ভবঘুরেকথা
ব্রাহ্মসামাজ

পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ

প্রথম সঙ্গীতের পর

উদ্বোধন

যিনি সত্যের সত্য, যিনি সারাৎসার, যাঁহাকে আশ্রয় করিয়া আমরা স্থিতি করিতেছি, যিনি কৃপা করিয়া আমাদিগকে জীবনের সকল সুখ বিধান করিতেছেন, যাঁহার প্রেম অজ্ঞাতসারে আমাদিগকে পুণ্যপথে আকর্ষণ করিতেছে, সেই পতিতপাবন দীনবন্ধু দয়াময় পরমেশ্বরের পবিত্র আরাধনার জন্য আমরা সকলে সমবেত হইয়াছি।

আমরা যে তাঁহাকে জানিতে পারি, আমরা যে তাৎহাকে পিতা বলিয়া ডাতিতে পারি, আমরা যে ব্যাকুল হইলে তাঁহার আশ্রয় লইতে পারি, আমরা যে তাৎহার নিকট আত্ম-নিবেদন করিতে পারি ইহাই আমাদের সর্ব্ব শ্রেষ্ঠ সৌভাগ্য। আমরা এমন সৌভাগ্যের অধিকারী হইয়াও কি তাহা হইতে বিচ্যুত হইয়া থাকিব?

ব্যাকুল অন্তরে আত্মার মধ্যে অন্বেষণ করিলে তাঁহাকে দেখিতে পাওয়া যায়। আমরা যদি একান্ত অন্তরে তাঁহার কৃপার উপর নির্ভর করি, তিনি আমাদের অন্তরে আত্মস্বরূপ প্রকাশ করিবেন। আমরা তাঁহার প্রকাশ দেখিয়া কৃতার্থ হইব ও তাঁহাকে হৃদয়ের প্রীতির দ্বারা অর্চ্চনা করিব।

তদনন্তর আরাধনাসূচক সঙ্গীত হইবে। সঙ্গীতের পরে আচার্য ও উপাসকগণ সমস্বরে নিম্নলিখিত আরাধনা-মন্ত্র উচ্চারণ করিবেন-

পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ (১)
সত্যম্ জ্ঞান মনস্তম্ ব্রহ্ম,
আনন্দরূপমমৃতং যদ্বিভাতি,
শান্তং শিবমদ্বৈতম্,
শুদ্ধমপাপবিদ্ধম্।

আরাধনা

হে সত্যস্বরূপ, হে সারাৎসার আমরা সংসারমোহে অভিভূত হইয়া তোমাকে বিস্মৃত হইয়া থাকি। তুমি প্রাণের প্রাণ অথচ আমরা তোমাকে লাভ করিবার জন্য ব্যগ্র হইয়া। আমাদের দৃষ্টি সংসারের নিকৃষ্ট বাসনার দ্বারা কলুষিত থাকে, আমরা কিরূপে তোমার সত্যভাব গ্রহণ করিতে সমর্থ হইব? এই জন্যই তো আমরা চক্ষু থাকিতে অন্ধের ন্যায় তোমাকে দেখিতে পাই না।

তুমি হৃদয়কন্দরে রহিয়াছ, তুমি সৃষ্টির মূলে মূলশক্তি রূপে বিরাজ করিতেছে, অথচ আমরা তোমাকে না পাইয়া সর্ব্বত্র অন্বেষণ করিতেছি। হে সত্য-স্বরূপ, হে প্রাণাধিপতি, তুমি সত্য, তুমি নিত্য, তুমি সর্ব্বব্যাপী, তুমি সর্ব্বদা সর্ব্বত্র বিরাজ করিতেছ।

তুমি অনাদি অনন্ত। আমরা ক্ষুদ্র প্রাণী, আমরা তোমার মহিমা কি বর্ণনা করিব? তোমার অনন্তভাব বাক্যে কে প্রকাশ কতে পারে? তোমার শক্তি অনন্ত, তোমার জ্ঞান অনন্ত, তোমার প্রেম অনন্ত। আমাদের এত শক্তি সামর্থ্য নাই যে আমরা তোমার মহিমা ব্যক্ত করি। যুগে যুগে সাধুগণ তোমার মহিমা বর্ণন করিয়াছেন ; জগতের ভাষা সকল সমস্বরে তোমার স্তুতি বন্দনা করিয়াছে ; তথাপি তোমার অনন্ত ভাবের আভাস মাত্রও কেহ প্রকাশ করিতে পারে নাই।

