ভবঘুরেকথা
ফকির লালন সাঁইজি

লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব আট

-মূর্শেদূল মেরাজ

সাঁইজির একটা গান ব্যাণ্ড গানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল- ‘করিমনা কাম ছাড়ে না’। পদটি এতোই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যুব সমাজের কাছে যে। এখনো ‘করি মানা’ শব্দটি করিমনা হিসেবেই প্রচলিত। এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে।

এ যে কেবল শহুরে শিল্পীরা করেছেন তাও না। অনেকে সচেতন ভাবেও শব্দের পরিবর্তন করেছেন। পাল্টে দিয়েছেন গোটা বাক্য এমনকি অন্তরাও পরিবর্তন করেছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার অন্যের পদ সাঁইজির পদ বলেও চালিয়ে দিয়েছেন।

এর পুরো দোষ বা দায় ভার শিল্পীর উপর চাপিয়ে দেয়া অন্যায়। কারণ এর সাথে সাধুগুরু, পদ সংগ্রহকারী, প্রচারকারী, লেখক গবেষকদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

শহুরে পরিবেশে যারা সংগীত শেখে। সংগীত করে। তাদের অনেকেই লালনের মতাদর্শের সাথে পরিচিত নয়। তাদের অনেকের কাছেই লালন ফকির একজন স্রেফ গীতিকার। তাই তারা যে লিরিক পায় তাতে তাদের গায়কির মুন্সিয়ানা দিয়ে গাইবার চেষ্টা করেন।

কিন্তু যারা এই বিষয়ে বিজ্ঞ। যারা লালনকে জানে-বোঝে বা জানার-বোঝার চেষ্টায় আছে। তারা তর্কে না জড়িয়ে যদি বিনয়ের সাথে তাদের ভুলগুলো শুধরে দেয়ার পদক্ষেপ নিতেন। তাহলে হয়তো অনেক আগেই অনেক ভুল প্রচলিত শব্দ পরিবর্তিত হয়ে সঠিক শব্দগুলো প্রচার পেত।

কিন্তু সেই পদক্ষেপ কেউ নেয়নি। বরঞ্চ হয়েছে বাহাস। তর্ক-বিতর্ক। তাতে আখেরে কোনো লাভ হয় নি।

তবে দিন দিন যারা অন্য গান ছেড়ে লালনের গানে ডুব দিচ্ছে। বা যারা লালনের গানই করেন। তাদের দায়িত্ব বাড়ছে। তাদের সঠিক পদ, সঠিক শব্দ, সঠিক ভাব বোঝার দায় বাড়ছে।এই দায় তারা এড়াতে পারে না।

সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ঘটা করে বাউল দল তৈরি করেছে। দীর্ঘ দিন ধরে কর্মশালা চলছে। যদিও বলা হচ্ছে বাউল দল। কিন্তু সাঁইজিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। বিষয়টা ভালো। শহুরে ভঙ্গিতে পূর্ণিমায় পূর্ণিমায় সাধুসঙ্গ করার রেওয়াজও চালু করেছে।

সেদিন এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে এক বাউল শিল্পী গানের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলছিলেন ‘শালগ্রাম’ মানে শাল গাছের গ্রাম। উনি দীর্ঘদিন ধরে লালন ঘরে চলাচলকারী শিল্পী এবং লালন মতের গুরুর কাছে দীক্ষা প্রাপ্ত।

এই জ্ঞানের বহর নিয়ে আলোচনায় যাওয়া বিপদজনক। তাই শিল্পীদের গুরুত্ব দেয়া উচিৎ যতটা পারা যায় নির্ভুল শব্দ, সঠিকভাব ও আদিসুরকে প্রাধান্য দেয়া। সেই দিকে গুরুত্ব দেয়া। তারপর উপযুক্ত হলে বা সাধক শিল্পী হতে পারলে তবেই মঞ্চে বা লোকের কাছে মুখ খোলা।

আর না হলে হিতে বিপরীত হতেই পারে। বাহারি পোশাক, সাজ-সজ্জার চেয়ে মূলভাবকে ধরাই প্রকৃত লালন শিল্পীর কাজ হওয়ার কথা। আর যারা নিতান্ত শখের বসে লালন গান করেন। তারা হয়তো চাকচিক্য ও চটকের দিকে নজর রাখবে।

তবে কোন গানের কোন ভাব সেটা একটু বুঝে নিলে ভাব দিতে সুবিধেই হবে তাদেরও। নইলে দেখা যায় বিরহ পর্যায়ের পদকেও হাসি-তামাশায় পরিণত করে। গৌর ভাবের বিচ্ছেদ পর্যায়ের গানকেও দেখা যায় আনন্দ নৃত্যের সাথে উপস্থাপন করা হয়।

