শ্রাদ্ধ
মৃত্যুর পরে শ্রাদ্ধের দিন পর্য্যন্ত প্রতিদিন গৃহে ঈশ্বরের উপাসনা হওয়া উচিত। মৃত্যুর কতদিন পরে শ্রাদ্ধ ক্রিয়া সম্পন্ন করিতে হইবে তাহার কোন নির্দ্দিষ্ট নিয়ম নাই। কিন্তু শোকের স্বাভাবিক প্রবলতার মধ্যেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হইলে ভাল হয়।
শোকের অবস্থায় স্বভাবতই লোকের আমোদস্পৃহা হ্রাস হইয়া যায় এবং শান্ত ও সংযতভাবে থাকিতে ইচ্ছা হয়। শোকার্ত্ত ব্যক্তিগত যদি কোন শোকচিহ্ন ধারণ করিতে ইচ্ছা করেন, তবে দেশীয় রীতি অনুসরেই তাহা করিলে ভাল হয় ; কিন্তু অত্যধিক কঠোরতা অথবা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করা পরিহার করিতে হইবে।
যদি শ্রাদ্ধকর্তা ইচ্ছা করেন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে বিবিধ ধর্ম্মশাস্ত্র হইতে পাঠও হইতে পারে। কিন্তু তাহা যেন অতি দীর্ঘ ও অতি দীর্ঘ ও অতি রাধারণ ভাবের না হয়। মৃত ব্যক্তির জীবন, শ্রাদ্ধকারীদের মনের অবস্থা ও পরিবারের অবস্থা, প্রভৃতির উপযোগী করিয়া শাস্ত্র বাক্য নির্ব্বাচন করা উচিত।
নির্দ্দিষ্ট দিনে গম্ভীরভাবে আত্মীয় ও বন্ধুগণসহ সকলে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য সমবেত হইবেন। প্রধান শোককারীগণ যথাসম্ভব আচার্য্যের নিকটে উপবেশন করিবেন।
শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যে ব্রহ্মোপাসনা হইবে, তাহার উদ্বোধন যেন শোকার্ত্ত পরিবারের অন্তরের অবস্থার উপযোগী হয়। মৃত ব্যক্তির স্মরণে হৃদয়ে যে সকল ভাবের উদয় হয় তাহা লইয়া এবং ঈশ্বরের প্রেমে বিশ্বাসী হইয়া আমরা যে আত্মার অমরত্বে বিম্বাস করি তাহার অনুভূতি লইয়া শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের উদ্বোধন ও উপাসনা হইবে।
তৃতীয় সঙ্গীতের পর শ্রাদ্ধকর্ত্তা মৃতব্যক্তির গুণাবলী বিবৃত করিবেন এবং পরলোকগত আত্মার জন্য প্রার্থনা করিবেন। এই বিবৃতি লিখিত হইলেই ভাল হয়। শোকোচ্ছ্বাস প্রভৃতি পরিহার করিয়া যথাসম্ভব শান্ত ও সংযত ভাষাতেই উহা লিখিত হওয়া ভাল।
যদি শ্রাদ্ধকর্তা ইচ্ছা করেন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে বিবিধ ধর্ম্মশাস্ত্র হইতে পাঠও হইতে পারে। কিন্তু তাহা যেন অতি দীর্ঘ ও অতি দীর্ঘ ও অতি রাধারণ ভাবের না হয়। মৃত ব্যক্তির জীবন, শ্রাদ্ধকারীদের মনের অবস্থা ও পরিবারের অবস্থা, প্রভৃতির উপযোগী করিয়া শাস্ত্র বাক্য নির্ব্বাচন করা উচিত।
…………………………
ব্রাহ্মধর্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজ
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
………
আরও পড়ুন-
ব্রাহ্মসমাজ
সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সভ্য হইবার যোগ্যতা
ব্রাহ্ম ধর্মের মূল সত্য
ব্রহ্ম মন্দিরের ট্রাস্টডিড
ব্রাহ্মধর্ম্মের মূল সত্য
আত্মা
মানুষের ভ্রাতৃত্ব
উপাসনা ও প্রার্থনা
শাস্ত্র
গুরু
মধ্যবর্ত্তী ও প্রেরিত
সুখ-দু:খ : দু:খবাদ ও আনন্দবাদ
পাপ ও পুণ্য
পুনর্জ্জন্ম
পরকাল
স্বর্গ ও নরক
ধর্ম্ম রক্ষা
পরিবারে পুরুষ ও নারীর অধিকার-সাম্য
ব্রাহ্মসমাজের প্রতি ব্রাহ্মদিগের কর্ত্তব্য
সমবেত উপাসনা
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ
স্তুতি
বিবিধ অবস্থায় প্রার্থনা
নৈমিত্তিক অনুষ্ঠান
সন্তান জন্ম
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ
ধর্ম্মসাধন ব্রতে দীক্ষা
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ধর্ম্মদীক্ষা
বিবাহ ও তাহার আনুসঙ্গিক অনুষ্ঠান
বিবাহের বাগদান
বিবাহ
মৃত্যু ও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া
শ্রাদ্ধ
গৃহ প্রবেশ
ব্রহ্ম ও ব্রহ্মের স্বরূপ
ব্রহ্ম ধ্যান
ব্রাহ্মধর্ম
সকলেই কি ব্রাহ্ম?
ব্রাহ্মোপসনা প্রচলন ও পদ্ধতি
আদি ব্রাহ্ম সমাজ ও “নব হিন্দু সম্প্রদায়”
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