তুমি ছেতন্যময় দেবতা। জগতের তাবৎ পদার্থ তোমার জ্ঞানের আভায় সুন্দর দেখাইতেছে। কত গভীর তোমার জ্ঞান, কি অদ্ভুত তোমার সৃষ্টি প্রণালী। এই বিশ্ব মধ্যে তুমি যে জ্ঞানলীলা প্রকাশ করিয়াছ, তাহা অনুধ্যান করিয়া ভাবুক জনের চিত্ত ভাবসাগরে ডুবিয়া যাইতেছে, এবং মানবের অজ্ঞানতা ঘুচিয়া জ্ঞানের উদয় হইতেছে। হে জ্ঞানময় জ্যোতির্ম্ময় পুরুষ ; আমরা অজ্ঞ জীব, আমরা তোমার অপার জ্ঞানের কি জানি?

তুমি আবার সর্ব্বজ্ঞ ও সর্ব্বসাক্ষী হইয়া নিরন্তর আমাদের অন্তরে অধিবাস করিতেছ। আমরা কি তোমার নিকটে আত্মগোপন করিতে পারি? আমরা কি আপনাদের আত্মাকে আচ্ছাদন করিতে পারি? এমন কৌশল, এমন চাতুরী কি জানি, যদ্দ্বারা তোমার দৃষ্টিকে আবরণ করিতে পারি?

হে সর্ব্বান্তযামিন্ আমাদের সকল পাপ তাপ তোমার বিদিত, আমাদের আত্মার সকল সংগ্রাম তোমার জ্ঞাত। আমরা যখন পাপ প্রলোভনে পতিত হই, যখন সংসারমোহে অভিভূত হইয়া তোমাকে ভুলিয়া যাই, তখন তুমিই আমাদের হৃদয়ের সাক্ষী। আবার, যখন তোমাকে জানিবার জন্য এবং তোমার চরণাশ্রয় লাভ করিবার জন্য সংশয়ান্ধকার ও পাপ তাপের মধ্যে রোদন করিতে থাকি, তখনও তুমি আমাদের হৃদয়ের সাক্ষী। প্রভো, আমাদের হৃদয়ের সকল কথঅই তোমার বিদিত।

তুমি অনাদি অনন্ত। আমরা ক্ষুদ্র প্রাণী, আমরা তোমার মহিমা কি বর্ণনা করিব? তোমার অনন্তভাব বাক্যে কে প্রকাশ কতে পারে? তোমার শক্তি অনন্ত, তোমার জ্ঞান অনন্ত, তোমার প্রেম অনন্ত। আমাদের এত শক্তি সামর্থ্য নাই যে আমরা তোমার মহিমা ব্যক্ত করি। যুগে যুগে সাধুগণ তোমার মহিমা বর্ণন করিয়াছেন ; জগতের ভাষা সকল সমস্বরে তোমার স্তুতি বন্দনা করিয়াছে ; তথাপি তোমার অনন্ত ভাবের আভাস মাত্রও কেহ প্রকাশ করিতে পারে নাই।

তুমি যে কেবল আমাদিগকে শরীর দিয়া শরীরের অন্নপান যোগাইতেছে তাহা নহে, আত্মার ক্ষুধা তৃষ্ণা দিয়ে স্বয়ং তাহার অন্ন পান হইয়া বিদ্যমান রহিয়াছ। হে মঙ্গলময়, তোমার সহায়তা ভিন্ন কে তোমার দিকে অগ্রসর হইতে পারে? আমাদের প্রাণ যে তোমাকে জানিবার জন্য উৎসুক হইতেছে, ইহা তোমারই করুণা। তুমিই আমাদিগের পাপান্ধকারের মধ্যে মুক্তির পথ দেখাইলে, তুমিই আমাদিগকে হস্তে ধরিয়া নিজের দিকে আকর্ষণ করিলে।