সম্প্রতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী ঘটা করে বাউল দল তৈরি করেছে। দীর্ঘ দিন ধরে কর্মশালা চলছে। যদিও বলা হচ্ছে বাউল দল। কিন্তু সাঁইজিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। বিষয়টা ভালো। শহুরে ভঙ্গিতে পূর্ণিমায় পূর্ণিমায় সাধুসঙ্গ করার রেওয়াজও চালু করেছে।

শিল্পীদের মতি আসবে। তারা প্রকৃত ভাবের সন্ধান করবে। সাঁইজির পদকে বিনোদনের বদলে আরাধনা জ্ঞানে গাইবেন এটাই প্রত্যাশা। কারণ তারাই বারবার আমাদের মাঝে সাইজিকে উপস্থিত করেন। তাদের সুরের মূর্ছনাতে আমরা সাঁইজিকে নতুন করে আবিষ্কার করার স্বপ্ন দেখি।

অনেক সময় প্রকৃত সাধুগুরুদের নিয়েও নানা আয়োজন করার চেষ্টা করছে। পোশাক-আশাকে লালনকে উপস্থাপনের চেষ্টারও কমতি নেই। কিন্তু সবই হাস্যকর হয়ে উঠে যখন তারা লালন ভাবকে ধারণ না করে নৃত্যকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

পারফমিং আর্ট বলে একটা কথা আছে। তবে পারফমিং আর্ট মানেই নয় নাগিন নৃত্য করা। গাইতে গাইতে শিল্পী দেহে তাল আসতেই পারে। সে নেচে গেয়ে গান করতেই পারে। ভাব গানে তাতে আপত্তি থাকবার কথা নয়। কিন্তু আরোপিত নৃত্য ভাবগানের সাথে যায় না।

শিল্পকলা সারাদেশ থেকে শিল্পী, বাউল, বয়াতীদের ধরে এনে এক জায়গায় জড়ো করে তাদের মধ্যে ভাবের উদয় না ঘটিয়ে। নৃত্যের উদয় ঘটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়টা বাউল গানের সাথে কোনো কোনো ক্ষেত্রে গেলেও সাঁইজির গানের সাথে যায় বলে আমার তো মনে হয় না।

নারীর যৌনতা, দেহকে পুঁজি করে গান বিক্রি করতে হয় অধিক লগ্নির গানকে। সাঁইজির গানে তার প্রয়োজন কতটা তা নিয়েও প্রশ্ন করা যায়। যাওয়াই উচিৎ। এখানে মার্জিত ভাবই নারীকে মহোনীয় করে। ভক্তিতে সিক্ত করে।

শিল্পীদের মতি আসবে। তারা প্রকৃত ভাবের সন্ধান করবে। সাঁইজির পদকে বিনোদনের বদলে আরাধনা জ্ঞানে গাইবেন এটাই প্রত্যাশা। কারণ তারাই বারবার আমাদের মাঝে সাইজিকে উপস্থিত করেন। তাদের সুরের মূর্ছনাতে আমরা সাঁইজিকে নতুন করে আবিষ্কার করার স্বপ্ন দেখি।

তাই তাদের কাছে প্রত্যাশাও আমাদের অনেক অনেক বেশি। কারণ তাদেরকেই সবচেয়ে সামনে দেখা যায়। বাকিরা তো থেকে যায় আড়ালে। সে কারণে যারা উপস্থাপন করে তাদের দায়িত্ব, দায়িত্ব জ্ঞান অনেক বেশি। আর সেই দায়িত্ব তারা সঠিক ভাবে পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা নিবে সেই প্রত্যাশায়। জয়গুরু।।

লালন চর্চায় সাধুসঙ্গ-

সাধুসঙ্গে নবীন সাধক, অনুরাগী, উৎসাহীদের জন্য শিখবার অনেক কিছুই থাকে। যা মূলত সাধনায় প্রবেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একেবারে নবীন ও ভিন্নধারা থেকে যারা সাধুসঙ্গে প্রথম আসেন। তারা যথাযথ সাধুসঙ্গ পেলে তার সেবা দেয়ার আচার দেখলেই মোহিত হয়ে যায়।

সাধুসঙ্গের সৌন্দর্য, বিধিবিধান, আচার, রীতির শুদ্ধতার প্রেমে পড়ে যান অনেকেই। আলেক দেয়ার মধ্য দিয়ে সাধুসঙ্গের অধিবাস শুরু হয়। আলেক, চাল-জল, ভক্তি ও নিবেদন পর্ব শেষে সাধুগুরু সহ উপস্থিত সকলকে দেয়া হয় রাখাল সেবা।

