ভবঘুরেকথা
স্পর্শের কাতরতা ইন্দ্রিয়

স্পর্শের কাতরতা: তৃতীয় পর্ব

-মূর্শেদূল মেরাজ

জ্ঞানেন্দ্রিয়: স্পর্শ : স্পর্শের কাতরতা: তৃতীয় পর্ব

ধর্মীয় আরাধনার আগে ত্বক পরিষ্কার-পবিত্র করার গুরুত্ব সর্বক্ষেত্রেই লক্ষণীয়। তা সে সভ্য সমাজের শহুরে অভিজাত ধর্মীয় আচারই হোক। কিংবা কোনো নিভৃত অন্ধকার জঙ্গলের গহীনে, যেখানে তথাকথিত সভ্যতার ছাপ পরেনি এমন কোনো মতাদর্শের আরাধনাই হোক। সর্বত্রই প্রায় সমান গুরুত্ব দেয়া হয় স্পর্শের কাতরতাকে।

অন্তঃকরণ শুদ্ধতার জন্য বহিরাবরণ শুদ্ধ করার বিধান প্রায় সর্বক্ষেত্রেই দেখা যায়। এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, অনেক সাধক একই পোশাক বছরের গায়ে দিয়ে থাকে। অনেক সাধক সারাজীবনে সাধন পথে হয়তো জল দেহে লাগায়ই না। তাদের ক্ষেত্রে কি এ কথা খাটে?

বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও বলতে হয় অবশ্যই খাটে। কারণ প্রত্যেকে প্রত্যেকের মত করে পবিত্র হয়। কেউ নিয়ম মেনে মেপে মেপে পানি-দুধ-সোনা-রূপা-সুগন্ধি যোগে ত্বক পবিত্র করে। আর কেউ সাধনবলে এমন এক পর্যায়ে স্পর্শ অঙ্গ তথা ত্বককে নিয়ে যায় যাতে ময়লার আবরণ তাকে স্পর্শই করতে পারে না।

আবার আমরা যাকে ময়লা-আবর্জনা-দুর্গন্ধ ভাবছি আদতেই কি সেগুলোই চূড়ান্ত বিচার কিনা আধ্যাত্মবাদে তা নিয়েও আছে ভেদের কথা। সে কথা এখানে অবান্তর তাই সে প্রসঙ্গে যাচ্ছি না।

সাধারণভাবে প্রচলিত প্রত্যেক মতেই আরাধনার আগে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার। বেঁধে দিয়েছে নানা বিধিবিধান। আর এই বিধান যথাযথভাবে পালন না করা হলে নির্ধারণ করা আছে কঠিন শাস্তি।

মুসলমানদের মধ্যে প্রতিবার নামাজের পূর্বে অজু করার নিয়ম আছে। এই অজু কিরূপে করতে হবে তার বিশদ বিবরণও আছে। সনাতন মতে, পুজার আগে গোসল করার বিধান দেখতে পাওয়া যায়। কোন পুজায় কিভাবে কখন কত সময় ধরে, কতটা জল দিয়ে গোলস অর্থাৎ ত্বকে দিতে হবে তারও বিবরণ জানা যায়।

এভাবে প্রতিটা ছোটবড় ধর্ম-মতাদর্শে বিধিবিধান আছে। আবার এই ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষার্থে কি কি করা যাবে আর কি কি করা যাবে না তারও সু-নির্দিষ্ট তত্ত্ব উল্লেখ রয়েছে ধর্মীয় শাস্ত্রে। স্পর্শ ইন্দ্রিয়ের এই পবিত্রতা ধরে রাখবার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। কত সংস্কার যে মানে তা বলে শেষ করা যাবে না।

ত্বকের তথা স্পর্শ ইন্দ্রিয়ের পবিত্রতার অক্ষুন্ন রাখতে বিশ্বাসীরা এহেন কাজ নেই যে করতে পারে না। দাঙ্গা-হাঙ্গামা থেকে শুরু করে খুন-খারাবি, যুদ্ধ-বিদ্রোহ পর্যন্ত। এই পবিত্রতা রক্ষার্থে সমাজে সৃষ্টি হয় জাত-পাত-কুল-গোত্র।

কেননা একটা ধর্ম কখনও এত সংকীর্ণ অনুদার হইতেই পারে না। ধর্ম সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং সত্য চিরদিনই বিশ্বের সকলের কাছে সমান সত্য। এইখানেই বুঝা যায় যে, কোনো ধর্ম শুধু কোনো এক বিশিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য নয়, তাহা বিশ্বের।

