ভবঘুরেকথা

Search Results for : শ্রীকৃষ্ণ

    প্রথম খণ্ড : কর্মযোগ

    ০১. কর্ম-চরিত্রের উপর ইহার প্রভাবকর্ম শব্দটি সংস্কত ‘কৃ’-ধাতু হইতে নিষ্পন্ন; ‘কৃ’-ধাতুর অর্থ ‘করা’; যাহা কিছু করা হয়, তাহাই কর্ম। এই শব্দটির আবার পারিভাষিক অর্থ ‘কর্মফল’। দার্শনিকভাবে ব্যবহৃত হইলে কখন কখন উহার অর্থ হয়-সেই-সকল ফল, আমাদের পূর্ব কর্ম যেগুলির কারণ। কিন্তু কর্মযোগে আমাদের ‘কর্ম’ শব্দটি কেবল ‘কাজ’ অর্থেই ব্যাবহার করিতে হইবে। মানবজাতির চরম লক্ষ্য-জ্ঞানলাভ। প্রাচ্য দর্শন […]

    প্রথম খণ্ড : স্বামী বিবেকানন্দ চিকাগো বক্তৃতা

    ০১. ভূমিকা১৮৯৩ খ্রীষ্টাব্দে চিকাগোতে সে বিশ্বমেলা ১ হইয়াছিল, ধর্ম-মহাসভা সেই উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত একটি সন্মেলন। পাশ্চাত্যদেশে আজকাল যে সকল বিরাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী প্রায় অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে, সেগুলির সহিত সাহিত্য-কলা-এবং বিজ্ঞান-সন্মেলন সংশ্লিষ্ট করাও একটা রীতি হইয়া দাঁড়াইয়াছে। যে বিষয়গুলি মানবজাতির পক্ষে কল্যাণকর, তাহাদের ইতিহাসে এইরূপ প্রত্যেকটি অধিবেশন যে স্মরণীয় হইয়া থাকিবে, তাহাও আশা করা যায়। আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী […]

    বিজয়কৃষ্ণ

    -প্রণয় সেন বাংলা ১২৪৮ সালের ১৩ শ্রাবণ। সোমবার। সেদিন ছিল ঝুলন পূর্ণিমার রাত।  জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধ আলোয় প্লাবিত হয়ে গেছে নদীয়া জেলার দহকুল গ্রাম। এই গ্রামেই বিজয়কৃষ্ণের মামাবাড়ি। আর এই মামাবাড়িতেই সেই পূর্ণিমার আলোয় এক কচুবনের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এক দেবশিশু। হ্যাঁ, কচুবনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিজয়কৃষ্ণ। বিধাতার এক রহস্যময় বিধানে সেখানেই ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন মহান ভক্তিসাধক। পিতৃদেব […]

    রাসমণি

    রাসমণি কথিত আছে, একদিন বৈশাখ মাসের দুপুরে রাসমণি দেবী সেখানকার দলনায় দুলে একটি ডুমুর গাছের তলায় বসে বিশ্রাম করার সময় লক্ষ্য করেন যে, একটি ডুমুরগুচ্ছের মধ্যে দু-তিনটি ডুমুরের ফুল ফুটে আছে। রাসমণি দেবী তাঁর মাতার কাছে শুনেছিলেন যে, ডুমুরের ফুল দেখা যায় না, তবে যদি কেউ দেখতে পায়, নিশ্চয়ই ধনী ও সুখী হয়। রাসমণি দেবী […]

    ষড় গোস্বামী

    ষড় গোস্বামীকে চৈতন্য বলেছিলেন, ‘নিজ প্রিয় স্থান আমার মথুরা বৃন্দাবন’। চৈতন্য নিজে বার বার বৃন্দাবনে যেতে চেয়েছেন, প্রথম দু’বার চেষ্টা করেও পারেননি। শেষ পর্যন্ত তিরিশ বছর বয়সে নীলাচল থেকে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে কাশী প্রয়াগ মথুরা হয়ে বৃন্দাবন পৌঁছলেন চৈতন্য, সঙ্গে শুধু বলভদ্র ভট্টাচার্য। বৃন্দাবন তখন জনবিরল জঙ্গলময়, মন্দির-ঘাট-কুঞ্জ-জনবসতি কিছুই নেই। এত নির্জন যে, চৈতন্য […]