এই সেবায় সাধারণত শুকনা খাবার সেবা দেয়া হয়। প্রধানত মুড়ি, চিড়া, মুড়কি, বাতাসার সাথে আধুনিক সময়ে চানাচুর, মিষ্টি প্রভৃতি দেয়া হয়। রাখাল সেবা শেষ হয় চা-জল পানের মধ্য দিয়ে। চলতে থাকে ফকির লালন সাঁইজির দৈন্য পদ

সাধুসঙ্গে উপস্থিত বয়োজেষ্ঠ্য সাধুগুরুরা একে একে পরিবেশ করেন দৈন্য পদ। সমর্পণভাবে সাধক গুরুর স্মরণের প্রত্যাশায় বিনয়ের পূর্ণভাব প্রকাশ করে গানের প্রতিটি শব্দে, অক্ষরে, সুরে। বিরতি দিয়ে বা না দিয়ে এই পদ পরিবেশন চলতেই থাকে।

প্রবীণ সাধুগুরুদের পর আমন্ত্রিত ও উপস্থিত শিল্পীরা পরিবেশ করে চলে সাঁইজির পদ। কোথাও কোথাও এখনো প্রথা মেনে স্থূল, প্রবর্ত, সাধক হয়ে সিদ্ধির দেশের গান পরিবেশিত হয়। হয় জবাবী গান, গুরু-শিষ্য পদ প্রভৃতি। এভাবে মধ্যরাত পর্যন্ত চলতে থাকে।

একই গুরুর ঘরের সকল সাধুসঙ্গ একই ধারায় চলতে থাকে বলে। পরপর কোন পদ হবে সেটাও এক সময় মুখস্থ হয়ে যায় আমন্ত্রিতদের। তাই অনেকে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। কোন প্রকার মনোমুগ্ধকার আলোচনা না হওয়ায় এখন সাধুসঙ্গের মূল আকর্ষণ গিয়ে ঠেকেছে আমন্ত্রিত জনপ্রিয় শিল্পীর গান।

রাতের সেবা প্রস্তুত হলে বন্ধ হয় গানের আসর। সকলে পরিপাটি হয়ে নিজ নিজ আসনে বসলে দেয়া হয় অধিবাসের সেবা। সাধারণত তিন পদের সবজি ও ডাল, ভাত দিয়ে হয় এই সেবা। সেবা-শান্তি হলে একটু ঘুমিয়ে নেয়া।

আবার ভোর ভোর শুরু হয়ে যায় গোষ্ঠ লীলা। গোষ্ঠ পদ পরিবেশের পর চাল-জল ভক্তি পর্ব সেরে সকলে বসে যায় বাল্য সেবায়। সাধারণত মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিবেশন করা হয় এই পাতে। পাঁচ পদের ফল, চিড়া, মুড়ি, দই, মিষ্টি সহযোগে হয় বাল্য সেবা।

অনেকে এর পাশাপাশি ডাল-ভাত-সবজি-রুটি বা যুগল অন্নের আয়োজনও রাখে। তারপর আবার শুরু হয় সাঁইজির পদ। দুপুরের পুন্যসেবার আগ পর্যন্ত চলতে থাকে পদের পরিবেশনা। পুন্য সেবার আয়োজন হলে সাধুগুরুরা সম্মিলিত হয়ে সাধুসঙ্গের বিদায়ী পদ ধরে।

সঙ্গ শেষের বেদনা আর নতুন সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার আনন্দে গৌর ভাবে শেষ হয় সঙ্গের পদ পরিবেশন। তারপর শুরু হয় পুণ্যসেবা। তিন বা পাঁচ পদের সবজি, মাছ, ডাল সহযোগে সেবার শেষে দেয়া হয় দই, মিষ্টি। এর মাঝে শেষ হয় আট প্রহরের সাধুসঙ্গ।

অনুসন্ধানী সাধকরা এর মাঝেই খুঁজে নিতে পারে যা সে খুঁজে চলেছে সঙ্গ থেকে সঙ্গে। কিন্তু সমস্যার বিষয় হলো। ধারা একই হওয়ায় কিছু দিন সঙ্গ করার পর অনেকেই অভ্যস্ত হয়ে উঠে। একই জিনিস বার বার পুনরাবৃত্তি দেখতে দেখতে এর থেকে নতুন কিছু পাওয়া সকলের পক্ষে আর সম্ভব হয় না।

