কানপুর জেলার মৈথেলালপুর এক সময়ে শাস্ত্রজ্ঞ ব্রাক্ষণ ও ভক্ত কবিদের জন্মস্থানরুপে খ্যাতি অর্জ্জন করে। পণ্ডিত মিশ্রীলাল মিশ্র এই গ্রামেরই এক নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তি। উসারচেতা ও ধর্মনিষ্ঠ ব্রাক্ষণ – রূপেও তিনি আবালবৃদ্ধবনিতার কাছে
সন্মানভাজন। সেদিন বেলা প্রায় পড়ে এসছে, হঠাৎ কোথা থেকে তাঁর বাড়িতে তিনটি সন্ন্যাসী এসে উপস্থিত। তাদের প্রণাম করে মিশ্রীলাল দাড়িয়ে আছেন, এমন সময় একজন সাধু তাঁকে কাছে ডেকে বললেন ” মিশ্রীলাল আজ রাতে তোমার একটি পুত্রসন্তান ভূমিষ্ঠ হবে। কালে সে বহু মানুষকে পথের সন্ধান দেবে।
এ শিশুর জন্মের পর কাউকে তুমি তাঁর মুখদর্শন করতে দেবে না, আর ভূমিষ্ঠ হবার পরই আমাদের তুমি ভিতরে ডেকে নিয়ে যেও।”
মিশ্রীলালের স্ত্রী আসন্নপ্রসবা। সেই রাতেই- ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দের শুক্লা সপ্তমীতে সর্বসুলক্ষণযুক্ত সন্তান প্রসব করেন। সন্ন্যাসীরদল শিশুকে দেখে সেদিনই ঘরে হোমযজ্ঞ সম্পন্ন করেন। পরের দিন আর তাঁদের সন্ধান পাওয়া গেলো না।
পণ্ডিতের নবজাতক শিশুকে দেখবার জন্যে সকাল থেকেই ভিড় জমতে থাকে বাড়িতে। তাছাড়া, অপরিচিত সাধুদের কাজ কর্মের কথা না শুনে কৌতূহলী লোকজন থাকতে পারলেন না। দুরদুরান্ত হতে সেদিন মিশ্রীলালের ঘরে লোকজন আসতে থাকে। শিশু মতিরাম কে কেন্দ্র করে সেদিন পণ্ডিতের ঘরে এক অপূর্ব আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।
এরপর আঠারোটা বছর পার হয়ে গেছে। এই ঘরেই আবার একটি নবজাতকের আবির্ভাব হলো। বৃদ্ধ পণ্ডিত মিশ্রীলাল আজেকের দিনে খুবই আনন্দিত। তার প্রানপ্রিয় মতিরামের যে একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করেছে। বারবার তিনি নাতির মুখ দেখে চঞ্চল হচ্ছেন,কত সুখ – স্বপ্নের প্রাসাদ তার কল্পনায় রচিত হচ্ছে।
কিন্তু বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত সেদিন সব কিছু যেন হঠাৎ বিপর্যস্ত হয়ে গেলো। পণ্ডিতের ঘরে কান্নার রোল শুনে গ্রামবাসী ছুটে এলো। সকলে শুনে বিস্মিত হলো, মিশ্রীলালের পুত্র প্রতিভাবান যুবক মতিরাম চিরতরে ঘর ছেড়ে চলে গেছে।
সংসার জীবনের এই নতুনতর বন্ধনকে মানিয়ে নিতে তাঁর মন কোনোমতেই সাড়া দেয়নি। তাই তিনি সেদিন জীবনের চরম সিদ্ধান্তটি নিয়ে ফেললেন। সুন্দর বউ আর নবজাতক সন্তানের মায়া ত্যাগ করে তিনি মুক্তির পথে বেরিয়ে পড়েন। অঠেরো বছর আগে পণ্ডিত মিশ্রীলালের ঘরে এক শিশুর আবির্ভাবে যে আনন্দধারা সৃষ্টি করে,আজকের এই শিশুটির আগমনে সেই স্রোতধারা খণ্ড খণ্ড করে দিয়ে গেলো।
এই স্বনামধন্য আচার্যের কাছে তিনি বেদন্তশাস্ত্রের গূঢ়তম তত্ত্ব সমূহ অধ্যয়ন ও উপলব্ধি করে তিনি কৃতার্থ হলেন। শিবপুরী কাশীধামের আহ্বান তার কাছে এলো। পূণ্যতোয়া গঙ্গাতটে পৌঁছিয়ে ভাস্করানন্দ স্বামীজী যে কৃচ্ছব্রত অবলম্বন করেন, তা তাঁর সাধকজীবনের এক বিশিষ্ট অধ্যায়। আহার বিহার সমস্ত কিছু তিনি পরিত্যাগ করেছেন।