হে অনন্ত দেব, তোমার সৃষ্টিকার্য্যের পর্য্যালোচনায় প্রবৃত্ত হইয়া যে পথ দিয়াই যাই না কেন, অবশেষে আমরা অকূল সমুদ্রে গিয়া পতিত হই ; আর আমাদের বুদ্ধি কূলকিনারা দেখিতে পায় না। আমাদের বাক্য এবং মন উভয়ই নিরস্ত হইয়া প্রতিনিবৃত্ত হয় ; আমাদের জ্ঞানের দর্পচূর্ণ হইয়া যায়। আমরা অনুভব করিতে থাকি যে তোমার সৃষ্টিমধ্যে আমরা অতি ক্ষুদ্র, আমাদের জ্ঞান অতি সামান্য, আমাদের শক্তি অতি পরিমিত। আমরা তোমার অনন্ত ভাব দেখিয়া স্তব্ধ হইয়া যাই। তুমি ভূমা মহান্ তুমি অগম্য ও অপার।

তুমি আনন্দস্বরূপ, তুমি শান্তিদাতা। তুমি যখন কৃপা করিয়া আত্মার অন্তরে তোমার প্রসন্ন মুখ প্রকাশ কর, তখন হৃদয়ের দু:খের ভার লঘু হইয়া যায়। হে অভয়দাতা! যতক্ষণ তোমাকে দেখিতে না পাই, ততক্ষণ এই সংসারে আপনাকে একাকী ও অসহায় বলিয়া অনুভব করি, প্রাণ মধ্যে পাই, অমনি মৃত প্রাণে জীবনের সঞ্চার হয়, অমনি মৃতপ্রায় আশা জাগরিত হইয়া উঠে এবং হৃদয় আনন্দে উচ্ছ্বাসিত হইতে থাকে। তোমাতেই বিমল শান্তি ; এমন বিমল আনন্দ আর কোন দ্রব্যই দিতে পারে না। হে নাথ, তুমিই আনন্দ ও শক্তির একমাত্র আকর।

হে কৃপাময়, হে মঙ্গলনিধি, তোমারই মঙ্গল ইচ্ছা বিশ্বমধ্যে বিরাজমান থাকিয়া নিরন্তর তোমার সৃষ্টি জীবগণের কল্যাণ সাধন করিতেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেও তুমি নিজ করুণার অশেষ পরিচয় দিয়াছ ; কিন্তু আমরা ভ্রান্ত ও জড়মতি, আমরা তোমার কৃপা সকল সময়ে দেখিতে পাই না। তুমিই যে পিতা মাতা হইয়া আমাদিগকে রক্ষা ও প্রতিপালন করিতেছ, আমরা তাহা অনুভব করি না।

তুমি যে কেবল আমাদিগকে শরীর দিয়া শরীরের অন্নপান যোগাইতেছে তাহা নহে, আত্মার ক্ষুধা তৃষ্ণা দিয়ে স্বয়ং তাহার অন্ন পান হইয়া বিদ্যমান রহিয়াছ। হে মঙ্গলময়, তোমার সহায়তা ভিন্ন কে তোমার দিকে অগ্রসর হইতে পারে? আমাদের প্রাণ যে তোমাকে জানিবার জন্য উৎসুক হইতেছে, ইহা তোমারই করুণা। তুমিই আমাদিগের পাপান্ধকারের মধ্যে মুক্তির পথ দেখাইলে, তুমিই আমাদিগকে হস্তে ধরিয়া নিজের দিকে আকর্ষণ করিলে।

তুমি পবিত্রস্বরূপ, নিষ্কলঙ্ক দেবতা ; তোমার সংস্পর্শে হৃদয় পবিত্র হইয়া যায়। তুমি পুণ্যের আলয় ; তোমাকে হৃদয়ে লাভ করিলে, মানব পাপ জীবনের অবসার করিয়া পুন্যময় জীবন লাভ করে। তোমার আবির্ভাবের স্বর্গীয় অগ্নি যখন মানবাত্মাকে অধিকার করে, তখনই তাহার নীচে বাসনা সকল দগ্ধ হইয়া যায়। হে জীবন্ত জাগ্রত পুরুষ, তোমার সেই পবিত্রতার তেজ প্রাণে না পাইলে আমাদের পাপ-প্রবৃত্তি সকল বিনষ্ট হয় না।