    লাটু মহারাজ শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত সৃষ্টি

    “লাটু যেরূপ পারিপার্শিক অবস্থার মধ্য হইতে আসিয়া অল্প দিনের মধ্যে আধ্যাত্মিক জগতে যতটা উন্নতিলাভ করিয়াছে-এতদুভয়ের তুলনা করিয়া দেখিলে সে আমাদের অপেক্ষা অনেক বড়। আমরা সকলেই উচ্চবংশজাত এবং লেখাপড়া শিখিযা মার্জিত বুদ্ধি লইয়া ঠাকুরের নিকট আসিয়াছিলাম ; লাটু কিন্তু সম্পূর্ণ নিরক্ষর। আমরা ধ্যান-ধারণা ভাল না লাগিলে পড়াশুনা করিয়া মনের সে ভাব দূর করিতে পারিতাম । লাটুর […]

    নীলাচলে মহাপ্রভুর অন্ত্যলীলার অন্যতম পার্ষদ ছিলেন রায় রামানন্দ

    নীলাচল থেকে দাক্ষিণাত্য পরিব্রাজনের পথে বিদ্যানগরে চৈতন্যদেবের সঙ্গে রায় রামানন্দের সাক্ষাৎকার এবং কথোপকথন ইতিহাসের এক স্বর্ণঅধ্যায়। গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শনের সাধ্যসাধন তত্ত্বের পরিক্রমা সেই সাক্ষাৎকার ও কথোপকথনের সার্থক ফলশ্রুতি। রাজা প্রতাপরুদ্রের সভাপণ্ডিত বাসুদেব সার্বভৌম ভট্টাচার্যের অনুরোধে মহাপ্রভু মিলিত হয়েছিলেন রায় রামানন্দের সঙ্গে। বিদ্যানগরের শাসনকর্তা রায় রামানন্দ জাতিতে ছিলেন অব্রাহ্মণ। তাঁর জন্মক্ষণ এবং জন্মস্থান সম্পর্কে সঠিক বিবরণ […]

    স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস

    স্বামী নিগমানন্দ পরমহংস (১৮ আগষ্ট, ১৮৮০- ২৯ নভেম্বর, ১৯৩৫) নদীয়া জেলার তখনকার সাবডিভিশন কুতুবপুর নামক ছোট গ্রামে (কিন্ত্তু বর্তমানে বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলায়) এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুর নামেও পরিচিত। চৈতন্য মহাপ্রভুও এই একই জেলায় জন্মগ্রহন করেছিলেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর তিনি পরমহংস শ্রীমদ স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতী দেব নামে পরিচিত হন। নিগমানন্দ ছিলেন […]

    স্বামী অড়গড়ানন্দজী

    স্বামী অড়গড়ানন্দজী ।। শ্রী পরমহংস স্বামী অড়গড়ানন্দজী মহারাজ এর পরিচয়।। জন্ম – ১৯৩২ সালে, রাজস্থানের অসিয়াঁ গ্রামে। তিনি তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছিলেন। কিছুদিন দর্জির দোকানে কাজ করলেন। তারপর সেনাবাহিনীতে যোগ দিলেন। বিয়ে করলেন, এক পুত্র সন্তানের পিতা হলেন। কিন্তু সংসারে শান্তি ছিল না। সেনাবাহিনীতে এক বাঙ্গালী মুখার্জী বাবু তাঁকে বিভিন্ন মহাপুরুষের জীবনী শোনাতেন, যা […]

    বেদ :: দেবতত্ত্ব ও হিন্দু ধর্ম্ম

    -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বেদ, হিন্দুশাস্ত্রের শিরোভাগে। ইহাই সর্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন এবং আর সকল শাস্ত্রের আকর বলিয়া প্রসিদ্ধ। অন্য শাস্ত্রে যাহা বেদাতিরিক্ত আছে, তাহা বেদমূলক বলিয়া চলিয়া যায়। যাহা বেদে নাই বা বেদবিরুদ্ধ, তাহাও বেদের দোহাই দিয়া পাচার হয়। অতএব, আগে বেদের কিছু পরিচয় দিব। সকলেই জানেন, বেদ চারিটি-ঋক্, যজুঃ, সাম, অথর্ব্ব। অনেক প্রাচীন গ্রন্থে দেখা যায় যে, […]

error: Content is protected !!