সকলেই কি ব্রাহ্ম?
ব্রাহ্ম কে
ব্রহ্ম যাঁহার লক্ষ্য ও উপাস্য তিনিই ব্রাহ্ম। উপরিলিখিত তিনটি মূল সত্যে প্রত্যেক ব্রাহ্ম বিশ্বাসী হন। যিনি এই সত্যে বিশ্বাস করেন ও নিজ জীবনে এই সত্য নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন তিনিই ব্রাহ্ম।
আদর্শ ব্রাহ্ম হতে হলে সংসার থেকে দূরে যাবার প্রয়োজন হয় না। ব্রাহ্মধর্মে ‘ব্রহ্মনিষ্ঠ-গৃহস্থ’ হবার উপদেশ আছে। অর্থাৎ মন কে ঈশ্বরবিশ্বাসী করে, ন্যায়পথে, জীবনে সব কাজ করতে হবে। সংসারে থেকে ঈশ্বরের প্রিয় কাজ করাই তাঁর পূজা।
পৃথিবী থেকে মানুষের অভাব, দু:খ, দূর করা আনন্দস্বরূপ পরমেশ্বরের প্রিয় কাজ বলে, প্রতি ব্রাহ্মের করণীয়। ঈশ্বর-চিন্তন, সৎভাবে জীবনযাপন ও পরিহিতকর কাজ করা প্রতি ব্রাহ্মের জীবনাদর্শ। জীবনের শৈশবকাল থেকেই সচেতন চেষ্টা দ্বারা ‘ব্রাহ্ম’ হতে হয়।
জাতিভেদ
ব্রাহ্মরা জাতিভেদ মানেন না। ঈশ্বর সমস্ত মনুষ্যজাতির স্রষ্টা ও পালক। কোনও মানুষকে উঁচু বা নীচু জাতের বলে তিনি সৃষ্টি করেন নি। মানুষকে নীচু মনে করলে ঈম্বরকেই অবমাননা করা হয়। ঈশ্বরের কাছে সব মানুষ সমান। সবার হৃদয়ে তাঁর বাস।
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষই তাঁর আরাধনা ও পূজা করতে পারে। এই জন্যই তাঁর উপাসনায় ব্রহ্মমন্দিরে সবাইকে যোগ দিতে আহ্বান করা হয়।
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
………
আরও পড়ুন-
ব্রাহ্মসমাজ
সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সভ্য হইবার যোগ্যতা
ব্রাহ্ম ধর্মের মূল সত্য
ব্রহ্ম মন্দিরের ট্রাস্টডিড
ব্রাহ্মধর্ম্মের মূল সত্য
আত্মা
মানুষের ভ্রাতৃত্ব
উপাসনা ও প্রার্থনা
শাস্ত্র
গুরু
মধ্যবর্ত্তী ও প্রেরিত
সুখ-দু:খ : দু:খবাদ ও আনন্দবাদ
পাপ ও পুণ্য
পুনর্জ্জন্ম
পরকাল
স্বর্গ ও নরক
ধর্ম্ম রক্ষা
পরিবারে পুরুষ ও নারীর অধিকার-সাম্য
ব্রাহ্মসমাজের প্রতি ব্রাহ্মদিগের কর্ত্তব্য
সমবেত উপাসনা
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ
স্তুতি
বিবিধ অবস্থায় প্রার্থনা
নৈমিত্তিক অনুষ্ঠান
সন্তান জন্ম
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ
ধর্ম্মসাধন ব্রতে দীক্ষা
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ধর্ম্মদীক্ষা
বিবাহ ও তাহার আনুসঙ্গিক অনুষ্ঠান
বিবাহের বাগদান
বিবাহ
মৃত্যু ও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া
শ্রাদ্ধ
গৃহ প্রবেশ
ব্রহ্ম ও ব্রহ্মের স্বরূপ
ব্রহ্ম ধ্যান
ব্রাহ্মধর্ম
সকলেই কি ব্রাহ্ম?
ব্রাহ্মোপসনা প্রচলন ও পদ্ধতি
আদি ব্রাহ্ম সমাজ ও “নব হিন্দু সম্প্রদায়”
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