-সত্যানন্দ মহারাজ
প্রতিটি বাবা-মায়ের কাছে তাঁদের সন্তান সব সময়ের জন্য প্রিয়, তাদের প্রাণ। শতকরা ৯৯ জন বাবা-মাই তাঁদের সন্তানের জন্য সবকিছু উজার করে ঢেলে দেয়, এমনকী প্রাণ উৎসর্গ করেও সন্তানের জীবন রক্ষা করেন।
আর এখানেই বাবা-মায়ের মহত্ম। তাইতো পিতা-মাতা ভগবান। ভগবান পিতা ও মাতার রূপ নিয়ে সন্তানকে লালন-পালন করেন, রক্ষা করেন। তাই পিতা-মাতাই জীবন্ত ভগবান। তাঁদের শ্রদ্ধা-ভক্তি-সেবা করলে আলাদা করে মন্দিরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
কিন্তু বর্তমান সমাজে সন্তানের ধর্ম-অধিকাংশ সন্তানই পালন করতে পারেন না। তাঁর দোষও পিতা-মাতার ওপরই বর্তায়। কথায় বলে- যেমন গাছ তেমন তাঁর ফল।
কারণ একমাত্র আদর্শ পিতা-মাতার সন্তানরা জেনেটিক ও হেরিডিটি অনুযায়ী তাঁর গুণ পায়। আদর্শ পিতা-মাতাই আদর্শ সন্তানের জন্মদান করেন।
বর্তমানে দেখা যায়- বাবা-মায়েরা যার পর নাই তাঁদের সন্তানদের মানুষ করার জন্য কিই না করছে। তবুও ছেলে-মেয়ে কিছুটা বড় হওয়ার পর অমানবিক কিংবা অসৎ হয়ে পড়েছে।
তার জন্য আবার ঐ বাবা-মায়েরাই দু:খিত হচ্ছেন এবং সমাজও তার ফল ভোগ করতে বাধ্য হচ্ছে।
তাই তো আগেকার দিনে সন্তান জন্মাবার বহু পূর্ব হতে এমন কি বিবাহের পূর্বেও তাঁরা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে আদর্শকে সাথে নিয়ে চলা শিখতেন এবং গুরুকুল প্রথা অনুযায়ী আদর্শ পুরুষ বা আদর্শ নারী হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতেন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অনুশাসন মেনে।
বৈবাহিক ও গার্হস্থ্য জীবনটাকেও সেই সমস্ত মহৎ ও আদর্শ রীতি নীতি মেনে চলতেন যা ছিল আমাদের মূল ভাবধারা।
যাঁর ফল-স্বরূপ বিদ্যাসাগর, রামমোহন, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজী সুভাষ এমনকি এপিজে আবদুল কালামের মত মহাপুরুষদের আমরা পেয়েছি। এটা মহাপুরুষের দেশ।
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
……………………………………
আরো পড়ুন:
গুরুজ্ঞান
গুরু শিষ্য ধারণা
ত্রিতাপ জ্বালা
সদগুরু সঙ্গ
এটা মহাপুরুষের দেশ
জীবাত্মা ও পরমাত্মা
ভগবান কোথায় থাকেন?
সংসার ধর্ম
কি ভাবে সংসার করবো?
ভগবানের সর্বব্যাপীত
ভগবানকে কেন ডাকি?
পরশ পাথর
খারাপ দিন
রথ ও রথের মেলা
জীবনধারা
আমরা সাধারণ মানুষ
সব থেকে বড় হৃদয়
আমার জীবন জুড়িয়ে দাও