-সত্যানন্দ মহারাজ
অনেককেই বলতে শুনি দিন’টা খুব খারাপ যাচ্ছে। এমনকি আমারও কখনো-সখনো মনে হয়- আমারও বুঝি আজ দিনটা খুব খারাপ দিন।
যাঁর ফোঁড়া হয় তাঁর যন্ত্রণা সেই অনুভব করে। যাঁর ফোঁড়া হয়নি বা পূর্বে হয়েছিল বা ভবিষ্যতে হবে- বর্তমানে তাঁর এই যন্ত্রণা অনুভব করা সেই মুহূর্তে কঠিন যদি না সে তাঁর পূর্বের অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে সমব্যথী না হয়।
পরম আরাধ্য স্বামী দেবানন্দ মহারাজ বললেন- ‘যে মানুষ অপরের দু:খ অনুভব করতে পারে না, তাঁর মতো দু:খী এ জগতে নেই।’
অপরের দু:খ বা সুখ অনুভব করতে গেলে হৃদয়াকেও একটু একটু করে বড় করতে হয়। তিনি বলেন- ‘ত্যাগ মানে ক্ষুদ্র স্বার্থের গণ্ডিকে পরিহার করা।’
ভগবান সর্বব্যাপী। তিনি এই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের অণু-পরমাণুতে বিরাজ করছেন। বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের সকল পশুপাখি কীট-পতঙ্গের আহার জোগাচ্ছেন। পালন-পোষন করছেন, তাঁদের সুখ-দু:খের সাথী হচ্ছেন। তাঁর মানে তাঁর হৃদয়টা কত বড়! অসীম-অনন্ত।
আর সেই অসীম অনন্তের মত হৃদয়টাকে বা সেই হৃদয়ের পরশ আমি আমার এই ক্ষুদ্র-স্বার্থপর ভাবনাযুক্ত ছোট্ট হৃদয়ে কি করে ধারণ করতে পারি?
যদি না আমি স্বার্থপর হওয়ার চেষ্টা করি? জীবনে শান্তি পেতে গেলে নি:স্বার্থপর তো আমার হতেই হবে। নচেৎ দু:খ-কষ্ট-জ্বালা-যন্ত্রণা ও অশান্তি আমাদের কখনোই পিছু ছাড়বে না।
তাই ভগবানকে ভালবাসতে পারলে তবেই তাঁর নাম ও গুণের মহিমায় আমাদের এই রাবারের মত হৃদয়টা বাড়তে বাড়তে একদিন অসীম-অনন্ত হৃদয়ে পরিণত হবে।
তাই তো মহাত্মারা বলেন- যে দিনটা ভগবানকে ভুলে থাকবে- সেই দিন খারাপ।
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
……………………………………
আরো পড়ুন:
গুরুজ্ঞান
গুরু শিষ্য ধারণা
ত্রিতাপ জ্বালা
সদগুরু সঙ্গ
এটা মহাপুরুষের দেশ
জীবাত্মা ও পরমাত্মা
ভগবান কোথায় থাকেন?
সংসার ধর্ম
কি ভাবে সংসার করবো?
ভগবানের সর্বব্যাপীত
ভগবানকে কেন ডাকি?
পরশ পাথর
খারাপ দিন
রথ ও রথের মেলা
জীবনধারা
আমরা সাধারণ মানুষ
সব থেকে বড় হৃদয়
আমার জীবন জুড়িয়ে দাও