ভবঘুরেকথা
মোহাম্মদ আলী ফকির

মানুষের ভিতরে অসীম মানুষ বাস করে: এক

-ফিরোজ এহতেশাম

[ফকির মো. আলী শাহর সাক্ষাৎকার]

১ কার্তিক ১৪১৯ (১৬ অক্টোবর ২০১২) ছিল লালন সাঁইয়ের ১২২তম তিরোধান দিবস। এ উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় আয়োজিত পাঁচদিনব্যাপী (১৬-২০ অক্টোবর) ‘লালন স্মরণোৎসবের’ প্রথম ও দ্বিতীয় দিন দুপুরে লালনের আখড়ার ভিতরে বসে কথা হয় আখড়ার প্রধান খাদেম ফকির মো. আলী শাহের সাথে। সেই কথপোকথনটি যথাসম্ভব তাঁর মুখের ভাষা অক্ষুণ্ণ রেখে এখানে তুলে দিচ্ছি-

ফিরোজ এহতেশাম: আপনার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। আপনার জন্ম, বেড়ে ওঠা, কতদিন ধরে লালনের পথে আছেন, সেবা করছেন, লালনের পথে কেন এলেন-এইসব।

ফকির মো. আলী শাহ: আমার জন্ম এই ছেঁউড়িয়াতেই, ১৯৪৭ সালে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে এ আখড়ার প্রধান খাদেম হয়ে সাঁইজির সেবা করছি। আর সাঁইজির তরিকাতে আছি প্রায় ৩৫ বছর। আমার বয়স ৬৫ বছর।

সাঁইজিকে ভালো লাগছে তাই তার তরিকাতে এসেছি। আমার বাবা ফকির গোলাম ইয়াছিন শাহও ছিলেন এই লাইনের, এই তরিকার। বাবা এখানেই (আখড়ায়) শায়িত আছেন।

ফিরোজ: বাউলদের মধ্যে একটা কথা প্রচলিত আছে- ‘আপন ভজন কথা, না কহিবে যথা-তথা, আপনাতে আপনি সাবধান’। ভজন কথা বললে কি হয়, বলতে নিষেধ করার কারণ কি?

আলী: আপনার মর্মকথা না বলিও যথা-তথা। মানে একান্ত গোপন কথা আর কি। মর্মকথা বলে না কারণ, সাঁইজির তরিকাতে যারা গুরুবাদী না, যারা এখনও কারও প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেনি, কারও হাতে হাত দেয়নি, তাদের মর্মকথা, গোপন কথা বলা নিষেধ আছে। বললে তারা জেনে যাবে।

সাঁইজির তরিকার যে ভাবধারা, ধর্মের বিধিবিধান, এটা গুরু-শিষ্যের ভিতরই সীমাবদ্ধ। থাকা উচিত। কারণ এটা সিনার ভেদ সিনায় সিনায় তো, সফিনার ভেদ সফিনায়, তা-ই। সিনা হলো আত্মা বা অন্তর, আর সফিনা হলো বাহ্যিক।

এর কিন্তু কোনো বই-পুস্তক নাই। আমার সিনা, আমার যা কিছু আছে সব আপনাকে দিয়ে দিলাম, আপনার যা কিছু আছে সব আমাকে দিয়ে দিলেন। গুরু-শিষ্যের আদান-প্রদান।

তো তারপরেও ধরেন যে, আমরা এখন বহু লেখাপড়া শিখে ফেলেছি তো, আমরা অনেক জেনে ফেলেছি! যেগুলো সাধু-গুরুরা জানেন না, ওগুলোও জেনে ফেলেছি। এই আর কি।

ফিরোজ: এরকম একটা কথা প্রচলিত আছে যে, গুরুকে ধরলে সব কিছু জানা যাবে। তো, গুরু কারা, আমরা গুরু কাকে বলব?

আলী: গুরুকে ধরলে সব কিছু জানা যাবে না। গুরুকে ধরলে বাজার দর কি জানা যাবে? (হাসি) সাঁইজির তরিকার গুরু যদি ধরা যায় তো সাঁইজির তরিকার বিষয়েই জানা যাবে। চাউল-ডালের বিষয়ে তো আর জানা যাবে না। ওই অর্থে।

সাঁইজি বলছেন যে, ‘মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার, ভবে সর্ব সাধন সিদ্ধি হয় তার।’ গুরুকে যদি আপনার চেনার অভিলাষ থেকে থাকে, যদি মনে করেন যে গুরু একজন ধরব তবে আপনি জানবেন যে সাঁইজি মিলায়ে দিবে আপনাকে! তো তারপরও একটা প্রক্রিয়া আছে যে, গুরু কে হন? গুরু দেখে নিতে হবে।

