-ড. এমদাদুল হক
১৭৫
দুঃখের অভাব নেই জীবনে। দুঃখ আগাছার মতো। চাষাবাদ করতে হয় না। এমনিতেই বেড়ে উঠে। সুখ, নাইট কুইন ফুলের মতো। রাতে ফুটে- রাতেই ঝরে যায়।
নাইট কুইন সকলের ঘরে ফুটে না। রাত আসে সকলের ঘরেই। কোনো হৃদয় নেই, যাতে দুঃখের স্পর্শ লাগেনি। এখন যারা সুখের উল্লাসে মত্ত, তাদের নাইট কুইনও ঝরে যাবে অচিরেই।
দুঃখ কেউ চায় না। তাই সুখের নাগালও পায় না। দুঃখের উর্বর মাটি ছাড়া সুখের চাষাবাদ হয় না।
দুঃখের অন্ধকারে বিস্তৃত হয় জীবনবৃক্ষের শিকড়। দুঃখই জীবনকে দেয় গভীরতা।
“We look before and after,
And pine for what is not:
Our sincerest laughter
With some pain is fraught;
Our sweetest songs are those that tell of saddest thought” [Shelley].
ভ্যান গখের ছবি কেন এতো সুন্দর? কারণ তাঁর ছবিগুলো ফুটিয়ে তুলে সৌন্দর্যের দুঃখ।
দুঃখ জীবনকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ করে দেয়। বহু দিনের লালিত স্বপ্ন যখন ভেঙে যায়, জীবনের দিকে নতুনভাবে তাকানোর সুযোগ আসে। গভীর দুঃখবোধে আসে ভাবের প্লাবন।
যে হৃদয় গভীর দুঃখের পরশ পায় সে হৃদয়েই প্রস্ফুটিত হয় আনন্দপুষ্প। দুঃখের চেয়ে বড় পাবক আর কে আছে? দিবস সুন্দর। কিন্তু রাতের আকাশে সৌন্দর্যের যে গভীরতা থাকে তা বিস্ময়কর।
সত্য যে কঠিন বড়! তাই যারা সত্যানুসন্ধানের পথ বেছে নিয়েছে তাদেরকে দুঃখ পাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়।
জীবনের আকাশে যদি জমে উঠে দুঃখের কালোমেঘ, তবে অভিস্নাত হই বৃষ্টিধারায়। রোদও আমার। বৃষ্টিও আমার। দিবসের আলো আমার। রাতের অন্ধকারও আমার।
আনন্দ ভাগ করা যায়। দুঃখ ভাগ করা যায় না। দুঃখগুলো একান্তই নিজস্ব সম্পদ। দুঃখের সোম রস পান করি নিভৃত-নির্জনে।
ধীরে ধীরে, উষ্ণ চুম্বনে। আমার দুঃখই আমার নাইট কুইন। ব্যর্থতা এসেছে, আসুক। প্রেমী দূরে সরে গেছে, যাক। জীবনের পলস্তরা খসে গেছে। যাক না!
জীবনের সব বিদ্রূপ আলিঙ্গন করি পরম মমতায়।
বিলাপ করলে নাইট কুইন ফুটে না। নাইট কুইন ফুটে যত্ন করলে। দুঃখের যত্ন। রাত যত গভীর হয়- প্রভাত তত নিকটে আসে। দুঃখ যখন হৃদয়ের গভীরে আঘাত করে তখন জ্বলে উঠে জ্ঞানের কিরণ। অনুভূত হয় প্রেমের উত্তাপ। আমি তখন অধিশ্বর হয়ে উঠি আমার দুঃখের।
দুঃখের কারণ কি? গৌতম বুদ্ধের মুখস্থ উত্তরে চলবে না। আমার দুঃখের কারণ আমাকেই খুঁজে নিতে হবে। আমার দুঃখ আমাকেই দূর করতে হবে। নিজস্ব পথে। দাঁড়াতে হবে নিজের পায়ে।
কে সহযোগিতা করবে? কোথাও কেউ নেই। সবাই আমার চেয়ে বড় দুঃখী। সুতরাং বাঁচাও-বাঁচাও চিৎকার না করে, মানুষের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়াই।
আমাকে বাঁচাতে পারে কেবল আমার বিশ্বাস ও ধৈর্য। এক টুকরো রুটি কতো পেষণ যন্ত্রণা সহ্য করেই না মানুষের খাদ্য হয়। কষ্ট সহ্য না করে মানুষ কীভাবে ঈশ্বরের খাদ্য হবে?
