ভবঘুরেকথা

বিবাহ

বিবাহের স্থানটি উপাসনার অনুকূল করিয়া প্রস্তুত করা আবশ্যক। ব্রাহ্মদিগের বিবাহ আইন অনুসারে রেজিস্টারী হওয়া উচিত। ত্দ্দ্বারা ভবিষ্যৎ বংশের সম্পত্তি প্রভৃতি নিরাপদ হয় এবং ব্রাহ্মসমাজের সামাজিক আদর্শ রক্ষার সাহায্য হয়।

যেখানে বিবাহ ও রেজেস্টারী এক সঙ্গে হয়, সেখানে রেজিস্টারের সম্মুখে বর ও কন্যার প্রাথমিক বিবৃতি বিবাহ সভায় উপস্থি হইবার পূর্ব্বেই হইয়া যাওয়া বাঞ্ছনীয় এবং বিবাহের সময় রেজিস্টার ও সাক্ষীগণ এমন স্থানে বসিবেন যেখান হইতে বর ও কন্যার উচ্চারিত উদ্বাহ প্রতিজ্ঞা শুনিতে পান।

বিবাহ পদ্ধতি

রব, কন্যা, আচার্য্য, বরকর্ত্তা, কন্যাকর্ত্তা এবং নিমন্ত্রিতগণ আসন পরিগ্রহ করিলে প্রথম সঙ্গীত হইবে। তৎপরে আচার্য্য ঈশ্বর স্মরণ করিবেন ও এই শুভানুষ্ঠানে ঈশ্বরে আশীর্ব্বাদ ভিক্ষা করিবেন।

পরিচয় প্রদান ও সভাস্থগণের অনুমতি গ্রহণ

অত:পর কন্যাকর্ত্তা ও বরকর্ত্তা কন্যার ও বরের পরিচয় প্রদান পূর্ব্বক তাঁহাদিগের সভাস্থগণের সম্মুখে উপস্থিত করিবেন এবং সভাস্থগণ ‘স্বস্তি’ বলিবেন। এই পরিচয় প্রদান নিম্নলিখিত রূপে করা যাইতে পারে-

কন্যাকর্ত্তা (দণ্ডায়মান হইয়া) আমার কল্যাণীয়া শ্রীমতী …, …র পুত্র শ্রীমান …র সহিত পরিণীতা হইতে ইচ্ছুক হওয়ায়, আমি উক্ত শ্রীমতীকে এই বিবাহ সভায় উপস্থিত করিতেছি। আপনারা প্রসন্ন মনে ইহাকে আশীর্ব্বাদ করুন এবং এই শুভানুষ্ঠানে ‘স্বস্তি’ বলুন।

সভাস্থ সকলে- স্বস্তি! স্বস্তি! স্বস্তি!

বরকর্ত্তা (দণ্ডায়মান হইয়া) আমার …কল্যাণয়ি শ্রীমান… …, … …র কন্যা শ্রীমতী …র পাণিগ্রহণেচ্ছু হওয়ায়, আমি উক্ত শ্রীমানকে এই বিবাহ সভায় উপস্থিত করিতেছি। আপনারা প্রসন্ন মনে ইহাকে আশীর্ব্বাদ করুন এবং এই শুভানুষ্ঠানে ‘স্বস্তি’ বলুন।

সভাস্থ সকলে- স্বস্তি! স্বস্তি! স্বস্তি!

বর ও কন্যার সম্মতি

আচার্য্য বরকে প্রশ্ন করিবেন, শ্রীমান…, তুমি কি এই কল্যাণীয়া শ্রীমতী …কে তোমার পত্নীরূপে গ্রহণ করিবে?

বর বলিবেন, গ্রহণ করিব।

আচার্য্য কন্যাকে প্রশ্ন করিবেন, শ্রীমতী…, তুমি কি এই কল্যাণীয় শ্রীমান…কে তোমার প্রতিরূপে গ্রহণ করিবে?

