ভবঘুরেকথা

Search Results for : শ্রীকৃষ্ণ

    কানাই ঠাকুর নামে

    অপার্থিব প্রেমাবদ্ধ দম্পতীর একসঙ্গে দেহত্যাগ কানাই ঠাকুর নামে তালেশ্বর গাঁয়। বাগহাট থানা মধ্যে খুলনা জিলায়।। হেমন্তকুমারী নামে সাধ্বী পত্নী তার। অপার্থিব প্রেমে বদ্ধ এই নারী নর।। শ্রীগুরুচাঁদের পদে দৃঢ় নিষ্ঠা রাখে। পতি পত্নী সর্বদায় একসঙ্গে থাকে।। পুত্র-কন্যা-হীন দেখি প্রভু বলে তাকে। “সন্তান বলিয়া তোরা পোষ এক পাখী।।” শালিকের বাচ্চা এক রাখিল পুষিয়া। হরি বলে দিন […]

    আর দিন সে

    শ্রীশ্রীহরিচাঁদকে দর্শণ ও শক্তিলাভ “আমারে আড়াল করিয়া দাড়াও হৃদয়-পদ্মদলে” –বরীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর দিন সে তারক গেল সেই দেশে। সাধনা করিছে যেথা মৃত্যুঞ্জয় বসে।। প্রণাম করিল গিয়া গোস্বামীর পায়। হাসি হাসি মৃত্যুঞ্জয় তারে ডেকে কয়।। “তারক হে! তুমি নাহি জান সমাচার। ওড়াকান্দী হরিচাঁদ হরি-অবতার।। মোর যাহা কিছু দেখ সবি তাঁর দয়া। আমাকে ঘিরিয়া আছে তাঁর কৃপা-ছায়া।। […]

    মহাশক্তি লক্ষ্মীর বাহন

    লগ্নী কারবার“অর্থে জান ‘ মহাশক্তি লক্ষ্মীর বাহন।যথা লক্ষ্মী তাঁর সাথে আছে নারায়ণ “।।অবিরত গুরুচাঁদ এই বাণী কয়।জনে জনে সর্ব্বক্ষণে এ নীতি শিখায়।।অর্থ লাভে কোন কালে অলস না হবে।পেলে ধন হীন স্থানে কুড়ায়ে তা লবে।।পরম পবিত্র অর্থ লক্ষ্মীর আশ্রয়।সৎ পথে সেই ধন লইবে সদায়।।যথা তথা হতে ধন আন নিজ ঘরে।সাধু – শ্রমে আন তারে বিবিধ প্রকারে।।এমন কি ধন […]

    খুলনা জেলা মধ্যে

    কৃষ্ণ বেপারীর কাহিনী খুলনা জেলা মধ্যে চিতলমারী থানা। চল বাণীয়ারী গ্রাম সকলের জানা।। সেই গ্রামে বাস করে শ্রীকৃষ্ণ বেপারী। অশ্বিনীর প্রিয় ভক্ত সদা বলে হরি।। অশ্বিনীর চরণেতে দৃঢ় ভক্তি তার। মন প্রাণ সপে দিয়ে হল নির্বিকার।। একদিন সে অশ্বিনী ঘুরিতে ঘুরিতে। উদয় হইল গিয়া কৃষ্ণের বাড়িতে।। হরি বলে যখনেতে বাড়িতে উঠিল। কৃষ্ণের রমনী এসে চরণে […]

