-সত্যানন্দ মহারাজ
আমরা সর্বদাই কিছু না কিছু সমস্যায় জর্জরিত। এটা প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। একটা সমস্যা আসে তো তা সমাধান করতে না করতেই আবার হাজারো হাজারো সমস্যা এসে হাজির।
এক একজন ব্যক্তি তো একটাই জেরবার হয়ে ওঠেন যে সেই সমস্যর কারাগৃহে বন্দী হয়ে পড়েন এবং একসময় হতাশায় ও ক্লান্তিতে তিনি তাঁর জীবনী শক্তিটুকুও যেন হারিয়ে ফেলেন।
একে মহাপুরুষেরা বলেন- ত্রি-তাপ জ্বালা। আদি ভৌতিক, আদি দৈবিক ও আধ্যাত্মিক।
এই ত্রি-তাপ জ্বালা থেকে বাঁচার একমাত্র রাস্তা হল- সদগুরুর চরণে আশ্রয় নেওয়া। সদগুরু ও ভগবান এক।
পরমপূজ্য স্বামী দেবনান্দ মহারাজ বলেন- ‘জেলে জ্বাল ফেলে পুকুরে মাছ ধরছে। কোন মাছগুলো জ্বালের বাইরে থাকে জানো? যে মাছগুলো জেলের পায়ের তলায় থাকে। কারণ সেখানে কখনো জ্বলা পড়বে না।’
শাস্ত্র বলছে- শরণাগতি।
তাই গুরু বা ঈশ্বরের শরণে যাঁরা থাকেন। তাঁরাই একমাত্র শান্তির আস্বাদ গ্রহণ করেন। কিন্তু তার জন্য চাই তাঁর ওপর শিশুর মত নির্ভর করা মানুষিক ইচ্ছা।
তাই তো প্রতিটা শাস্ত্রেই বলা হয়েছে- ‘শিশুর মত সরল হও।’
কথায় বলে- ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু-তর্কে বহুদূর।’
তাই তো দেখতে পাওয়া যায় সকল মহাত্মারাই শিশুর মতো সরল। তাঁরা যে অহংকার দেখান তা তাঁদের অহংকার নয়; তা তাঁদের অলংকার।
অলংকার যেমন ইচ্ছে হলে খুলে রাখা যায়- তেমনি তাঁরা তাঁদের অহংকারকেই প্রয়োজনে ব্যবহার করেন। কারণ- তাঁরা অহংকারী নন, তাঁরা হলেন স্বরূপত-নিরহংকারী।
যেমন তুমি সব সময়ের জন্য মাস্টার নও, ডাক্তার, সাধু, উকিল নও। কখনো তুমি বাবা বা মা, করো ছেলে বা মেয়ে, ভাই, বোন। সর্ব প্রথম- আমরা মানুষ।
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
……………………………………
আরো পড়ুন:
গুরুজ্ঞান
গুরু শিষ্য ধারণা
ত্রিতাপ জ্বালা
সদগুরু সঙ্গ
এটা মহাপুরুষের দেশ
জীবাত্মা ও পরমাত্মা
ভগবান কোথায় থাকেন?
সংসার ধর্ম
কি ভাবে সংসার করবো?
ভগবানের সর্বব্যাপীত
ভগবানকে কেন ডাকি?
পরশ পাথর
খারাপ দিন
রথ ও রথের মেলা
জীবনধারা
আমরা সাধারণ মানুষ
সব থেকে বড় হৃদয়
আমার জীবন জুড়িয়ে দাও
2 Comments