কন্যা বলিবেন, গ্রহণ করিব।

ব্রাহ্মোপাসনা

বর কন্যার সম্মতি জ্ঞাপনের পর দ্বিতীয় সঙ্গীত হইবে। তৎপরে আচার্য্য ঈশ্বরের উপাসনা করিবেন। মানব-সমাজে গৃহ পরিবারে এবং মানবীয় স্নেহ প্রীতির সম্বন্ধের মধ্যে ঈশ্বরকে দর্শন করা, এই উপাসনার বিশেষ ভাব হইলে ভাল হয়।

তৎপরে তৃতীয় সঙ্গীত হইবে। তৃতীয় সঙ্গীতের পর আচার্য্য বরের দক্ষিণ হস্তের উপর কন্যার দক্ষিণ হস্ত স্থাপন পূর্ব্বক পুষ্পমাল্য দ্বারা বন্ধন করিবেন। বর ও কন্যা তদবস্থায় নিম্নলিখিত ভাবে উদ্বাহ প্রতিজ্ঞা উচ্চারণ করিবেন।

উদ্বাহ প্রতিজ্ঞা

বর- আমি শ্রী… … অদ্য সর্ব্বদশী পবিত্রস্বরূপ পরমেশ্বরকে এবং সমাগত গুরুজন ও বন্ধুদিগকে সাক্ষী করিয়া, স্ব-ইচ্ছায় ও স্বচ্ছন্দ চিত্তে শ্রীমতী… …, তোমাকে আমার বৈধ পত্নীরূপে গ্রহণ করিলাম। সম্পদে বিপদে সুখে দু:খে, সুস্থতায় অসুস্থতায়, তোমার মঙ্গল সাধনে আমি আজীবন যত্নবান থাকিব এবং ধর্ম্মে অর্থে ও ভোগে তোমাকে অতিক্রম করিব না। আমার যে হৃদয় তাহা তোমার হউক, তোমার যে হৃদয় তাহা আমার হউক এবং আমাদের উভয়ের মিলিত হৃদয় ঈশ্বরের হউক।

কন্যা- আমি শ্রী… … অদ্য সর্ব্বদর্শী পরিত্রস্বরূপ পরমেশ্বরকে এবং সমাগত গুরুজন ও বন্ধুদিগকে সাক্ষী করিয়া, স্ব-ইচ্ছায় ও স্বচ্ছন্দ চিত্তে, শ্রীযুক্ত… …, তোমাকে আমার বৈধ পতিরূপে গ্রহণ করিলাম। সম্পদে বিপদে, সুখে দু:খে, সুস্থতায়, তোমার মঙ্গল সাধনে আমি আজীবন যত্নবতী থাকিব এবং ধর্ম্মে অর্থে ও ভোগে তোমাকে অতিক্রম করিব না। আমার যে হৃদয় তাহা তোমার হউক, তোমার যে হৃদয় তাহা আমার হউক এবং আমাদের উভয়ের মিলিত হৃদয় ঈশ্বরের হউক।

বর ও কন্যার মিলিত প্রার্থনা
বর ও কন্যা সমস্বরে এই প্রার্থনা বাক্য উচ্চারণ করিবেন-
হে মঙ্গলবিধাতা পরমেশ্বর, এই পবিত্র বিবাহ-ব্রহ পালনে তুমি আমাদের সহায় হও।

বর ও কন্যার মাল্য (ও অঙ্গুরীয়) বিনিময়

উদ্বাহ প্রতিজ্ঞা ও যুক্ত প্রার্থনা উচ্চারণের পর আচার্য্য বর ও কন্যার হস্তের বন্ধন কুলিয়া দিবেন। তখন বর ও কন্যা মাল্য (ও অঙ্গুরীয়) বিনিময় করিবেন। অঙ্গুরীয় সকল ক্ষেত্রে করা হয় না।

আচার্যের উপদেশ ও প্রার্থনা

ইহার পর আচার্য্য বর কন্যাকে উপদেশ দিবেন ও তাঁহাদের জন্য ঈশ্বরের আশীর্ব্বাদ ভিক্ষা করিবেন। এই উপদেশ প্রত্যেক ক্ষেত্রে বর ও কন্যার উপযোগী করিয়া দেওয়া আবশ্যক। নিম্নে সঙ্কলিত উপদেশ বাক্যগুলি হইতে এ বিষয়ে কিছু কিছু সাহায্য পাওয়া যাইতে পারে। কিন্তু ইহার সমুদয় বাক্য সকল ক্ষেত্রের উপযোগী না-ও হইতে পারে।