তবে এর ভিতরেও ভণ্ড আছে। আমার ভিতরেও ভণ্ডতা আছে। কথাবার্তা বললে বোঝা যায়, মুখ দেখলে বোঝা যায়। কখনও আবার বোঝা যায় না। ওই যে কালকে আপনার সাথে একটা ছেলে আসছিলেন, ছটফট ছটফট করছিলেন, আপনি বলছিলেন দাঁড়া, দাঁড়া, দাঁড়া।

মানে উনার কাজ সিদ্ধি হয়ে গেছে, ও নাই, আর দরকার নাই। না, সঙ্গ দিতে হবে। সঙ্গ না দিলে জানা যাবে না। যার কাছ থেকে জানবেন তার মনটাও ভালো লাগবে, না হলে তার মনে হবে আমার কাছ থেকে নিয়ে চলে গেল। তবে ফকিরদের মধ্যেও ক্যাটাগরি আছে।

একই ক্লাসে যেমন কেউ ফার্স্ট ডিভিশনে পাস করে, কেউ গোল্লাও পায়। এরকম আমাদের ভিতরেও আছে। আমাদের ভিতর সবই যে জানা মানুষ, সবই যে স্বচ্ছ মানুষ, পরিষ্কার মানুষ, তা কিন্তু না। আমাদের ভিতরেও ভালো-খারাপ মানুষ আছে।

আমরা বলি যে রাগ বর্জন করতে হবে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে কিন্তু রাগী মানুষ আছে। অনেকের সাথে দেখবেন যে কথা বলে পরতা পরে না, এরকম কিন্তু আছে। সাঁইজির তো প্রথম ধারাই আছে লোভ, ক্রোধ, হিংসা, ঐশ্বর্য, মাৎসর্য -এগুলা থাকলে কেউ ফকির হতে পারবে না।

ফিরোজ: বাউল, সাধু, ফকির-এসব যে আমরা বলি, কাদেরকে বলি, তাদের কি কোনো স্তর আছে, সাধনার স্তর? মানে, সাধনার একটা স্তর অতিক্রম করলে তাকে বাউল বলে, আবার অন্য স্তর পার হলে তাকে সাধু বলে- এরকম কি ব্যাপারটা?

আলী: হ্যাঁ, অবশ্যই স্তর আছে। আউল হচ্ছেন আপনারা, যারা ঐহিক লোক, সাধারণ মানুষ। বাউল হচ্ছেন যারা সাঁইজির ধর্ম গ্রহণ করল। তার পরবতী পর্যায় দরবেশ। ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর-ফাইভ এরকম স্টেপ নাই? এখানেও তা-ই।

এখানে প্রথম পাঁচটা সাধনা আছে- আউল, বাউল, দরবেশ, সাঁই, তারপরে ফকির। ফকির হচ্ছে সর্বোচ্চ পর্যায়। এদের সবার সঙ্গে সবার এই ভাবধারার মধ্য দিয়ে লিংক রয়ে গেছে। যিনি ফকির, তিনিও সাঁই, তিনিও বাউল।

ফিরোজ: ‘যাহা আছে ভাণ্ডে (দেহভাণ্ডে), তা-ই আছে ব্রহ্মাণ্ডে’- এই কথাটা দিয়ে বাউলরা কী বোঝাতে চায়?

আলী: যাহা আছে ব্রহ্মাণ্ডে তার সবই আছে দেহভাণ্ডে, এর ভিতরে সব কিছু আছে। দুনিয়ায় যা দেখা যায় বাহ্যিক, অন্তরেও তা-ই আছে। এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, ধরায়ে দিই আপনারে, তাইলে মক্কা কই?

মক্কা তো বাহ্যিক, মক্কা নগরে কাবা ঘর আছে। তাইলে এই দেহে কাবা ঘর কোথায় আছে? আছে, দেহে কাবা ঘর আছে। সেটা আপনি অনুসারী, অনুরাগী না হলে জানতে পারবেন না।

ফিরোজ: লালনের গানে বা তত্ত্বে নিজেকে জানার যে ব্যাপারটা আছে, মানে আত্মতত্ত্বের বিষয়টা, তো নিজেকে জানা যায় কিভাবে? ‘নো দাই সেলফ’ তো বলে গেছেন সক্রেটিস…

আলী: সক্রেটিস বলে গেছে ‘নো দাই সেলফ’, নিজেকে নিজে জানো। তো কখন জানে মানুষ? যখন নিজেকে মানুষ বিলীন করে দেয়। যখন আমার… আপনি বলেন না যে, এই মোবাইল সেটটা কার? আমার।

