“লাটু যেরূপ পারিপার্শিক অবস্থার মধ্য হইতে আসিয়া অল্প দিনের মধ্যে আধ্যাত্মিক জগতে যতটা উন্নতিলাভ করিয়াছে-এতদুভয়ের তুলনা করিয়া দেখিলে সে আমাদের অপেক্ষা অনেক বড়। আমরা সকলেই উচ্চবংশজাত এবং লেখাপড়া শিখিযা মার্জিত বুদ্ধি লইয়া ঠাকুরের নিকট আসিয়াছিলাম ; লাটু কিন্তু সম্পূর্ণ নিরক্ষর। আমরা ধ্যান-ধারণা ভাল না লাগিলে পড়াশুনা করিয়া মনের সে ভাব দূর করিতে পারিতাম ।
লাটুর কিন্তু অন্য অবলম্বন ছিল না- তাঁহাকে একটিমাত্র ভাব অবলম্বনেই চলিতে হইয়াছে । কেবলমাত্র ধ্যান-ধারণা সহায়ে লাটু যে মস্তিষ্ক ঠিক রাখিয়া অতি নিন্ম অবস্থা হইতে উচ্চতম আধ্যাত্মিক সম্পদের অধিকারী হইয়াছে, তাহাতে তাঁহার অন্তর্নিহিত শক্তির ও তাহার প্রতি শ্রীশ্রীঠাকুর এর অশেষ কৃপার পরিচয় পাই ।”-স্বামী বিবেকানন্দ ।।
ভক্ত : আপনাদের মনে রোগের কষ্ট দেখে দুঃখ হোতো না, মহারাজ?
লাটু মহারাজ : তাঁর কি কষ্ট ছিলো? তিনি ত বলতেন-
‘দেহ জানে আর রোগ জানে, মন তুমি আনন্দে থাক।’
হামাদের ত কেবল বলতেন—‘‘ওরে! ব্রহ্ম অলেপ। তিনগুণ তাঁতে আছে, বাকী তিনি তাদের থেকে অলগ্, যেমন বায়ু—গন্ধ ছড়ায়, বাকী নিজে আলগ্ থাকে।’’ কোন কোন দিন বা বলতেন—‘‘ওরে! ব্রহ্ম সচ্চিদানন্দময়, সেখানে শোক, দুঃখ, জরা, মরণ, ক্ষয়, বৃদ্ধি কুছু নেই।’
তাঁর কষ্ট কুছু ছিল না। এক এক সময় তাঁর এমন অবস্থা হোতো যে সারা দেহে পুলক ঝরে পড়তো। হামনে ত দেখেছে যে তিনি তখন কেমন আনন্দে থাকতেন। যখন কথা বলতে পারতেন না তখনও দেখেছে যে, তিনি ইঙ্গিতে বোঝাতেন। এমন আশ্চর্য ব্যেপার হোতো যে কী বলবো! বাহিরের লোক এসে বলতো তাঁর কত কষ্টই না হচ্ছে আর সেই সময় হামাদের কেউ ঘরে ঢুকলে বুঝাতেন, তাঁর কোন কুছু কষ্ট নেই।
সত্যি যদি তাঁর দুঃখু কষ্ট হোতো, তাহলে কি তিনি হামাদের এত আনন্দ দিতে পারতেন? এক একদিন ত তিনি হামাদের কীর্তন করতে বলতেন। কীর্তনে ভুল হোলে আবার আখর বোলে দিতেন। হামাদের ত কেবল বলতেন—
‘‘ওরে! ব্রহ্ম অলেপ। তিনগুণ তাঁতে আছে, বাকী তিনি তাদের থেকে অলগ্, যেমন বায়ু—গন্ধ ছড়ায়, বাকী নিজে আলগ্ থাকে।’’ কোন কোন দিন বা বলতেন—‘‘ওরে! ব্রহ্ম সচ্চিদানন্দময়, সেখানে শোক, দুঃখ, জরা, মরণ, ক্ষয়, বৃদ্ধি কুছু নেই।’’
তা’ বুঝতেন না—তিনি সব দেহী দেখতেন। আরে! তা’ না হোলে (তিনি আনন্দে রয়েছেন না দেখলে) লোরেনভাই, কালীভাই, তারকভাই—যারা তাঁকে এতো ভালবাসতো, তারা কি তাঁকে ছেড়ে থাকতে পারতো?