“কল্যাণভাজন শ্রীমান…, শ্রীমতী…, আজ তোমরা মঙ্গলস্বরূপ পরমেশ্বরের পবিত্র সন্নিধানে বিবাহ সম্বন্ধে আবদ্ধ হলে। শৈশব হতে তিনি যত রূপ বিধির মধ্য দিয়ে তোমাদের দুজনকে নিয়ে এসেছেন, আজ তারচেয়ে অনেক গুরুতর, অনেক অধিক সুমহৎ, অনেক অধিক আনন্দে ও দায়িত্বে পূর্ণ এক বিধির মধ্য দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই বিধিতে তাঁর হাত তোমরা দর্শন কর।

তোমাদের নিজেদের নির্ব্বাচন, অভিভাবকগণের অনুমোদন, সমাজের ও আইনের অনুমতি- এ সকলকেই আজ দেখো না। মানব-হৃদয়ের সকল প্রীতির বন্ধনের ভিতরে যাঁর হাতের বাঁধন, সমাজের ও আইনের শৃঙ্খলের ভিতর যাঁর দৃঢ় মুষ্টি, তোমাদের এই নূতন আকর্ণণের ভিতরে যাঁর লীলা, যিনি মানবকুলের ও জনসমাজের নেতা ও বিধাতা, তাঁর হাত দেখ, তাঁর বিধাতৃত্ব অনুভব কর।

মনুষ্যত্ব-সম্পন্ন দম্পতি পরস্পরকে মনে মনে বলেন, কেন আমি তোমার পাশে এলাম? তোমাকে পেয়ে সুখি হব বলে নয়। কিন্তু সুখ ও দু:খ, সম্পদ ও বিপদ আলো ও অন্ধকারের মধ্যে কে তোমার চিরসেবক চিরসেবিকা হবে? সে জন আমি। সংসারের আর সব টলে গেলেও কে তোমার পাশ থেকে টলবে না? সে জন আমি।’

মানবজীবনের জন্য যা যা সর্ব্বাপেক্ষা প্রয়োজন, বিধাতা সে সকলেরই সঙ্গে আনন্দকে যুক্ত করেছেন। তাঁরই এ বিধি যে আমরা অন্নে স্বাদ পাই, পতি পত্নীর সম্বন্ধ আমাদের জীবনকে অপূর্ব্ব সুখে পূর্ণ করে, সন্তান-স্নেহ আমাদের হৃদয়কে অপূর্ব্ব আনন্দে অভিষিক্ত করে। কিন্তু মানুষকে তিনি যে পরিমাণে অন্য জীব হতে শ্রেষ্ঠ করেছেন, মানবজীবনে তিনি সেই পরিমাণে সুখ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য ও আদর্শসকল প্রকাশ করেছেন।

আপন আপন সুখ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, দুজনে একত্রে মিলে সুখি হওয়া অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ, কত মহৎ লক্ষ্য মানবজীবনের আছে ; তোমরা সে সকলের অন্বেষণ কর। যাহারা কেবল সুখকে অস্বেষণ করে, সংসারে অকল্যাণকে দূর করবার জন্য যে বলের প্রয়োজন হয়, সে বল তারা আয়ত্ত করতে পারে না।

তোমরা দুজনে আজ পরস্পরের হাতে আত্মসমর্পণ করছ। যে উন্নত প্রেম প্রেমাস্পদের স্বাধীনতার সম্মান করে আপনাকে তাঁর সেবার ও সাহচর্য্যের জন্য নিত্য উন্মুখ রাখে, সেই উন্নত প্রেম তোমাদের উভয়ের জীবনে রাজত্ব করুক।

মনুষ্যত্ব-সম্পন্ন দম্পতি পরস্পরকে মনে মনে বলেন, কেন আমি তোমার পাশে এলাম? তোমাকে পেয়ে সুখি হব বলে নয়। কিন্তু সুখ ও দু:খ, সম্পদ ও বিপদ আলো ও অন্ধকারের মধ্যে কে তোমার চিরসেবক চিরসেবিকা হবে? সে জন আমি। সংসারের আর সব টলে গেলেও কে তোমার পাশ থেকে টলবে না? সে জন আমি।’

তোমরা তোমাদের হৃহে ব্রাহ্মধর্ম্মের এই মহান উপদেশ সর্ব্বদা স্মরণ রাখেবে-

ব্রহ্মনিষ্ঠো গৃহস্থ্য: স্যাৎ তত্ত্বজ্ঞানপরায়ণ:,
যদ্ যৎ কর্ম্ম প্রকুর্ব্বীত, তদ্ ব্রহ্মণি সমর্পয়েৎ।