বিষয়বিরক্ত মতিরামের এই গৃহত্যাগ সূচনা করে এক সার্থক যোগীজীবনের। ভাস্করানন্দ সরস্বতী রূপে ভারতের আধ্যাত্মগগনে উত্তরকালে তাহার অভ্যুদয় ঘটতে আমরা দেখি। একবস্ত্রে কপর্দকহীন অবস্থায় তিনি বেরিয়ে এসেছেন। তিনি পূণ্যতোয়া শিপ্রায় স্নান করে মহাকালেশ্বের মন্দিরে ধ্যানরত থাকেন।
কখনো বা উজ্জয়িনীর শ্মশান ঘাটে ভাবাবিস্ট অবস্থায় তাঁর দিন কাটে। উজ্জয়িনীর শ্মশানে মতিরাম কিছুদিন কাটান। যোগী, তান্ত্রিক ও বৈদান্তিক বহু সন্ন্যাসীর সান্নিধ্যে তিনি আসেন, কিন্তু তাঁর আত্মজীবনের তৃষ্ণা নিবারণ হয় কই ?
কে দেবে তাঁকে দেবে জীবনের আসল লক্ষ্যের পথ সন্ধান ?
অভীষ্ট সিদ্ধির চাবিকাঠি বা কার কাছে আছে ?
এরপর মতিরাম বেরিয়ে পড়লেন। তিন – চার বছর তিনি দ্বারকায় কাটান, এক প্রসিদ্ধ বেদান্তবাদী সন্ন্যাসীর কাছে তিনি বেদান্তশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন এবং আবার তিনি উজ্জয়িনীতে ফিরে আসেন। তিনি সন্ন্যাস ব্রত গ্রহণ করেন ব্রহ্মজ্ঞ মহাপুরুষরূপে সে সময় দাক্ষিণাত্যে শ্রীমৎ পূর্নানন্দ সরস্বতী মহারাজের কাছে।
পূর্বআশ্রমের সমস্ত পরিচয় এইবার নিঃশেষে মুছে গেলো। তিনি গুরু প্রদত্ত নতুন নাম গ্রহণ করলেন- ভাস্করানন্দ সরস্বতী। এরপর রেবানদীর তটস্থিত এক শ্মশানে থেকে কিছুকালের জন্যে তিনি কঠোর সাধনায় বসলেন। সন্ন্যাস জীবনের প্রথা অনুযায়ী স্বামী ভাস্করানন্দ একবার তাঁর জন্মস্থান মৈথেলালপুরে দেখা করতে যান।
যে পুত্রের আগমনে তিনি সংসারধর্ম ত্যাগ করেছিলেন, সেই পুত্র ইতিমধ্যে সংসারের মায়া ত্যাগ করে পরলোকগমন করেছে। আত্মপরিজনের মিনতি ও চোখের জল স্বামীজী কে ধরে রাখতে পারলো না। এর পর তাঁর শুরু হয় তীর্থভ্রমণ, তেরো বছর ব্যাপী ভারত ভ্রমণের পর তিনি হরিদ্বারে উপস্থিত হন। এই সময় সৌভাগ্যক্রমে তিনি বিখ্যাত বৈদান্তিক অনন্তরামের সাথে সাক্ষাৎ লাভ হয়।
এই স্বনামধন্য আচার্যের কাছে তিনি বেদন্তশাস্ত্রের গূঢ়তম তত্ত্ব সমূহ অধ্যয়ন ও উপলব্ধি করে তিনি কৃতার্থ হলেন। শিবপুরী কাশীধামের আহ্বান তার কাছে এলো। পূণ্যতোয়া গঙ্গাতটে পৌঁছিয়ে ভাস্করানন্দ স্বামীজী যে কৃচ্ছব্রত অবলম্বন করেন, তা তাঁর সাধকজীবনের এক বিশিষ্ট অধ্যায়। আহার বিহার সমস্ত কিছু তিনি পরিত্যাগ করেছেন।
সকলেই জানে যে আপনার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, আপনি এমন সব প্রসঙ্গ তুলে মানুষকে হাসতে পারেন, যাতে হাসবার বস্তু মোটেও কিছু নেই। উলঙ্গ সন্ন্যাসীর কথা আপনি বলায়, আমরা মনে করেছিলাম যে, না জানি কত কিছু তাকে নিয়ে হাস্যরস উত্থাপন করবেন। এখন ব্যাপার দেখছি অন্য।
