য সংগ্রহকারীকেও জ্ঞানী বলা হয় না। যিনি সংগৃহীত তথ্য-উপাত্য থেকে নিজের অনুভবের মধ্য দিয়ে আপন উপলব্ধিপ্রাপ্ত হন তাকেই জ্ঞানী বলা যায়।

যে তথ্য নিজে অনুধাবন করতে পারেন না। সাধক বা সাধুগুরু তাকে জ্ঞান হিসেবে গ্রহণ করেন না।

তাই এই জ্ঞান ধারণ করতে সাধক বা সাধুগুরুকে হতে হয় বিনয়ী, প্রেমময়, শ্রদ্ধাশীল। নয়তো জ্ঞানের সাথে গলদ ঢুকে পরে। অর্থাৎ জ্ঞানের সাথে গড়িমা প্রবেশ করে চিত্তে। চেতনায় অহংকার উদয় হয়। তাই জ্ঞানের পথ বেশ শক্ত একটা পথ সাধন পথে।

এই পথে যদি পাশ্চাত্য মতে সাধক এগোয় অর্থাৎ ক্রমাগত প্রশ্ন করে করে তার সমাধান খুঁজতে শুরু করে। তখন তার মাঝে একটা উদ্যত আচরণ প্রবেশ করার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কারণ জ্ঞান সে একা আসে না। সে হাতে হাত ধরে গড়িমাকে নিয়ে আসে।

যাক সে সব কথা। জ্ঞানী ভক্তের কথায় আসি। জ্ঞানী ভক্ত হলো তারাই, যারা যুক্তিতে সবকিছু বুঝে নিতে চায়। বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘যুক্তিতেই মুক্তি’। যুক্তি প্রমাণে বুঝে নেয়া সবচেয়ে যৌক্তিক বিবেচনা বলেই বিশ্বে স্বীকৃত। আর আমাদের প্রথাগত শিক্ষা ও বিজ্ঞান মানুসিকতাও একেই সমর্থন করে।

তবে যারা প্রাচ্য ধারায় এগোয় অর্থাৎ প্রশ্ন করার পরিবর্তে নিরবতার মাঝে। নিজের মাঝে উত্তরের অনুসন্ধান করে অর্থাৎ আত্ম উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে সমাধানে পৌছাতে চায়। তখন গড়িমার পরিবর্তে প্রেমের ভাব জাগ্রত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এতেও যে গড়িমা প্রবেশ করে না; এমনটা ভাববার কোনো কারণ নাই।

এটা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। কারণ ধারা যেটিই হোক। অর্থাৎ পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য যে ধারাতেই হোক না কেনো সাধকের মাঝে জ্ঞানের সাথে গড়িমা ভাব জাগতেই পারে। আবার যে কোনো ধারাতেই সাধক প্রেমময় হতে পারে। কিন্তু জ্ঞানের সাথে যে গড়িমার সম্পর্ক আছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।

জ্ঞানের পথ শক্ত হলেও বর্তমানে অধিকাংশ ভক্তই এই পথে এগুতে চায়। এর সাধারণ কারণ হলো আমরা সকল কিছুই বিচারশক্তি দিয়ে বিবেচনা করতে চাই। তবে আমাদের বিচার শক্তি ‘সিদ্ধ’ কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

আমরা নিজেদের বিচারশক্তিকে সিদ্ধ না করে অর্থাৎ শুদ্ধ না করেই। ধরে নেই আমাদের বিচারিক ক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে। কারণ প্রথাগত শিক্ষায় আমাদেরকে এভাবেই শেখানো হয়। কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে গেলে আমরা প্রথমে তার সংজ্ঞা মুখস্থ করে ফেলি। বিষয়টি বুঝি বা না বুঝি।

এতে যে বিপদটা হয় সেটা হলো আমরা যে বিষয়টা বুঝতে পারি নাই; সেটাও বুঝি না। আমরা ভেবেই নেই আমরা বিষয়টা বুঝে গেছি। তবে এসব ছাপিয়ে অনেকেই ঠিকঠাক মতো ঠিকই বুঝে নেয় সঠিক বিষয়টি। ডুবে যেতে পারে তথ্যের অতলে। সেখানে থেকে জ্ঞানসিন্ধুকে।