বিষে বিষ ক্ষয়। দুঃখসাগরে ডুব দিলেই তা রূপান্তরিত হয় আনন্দসাগরে। কারবালার দুঃখ ছাড়া কি ইসলাম রক্ষা পেতো? হেমলক পান না করে সক্রেটিস যদি দেশত্যাগের প্রস্তাব মেনে নিতেন, তবে কি তিনি বেঁচে থাকতেন মানুষের হৃদয়মন্দিরে?
ক্রশবিদ্ধ না হলে কি যীশু পুনর্জীবন লাভ করতেন? প্রথমে ক্রশ এরপর পুনর্জীবন।
সতরাং, যদি বাঁচতে চাও, মর। মরার আগে মর। তার আগে বলো, এমন কোনো সত্য কি তোমার কাছে আছে, যার জন্য ক্রশবিদ্ধ হওয়ার দুঃখ সহ্য করা যায়?
১৭৬
জগতের উৎস ভাব, নাকি বস্তু? বস্তু ভাব নির্ভর, নাকি ভাব বস্তু নির্ভর?
বস্তু কী? মাটি, পানি, বায়ু, লোহা, পাথর এগুলো কি বস্তু?
বস্তুবাদীরা বলেন, এগুলো বস্তু নয়- পদার্থ। বস্তু হলো এমন কিছু, যার সৃষ্টি নাই, ধ্বংস নাই, কারণ নাই।
বস্তুর রূপ কি? বস্তুর চিরন্তন রূপ নেই- যখন যে রূপে থাকে তখন সে রূপ।
স্থান-কাল, শক্তি, চেতনা এইগুলো ভাব, নাকি বস্তু?
বস্তুবাদের দাবি- এইগুলো বস্তু নয় কিন্তু এইগুলোর অস্তিত্ব বস্তুর অস্তিত্বের উপর নির্ভর করে। জগৎ নিয়ন্ত্রিত হয় বস্তু দ্বারা। মানুষের চিন্তা-চেতনা, আবেগ-অনুভূতি সবকিছুই বস্তু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
ভাব কী? ভাববাদীরা বলেন, ‘তোমরা যাকে বস্তু বলছো তাহাই ভাব। ভাবের সৃষ্টি নাই, ধ্বংস নাই, কারণ নাই, রূপ নাই। ভাব অকারণিত কারণ। জগৎ নিয়ন্ত্রিত হয় ভাব দ্বারা’। ভাববাদীরা সৃষ্টি সংহারহীন এই অস্তিত্বের নামকরণ করেছে পরমাত্মা।
কোনটি সত্য? ভাব নাকি বস্তু?