সেই বিচারে ধর্ম এক শ্রেণীকে করে তোলে মহান অর্থাৎ উচ্চমার্গীয়। আবার কোনো সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করা হয় যজব, নিচুজাত বা চণ্ডাল। যাদের ছোঁয়ায় ধর্ম নাশ হয়। এতো ঘটে একই ধর্মের অভ্যন্তরে। আবার এক ধর্মের লোক অন্য ধর্মের কাউকে ছুঁয়ে দিলে বা ছায়া মাড়ালেও জাত যায় এমনটাও প্রচলিত আছে বহু সমাজেই।

বর্তমানে তার রেশ কিছুটা কমলেও একসময় ভারতবর্ষে এর আগ্রাসন ছিল সর্বত্র। ব্রাহ্মণ চণ্ডালে যেমন ভেদাভেদ ছিল। তেমনি ছিল হিন্দু-মুসলমানে। এই ছোঁয়াছুঁয়ির ভেদাভেদ ভুলে বর্তমানে আমরা সকলে পাশাপাশি শান্তিতে বাস করছি বিষয়টা তেমন নয়।

এখনো দুই পক্ষের কট্টরবাদীদের মাঝে এই ছোঁয়াছুঁয়ির বিষয়টা সমান তালেই বিরাজ করছে। একে বাংলা শব্দে বলা হয় ‘ছুঁৎমার্গ’। একসময় এই ছুঁৎমার্গ উপমহাদেশে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে উঠেছিল সচেতন মহল।

ছুঁৎমার্গ প্রসঙ্গে কাজী নজরুল ইসলাম তার যুগবাণীর ‘ছুঁৎমার্গ’ প্রবব্ধে লিখেছিলেন- “আমাদের গভীর বিশ্বাস যে, হিন্দু-মুসলমানের মিলনের প্রধান অন্তরায় হইতেছে এই ছোঁয়া-ছুঁয়ির জঘন্য ব্যাপারটাই। ইহা যে কোনো ধর্মেরই অঙ্গ হইতে পারে না, তাহা কোনো ধর্ম সম্বন্ধে গভীর জ্ঞান না থাকিলেও আমরা জোর করিয়াই বলতে পারি।

কেননা একটা ধর্ম কখনও এত সংকীর্ণ অনুদার হইতেই পারে না। ধর্ম সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং সত্য চিরদিনই বিশ্বের সকলের কাছে সমান সত্য। এইখানেই বুঝা যায় যে, কোনো ধর্ম শুধু কোনো এক বিশিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য নয়, তাহা বিশ্বের।

নীহাররঞ্জন রায় তার বাঙালী হিন্দুর বর্ণভেদ রচনায় লিখেছেন- “সমাজ-শ্রমিকেরা কিন্তু প্রায় অধিকাংশই অন্ত্যজ বা ম্লেচ্ছ পর্যায়ে- বর্ণাশ্রমের বাহিরে তাহদের স্থান। চণ্ডাল, বরুড় (বাউড়ী), ঘট্টজীবি (পাটনী?), ডোলাবাহী (দুলিয়া, দুলে), মল্ল (মালো?), হড্‌ডি (হাড়ি), ডোম, জোলা, বাগতীত (বাগদী?) -ইহারা সকলেই ত সমাজের একান্ত প্রয়োজনীয় শ্রমিক-সেবক, অথচ ইহাদের স্থান নির্দিষ্ট হইয়াছিল সমাজের একেবারে নিম্নতম স্তরে।”

আর এই ছুতমার্গ যখন ধর্মের অঙ্গ নয়, তখনই নিশ্চয়ই ইহা মানুষের সৃষ্টি বা খোদার (উপর) খোদকারি। মানুষের সৃষ্টি-শৃঙ্খলা বা সমাজ-বন্ধন সাময়িক সত্য হইতে পারে, কিন্তু তাহা তো শাশ্বত সত্য হইতে পারে না।

….হিন্দুধর্মের মধ্যে এই ছুতমার্গরূপ কুষ্ঠরোগ যে কখন প্রবেশ করিল তাহা জানি না, কিন্তু ইহা যে আমাদের হিন্দু ভ্রাতৃদের মতো একটা বিরাট জাতির অস্থিমজ্জায় ঘুণ ধরাইয়া একেবারে নিবীর্য করিয়া তুলিয়াছে, তাহা আমরা ভাইয়ের অধিকারের জোরে জোর করিয়া বলিতে পারি।

আমরা যে তাঁহাদের সমস্ত সামাজিক শাসনবিধি একদিনেই উলটাইয়া ফেলিতে বলিতেছি, তাহা নয়, কিন্তু যে সত্য হয়তো একদিন সামাজিক শাসনের জন্যেই শৃঙ্খলিত হইয়াছিল, তাহার কী আর মুক্তি হইবে না?