গঙ্গার বালুতটে শীত গ্রীষ্মে সমানভাবে অবস্থান করে তিনি বিশ্বনাথজীর আরাধনায় নিমগ্ন। একনিষ্ঠ সাধকের অন্তরে অহোরাত্র চলছে ইস্ট ধ্যান। মাঝে মাঝে তাঁর মুখ থেকে বেরয় “বিশ্বনাথ” ধ্বনি। আকাশে বাতাসে তার অনুরণন উঠতে থাকে। “বেদব্যাস” পত্রিকার সম্পাদক ভূধর বাবু তাঁর এ সময়কার আশ্চর্যের কাহিনী লিখেছিলেন-
“স্বামীজী তীব্র শীতের সময় বিবস্ত্র দেহে জলের উপর ঠিক এক খণ্ড কাঠের ন্যায় ভেসে বেরিয়ে আনন্দ উপভোগ করতেন।”
প্রচণ্ড গ্রীষ্মের সময় উত্তপ্ত বালির উপর তিনি শুয়ে ধ্যানস্থ থাকতেন। সে সময় কেউ তাঁকে কিছু আহার পর্যন্ত করতে দেখেননি। যদি কেউ ভক্তি করে স্বামীজীর জন্য কিছু খাবার নিয়ে যেতেন, তিনি তা একবার দেখেই স্মিত হেসে সে স্থান তৎক্ষণাৎ পরিত্যাগ করতেন। কঠোর তপা স্বামীজীর ত্যাগ – তিতিক্ষা এবং যোগ – বিভূতির কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
বিশিষ্ট মার্কিন সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন ভারতবর্ষে এসে ভাস্করানন্দ স্বামীজীর দর্শন করতে যান। তিনি তাঁর “মোর ট্রাম্পস অ্যব্রড” বইতে এক মোনোহর বর্ণনা দিয়েছেন। হাস্যরসাত্মক রচনার জন্যে এই মার্কিন সাহিত্যিকের খ্যাতি তখন পৃথিবীব্যাপী। এসময়ে তিনি কলকাতায় আসলে
“ইংলিশম্যান” কাগজের প্রতিনিধি প্রশ্ন করলেন
“ভারতে এসে আপনি যা দেখলেন, তার ভিতর কোন বস্তুটি সর্ব্বাপেক্ষ উল্লেখযোগ্য? “তিনি তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন, “বেনারস এবং সেখানকার পবিত্রাত্মা মহাপুরুষটি।” একথা বলতে বলতে স্বামী ভাস্করানন্দের উলঙ্গ ছবিটি তিনি সর্ববসমক্ষে দেখলেন। কাগজের প্রতিনিধি বললেন” এ বড়ো বিস্ময়ের কথা।
সকলেই জানে যে আপনার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, আপনি এমন সব প্রসঙ্গ তুলে মানুষকে হাসতে পারেন, যাতে হাসবার বস্তু মোটেও কিছু নেই। উলঙ্গ সন্ন্যাসীর কথা আপনি বলায়, আমরা মনে করেছিলাম যে, না জানি কত কিছু তাকে নিয়ে হাস্যরস উত্থাপন করবেন। এখন ব্যাপার দেখছি অন্য।
প্রভুপাদ বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী কাশীতে বাস করবার সময় মাঝে মাঝে স্বামী ভাস্করানন্দকে দর্শন করতে যেতেন। তিনি আশির্বাদ দিলে গোস্বামীর আনন্দের সীমা থাকতো না। এ দেশের বহু শিক্ষিত ও অভিজাত ভক্তদের মধ্য দিয়ে ভারতের দিগ্বিদিকে স্বামী ভাস্করানন্দের নাম আজও প্রচারিত হচ্ছে।
তিনি শ্রদ্ধাভরে বললেন “তিনি যে ঈশ্বর প্রতিম।” এই স্বনামধন্য সাহিত্যিক তার ভ্রমণ গ্রন্থে স্বামীজীর প্রসঙ্গে লিখেছেন ” ভারতের তাজমহল সত্যি এক পরম বিস্ময়কর বস্তু, যার মহনীয় দৃশ্য মানুষকে আনন্দে অভিভূত করে, নতুন চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু স্বামীজীর মতো মহান বিস্ময়কর জীবন্ত বস্তুর সঙ্গে তা কিকরে তুলনীয় হতে পারে ?
