সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের বাণী: দুই
৩১.
একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি জানে যে সে একজন মূর্খ, একজন মূর্খ কিন্তু জানে না যে সে একজন মূর্খ।
৩২.
উন্নতি করার ব্যাকুলতা থাকলে প্রথমে নিজেকে উন্মুক্ত রাখতে হবে স্রষ্টার কৃপা গ্রহণ করার জন্য।
৩৩.
যথেষ্ট মনোযোগ দিলে দেখবেন সৃষ্টির প্রতিটি বস্তুই অসামান্য। সবকিছুই দেবত্বে পৌঁছানোর পথ।
৩৪.
যখন তোমার মন সম্পূর্ণ নিশ্চল হয়ে যায়, তখনই বুদ্ধিবৃত্তি মানবিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে।
৩৫.
দেহে যদি যৌনতা থাকে, সেটা ঠিক আছে কিন্তু যদি তা মস্তিষ্কে ঢুকে পড়ে তবে তা বিকৃত হয়ে ওঠে।
৩৬.
গাছ আপনার নিঃশ্বাসের উৎস, সেটাকে যদি কাটতে থাকেন তবে জীবনকেই একদিন কেটে ফেলবেন।
৩৭.
প্রত্যেক মানুষ একরকম হয় না তাই মানুষকে তুলনা করা ছাড়ুন বরঞ্চ প্রত্যেককে সমান সুযোগ সুবিধা দিন।
৩৮.
ক্ষমতা তেমন মানুষদের দেয়া উচিত নয় যাদের নিজের ভেতরে অন্যদের গ্রহণ করে নেয়ার মানসিকতা নেই।
৩৯.
অবিশ্বাস্য কাজগুলোকেই সহজে করা যেতে পারে যদি সেইগুলোকে করার জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই।
৪০.
বসন্তকালের সৌন্দর্য এটাই যে যদিও তখনো ফল আসেনি, কিন্তু ফুল একটি প্রতিশ্রুতি ও সম্ভবনা বহন করছে।
৪১.
শারীরিক অবস্থা অস্তিত্বের একটা খুবই ক্ষুদ্র দিক। এই ব্রহ্মাণ্ডের এক শতাংশও শারীরিক নয় বরঞ্চ অশারীরিক।
৪২.
আদিযোগীর তাৎপর্য হল, উনি মানব চেতনার ক্রমাগত বিকাশ পদ্ধতি প্রদান করেছেন যা সব কালেই প্রাসঙ্গিক।
৪৩.
সম্ভাবনা আর বাস্তবতার মাঝে দূরত্ব রয়েছে। তোমার কি সেই সাহস ও সংকল্প আছে এই দূরত্বটা পার করবার?
৪৪.
করুণা ক্ষমা বা দয়া দেখানো নয়। এটা হল চারপাশের সকল কিছুর সাথে আবেগ ও উৎসাহের সঙ্গে যুক্ত হওয়া।
৪৫.
কার্যকর হওয়ার জন্য আধ্যাত্মিক আনন্দগুলো কোন বিশেষ সংস্কৃতি, ধর্মমত বা শাস্ত্রের সাথে চিহ্নিত করা উচিত নয়।
৪৬.
যদি নিজের অন্তরের দিকে তাকান তাহলে আপনি এমন একটি জায়গা খুঁজে পাবেন যেখানে সমস্ত কিছুর সমাধান আছে।
৪৭.
স্বাস্থ্য শুধুমাত্র নিরোগ হওয়া নয়। স্বাস্থ্য তখনই যখন আপনার দেহের প্রতিটি কোষ জীবনের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত থাকে।
৪৮.
ভালোবাসাকে প্রসারিত করো। শুধু একজনকে ভালোবাসবে কেন, যখন সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডকেই তুমি ভালোবাসতে সক্ষম।
৪৯.
দমনকারী নীতি, শিক্ষার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়। বরঞ্চ জ্ঞানের তৃষ্ণাকে প্রজ্জ্বলিত করাই এর লক্ষ্য হওয়া উচিত।
৫০.