নতুবা কি আমরা তোমার দিকে অগ্রসর হইতাম? তুমি দুর্ব্বল হৃদয়ে বল না দিলে আমরা কি সংসারের প্রলোভনের মধ্যে স্থির থাকিতে পারি? তুমি আমাদিগকে নিরাশার মধ্যে আশা না দিলে আমরা কি ঠিক দাঁড়াইতে পারি? প্রভো, তোমার কৃপাই আমাদের ইহ পরকালের অবলম্বন।

তুমি একমাত্র অদ্বিতীয় ; সমস্ত পদার্থ তোমারই মহিমা প্রকাশ করিতেছে। জগতের তাবৎ ঘটনা একমাত্র তোমার ইচ্ছা দ্বারা নিয়মিত হইতেছে। জগতের সকল শক্তির গতি একের দিকে। সৃষ্টির প্রত্যেক বস্তুতে যেন এক জনেরই নাম লিখিত রহিয়াছে। হে প্রভো! তুমি আমাদের একমাত্র গতি ; আর আমাদের আশ্রয় নাই, নিত্য কালের বন্ধু আর কেহ নাই। সম্পদে বিপদে তুমি একমাত্র গতি।

হে দীন দয়াময়, হে ভক্তবৎসল, তুমি বিনা জীবের উদ্ধারকর্তা আর কেহ নাঈ। আমরা যদি দুর্ব্বল হই, যদি পাপে তাপে পতিত হই, যদি আপনাদের আত্মাকে কলঙ্কিত করি, তথাপি তোমরাই চরণতলে পড়িয়া থাকিব, তোমারই চরণের দিকে অগ্রসর হইব, তোমারই নিকটে বলিব ও পবিত্রতা ভিক্ষা করিব।

যখন সংসারান্ধকারে পড়িয়া দিশাহারা হইব, তখন তোমরই উপর নির্ভর করিব। আবার, যখন তোমার প্রসাদে অন্তরে প্রীতি পবিত্রতা লাভ করিয়া সমুন্নত হইব, তখন তোমার ভক্তগণ সমভিব্যবহারে তোমারই গুণ কীর্ত্তণ করিব। তুমি আমাদের সকল অবস্থার আশ্রয় ও গতি। তুমি একমেবাদ্বিতীয়ং।

তুমি পবিত্রস্বরূপ, নিষ্কলঙ্ক দেবতা ; তোমার সংস্পর্শে হৃদয় পবিত্র হইয়া যায়। তুমি পুণ্যের আলয় ; তোমাকে হৃদয়ে লাভ করিলে, মানব পাপ জীবনের অবসার করিয়া পুন্যময় জীবন লাভ করে। তোমার আবির্ভাবের স্বর্গীয় অগ্নি যখন মানবাত্মাকে অধিকার করে, তখনই তাহার নীচে বাসনা সকল দগ্ধ হইয়া যায়। হে জীবন্ত জাগ্রত পুরুষ, তোমার সেই পবিত্রতার তেজ প্রাণে না পাইলে আমাদের পাপ-প্রবৃত্তি সকল বিনষ্ট হয় না।

ইহার পর সঙ্গীতানন্তর আচার্য্য যদি ইচ্ছঅ করেন, কোন ধর্ম্মগ্রস্থ হইতে কিছু পাঠ করিয়া ব্যাখ্যা করিবেন অথবা কোন বিষয়ে উপদেশ দিবেন অথবা কোন গ্রন্থ হইতে কোন উপদেশ পাঠ করিবেন। উপদেশের শেষে সেই ভাবে একটি প্রার্থনা করিবেন। প্রার্থনান্তে আর একটি ব্রহ্মসঙ্গীত হইয়া উপাসনা শেষ হইবে।