বাংলার মহাপ্রাণ মহাতেজস্বী, পুত্র, স্বামী বিবেকানন্দ বলিয়াছেন যে, ভারতে যেদিন হইতে এই ‘ম্লেচ্ছ’ শব্দটার উৎপত্তি সেদিন হইতেই ভারতের পতন, মুসলমান আগমনে নয়! মানুষকে এত ঘৃণা করিতে শিখায় যে ধর্ম, তাহা আর যাহাই হউক ধর্ম নয়, ইহা আমরা চ্যালেঞ্জ করিয়া বলিতে পারি।

এই ধর্মেই নর-কে নারায়ণ বলিয়া অভিহিত করা হইয়াছে। কী উদার সুন্দর কথা! মানুষের প্রতি কী মহান পবিত্র পূজা! আবার সেই ধর্মেরই সমাজে মানুষকে কুকুরের চেয়েও ঘৃণ্য মনে করিবার মতো হেয় জঘন্য এই ছুতমার্গ বিধি! কী ভীষণ অসামঞ্জস্য!”

নীহাররঞ্জন রায় তার বাঙালী হিন্দুর বর্ণভেদ রচনায় লিখেছেন- “সমাজ-শ্রমিকেরা কিন্তু প্রায় অধিকাংশই অন্ত্যজ বা ম্লেচ্ছ পর্যায়ে- বর্ণাশ্রমের বাহিরে তাহদের স্থান। চণ্ডাল, বরুড় (বাউড়ী), ঘট্টজীবি (পাটনী?), ডোলাবাহী (দুলিয়া, দুলে), মল্ল (মালো?), হড্‌ডি (হাড়ি), ডোম, জোলা, বাগতীত (বাগদী?) -ইহারা সকলেই ত সমাজের একান্ত প্রয়োজনীয় শ্রমিক-সেবক, অথচ ইহাদের স্থান নির্দিষ্ট হইয়াছিল সমাজের একেবারে নিম্নতম স্তরে।”

জানা যায়, হাজার বছর আগে ঋকবেদ ও অথর্ববেদে যাকে প্রাণশক্তি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্পর্শের মধ্য দিয়ে সেই প্রাণশক্তিকে জাগ্রত করে রোগ নিরাময়ের পদ্ধতিই পরবর্তীতে ‘রেইকি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

স্বামী বিবেকানন্দ এ প্রসঙ্গে বলেছেন- “আমাদের ‘ছুৎমার্গ’, খালি ‘আমায় ছুঁয়ো না’, ‘আমায় ছুঁয়ো না’। .আমাদের জাতটা নিজেদের বিশেষত্ব হারিয়ে ফেলেছে, সেইজন্য ভারতের এত দুঃখ কষ্ট। সেই জাতীয় বিশেষত্বের বিকাশ যাতে হয়, তাই করতে হয়-নীচ জাতকে তুলতে হবে…খাঁটি হিন্দুদেরই এ কাজ করতে হবে।”

আবার ধর্মীয় ছুৎমার্গে আক্রান্ত না হয়েও অনেকে অন্যের ছোঁয়া বা ছুঁয়ে দেয়া কোনো কিছুকে সহজে নিতে পারে না। অন্যের ধরা বা ব্যবহার করা কোনো বস্তু-পদার্থ এমননি ব্যক্তিকে পর্যন্ত ময়লা বা জীবাণু থাকতে পারে এমন ভাবনায় সেসব এড়িয়ে যায়। এমনকি নিজের হাতে এমন কিছুকে ছুঁয়ে দিলে নিজের হাতকেও সহ্য করতে পারে না।

অনেকের মধ্যে এর বারাবারিও দেখা যায়। যাকে সহজভাষায় বলা হয় ‘শুচিবাই’। এই শুচিবাইগ্রাস্থ রোগীদের স্বভাব হয় সন্দেহ প্রবণ। সব কিছুতে খুঁতখুঁত করে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা তাদের স্বভাব।