যাক সে সব কথা। জ্ঞানী ভক্তের কথায় আসি। জ্ঞানী ভক্ত হলো তারাই, যারা যুক্তিতে সবকিছু বুঝে নিতে চায়। বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘যুক্তিতেই মুক্তি’। যুক্তি প্রমাণে বুঝে নেয়া সবচেয়ে যৌক্তিক বিবেচনা বলেই বিশ্বে স্বীকৃত। আর আমাদের প্রথাগত শিক্ষা ও বিজ্ঞান মানুসিকতাও একেই সমর্থন করে।

তাই আমরাও প্রায় সকলেই যুক্তিতে বুঝতে চাই সবকিছু। এটি ভালো… বেশ ভালো…। এটাই হবার কথা। এভাবেই ভাবা উচিৎ। এভাবেই করতে হবে।

কিন্তু আমরা সাধারণত যুক্তিতে জয়ী হওয়ার জন্য এগুলো গুলিয়ে ফেলি। আমরা বিজ্ঞান, ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে গুলিয়ে ফেলি। রূপকথার গল্পে একটা ‘চরিত্র’ কতটা যুক্তিযুক্ত তারচেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব পায় সে পাঠককে কতটা আনন্দ দিতে পারে।

তবে আমরা যুক্তিটা কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করছি সেটা নিশ্চিত না হওয়া গেলে একটা সমস্যা থেকেই যায়। আর আধ্যাত্মবাদে তো এই সমস্যা চূড়ান্ত। কারণ আধ্যাত্মবাদ একটা বিশেষ পথ। এই পথে প্রবেশের কিছু নিয়মনীতি রয়েছে এই পথের মতো করেই।

যেমন বিজ্ঞানে প্রবেশ করতে গেলে সেই মোতাবেক ভাবতে শিখতে হয়। ধর্মে গেলে সেই মতে। দর্শনে গেলে সেই মতে। তদ্রূপ আধ্যাত্মবাদের নিজস্ব কিছু বিধিবিধান থাকে।

অনেকেই একে কু-সংস্কারের সাথে তুলনা করতে চান। সেটাও অযৌক্তিক নয়। কারণ না বুঝলে বিষয়টা কু-সংস্কার মনে হতেই বাধ্য; আমাদের বিজ্ঞান মনস্ক মস্তিষ্কে।

বর্তমান সমাজের বেশিভাগ মানুষেরই শিক্ষাই হলো পশ্চিমা ধারার শিক্ষা। যা মূলত নগর-রাষ্ট্র কেন্দ্রিক। তাই তার সাথে সংশ্লিষ্ট সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শন সকল কিছু মিলে মিশে থাকে।

অন্যদিকে প্রাচ্যের আধ্যাত্মবাদের ধারা হলো ব্রহ্মাণ্ড কেন্দ্রিক শিক্ষা। এ কারণে এখানে ভাবনাকে আরো ব্যপ্তিতে রাখতে হয়। শুধু নিজের বা সমাজের কথা ভাবলেই এখানে হয় না। এখানে ভাবতে হয় আরো গভীরে গিয়ে। আরো বিশাল পরিসরে।

ধর্মকে মূল অনুষঙ্গ যেমন- ‘বিশ্বাস’। বিজ্ঞানকে- ‘যুক্তি’। তেমনি আধ্যাত্মবাদের অনুষঙ্গ হলো- ‘বিশ্বাসের যুক্তি’।

কিন্তু আমরা সাধারণত যুক্তিতে জয়ী হওয়ার জন্য এগুলো গুলিয়ে ফেলি। আমরা বিজ্ঞান, ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে গুলিয়ে ফেলি। রূপকথার গল্পে একটা ‘চরিত্র’ কতটা যুক্তিযুক্ত তারচেয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব পায় সে পাঠককে কতটা আনন্দ দিতে পারে।

(চলবে…)

ভক্তের প্রকার: দ্বিতীয় কিস্তি>>

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

…………………….
আরো পড়ুন:
ভক্তের প্রকার: প্রথম কিস্তি
ভক্তের প্রকার: দ্বিতীয় কিস্তি
ভক্তের প্রকার: তৃতীয় কিস্তি
ভক্তের প্রকার: চতুর্থ কিস্তি
ভক্তের প্রকার: পঞ্চম কিস্তি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!