    লাল চন্দ্র পুর গ্রাম

    ভক্তের  বাধ্য হরিচাঁদলাল চন্দ্র পুর গ্রাম খুলনা জেলায়।কবিগান হবে সেথা জানিল সবায়।।কালীকৃষ্ণ নামে এক জমিদার ছিল।তার বাড়ী কবিগান বন্দোবস্ত হল।।তারক গোঁসাই এল গান গাহিবার।মথুর নামেতে এল অন্য সরকার।।দুই দলে হবে সেথা কাব্য আলোচনা।দলে দলে সবে এল শুনিতে বাসনা।।বহু লোক এলা তথা গান শুনিবারে।দুই দল উঠিলেন কবির আসরে।।ভবানী বিষয় আর আগমনী হয়।সখী সংবাদ কবি যে হয়ে গেল সায়।।তারপর পাঁচালীতে গেল দুই জন।গান শুনে আনন্দিত সবাকার মন।।মথুর সাজিল গিয়ে কেশব কাশ্মীরী।তারকেরে সাজাইল শ্রীগৌরাঙ্গ হরি।।কেশব কাশ্মীরী শেষে কহিতে লাগিল।তুমি নাকি ভগবান লোকে তাই বলে।।তুমি যদি ভগবান বলি যে তোমায়।হরি নামে মাতোয়ারা সকল সময়।।দু’টি কথা বলি তোমা শুন দিয়া মন।বৃন্দাবনে তুমি যবে করিলে ভ্রমণ।।হরি নামে মাতোয়ারা ঝরে দু’টি আখি।হেন কালে দুই হাতে পড়ে দুই পাখী।।শুক আর সারী এই পাখী দুইজন।দুই শ্লোক বলে তারা কিসের কারণ।।শ্লোক দু’টি বল আজি এ সবার মাঝ।তবে আমি বুঝে লব তুমি রসরাজ।।শ্লোকের অর্থ কিবা বল ভগবান।প্রাণ ভরে শুনে আমি জুড়াইব কান।।তারপর শ্রী তারক আসরেতে যায়।শ্লোকের অর্থ কিবা খুঁজিয়া না পায়।।ধামা চাপা দিয়ে বলে তারক গোঁসাই।হরি নামে মাতোয়ারা শুনিতে না পাই।।তারপর সে মথুর আসরেতে যায়।ব্যাঙ্গ করে তারকেরে কত যে কি কয়।।তাই শুনে সে তারক বাহিরেতে গেল।নয়নের জলে বক্ষ ভাসিতে লাগিল।।নির্জনে বাসিয়া কবি ভাবে মনে মন।কোথা প্রভু হরিচাঁদ কি করি এখন।।তোমার আদেশ নিয়া কবিগান গাই।তোমার কৃপায় কোথা পরাজয় নাই।।এবে তুমি বলে দাও কি হবে উপায়।তোমার নামের বুঝি হয় পরাজয়।।সাধন না জানি প্রভু ভজন না জানি।এ বিপদে রক্ষা কর হরি গুণমণি।।তুমি যারে রক্ষা কর ওগো দয়াময়।তার কভু নাহি হয় হেন পরাজয়।।মহাভাব উথলিয়া আখি দু’টি ঝরে।ওড়াকান্দি থেকে হরি জানিল অন্তরে।।ভক্তের লাগিয়া আজি হরি দয়াময়।কাগজেতে শ্লোক লিখে বাতাসে ভাসায়।।বাতাসেতে ভেসে ভেসে সে কাগজ খানি।তারকের মস্তকেতে পড়িল অমনি।।তাই দেখে সে তারক কাগজ ধরিল।দুই শ্লোক লেখা আছে দেখিতে পাইল।।মনে মনে ভাবিতেছে কবি রসরাজ।ভক্ত বাঞ্ছাকল্পতরু তার এই কাজ।।তখনি তারক চন্দ্র আসরেতে যায়।শোক দু’টি ব্যাখ্যা করি সবারে জানায়।।কবির খোলায় যত শ্রোতাগণ ছিল।আনন্দেতে আত্মহারা প্রেমেতে ভাসিল।।(শ্লোকের অর্থ)যাহার সৌন্দর্য দেখে ললনা ভুলিল।স্ত্তম্ভবিধায়িনী রাধা প্রেমেতে মজিল।।যেই প্রভু গোবর্ধন করিল ধারণ।তাই দেখে জনগণ আনন্দিত মন।।বিশ্বজন হিত লাগি মদন মোহন।বিশ্বের মঙ্গল করে সেই কৃষ্ণধন।।শ্রীরাধার প্রেম আর নত্তন কীর্তন।শ্রীকৃষ্ণের করিলেন চিত্ত আকর্ষণ।।এত বলি শ্রীতারকে ব্যাখ্যা যে করিল।শ্রোতাগণ সুখী হয়ে আনন্দে ভাসিল।।জয় জয় ধ্বনি ওঠে আকাশ ভেদিয়া।রমাগণে উলুধ্বনি দিলেন আসিয়া।।গান শেষে সে তারক বাহিরেতে এল।শত শত শ্রোতাগণ চরণে পড়িল।।তারকের জয়গান করিতে করিতে।শ্রোতাগণ চলে গেল যে যার বাটিতে।।গান শেষে সব দল বিদায় হইল।যার যার দেশে সবে গমন করিল।।তারপর সে তারক ওড়াকান্দি যায়।প্রণাম করিল গিয়ে ঠাকুরের পায়।।কেন্দে কেন্দে সে তারক বলিল বচন।সেই শ্লোকের কথা কহিল তখন।।তারকের কথা শুনে হরিচাঁদ কয়।ভক্ত বাঞ্ছা পুরাইতে আসি এ ধরায়।।তোর পরাজয় দেখে শ্লোক লিখিয়া।পবনের কাছে আমি দেই পাঠাইয়া।।হেন বাক্য হরিচাঁদ যখন বলিল।তারক চরণে পড়ে কান্দিতে লাগিল।।তারকের কান্না দেখে বলে দয়াময়।আশীর্বাদ দিয়ে তারে করিল বিদায়।।কান্দিয়া বিনোদ বলে বেলা বেশী নাই।হরিচাঁদ প্রীতে সবে হরি বল ভাই।।