আবার কোন কোন দিন বলতেন—‘‘ওরে! দেখছি এঁরই ভিতর সব কুছু। তিনি আর হৃদয়মধ্যে যিনি, সব এক অখণ্ড।’’ যিনি রোগে পড়ে এমনভাবে থাকতে পারেন তাঁর আবার কষ্ট কুথায়? বাকী তোমরা (সংসারীরা) বুঝবে তাঁর ভারী কষ্ট হোতো। তোমরা দেহকে বোঝো, তাই দেহের কষ্ট দেখে আঁতকে উঠো। বাকী তিনি (ঠাকুর) তা’ বুঝতেন না—তিনি সব দেহী দেখতেন।
আরে! তা’ না হোলে (তিনি আনন্দে রয়েছেন না দেখলে) লোরেনভাই, কালীভাই, তারকভাই—যারা তাঁকে এতো ভালবাসতো, তারা কি তাঁকে ছেড়ে থাকতে পারতো?
জনৈক ভক্ত : ওনারা কোথায় গিয়েছিলেন, মহারাজ?
সেই লোরেন, রাখাল, শরোট্, কালীভাই তাঁর দুঃখু-কষ্ট দেখলে কখনো কি তাঁকে ছেড়ে থাকতে চাইতো, না থাকতে পারতো? কিছুক্ষণ চুপ থাকিয়া পুনরায় বলিলেন, ‘তুমি না বেদান্ত পড়েছো?’
লাটু মহারাজ : জানো না? তারা সব একবার বুদ্ধগয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে গাছের (বোধিবৃক্ষের) তলায় বসে ধ্যেন করেছিলো। শুনেছি, লোরেনভাই নাকি ধ্যেন করতে করতে কেঁদে উঠেছিলো আর পাশে তারক দাদাকে জড়িয়ে ধরেছিলো। সেখানে ত লোরেনভাই তারক দাদার দেহে একটা জ্যোতিঃ প্রবেশ করতে দেখেছিলো। কালীভাই ত সেইখানে ধ্যেনে কাঠ হয়ে বসে থাকতো।
আবার তাই কি? তারা এখানে ফিরে এসেও (প্রায়ই) দক্ষিণেশ্বরে রাত কাটিয়ে আসতো। এক একবারে সাত-আট দিন সেখানে থেকে যেতো। যারা তাঁকে এত বুঝতো, এত ভালবাসতো—সেই লোরেন, রাখাল, শরোট্, কালীভাই তাঁর দুঃখু-কষ্ট দেখলে কখনো কি তাঁকে ছেড়ে থাকতে চাইতো, না থাকতে পারতো? কিছুক্ষণ চুপ থাকিয়া পুনরায় বলিলেন, ‘তুমি না বেদান্ত পড়েছো?’
ভক্ত: কিছু কিছু পড়েছি, মহারাজ!
লাটু মহারাজ : সেখানে কি বোলেছে? যিনি সচ্চিদানন্দকে দেখেন, তিনি সচ্চিদানন্দই হোয়ে যান,—এ কথা ত লিখা আছে? তিনি (ঠাকুর)(ত বলতেন, ‘(সচ্চিদানন্দ) পরশমণি ছুঁলে সব সোনা হোয়ে যায়।’ তবু তোমাদের সংশয় ছুটবে না? এরপর সেই ভক্তটির সহিত নানা কথা বলিতে থাকে। ‘বলরাম মন্দিরে’ অধ্যায়ে এই কথোপকথনের কিয়দংশ আবার দেওয়া হইয়াছে।
উপস্থিত ভক্তটি কিঞ্চিৎ অপ্রতিভ হইল। কিন্তু শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব পরক্ষণেই অতি আহ্লাদের সহিত বলিলেন—‘ওরে! সুরটা এই রকম, অমুক জায়গায় এক কলি তোরা ভুলেছিলি। ঐখানে ঐ কলিটা দিতে হয়।’