কোনো কাজই চাপ সৃষ্টিকারী নয়। দেহ, মন ও ভাবনাকে পরিচালনা করার অক্ষমতাই সেসব কাজকে চাপযুক্ত বানায়।
৫১.
অভ্যাসের দাসত্বের থেকে মুক্তির একটিই মাত্র উপায় হচ্ছে ‘চেতনা’। সহজ কথায় এর আর অন্য কোনো উপায় নেই।
৫২.
আপনার মধ্যে পূর্বধারনা ও বিরক্তিভাব থাকলে সেটা আপনাকে শারীরিক অসুখ বা আঘাতের চেয়েও বেশি ভোগাবে।
৫৩.
যদি একবার তোমার মন পরিপূর্ণরূপে স্থিতিশীল হয় তাহলে তোমার বুদ্ধি মানবীয় সীমানাকে অতিক্রম করতে শুরু করবে।
৫৪.
নিজের জীবন নিয়ে বেশি গুরুগম্ভীর হবেন না। গুরুগম্ভীর হলে আপনার মাঝে জীবিত অবস্থাতেই মরণের লক্ষণ চলে আসবে।
৫৫.
যদি তুমি তোমার দেহ, মন, শক্তি ও ভাবনাকে একটা বিশেষ স্তরে নিয়ে যেতে সক্ষম হও, তখন ধ্যান নিজে থেকেই হবে।
৫৬.
আমি বুঝতে পারি না মানুষ কেন নিজের মস্তিস্ককে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আমি চাই তারা যেন তাদের মস্তিস্ককে স্বাধীন করে দেয়।
৫৭.
যখন কেউ প্রয়োজনের থেকে অধিক আহার করে আর কেউ যদি ক্ষুধার্ত থাকে; তখন সেটাকে আমি বিপর্যয় বলেই মনে করি।
৫৮.
প্রকৃতপক্ষে ধ্যানের অর্থ হলো অভিজ্ঞতার পর্যায় এটা বুঝতে পারা যে আপনি কোনো পৃথক সত্তা নন, আপনি স্বয়ং এই ব্রহ্মাণ্ড।
৫৯.
জীবনের একটি নির্দিষ্ট গতি আছে। আনন্দের সাথেই আপনার তাড়াহুড়োয় থাকা উচিত, কিন্তু কখনও অধৈর্য হওয়া উচিত নয়।
৬০.
ভয়-নিরাপত্তাহীনতা অচেতনভাবে তোমার নিজের দ্বারাই সৃষ্টি। যদি তুমি তাদের সৃষ্টি না করো, তবে তাদের কোন অস্তিত্ব নেই।
সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের বাণী: তিন>>
………………………….
আরো পড়ুন:
সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের বাণী: এক
সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের বাণী: দুই
সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের বাণী: তিন
সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের বাণী: চার
……………….
আরও পড়ুন-
মহানবীর বাণী: এক
মহানবীর বাণী: দুই
মহানবীর বাণী: তিন
মহানবীর বাণী: চার
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: এক
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: এক
গৌতম বুদ্ধের বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: তিন
গৌতম বুদ্ধের বাণী: চার
গুরু নানকের বাণী: এক
গুরু নানকের বাণী: দুই
চৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী
কনফুসিয়াসের বাণী: এক
কনফুসিয়াসের বাণী: দুই
জগদ্বন্ধু সুন্দরের বাণী: এক
জগদ্বন্ধু সুন্দরের বাণী: দুই
স্বামী পরমানন্দের বাণী: এক
স্বামী পরমানন্দের বাণী: দুই
স্বামী পরমানন্দের বাণী: তিন
স্বামী পরমানন্দের বাণী: চার
স্বামী পরমানন্দের বাণী: পাঁচ
স্বামী পরমানন্দের বাণী: ছয়
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: এক
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: দুই
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: তিন
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: চার
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: পাঁচ
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: ছয়
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: সাত
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: আট
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: নয়
শ্রী শ্রী কৈবল্যধাম সম্পর্কে
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণী
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ১ম খন্ড
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ২য় খন্ড
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ৩য় খন্ড
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….