এ যে জীবন্ত, এতে শ্বাস প্রশ্বাস বয়, এ কথা বলে, লক্ষ লক্ষ লোক এতে আস্থা স্থাপন করে, ভগবান ভেবে পূজা করে, কৃতজ্ঞতার সহিত এর পূজা করে।” মার্ক টোয়েন তার ভ্রমণ বৃত্তান্তে বারবার এই ভারতীয় স্বামীজীর কথা শ্রদ্ধাভরে উল্লেখ করেছেন। সুপ্রসিদ্ধ খ্রিস্টীয় ধর্ম গুরু ডাঃ ফেয়ারবার্ণও স্বামীজীর দর্শন লাভের পর প্রকাশ করেন-
“স্বামীজীর সামনে দাড়িয়ে আমি পবিত্রতা ও সততার এমন এক ভাবময় রূপ অন্তরে অনুভব করেছি, সমগ্র খ্রীষ্ট জগতে যার সমতুল্য কিছু আমি কখনো কিছু দেখিনি।”
কাশীর সমকালীন মহাপুরুষদের স্বীকৃতিও স্বামীজী কম লাভ করেন নাই। প্রসিদ্ধ বৈদান্তিক সন্ন্যাসী বিশুদ্ধানন্দজী চিরকাল স্বামী ভাস্করানন্দকে “বড়োদাদা” বলে সম্মোধন করে এসেছেন। মহাযোগী ত্রৈলঙ্গ বাবার সাথেও স্বামীজীর প্রগাঢ় সখ্য ছিল এবং সাক্ষাৎ মাত্রই উভয়কে পরস্পরের প্রতি অনুরাগ প্রদর্শন করতে দেখা যেত।
প্রভুপাদ বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী কাশীতে বাস করবার সময় মাঝে মাঝে স্বামী ভাস্করানন্দকে দর্শন করতে যেতেন। তিনি আশির্বাদ দিলে গোস্বামীর আনন্দের সীমা থাকতো না। এ দেশের বহু শিক্ষিত ও অভিজাত ভক্তদের মধ্য দিয়ে ভারতের দিগ্বিদিকে স্বামী ভাস্করানন্দের নাম আজও প্রচারিত হচ্ছে।
………………….
পুনপ্রচারে বিনীত: প্রণয় সেন
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
…………………..
আরও পড়ুন-
স্বামী অড়গড়ানন্দজী
ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায়
শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব
শিরডি সাই বাবা
পণ্ডিত মিশ্রীলাল মিশ্র
নীলাচলে মহাপ্রভুর অন্ত্যলীলার অন্যতম পার্ষদ ছিলেন রায় রামানন্দ
ভক্তজ্ঞানী ধর্মপ্রচারক দার্শনিক রামানুজ
সাধক ভোলানন্দ গিরি
ভক্ত লালাবাবু
লাটু মহারাজ শ্রীরামকৃষ্ণের অদ্ভুত সৃষ্টি
কমলাকান্ত ভট্টাচার্য
ব্রাহ্মনেতা কেশবচন্দ্র সেন
পরিব্রাজকাচার্য্যবর শ্রীশ্রীমৎ দূর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেব
আর্যভট্ট কাহিনী – এক অজানা কথা
গিরিশচন্দ্র ঘোষ
কঠিয়াবাবা রামদাস
সাধু নাগ মহাশয়
লঘিমাসিদ্ধ সাধু’র কথা
ঋষি অরবিন্দ’র কথা
অরবিন্দ ঘোষ
মহাত্মাজির পুণ্যব্রত
দুই দেহধারী সাধু
যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর
বাচস্পতি অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখা থেকে
মুসলমানে রহিম বলে হিন্দু পড়ে রামনাম
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব : প্রথম খণ্ড
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব: দ্বিতীয় খণ্ড
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব : অন্তিম খণ্ড
মহামহোপাধ্যায় কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ
শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর
শ্রীশ্রী ঠাকুর সত্যানন্দদেব
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: এক
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: দুই
মহাতাপস বালানন্দ ব্রহ্মচারী: তিন
সাধক তুকারাম
সাধক তুলসীদাস: এক
সাধক তুলসীদাস: দুই
সাধক তুলসীদাস: তিন
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: এক
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: দুই
শ্রীশ্রী মোহনানন্দ স্বামী: তিন