আমি বলতে নাহ, যখন এই ‘আমি’ বা ‘আমার’ শব্দটা থাকবে না, আমার আমিত্বকে যখন খর্ব করতে পারব, ত্যাগ করতে পারব, আমার বলতে আর কিচ্ছু নেই, তখন নিজেকে চেনা যাবে, ষড়রিপুর মাধ্যমে।

গুরু তো সর্বেসর্বা, তাকে সর্বস্ব দিয়ে দিয়েছি। নিজের সবচেয়ে প্রিয় জিনিস, এমনকি বউও যদি গুরু চায় তবে তাকে দিয়ে দিতে হবে। এই হচ্ছে আমিত্বকে হারানো, সর্বস্ব ত্যাগ করা, এই হচ্ছে কুরবানি। কিন্তু গুরু চায় না। যে গুরু চায় সে কামুক, সে গুরু হওয়ার যোগ্য না।

ফিরোজ: জানার প্রক্রিয়াটা কি? কিভাবে জানব? সাধনা দরকার?

আলী: জানার প্রক্রিয়া? আপনি ষড়রিপু- কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য কনট্রোল করেন তখন আপনি কিছুটা আভাস পাবেন। সাধনা দরকার তো বটেই, সাধনা ছাড়া কিচ্ছু নেই এখানে। বড় কঠিন ব্যাপার আছে।

আপনি সারাদিন কিছু টাউনে ঘুরে বেড়াইলেন বা পিকচার হলে ছবি দেখলেন, ঝিনাইদহে, আপনার বাড়ি কোথায়? রংপুর। রংপুরে স্টেডিয়াম নিশ্চয়ই আছে। রংপুর-টংপুর দেখলেন আর সন্ধ্যাবেলা যায়ে পেয়ে গেলেন, তা পাবেন না।

সাধনা থাকা দরকার। আত্মতত্ত্ব, নিজেকে জানা। প্রশ্ন আছে না, আমি কে, কোত্থেকে আসলাম, কোথায় ছিলাম, কি ছিলাম, কোথায় যাব…। এত চিন্তা করি আমরা, নয়তো করি না। আমরা গড্ডলিকা প্রবাহে জীবন কাটাচ্ছি। বাপ-মা ছোটকাল থেকে মানুষ করে বড় করে দিয়েছে, স্কুল কলেজে ভর্তি হয়ে পড়তেছি, মেয়েছেলের সঙ্গে কো-এডুকেশনে লিপ্ত আছি, আমার অন্যথাও হয়ে যাচ্ছে।

এই জগতে এ চিন্তা করার সময় পাচ্ছি না, সুযোগ নাই আমাদের চিন্তা করার, চিন্তা করিও না। যে জিনিসটা নিষেধ করতেছি, সেই জিনিসটাই আপনার ভালো লাগতেছে। ষড়রিপু যখন কনট্রোল হয়ে যাবে তখন আপনি নিজেকে জানতে পারবেন। নিজের সঙ্গে লড়াই। বিলীন করার তো ব্যাপার আছেই।

ফিরোজ: ঈশ্বরের সাথে বিলীন…

আলী: এক অর্থে তা-ই। তবে এইখানে কিছু কথা আছে কিন্তু। এইখানে কথা আছে যে, ‘যে মুর্শিদ সে-ই রাসুল ইহাতে নাই কোনো ভুল, খোদাও সে হয়।’ এখন এই খোদার সাথে লীন হতে হবে। ওই খোদাই এই খোদা।

ফিরোজ: অর্থাৎ মুর্শিদই, মানুষই খোদা?

আলী: ঠিক মানুষই খোদা না, মুর্শিদ খোদা, যার যার মুর্শিদ তার তার কাছে খোদা।

ফিরোজ: কিন্তু মুর্শিদ তো মানুষই…

আলী: হ্যাঁ, এখন আমি যদি আপনাকে মুর্শিদ মনে করি, আপনার ভিতরে এক ঈশ্বর তো আছেই তাই না? তাইলে?

ফিরোজ: বলা হয় যে ঈশ্বর তার আদলে বা রূপে মানুষকে তৈরি করেছে…

আলী: হ্যাঁ, তাই তো হইল। আদম তারই (ঈশ্বরের) প্রতিচ্ছবি। তাকে দেখেছেন আপনি? দেখা যায়? যায় না। তো তারপরও দেখা যায়। কিন্তু এ দেখা যাওয়ার কথা বলা যাবে না। এ হচ্ছে সাধার জিনিস, গুরু-প্রদত্ত জিনিস।

এমনি এমনি সাধারণ ধারায় আসেন, যদি আপনি স্বীকার করেন যে তারই (ঈশ্বরের) প্রতিকৃতি এই আদম, তাইলে আদম তাইলে আল্লাহ। সাঁইজি বলছেন, যথা কাল্লা তথা আল্লাহ… কিন্তু সবাই মক্কায় খুঁজতে যায়! মক্কায় গেলে কি পাওয়া যায়!