তোমরা ব্রহ্মনিষ্ঠ হও, ব্রহ্মপরায়ণ হও, তোমাদের গৃহ ঈশ্বরের গৃহ হোক। শুধু যে গৃহে তাঁর নাম, তাঁর উপাসনা প্রার্থনা প্রতিষ্ঠিত করবে, তাই নয় ; কিন্তু জীবনের সকল প্রশ্নে তাঁর আদেশের অনুবর্ত্তী হয়ে চলবে।

যখন নূতন দেশে মানুষ যায়, বন্ধুরা তাকে ভাল করে পাথেয় সংগ্রহ করে নিতে বলে। যাতে পথের বিপদ কাটে, যাতে কল্যাণ হয়, এমন বস্তু থাকলে তা সঙ্গে নিতে দেয়। জগতের সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একটি মন্ত্র, একটি অক্ষয় কবচ আমাদের জানা আছে ; সেটি ঈশ্বর চরণে প্রার্থনা।

তোমরা প্রার্থনাকে জীবনের সম্বল কর। তোমরা সুখে প্রার্থনা করো, দু:খে প্রার্থনা করো, অন্ধকারে শোকে বিপদে প্রার্থনা করো ; যদি কোন দিন ঈশ্বরে সন্দেহ আসে, যদি কোন দিন পরস্পরে সন্দেহ আসে, তখনও প্রার্থনাই করো। প্রার্থনাই চির জীবনের এক সম্বল।

(বরকে)-তুমি এখন থেকে গৃহীর দায়িত্বভার নিজ স্কন্ধে গ্রহণ করলে। যাঁর ভালবাসা তোমার পরিশ্রমের সব ক্লান্তি হরণ করবে, যিনি তোমার আত্মোন্নতির সব চেষ্টায তোমাকে উৎসাহ দিবেন, এমন এক জনকে ঈশ্বর আজ তোমার পাশে এনে দিচ্চেন।

সেই আরেকটি মানুষের দায়িত্ব তোমার উপরে পড়চে। এই দায়িত্বের প্রেরণায় তোমার সকল যত্ন ও চেষ্টা আপনা-আপনি দ্বিগুণিত হবে ; আবার দিনান্তে তাঁর প্রসন্ন মুখখানি দেখে তোমার সব ক্লান্তি আপনা-আপনি দুল হয়ে যাবে। এই নূতন সম্বন্ধের আনন্দ ও দায়িত্ব তোমার অন্তরকে আজ পূর্ণ করুক।

আমাদের স্নেহের বধুমাতা রূপে তোমাকে আজ আমরা সাদরে বরণ করি। তুমি এই গৃহে গৃহলক্ষ্মী হয়ে বিরজ কর। স্বামীর হৃদয়ানন্দকারিণী হও। বড় ছোট দাসদাসী সকলের হৃদয়ানন্দকারিণী হও। তুমি এ গৃহের সকলের হৃদয়ের সম্রাাজ্ঞী হও। তোমার ভালবাসার গুণে এ বাড়ির সকলে এবং তোমার পিতৃকূলের সকলে পরস্পরের সহিত গভীর সভ্যবন্ধনে আবদ্ধ হোন্।

(কন্যাকে)- আজ তমি জীবনের এক নূতন অ্যায়ে প্রবে করচ। ঈশ্বরের উপরে নির্ভর করে, পতির উপরে নির্ভর করে, ও নিজ অন্তরের প্রেমের শক্তির উপরে নির্ভর করে, এই পথে অগ্রসর হও। আজ তুমি সঙ্কল্প লও, জীবনে প্রেমকে সর্ব্বপ্রধান স্থানে রাখবে। যত কাজ আসবে, প্রেম দিয়ে সম্পন্ন করবে; যত প্রশ্ন আসবে, প্রেম দিয়ে মীমাংসা করবে।

‘আমি ভালবাসব, আমি মাথা নত করব, আমি আমার বলে কিছু রাখব না’, এই যার মন্ত্র, তার গৃহ মধুময় হয়, তার সংসার তপোবন হয়ে যায়। গৃহকে ধর্ম্মের সৌজন্যে স্নেহ প্রীতির আনন্দে পূর্ণ রাখা প্রধানত: নারীরই কাজ। ঈশ্বর তোমার অন্তরের প্রেমকে উজ্জ্বল ও সবল করে এই মতৎ কত্তর্ব্যের জন্য তোমাকে প্রস্তুত করুন।

[প্রার্থনা]