এটি প্রকাণ্ড একটি দার্শনিক প্রশ্ন শুধু নয়। এটি জীবনের প্রশ্ন। জীবনধারার প্রশ্ন। এই প্রশ্ন থেকেই উৎপন্ন হয়েছে দুটি পৃথক জীবনধারা: বস্তুবাদী ও ভাববাদী জীবনধারা।
বস্তুবাদী জীবনধারা বলছে: পরমাত্মা বলে কিছু নেই। ধর্ম হলো অত্যাচারিত জীবনের দীর্ঘশ্বাস। সুতরাং যুদ্ধ কর। তোমার অধিকার বুঝে নাও। সম্পদ বাড়াও। ভোগ বাড়াও। আহার, নিদ্রা, মৈথুন, ভ্রমণ, খ্যাতি, ক্ষমতা, ক্যাসিনো যা তোমার সুখ বৃদ্ধি করে তাতেই লিপ্ত হও। তোমার আগেও কিছু নাই, পরেও কিছু নাই। জন্ম দিয়ে শুরু। মৃত্যু দিয়ে শেষ। সুতরাং যতক্ষণ জীবন আছে ভোগ কর। ঋণ করে ঘী খাও।
ভাববাদী জীবনধারা বলছে: পরমাত্মা আছে। তিনি অনাদি-অনন্ত, স্বয়ম্ভু। তিনি হতেই সৃষ্টি। সর্বত্র তার বিরাজমানতা। জড় বস্তুতে তিনি শক্তি। উদ্ভিদে তিনি প্রাণ। জীবে তিনি আত্মা। জীবের আত্মা হলো জীবাত্মা। জীবাত্মা পরমাত্মার অংশ। জীবাত্মা তার কর্মফল ভোগ করবে। ভালো কর্মের ভালো ফল। মন্দ কর্মের মন্দ ফল। সুতরাং সৎকর্মশীল হও। ভোগ কমাও। ত্যাগ বাড়াও।
কোনটি সত্য? বস্তুবাদী জীবনধারা? নাকি ভাববাদী জীবনধারা?
দুটিই সমান সত্য। পরমাত্মা আছে এটিও সত্য- নাই এটিও সত্য। এই জগৎ আছে এবং নাই এর শাশ্বত লীলা।
গণিতের ভাষায়- আছে হলো ১; নাই হলো ০।
বুদ্ধ বলেন ০, মুহাম্মদ বলেন ১।
আমরা কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবো?
বস্তুর উৎস ভাব। ভাবের উৎস বস্তু। জীবনের জন্য ভোগও চাই, ত্যাগই চাই। শ্রমও চাই- বিশ্রামও চাই। কামও চাই- প্রেমও চাই। আহার, নিদ্রা ছাড়া কে বাঁচিতে পারে? কিন্তু বাঁচবো কেন?
আত্মা অর্থ আমি। আমি আছি নাকি নাই? আমি আছি। আমাকে থাকতে হবে।
কিন্তু আমি কে? কেন থাকতে হবে? এখানে আমি এলাম কী করে? কোত্থেকে এলাম? যাবো কোথায়? কার সঙ্গে যাবো?
১৭৭
“কুল্লু নাফসিন যাইক্বাতুল মাউত”। প্রত্যেক জীব মৃত্যুর স্বাদ নিতে বাধ্য। মৃত্যু জীবনেরই অপরিহার্য অংশ। যদি মৃত্যু না থাকতো- জীবনও থাকতো না।
যে যাবার সে চলে গেছে। ভাবলে কী হবে? কাঁদলে কী হবে? কী করলে, কী হবে? কিছু করলেই আর কিছু হবে না।
কষ্ট? কষ্ট তো হবেই। কষ্ট কেন হয়? কষ্ট এই জন্যই হয় যে, যেভাবে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম সেভাবে ভালোবাসতে পারিনি।
যতদিন বেঁচে ছিল ভালোবাসার সুযোগ ছিল- সময় ছিল না। এখন সময় আছে- সুযোগ নাই। যখন ফুল প্রস্ফুটিত ছিল খেয়াল করিনি। যখন ঝরে গেছে তখন বুঝেছি কি নাই! দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা মানুষ বুঝে না।
মৃত্যুর পর শোক মৃতের জন্য নয়- নিজের জন্য। জীবনের বিড়ম্বনা এই যে, যাকে ভালোবাসি তার সঙ্গে আমরা বাস করতে পারি না। যাদের সঙ্গে বাস করি, তাদের ভালোবাসি না। একসঙ্গে থাকলে ভালোবাসা বাষ্প হয়ে যায়। বিরোধ দেখা দেয়। কেন এমন হয়?