ফিরোজ: লালনের দর্শনটা আপনার কাছে কী মনে হয়?

আলী: কোন দিককার দর্শন বলব আমি? লালনের তো বহু দর্শন। লালন নিজে একটা দর্শন, তার দেহটা একটা দর্শন, তার বাণী একটা দর্শন, তার চলাফেরা দর্শন, তার খাওয়াও দর্শন, ঘুমানোটাও দর্শন। তার সব কিছুই দর্শন। আমি কোন দর্শনের কথা বলব আপনাকে?

ফিরোজ: লালনের দর্শনটা কি সংক্ষেপে বলা সম্ভব না? মূলত লালন কি বলতে চান?

আলী: এখানে অনেকে দেখতে এসে বলেন যে, সাঁইজি কোন ধর্ম করতেন? তখন আমরা একটা কথাই বলি, মানবতার ধর্ম। তিনি মানুষের কথাই বলে গেছেন। অনেকেই বলে সে (লালন) কি নামাজ পড়ত? কত বড় পাপ কথা বলল। আরে বাপ, নামাজ পড়ল কিনা সেটা তার ব্যাপার, যার যার নামাজ সে-ই সে-ই পড়ে।

তো যাই হোক, উনার দর্শনের থিম হচ্ছে ইনি একজন মানুষ। এই মানুষের ভিতরে এক অসীম মানুষ বাস করছে। সেই অসীম মানুষটার নৈকট্য পেতে হলে এই মানুষটাকে সাধন করতে হবে। আপনার কি নাম? ফিরোজ। এই ফিরোজ একটা মানুষ। এই ফিরোজের ভিতরে কিন্তু আরেকটা ফিরোজ বাস করছে।

ওই ফিরোজটাকে পেতে হলে এই ফিরোজটাকে সাধনা করতে হবে। এই ফিরোজটাই হচ্ছে মূল। বাহ্যিক ফিরোজের ভিতর দিয়ে ভিতরের ফিরোজটাকে পাওয়া যাবে। এই হচ্ছে সাঁইজির থিম, সংক্ষেপে। তার মধ্যে এখন ফিরোজকে কিভাবে ভজন-সাধন করব, ভজন-সাধনের কথা তো বললাম, তখনই দেহতত্ত্বের বিষয় এসে গেল।

ফিরোজ: অনেক গবেষক খোঁজ করতে যায় যে, লালন হিন্দু নাকি মুসলমান-এ ব্যাপারটাকে আপনি কিভাবে দেখেন?

আলী: যে ধরেন যে একটুও জানে… এই গবেষকদের ভিতরেও তো ক্যাটাগরি আছে। কিছু আকাটা গবেষক আছে। আর কিছু আছে সত্যি সাঁইজিকে চিনতে চায়, জানতে চায়। তারা এই হিন্দু-মুসলমান প্রশ্ন উঠায় না।

তবে একটা বাণীতে এটা প্রমাণ হয় এবং প্রতীয়মান হয় যে, ‘সব লোকে কয় লালন ফকির হিন্দু কি যবন, লালন বলে আমার আমি না জানি সন্ধান।’ তাই না? যে আমি হিন্দু কি মুসলমান নিজেও জানি না। এই গানটারই শেষে আছে, লালন তেমনি খাৎনার জাত একখান। খাৎনা কিন্তু মুসলমানরাই দেয়। তবে হিন্দুরাও খাৎনা দেয় শুনি।

(চলবে…)

মানুষের ভিতরে অসীম মানুষ বাস করে: দুই>>

………………
সাক্ষাৎকারটি ফিরোজ এহতেশামের ‘সাধুকথা: ১৩ বাউল-ফকিরের সাথে কথাবার্তা’ বই থেকে পুনর্মুদ্রিত

……………………….
আরো পড়ুন:
মানুষের ভিতরে অসীম মানুষ বাস করে: এক
মানুষের ভিতরে অসীম মানুষ বাস করে: দুই
মানুষের ভিতরে অসীম মানুষ বাস করে: তিন
মানুষের ভিতরে অসীম মানুষ বাস করে: চার

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

……………….
আরও পড়ুন-
দর্শনের ইতিহাস বিচার
আইয়োনীয় দর্শন
টোটেম বিশ্বাস
নির্ধারণবাদ
বিতণ্ডাবাদী
অতীন্দ্রিয় রহস্যবাদ
জনগণের দর্শন ও বস্তুবাদী দর্শন
লোকায়ত ও সাংখ্য
লোকায়ত, বৈষ্ণব, সহজিয়া
প্রকৃতিবাদী দার্শনিকবৃন্দ

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!