একই গুরুর ঘরের সকল সাধুসঙ্গ একই ধারায় চলতে থাকে বলে। পরপর কোন পদ হবে সেটাও এক সময় মুখস্থ হয়ে যায় আমন্ত্রিতদের। তাই অনেকে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। কোন প্রকার মনোমুগ্ধকার আলোচনা না হওয়ায় এখন সাধুসঙ্গের মূল আকর্ষণ গিয়ে ঠেকেছে আমন্ত্রিত জনপ্রিয় শিল্পীর গান।

পরিশেষে সাধুগুরুদের চরণে নতশিরে বিনয়পূর্ণ ভক্তি দিয়ে বলি। আপনাদের সম্মিলিত চেষ্টাতেই আবার সাধুসঙ্গ প্রকৃত সাধুসঙ্গ হয়ে উঠতে পারে। আপনাদের একতাতেই সাঁইজির দরবারে মেলার পরিবর্তে হতে পারে সাধুসঙ্গ। আপনাদের চেষ্টাতেই সাঁইজির পদের বিকৃতি বন্ধ হতে পারে।

তাই শিল্পীরাও নেচে গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করায় রত থাকে। তারা হয়ে উঠে মূল আকর্ষণ। সাধুগুরুরা হয় অবহেলার পাত্র। সাধুসঙ্গ মানেই অনেকক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে সেবা নেয়া আর মঞ্চের গান শোনা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সাধুসঙ্গ তো সাধুদের সাথে সঙ্গ করা।

তাদের দেখা। তাদের শোনা। তাদের মাধ্যমে জানা। তার ভেতর দিয়ে ফকির লালন ও তাঁর মতাদর্শকে জানা। সর্বোপরি নিজেকে জানা। কিন্তু এখানেও আক্ষেপ করে বলতেই হচ্ছে। এখানেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা ভিক্ষা করেই বিনীত ভাবে এ কথা বলছি।

লালন সাঁইজিকে জানার সবচেয়ে বড় ক্ষেত্রে হওয়ার কথা ছিল সাধুসঙ্গ। অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না সাধুগুরুদের আখড়ায় যাওয়া সাধারণ সময়ে। কিন্তু সাধুসঙ্গ হলে বিষয়টা অনেক সহজ হয়। কিন্তু সেখানে গিয়েও অনেকক্ষেত্রে যখন বিশেষ কিছু পায় না তখন অনেকেই হতাশ হয়।

এখানে সবচেয়ে বড় আফোসের বিষয় হলো, ফকিরকুলের শিরোমণি ফকির লালন সাঁইজির আখড়ায় বছরে যে দুইটা সঙ্গ হয়। সেগুলোও এখন মেলায় পরিণত হয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টার একটা সাধুসঙ্গ হয় চলমান মেলার ভেতরেই। তাও হয়ে অনেকটা নম: নম: করে।

কোনো মতে করে শেষ করা হয়। লালন ঘরের ফকিররা নিজ পরম গুরু ফকির লালন সাঁইজির দরবারের দায়িত্ব হাতে তুলে নেয় নি। বা নেয়ার আগ্রহ চূড়ান্তরূপে সম্মিলিতভাবে প্রকাশ করেনি। তাই যারা এখন পরিচালনা করছে তারা যে মতে বুঝছে সেই মতেই সঙ্গ হচ্ছে। আসলে সঙ্গ নয় মেলা হচ্ছে।

পরিশেষে সাধুগুরুদের চরণে নতশিরে বিনয়পূর্ণ ভক্তি দিয়ে বলি। আপনাদের সম্মিলিত চেষ্টাতেই আবার সাধুসঙ্গ প্রকৃত সাধুসঙ্গ হয়ে উঠতে পারে। আপনাদের একতাতেই সাঁইজির দরবারে মেলার পরিবর্তে হতে পারে সাধুসঙ্গ। আপনাদের চেষ্টাতেই সাঁইজির পদের বিকৃতি বন্ধ হতে পারে।

আশা করি তা অচিরেই হবে। সাঁইজি কৃপা করুক। এই প্রত্যাশা যাতে পূরণ হয়। জয়গুরু।।

(চলবে…)

<<লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব সাত ।। লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব নয়>>

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

……………………………………
আরো পড়ুন-
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব এক
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব দুই
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব তিন
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব চার
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব পাঁচ
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব ছয়
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব সাত
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব আট
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব নয়
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব দশ
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব এগারো
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব বারো
লালন চর্চা কোন পথে? : পর্ব তেরো

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!