কারণ- ভালোবাসার যত্ন করা কঠিন। কারণ- আমরা জানি না কীভাবে ভালোবাসতে হয়। তাই কষ্ট। যন্ত্রণা আর কষ্ট কি এক? না। যন্ত্রের যন্ত্রণা হয়। দেহ তো যন্ত্রই।
যন্ত্রণার গভীরতা নাই। কষ্টের গভীরতা আছে। কষ্ট অস্তিত্বকে নাড়া দেয়।
বিরহ কষ্টের। মৃত্যু এক প্রকারের বিরহ-ই তো! প্রেমের পরীক্ষা। যদি প্রেম প্রকৃত হয়, তবে মৃত্যুর পর তা আরো বৃদ্ধি পায়। মৃত্যু স্থূল দেহ নিয়ে যায়। স্থূল দেহের সঙ্গে স্থূল দেহের সম্বন্ধ। প্রেম তো দেহের সঙ্গে দেহের সম্বন্ধ নয়। প্রেম হলো আত্মার সঙ্গে আত্মার সম্বন্ধ। আত্মা যখন দেহের খাঁচা থেকে মুক্ত হয়ে যায় তখন প্রেমের প্রবাহ হয় নির্বিঘ্ন।
আজ আমার দেহ আছে! তোমার দেহ নাই! একদিন আমার দেহও থাকবে না। থাকবে না জীবনের বর্বরতা। তখন আত্মা থাকতে পারবে আত্মার পাশে। প্রশান্তির পরশে।
যাকে ভালোবাসি- কাছে থাকলেও তাকে ভালোবাসি- দূরে থাকলেও ভালোবাসি। সামনে থাকলেও ভালোবাসি- আড়ালে থাকলেও ভালোবাসি। জীবনেও ভালোবাসি- মৃত্যুতেও ভালোবাসি।
নফস মৃত্যুর স্বাদ নেয়- মরে না। নফসের মৃত্যু নেই যেমন মৃত্যু নেই প্রেমের।
১৭৮
মৃত্যুর স্বাদ কেমন? তিক্ত, নাকি মিষ্ট?
তাদের কাছে তিক্ত হবে নিশ্চয়, যারা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে মৃত্যুই জীবনের শেষ। মৃত্যুই শেষ, এটি স্বীকার করা মানে আত্মাকে অস্বীকার করা। আত্মাকে অস্বীকার মানে পরমাত্মাকে অস্বীকার করা। সুতরাং মৃত্যুই যদি জীবনের শেষ হয়, তবে পরমাত্মাও শেষ।
যদি সৃষ্টির মৃত্যু থাকে, তবে স্রষ্টারও মৃত্যু থাকতে হয়। শিল্প মারা গেলে শিল্পী বেঁচে থাকে না। তার মানে, মৃত্যুই সবচেয়ে বড় বিভ্রম- মনে হয় সত্য- কিন্তু সত্য না। তিনি সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টিই তার লক্ষ্য। সৃষ্টির জন্য ধ্বংস যদি করতে হয়, তবে তিনি তা করতে পারেন কিন্তু তার পরিচয় ধ্বংসকর্তা নয়- সৃষ্টিকর্তা।
তিনি করুণাময় এটিই তার পরিচয়। শাস্তিদাতা নামে কেউ তাকে ডাকে না। যদি ভয়ের ঈশ্বর থাকে- প্রেমের ঈশ্বর থাকে না। ভয়ের ঈশ্বর মৃত্যুর পর পুনরুত্থান করে, পাপের শাস্তি দেয়, পুণ্যের পুরস্কার দেয়।
প্রেমের ঈশ্বর মৃত্যুই দেয় না, শুধু মৃত্যুর স্বাদ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। স্বাদ নেওয়া মানে চেখে দেখা- খাওয়া না।
সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টা। স্রষ্টা অনন্ত, তাই সৃষ্টি অনন্ত। স্রষ্টা অনাদি, তাই সৃষ্টি অনাদি।
মৃত্যু তাহলে কী?
মৃত্যু হলো দুয়ার- জীবনের দুয়ার। এক জীবন থেকে আরেক জীবনে যাওয়ার প্রবেশ পথ।
তবে, মানুষ মৃত্যুকে এতো ভয় পায় কেন?