বারবার হাত ধোয়া, বার বার গোসল করা। বা গোসলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করা তাদের নিত্যদিনের জীবনে প্রভাব ফেলে। তাদের এরূপ সব স্বভাবের জন্য তারা অনেক সময় অন্যদের চোখে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এই স্পর্শ রোগে আক্রান্তরা কাউকে নিজের পান করার গ্লাস বা খাবার থালা ব্যবহার করতে দেয় না। মোটকথা নিজের কোনো কিছুকেই অন্যকে ব্যবহার করতে দেয় না। অর্থাৎ অন্যের ছোঁয়া বা স্পর্শ সহ্য করতে পারে না। কেউ তার ঘরে ঢুকে পড়লে, বিছানায় বসলে বার বার এগুলো পরিষ্কার করে।

এই অন্যের স্পর্শ নিয়ে যখন এতো সমস্যা। সেই স্পর্শ দিয়েই আবার রোগ নিবারণের কথা বলেন কেউ কেউ। এই রোগ নিরাময় বা চিকিৎসা পদ্ধতি পরিচিত ‘রেইকি’ নামে।

জানা যায়, হাজার বছর আগে ঋকবেদ ও অথর্ববেদে যাকে প্রাণশক্তি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্পর্শের মধ্য দিয়ে সেই প্রাণশক্তিকে জাগ্রত করে রোগ নিরাময়ের পদ্ধতিই পরবর্তীতে ‘রেইকি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে জাপানের কিয়োটো শহরের কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ড. উসুই। তার এক ছাত্র বাইবেলে স্পর্শের মাধ্যমে যীশু যে আরোগ্য লাভের সেবা দিয়েছিলেন সে সম্পর্কে জানতে চান।

রেইকি জাপানী শব্দ। ‘রেই’ শব্দের অর্থ ইউনিভার্সাল/কসমিক/আধ্যাত্মিক/সর্বোচ্চশক্তি। আর ‘কি’ শব্দের অর্থ ভাইটাল লাইফ ফোর্স এনার্জি বা সঞ্জীবনী প্রাণশক্তি। অর্থাৎ আধ্যাত্মিক শক্তি/মহাজাগতিক প্রাণশক্তি।

জাপানে একে রেইকি বললেও মুসলিম বিশ্বে এটি পরিচিত ‘নুর-এ-ইলাহী’ নামে। আমেরিকায় ‘ইউনিভার্সাল লাইফফোর্স এনার্জি বাকসমিক এনার্জি’, জার্মানীতে বলে ‘মেসমেরিজম’, রাশিয়ায় ‘বায়ো প্লাজমিক এনার্জি’, চীনে ‘তাইচি’ বা ‘চি’। অনেকে একে ঈশ্বরকণা বা হিগস-বোসান বলে। আবার অনেকে বলেন, ‘এনার্জি হিলিং’।

তবে সর্ব সাধারণের কাছে এটি পরিচিত ‘স্পর্শচিকিৎসা’ নামে। এই পদ্ধতিতে মহাজাগতিক শক্তিকে নিজের মধ্যে ধারণ করে চিকিৎসক তার দু-হাতের তালুর স্পর্শে রোগীর শারীরিক ও মানুষিক চিকিৎসা করে থাকে। অবশ্য আরেক প্রকার রেইকিতে হাতের তালু পুরোপুরি স্পর্শ না করে খানিকটা ফাঁকা রেখে রেইকি দেয়া হয়।

বলা হয়, কয়েক হাজার বছর আগে এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রচলন ছিল তিব্বতে। ভারত উপমহাদেশেও এর প্রচলন ছিল বলে অনেকে উল্লেখ করেছেন। তবে এই রেইকি আধুনিকরূপে পুনরায় প্রকাশ্যে আনেন জাপানের অধ্যাপক ড. মিকাও উসুই।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে জাপানের কিয়োটো শহরের কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ড. উসুই। তার এক ছাত্র বাইবেলে স্পর্শের মাধ্যমে যীশু যে আরোগ্য লাভের সেবা দিয়েছিলেন সে সম্পর্কে জানতে চান।

(চলবে…)

স্পর্শের কাতরতা: পর্ব-৪>>

…………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

………………….
আরো পড়ুন:
স্পর্শের কাতরতা: পর্ব-১
স্পর্শের কাতরতা: পর্ব-২
স্পর্শের কাতরতা: পর্ব-৩
স্পর্শের কাতরতা: পর্ব-৪
স্পর্শের কাতরতা: পর্ব-৫
স্পর্শের কাতরতা: পর্ব-৬
স্পর্শের কাতরতা: পর্ব-৭
স্পর্শের কাতরতা: পর্ব-৮
স্পর্শের কাতরতা: পর্ব-৯
স্পর্শের কাতরতা: পর্ব-১০

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!