হে পরমেশ্বর, এই দুই জনের জীবনকে কল্যাণে পরিপূর্ণ কর। ইহাদের গৃহ যেন প্রেম পবিত্রতা ও সদ্ভাবের আধার হয়। সংসারের সব সুখ দু:খ যেন সমভাবে ইহাদের জীবনকে উজ্জ্বল করে, ইহাদের প্রেমকে বিমল করে। তোমার আশীর্ব্বা ইহারেদ মিলিত জীবনে অজস্রধারে বর্ষিত হউক।”

আচার্য্যের উপদেশ ও প্রার্থনার পরে চতুর্থ সঙ্গীত হইয়া বিবাহ অনুষ্ঠান শেষ হইবে।

বধু সম্বর্ধনা

নববধু পতিগৃহে আসিলে পতির আত্মীয়গণ তাঁহাকে আপনার বলিয়া সাদরে গ্রহণ করিবেন- ইহাই এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য। ইহাতে ব্রাহ্মোপাসানার পর বধুকে পতিগৃহের কোন গুরুজন অভ্যর্থনাসূচক কয়েকটি বাক্য বলিবেন। তাহার মধ্যে এই সকল ভাবের কথা থাকিতে পারে-

আমাদের স্নেহের বধুমাতা রূপে তোমাকে আজ আমরা সাদরে বরণ করি। তুমি এই গৃহে গৃহলক্ষ্মী হয়ে বিরজ কর। স্বামীর হৃদয়ানন্দকারিণী হও। বড় ছোট দাসদাসী সকলের হৃদয়ানন্দকারিণী হও। তুমি এ গৃহের সকলের হৃদয়ের সম্রাাজ্ঞী হও। তোমার ভালবাসার গুণে এ বাড়ির সকলে এবং তোমার পিতৃকূলের সকলে পরস্পরের সহিত গভীর সভ্যবন্ধনে আবদ্ধ হোন্।

তুমি উভয়কূলের বন্ধনসূত্র স্বরূপ হও। এ গৃহের সকলের আশীর্ব্বাদ ও শুভাকাঙ্ক্ষা এবং পূর্ব্বপুরুষগণের আশীর্ব্বাদ লাভ করে ঈশ্বর চরণে প্রণত হয়ে গৃহধর্ম্মে প্রবেশ কর।

…………………………
ব্রাহ্মধর্ম্ম ও ব্রাহ্মসমাজ

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

………
আরও পড়ুন-
ব্রাহ্মসমাজ
সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সভ্য হইবার যোগ্যতা
ব্রাহ্ম ধর্মের মূল সত্য
ব্রহ্ম মন্দিরের ট্রাস্টডিড
ব্রাহ্মধর্ম্মের মূল সত্য
আত্মা
মানুষের ভ্রাতৃত্ব
উপাসনা ও প্রার্থনা
শাস্ত্র
গুরু
মধ্যবর্ত্তী ও প্রেরিত
সুখ-দু:খ : দু:খবাদ ও আনন্দবাদ
পাপ ও পুণ্য
পুনর্জ্জন্ম
পরকাল
স্বর্গ ও নরক
ধর্ম্ম রক্ষা
পরিবারে পুরুষ ও নারীর অধিকার-সাম্য
ব্রাহ্মসমাজের প্রতি ব্রাহ্মদিগের কর্ত্তব্য
সমবেত উপাসনা
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ 
স্তুতি
বিবিধ অবস্থায় প্রার্থনা
নৈমিত্তিক অনুষ্ঠান
সন্তান জন্ম
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ব্রাহ্মসমাজে প্রবেশ
ধর্ম্মসাধন ব্রতে দীক্ষা
ব্রাহ্মধর্ম্ম গ্রহণ ও ধর্ম্মদীক্ষা
বিবাহ ও তাহার আনুসঙ্গিক অনুষ্ঠান
বিবাহের বাগদান
বিবাহ
মৃত্যু ও অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া
শ্রাদ্ধ
গৃহ প্রবেশ
ব্রহ্ম ও ব্রহ্মের স্বরূপ
ব্রহ্ম ধ্যান
ব্রাহ্মধর্ম
সকলেই কি ব্রাহ্ম?
ব্রাহ্মোপসনা প্রচলন ও পদ্ধতি
আদি ব্রাহ্ম সমাজ ও “নব হিন্দু সম্প্রদায়”
পূর্ণাঙ্গ উপাসনার আদর্শ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!