    প্রেম শূন্য জীর্ন

    প্রেম শূন্য জীর্ন দেহ কিবা প্রয়োজনযার নাই ভক্তিরতন প্রেমাস্বাদনে, অকালে কালের মুখে হয় পতন,প্রেম ভক্তি শক্তি আছে যার, ও সে সাধনের ধন মদনমোহন বন্দী আছে তারযেমন ছায়া ফেরে কায়ার পিছে, সেই মত অনুগত হরিধন।। সাথী তার ব্রজ রাখালগণ, যাদের ভক্তি গুণে উচ্ছিস্ট ফল খেলেন কৃষ্ণধনবাল্য খেলার ছলে সব রাখলেন, শ্রীকৃষ্ণের স্কন্ধে করলেন আরোহণ,প্রেম ভক্তি এমনি […]

    অভিমন্যু পল রণে

    চন্দ্র তূল্য অভিমন্যু পল রণে, গিয়ে দ্রোণ বুহ্যমধ্যে নিগম না জেনে।। মাতুল যাহার শ্রীকৃষ্ণ ধন, পিতা যাহার নর-নারায়ণ, সহায় থাকতে আত্মস্বজন মল পরাণে।। তত্ত্ব-নিগম না জানিলে, কি হয় গুরু সহায় বলে, রক্ষা নাই তার কোন কালে, কাম-দ্রোণের বাণে।। তত্ত্ব-নিগম জান আগে, জয় কর রিপু ছয় আগে, কামদ্রোণকে হঠাও আগে, সূবুহ্য সন্ধানে।। তত্ত্ব-নিগম যে জন জানে, […]

    হরি বিপদ ভঞ্জন

    হরি বিপদ ভঞ্জন শ্যাম গুনমনি।। জয় জগৎপতি হরিচাঁদ জয় জয়।। যার নামে রূপে দীপ্ত হল বিশ্বময়।। জয় শ্রীকৃষ্ণ দাস জয় বৈষ্ণব দাস। জয় গৌরিদাস পূর্ণ কর অভিলাষ।। জয় শ্রীস্বরূপ চন্দ্র জয় পঞ্চভ্রাতা। যশবন্ত অন্নপূর্ণা হয় পিতা মাতা।। জয় জয় গুরুচাঁদ শ্রীশশী সুধন্য। আকুল পরানে গাগি উপেন্দ্র সুরেন্দ্র।। অন্নপূর্ণা শান্তিদেবী জয় সত্যভামা। সর্ব্ব জন্মের অপরাধ মোরে […]

    তৃতীয় খণ্ড : জ্ঞানযোগ-প্রসঙ্গে : জ্ঞানযোগ কথা

    জ্ঞানযোগ-কথা স্বামীজীর এই আলোচনাগুলি আমেরিকার মিস এস.ই.ওয়াল্ডো নাম্নী তাঁহার শিষ্যা কর্তৃকলিপিবদ্ধ হয়। স্বামী সারদানন্দ যখন আমেরিকায় ছিলেন (১৮৯৮), তখন উক্ত শিষ্যার নোটবুক হইতে তিনি এগুলি সংগ্রহ করেন। তাঁহার কাগজপত্রের মধ্যেই এগুলি পাওয়া গিয়াছে। ১ওঁ তৎ সৎ। ওঁকার তত্ত্ব জানাই জগৎ-রহস্য জানা। ভক্তিযোগ ও রাজ-যোগের মতো জ্ঞানযোগের লক্ষ্য একই, তবে সাধনপ্রণালী ভিন্ন। এই যোগ শক্তিমান্ সাধকদের […]

    শ্রীহরিচাঁদের জয়

    জয় হরি শ্রীহরিচাঁদের জয়। জয় যশোমন্ত, রামকান্ত, অন্নপূর্ণা মাতার জয়; জয় শ্রীকৃষ্ণদাস, জয় শ্রীবৈষ্ণবদাস গৌরীদাসের জয়। জয় স্বরূপচন্দ্র বিশ্বনাথ, ব্রজ নাটুর জয় জয়।। জয় শ্রীগুরুচাঁদ হৃদয় আকাশে চাঁদ, হও এসে উদয়। দিয়া পদারবিন্দ কৃপাসিদ্ধ, কৃপা কর কৃপাময়।। জয় শ্রীগোলকচাঁদ জয় শ্রীবদনচাঁদ রাম ভরতের জয়। জয় লোচনচন্দ্র শ্রীগোবিন্দ হীরামনের জয় জয়।। জয় শ্রীদশরথ, হরিচাঁদের ভক্ত, মৃত্যুঞ্জয়ের […]

error: Content is protected !!