কারণ জীবনের স্বাদ সে নেয়নি।
জীবনের স্বাদ যে নিতে পারে না, মৃত্যুর স্বাদও সে নিতে পারে না।
১৭৯
শ্যামের বিরহে রাধার আর্তি- “মরণ রে, তুঁহু মম শ্যামসমান।”
প্রেমিক হৃদয়ের ব্যাকুলতা- হে মৃত্যু তুমি এসো, আমাকে দান কর অমৃত পীযূষ। আমাকে নিয়ে যাও মাধবের কাছে, আমার সন্তাপ মোচন কর। হে মৃত্যু! আলিঙ্গন কর আমায়। তোমার আলিঙ্গনে আমার চক্ষু মুদ্রিত হোক।
পরম প্রেমাস্পদের সঙ্গে মিলন তো জীবনে হয় না। তাই লালনের কণ্ঠেও বিষাদ সুর- ‘মিলন হবে কত দিনে’। এতো সেই রাধারই ডাক, মৃত্যু! কখন আসবে তুমি? কখন নিয়ে যাবে আমাকে মনের মানুষের সনে?
কেন এই আহ্বান?
কারণ মৃত্যু দেহের বাধা সরিয়ে উন্মুক্ত করে দেয় মিলনের দুয়ার। যে ফুল প্রস্ফুটিত হয় সে ফুল আনন্দের সঙ্গে ঝরে যায়। পাকা আম, কাঁচা আম সব আমকেই মাটি টানে। কাঁচা আম মাটিতে পড়তে চায় না। পাকা আম নিজ থেকেই ঝরে পড়ে।
যে প্রেমের জন্য বাঁচে, সে মরতে ভয় পায় না।
যে বাঁচেই না, মৃত্যু সম্মুখে এলে সে উদ্বিগ্ন হয়ে হয়ে পড়ে, ‘আমি তো বাঁচলামই না, তুমি এসেছ নিতে! আর কয়টা দিন সময় তো দাও!’
রাধার কাছে মরণ যেন অভিসার যাত্রা। প্রেমাস্পদের সঙ্গে যে সাক্ষাৎ করতে যায়, তার আবার ভয় কিসের? “গগন সঘন অব, তিমিরমগন ভব, তড়িতচকিত অতি, ঘোর মেঘরব, শালতালতরু সভয়-তবধ সব, পন্থ বিজন অতি ঘোর“ কিন্তু রাধার শঙ্কা নেই, রাধা যে অভিসারে যাচ্ছে। বজ্রপাত হলে কী হবে? সেই মৃত্যুই তো আসবে, যা নিয়ে যাবে শ্যাম দর্শনে! সুতরাং কিসের ভয়?
প্রেমাস্পদ প্রেমিককে ভুলে থাকতে পারে, কিন্তু মরণ কাউকে ভুলে না!
শ্যাম নিরাশ করতে পারে, কিন্তু মরণ কাউকে নিরাশ করে না। সে আসবেই এবং প্রত্যেককেই নিয়ে যাবে তার শ্যামের কাছে।
যে যাকে প্রেম করে সে তার সঙ্গে থাকবে।
যার সঙ্গে যার মহব্বত, তার সঙ্গে তার কেয়ামত।
(চলবে…)
……………………
আরো পড়ুন-
জীবনবেদ : পর্ব এক
জীবনবেদ : পর্ব দুই
জীবনবেদ : পর্ব তিন
জীবনবেদ : পর্ব চার
জীবনবেদ : পর্ব পাঁচ
জীবনবেদ : পর্ব ছয়
জীবনবেদ : পর্ব সাত
জীবনবেদ : পর্ব আট
জীবনবেদ : পর্ব নয়
জীবনবেদ : পর্ব দশ
জীবনবেদ : পর্ব এগারো
জীবনবেদ : পর্ব বারো
জীবনবেদ : পর্ব তেরো
জীবনবেদ : পর্ব চৌদ্দ
জীবনবেদ : পর্ব পনের
জীবনবেদ : পর্ব ষোল
জীবনবেদ : পর্ব সতের
জীবনবেদ : পর্ব আঠার
জীবনবেদ : পর্ব উনিশ
জীবনবেদ : পর্ব বিশ
জীবনবেদ : শেষ পর্ব