বিবাহের বাগদান

বিবাহ সম্বন্ধ স্থির হওয়ার পর বিবাহের বিলম্ব থাকিলে, পাত্র ও পাত্রী এবং উভয়ের আত্মীয়গণ বন্ধুদিগের সহিত মিলিত হইয়া এক দিন ঈশ্বরের উপাসনা করিয়া এই মনোনয়নকে প্রকাশ্যে স্বীকার করিয়া লইলে ভাল হয়।

সংক্ষিপ্ত উপাসনার পর আচার্য্য ভাবী বর ও কন্যাকে সম্বোধন করিয়া তাঁহাদিগকে এই মর্ম্মে উপদেশ দিতে পারেন যে- তাহারা ঈশ্বরকে সাক্ষী বলিয়া অনুভন করুন ; উভয় পরিবারের পূজ্যগণের আশীর্ব্বদের দ্বারা তাঁহাদের হৃদয় স্নিগ্ধ হউক ; উভয়ে পরস্পরের রুচি প্রকৃতি ভাল করিয়া জানিবার জন্য এবং স্বীয় জীবনকে তাহার অনুরূপ করিয়া গড়িয়া লইবার জন্য যত্ন করুণ ;

যে শ্রদ্ধাযুক্ত প্রণয় কেবল আকর্ষণ সৃষ্টি করে না, কিন্তু সম্ভ্রম সৃষ্টি করে, যাহা পরস্পরের সম্মান ও মর্য্যাদা পূর্ণভাবে রক্ষা করে এবং উভয়কে সংযম শিক্ষা দেয়, সেই উন্নত প্রণয় উভয়ের হৃদয়কে পূর্ণ করুক।

শেষ প্রার্থনার পর বর ও কন্যার অভিভাবকগণ কন্যা ও বরকে আশীর্ব্বাদ করিবেন। কোন কোন স্থানে পাশ্চাত্য প্রথা অনুসরণ করিয়া বর কন্যাকে অঙ্গুরীয় প্রদান করেন।

বিবাহ দিনের অব্যবহিত পূর্ব্ববর্ত্তী মাঙ্গল্য অনুষ্ঠান

(আইবুড় ভাত)

বিবাহের দিনের অব্যবহিত পূর্ব্বে বর ও কন্যা উভয়ের বাড়িতে ঈশ্বরের উপাসনা হইলে ভাল হয়। অতীতপ্রায় কুমার-জীবন ও কুমারী-জীবনে তাঁহারা ঈশ্বরের যে অজস্র করুণা সম্ভোগ করিয়া বর্দ্ধিত হইয়াছেন, তাহার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশই এই উপাসনার প্রধান ভাব। এতদ্ভিন্ন, দুই বংশের মধ্যে যোগ স্থাপন হইতে যাইতেছে বলিয়া প্রত্যেক পরিবারে পূর্ব্বপুরুষগণ স্মরণ করা ও তাঁহাদের আশীর্ব্বাদ ভিক্ষা করাও স্বাভাবিক।

…………………………
ব্রাহ্মধর্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজ

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….