প্রভো, আমরা পাপে মলিন, আমাদের দৃষ্টি অসাধুতা দ্বারা কলুষিত, সেই জন্যই আমরা তোমার পুণ্যময় প্রকাশ সকল সময়ে অনুভব করিতে পারি না। হে পবিত্রস্বরূপ, তোমার পুণ্যময় সহবাসে রাখিয়া তুমি পাপীজনকে উদ্ধার কর। আমরা মলিন, আমরা দুর্ব্বল, তুমি আমাদিগকে আশ্রয় দাও ; আমরা তোমার শরণাপন্ন হইতেছি, তুমি আমাদের একমাত্র গতি, আমরা তোমার নিকট বার বার প্রণত হই।

তদনন্তর আচার্য্য ও উপাসকগণ নীরবে ক্ষণকাল ধ্যানে যাপন করিবেন ; ধ্যাদান্তে আচার্য ও উপাসকগণ সমস্বরে নিম্নলিখিত প্রার্থনাটি উচ্চারণ করিবেন-

অসত্য হইতে আমাদিগকে সত্যেতে লইয়া যাও ; অন্ধকার হইতে আমাদিগকে জ্যোতিতে লইয়া যাও। মৃত্যু হইতে আমাদিগকে অমৃতেতে লইয়া যাও। হে সত্য স্বরূপ, আমাদিগের নিকট প্রকাশিত হও। দয়াময়, তোমার যে অপার করুণা তাহা দ্বারা আমাদিগকে সর্ব্বদা রক্ষা কর।

ইহার পর সঙ্গীতানন্তর আচার্য্য যদি ইচ্ছঅ করেন, কোন ধর্ম্মগ্রস্থ হইতে কিছু পাঠ করিয়া ব্যাখ্যা করিবেন অথবা কোন বিষয়ে উপদেশ দিবেন অথবা কোন গ্রন্থ হইতে কোন উপদেশ পাঠ করিবেন। উপদেশের শেষে সেই ভাবে একটি প্রার্থনা করিবেন। প্রার্থনান্তে আর একটি ব্রহ্মসঙ্গীত হইয়া উপাসনা শেষ হইবে।

…………………………
ব্রাহ্মধর্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজ

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

………
আরও পড়ুন-
ব্রাহ্মসমাজ
সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সভ্য হইবার যোগ্যতা
ব্রাহ্ম ধর্মের মূল সত্য
ব্রহ্ম মন্দিরের ট্রাস্টডিড
ব্রাহ্মধর্ম্মের মূল সত্য
আত্মা
মানুষের ভ্রাতৃত্ব
উপাসনা ও প্রার্থনা
শাস্ত্র
গুরু
মধ্যবর্ত্তী ও প্রেরিত
সুখ-দু:খ : দু:খবাদ ও আনন্দবাদ
পাপ ও পুণ্য
পুনর্জ্জন্ম
পরকাল
স্বর্গ ও নরক
ধর্ম্ম রক্ষা
পরিবারে পুরুষ ও নারীর অধিকার-সাম্য
ব্রাহ্মসমাজের প্রতি ব্রাহ্মদিগের কর্ত্তব্য
সমবেত উপাসনা
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ 
স্তুতি
বিবিধ অবস্থায় প্রার্থনা
নৈমিত্তিক অনুষ্ঠান
সন্তান জন্ম
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ
ধর্ম্মসাধন ব্রতে দীক্ষা
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ধর্ম্মদীক্ষা
বিবাহ ও তাহার আনুসঙ্গিক অনুষ্ঠান
বিবাহের বাগদান
বিবাহ
মৃত্যু ও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া
শ্রাদ্ধ
গৃহ প্রবেশ
ব্রহ্ম ও ব্রহ্মের স্বরূপ
ব্রহ্ম ধ্যান
ব্রাহ্মধর্ম
সকলেই কি ব্রাহ্ম?
ব্রাহ্মোপসনা প্রচলন ও পদ্ধতি
আদি ব্রাহ্ম সমাজ ও “নব হিন্দু সম্প্রদায়”
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!