এইবার আমরা কাশীপুরের কথায় ফিরিয়া যাই। কাশীপুরে নরেন, রাখাল, বাবুরাম প্রমুখ গুরুভ্রাতাগণ মাঝে মাঝে উচ্চৈস্বরে নামকীর্তন করিতেন। লাটু তাহাতে যোগ দিত। একদিন শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব কীর্তনিয়াদলের ভিতর থেকে একজনকে ডাকালেন এবং ব্যঙ্গচ্ছলে বলিলেন—‘তোরা ত বেশ রে! কেই মরে আর কেউ হরি হরি বোল বলে।’
উপস্থিত ভক্তটি কিঞ্চিৎ অপ্রতিভ হইল। কিন্তু শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব পরক্ষণেই অতি আহ্লাদের সহিত বলিলেন—‘ওরে! সুরটা এই রকম, অমুক জায়গায় এক কলি তোরা ভুলেছিলি। ঐখানে ঐ কলিটা দিতে হয়।’ উপস্থিত যুবকটি প্রত্যাগমন করিয়া ভ্রাতৃবৃন্দকে সেই বিষয় বলিলেন। …তখন তাহারা উদ্দাম কীর্তন শুরু করিলেন। (শ্রীযুত মহেন্দ্রনাথ দত্তের শ্রীমৎ বিবেকানন্দ স্বামীজীর জীবনের ঘটনাবলী হইতে সংগৃহীত।)
অতিরিক্ত কীর্তন করিলেও তৎকালে সাধক-লাটু আপন ভাবেন্মোদনাকে বাহিরে প্রকাশিত হইতে দিত না।
স্বামী অদ্ভুতানন্দ মহারাজ এর কিছু উপদেশবলী
ভগবান চান পবিত্র জীবন। জীবন সকলেরই সমান। তবে যার পবিত্র জীবন ভগবান তাকে ভালবাসেন।
বলে—আমি ওর থেকে ছোট কিসে? এরই নাম অহংকার। যত অনর্থের মূল ঐখানে। যদি সংসারে শান্তি পেতে চাস, তবে ছোট হতে শেখ।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ বলেছেন, “যার হৃদয় শুদ্ধ আমি সেখানে প্রকাশ থাকি। লোকে ঘুরে ঘুরে বেড়ায়। আমি কিন্তু তার হৃদয়েই রয়েছি। সেখানে বজ্জাতি, অসদ্বুদ্ধি থাকে, তাই আমাকে দেখতে পায় না।” কারুর খুব রাগ হলে ঠাকুর বলতেন- ওকে ছুঁস নি, চন্ডালে স্পর্শ করেছে। চন্ডাল ছুঁলে যেমন অস্পৃশ্য হয়, ক্রোধের বশীভূত হলে মানুষ সেরূপ হয়।
এ জগতে কেউ ছোট হতে চায় না, সবাই বড় হতে চায়; তাই তো এত গোলমালের সৃষ্টি। একজন একটু নিচু হলে সব গোলমাল মিটে যায়; কিন্তু তা কিছুতেই হবে না। বলে—আমি ওর থেকে ছোট কিসে? এরই নাম অহংকার। যত অনর্থের মূল ঐখানে। যদি সংসারে শান্তি পেতে চাস, তবে ছোট হতে শেখ।
সংসারই বল, আর ধর্মই বল, শ্রদ্ধা প্রীতি না হলে কিছুই হয় না। উপরোধে কি কোনো কাজ হয়? প্রীতি থাকলে আর ছাড়তে ইচ্ছা হয় না, ক্রমশঃ ভগবানে মন বসে যায়। প্রীতিই হলো প্রধান।
আজকাল লোকে যে ধর্ম ধর্ম করছে, ও সব হুজুগে ধর্ম। ঠিক ঠিক লোক কত? কজন ধর্ম চায়? সকলেই হুজুগে ধর্ম করে, তবে ভালোর মন্দ তাও ভালো, এই পর্যন্ত।
সংস্কার যায় কিসে? ভগবানের নাম গুনগান, সাধুসঙ্গ, ধ্যানজপ ইত্যাদি করলে।
নিজেকে বড় বলে মনে হলেই যত গোল। যার ছোট বলে মনে ধারণা, তার আর কিসের গোল?
ভগবান কি গাছের ফল যে তাঁকে ইচ্ছামাত্রই পাবে?
গুরুবাক্যে সংশয় করলে কখনও ধর্ম হয় না। একজনের উপর নির্ভর করা কি কম কথা ? সুখ আসুক, দুঃখ আসুক গুরুর আজ্ঞা পালন করে চলতে হবে- তবেই মঙ্গল।
তাঁকে পেতে হলে তাঁর কৃপা চাই, দয়া চাই। তাঁর কৃপালাভ করতে হলে সাধুদের ভালবাসা, আশীর্বাদ পেতে হয়। ভগবান আছেন বলে বিশ্বাস কর। বিশ্বাস করে যেখানে বসে ডাকবে, সেইখানেই পাবে। ভগবান কাউকে অর্থ দেন, কিন্তু দান করবার ইচ্ছা দেন না। আবার যাকে দান করার ইচ্ছা দেন, তাকে অর্থ দেন না।
আর যাকে দুইই দেন বুঝতে হবে তার উপর ভগবান এর দয়া আছে। সাধন-ভজনের উপদেশ যার তার কাছ থেকে নিলে অনিষ্ট হতে পারে। গুরু-যিনি শিষ্যের ভাব জানেন বা জানতে পারেন, তাঁর কাছে উপদেশ নিলে কল্যাণ হয়।
নচেত ভাব নষ্ট হতে পারে। হাজার হাজার ধর্মকথা জানার চেয়ে, বলার চেয়ে, লোককে শিক্ষা দেওয়ার চেয়ে ভগবানকে ডাকা ভালো। গুরুবাক্যে সংশয় করলে কখনও ধর্ম হয় না। একজনের উপর নির্ভর করা কি কম কথা ? সুখ আসুক, দুঃখ আসুক গুরুর আজ্ঞা পালন করে চলতে হবে- তবেই মঙ্গল।
পবিত্র থাকলে ধর্ম একদিন না একদিন বুঝতে পারবেই। সতের কাছে ভগবান প্রকাশিত হন, যেমন অর্জুনের কাছে শ্রীকৃষ্ণ হয়েছিলেন।
তাঁর উপর মন থাকলে সব ভয় কেটে যায়। ভগবানে মন থাকাই হলো প্রধান। তিনি যে কোথা থেকে বুদ্ধি জুটিয়ে দেন, তা কি জীব বুঝবে ? তাঁর কাছে আন্তরিক প্রার্থনা করতে হয়। বাইরে লোক দেখানো না হয়। আন্তরিক প্রার্থনা হলে তিনি শোনেন।
পরের দোষ দেখতে দেখতে দোষই কেবল নজরে আসে। যাঁর কাছে উপকার পেয়েছ, তিনি যদি হঠাৎ কোন অন্যায় করে ফেলেন- তাঁর দোষ কখনও দেখা উচিত নয়। তখন তাঁর গুণটা সামনে ধরলে অনেক বাঁচোয়া ; তা না হলে পরে ভয়ানক অনুতাপ হয়। পবিত্র থাকলে ধর্ম একদিন না একদিন বুঝতে পারবেই। সতের কাছে ভগবান প্রকাশিত হন, যেমন অর্জুনের কাছে শ্রীকৃষ্ণ হয়েছিলেন।
সৎসঙ্গকরলে কি হয় যেন ? সৎসঙ্গ করলে সদবুদ্ধি হয়, ভগবানে ভক্তি-বিশ্বাস হয়। হিংসা-দ্বেষ চলে যায়। পরস্পরে ভাবের আদান প্রদান হওয়ায় কু-ভাব চলে গিয়ে সু-ভাব আসে। জপ-ধ্যান করবার ইচ্ছা প্রবল হয়। সৎসঙ্গ—সৎ হবার উপায় lরামকৃষ্ণ শরনম।
………………….
পুনপ্রচারে বিনীত: প্রণয় সেন
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
…………………..
আরও পড়ুন-
স্বামী অড়গড়ানন্দজী
ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায়
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব
শিরডি সাই বাবা
পণ্ডিত মিশ্রীলাল মিশ্র
নীলাচলে মহাপ্রভুর অন্ত্যলীলার অন্যতম পার্ষদ ছিলেন রায় রামানন্দ
ভক্তজ্ঞানী ধর্মপ্রচারক দার্শনিক রামানুজ
সাধক ভোলানন্দ গিরি
ভক্ত লালাবাবু
লাটু মহারাজ শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত সৃষ্টি
কমলাকান্ত ভট্টাচার্য
ব্রাহ্মনেতা কেশবচন্দ্র সেন
পরিব্রাজকাচার্য্যবর শ্রীশ্রীমৎ দূর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেব
আর্যভট্ট কাহিনী – এক অজানা কথা
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
কঠিয়াবাবা রামদাস
সাধু নাগ মহাশয়
লঘিমাসিদ্ধ সাধু’র কথা
ঋষি অরবিন্দ’র কথা
অরবিন্দ ঘোষ
মহাত্মাজির পুণ্যব্রত
দুই দেহধারী সাধু
যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর
বাচস্পতি অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা থেকে
মুসলমানে রহিম বলে হিন্দু পড়ে রামনাম
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব : প্রথম খণ্ড
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব: দ্বিতীয় খণ্ড
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব : অন্তিম খণ্ড
মহামহোপাধ্যায় কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ
শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর
শ্রীশ্রী ঠাকুর সত্যানন্দদেব
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: এক
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: দুই
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: তিন
সাধক তুকারাম
সাধক তুলসীদাস: এক
সাধক তুলসীদাস: দুই
সাধক তুলসীদাস: তিন
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: এক
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: দুই
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: তিন