জিয়াউলহক মাইজভাণ্ডারীর বাণী: তিন
৪২.
এ টাকা আপনার নয়। আল্লাহর টাকা, আপনার কি টাকা! বুঝতে চেষ্টা করুন, নতুবা আমি মারবো।
৪৩.
আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখব। আমার এ করুণাধারা জীবন মরণ হাশর পর্যন্ত।
৪৪.
কষ্ট করে অতদূরে কিসের জন্য যাচ্ছেন? দুনিয়াতে চাওয়ার এমন কি আছে আমরা দিতে পারি না?
৪৫.
শিশু-কিশোরদের দরবারে আনা নেওয়া ভাল। এতে তারা আদব-আখলাক বুঝ-জ্ঞান দয়া-রহমত পাবে।
৪৬.
আল্লাহর অলিরা মানুষের রূহানী পিতা। তাই বাবা বলে ডাকা উচিৎ। নতুবা ফয়েজ রহমত পাওয়া যায় না।
৪৭.
ভাণ্ডারী কোথাও বিনা প্রয়োজনে যায় না; সৃষ্টির কল্যাণে নানা স্থানে ঘুরি ফিরি। জাহের বাতেন জিয়ার হুকুমত।
৪৮.
আমার কল্বে আল্লাহ ছাড়া কিছু নাই, আমরা নজরানার কাতর নই, কাজের প্রয়োজনে নানা স্থানে অবস্থান করি।
৪৯.
দরবার হতে কিছু পেতে হলে ভক্তি শ্রদ্ধায় মানতে হয় এবং সাধ্য অনুসারে নিয়ত মানত করে চাইলেই আশা পূর্ণ হয়।
৫০.
গ্রামে গঞ্জে শহরে এলাকায় দায়রা শরীফ গড়ে তুলুন। আমি সেখানে ২০ ওয়াট, ৪০ ওয়াট ও ৬০ ওয়াট বাল্ব দেবো।
৫১.
কোর্ট ফি ছাড়া কি আদালত মামলার আর্জি গ্রহণ করে? নিজের জন্য নয়, টাকা দেওয়া নেওয়া করি মানুষের প্রয়োজনে।
৫২.
মঙ্গলের জন্যই তো আল্লাহ দেশ-দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন। অমঙ্গল হবে কেন? দেখছেন না আল্লাহর রহমত অবিরত বর্ষিত হচ্ছে!
৫৩.
এ দুনিয়া তো মুসাফির খানা! হুজরা শরীফ নির্দিষ্ট কোন জায়গা নয়। আওলিয়ারা এক এক সময় এক এক স্থানে বিরাজ করেন।
৫৪.
আল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন না এবং কাউকে জন্মও দেন না। অথচ তিনিই তো জন্মদাতা-সৃষ্টিকর্তা, সৃষ্টির এ রহস্য কয়জনে বুঝেছি।
৫৫.
মাইজভাণ্ডার শরীফ হায়াতের ভাণ্ডার, রিজিকের ভাণ্ডার, দৌলতের ভাণ্ডার, ইজ্জতের ভাণ্ডার, সেখানে কোন কিছুর অভাব নাই।
৫৬.
রূহের মত মহব্বত ও আল্লাহর নূর, রূহ যেমন দেখা যায় না মহব্বতও তেমনি অদৃশ্য। রূহ দেহের সাথে, মহব্বত মানুষসহ সকল কিছুর সাথে সম্পর্কিত।
৫৭.
মাইজভাণ্ডার শরীফে একটা মোমবাতি জ্বলছে, সে মোমবাতির আলোয় সব জায়গা আলোকিত। সে বাতির আলোয় মানুষরা পোকার মত উড়ে উড়ে পড়ছে।
৫৮.
রাসুলুল্লাহ গাউসিয়তের দুই তাজের একটি আবদুল কাদের জিলানী, অন্যটি মাওলানা সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারীকে দিয়েছেন, যেটি পরে আমি পেয়েছি।
৫৯.
আমার রওজা নির্মাণের জন্য যারা এক টাকা কিংবা একটি নুড়ি পাথরও দেবে তা রওজা শরীফে লাগবে। তাদেরকে আমি দুনিয়া হাশর নশর সবখানে সাহায্য করবো।
৬০.
আমরা কি টাকা রোজগার করতে এসেছি? টাকা-কড়ি দুনিয়া পূজার জন্য মানুষের সৃষ্টি হয়নি। টাকা পয়সা জীবনকে কলুষিত করে; আল্লাহর সম্পর্ক ভুলিয়ে রাখে। অসৎ উপায়ে অর্জিত সম্পদ মাত্রই কলুষিত।
৬১.
মানুষ আমার কাছে আসে টাকার জন্য, চাকুরীর জন্য, ব্যবসার উন্নতির জন্য, রোগ থেকে মুক্তি ইত্যাদি দুনিয়াবী লাভের আশায়। ওসব পার্থিব ব্যাপারে কি এত কাছে আসতে হয়? গেটের বাইর হতে বাতি একটা জ্বালিয়ে আমার ঘেরা বেড়াকে বলে গেলেও কাজ হয়ে যায়। আল্লাহর খোঁজে, হেদায়তের জন্য কেউ আসে না।
<<জিয়াউলহক মাইজভাণ্ডারীর বাণী: এক
……………..
আরো পড়ুন:
জিয়াউলহক মাইজভাণ্ডারীর বাণী: এক
জিয়াউলহক মাইজভাণ্ডারীর বাণী: দুই
জিয়াউলহক মাইজভাণ্ডারীর বাণী: তিন
…………………….
আপনার গুরুবাড়ির সাধুসঙ্গ, আখড়া, আশ্রম, দরবার শরীফ, অসাম্প্রদায়িক ওরশের তথ্য প্রদান করে এই দিনপঞ্জিকে আরো সমৃদ্ধ করুন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
……………….
আরও পড়ুন-
মহানবীর বাণী: এক
মহানবীর বাণী: দুই
মহানবীর বাণী: তিন
মহানবীর বাণী: চার
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: এক
ইমাম গাজ্জালীর বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: এক
গৌতম বুদ্ধের বাণী: দুই
গৌতম বুদ্ধের বাণী: তিন
গৌতম বুদ্ধের বাণী: চার
গুরু নানকের বাণী: এক
গুরু নানকের বাণী: দুই
চৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী
কনফুসিয়াসের বাণী: এক
কনফুসিয়াসের বাণী: দুই
জগদ্বন্ধু সুন্দরের বাণী: এক
জগদ্বন্ধু সুন্দরের বাণী: দুই
স্বামী পরমানন্দের বাণী: এক
স্বামী পরমানন্দের বাণী: দুই
স্বামী পরমানন্দের বাণী: তিন
স্বামী পরমানন্দের বাণী: চার
স্বামী পরমানন্দের বাণী: পাঁচ
স্বামী পরমানন্দের বাণী: ছয়
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: এক
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: দুই
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: তিন
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: চার
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: পাঁচ
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: ছয়
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: সাত
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: আট
সীতারাম ওঙ্কারনাথের বাণী: নয়
শ্রী শ্রী কৈবল্যধাম সম্পর্কে
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণী
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ১ম খন্ড
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ২য় খন্ড
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী : ৩য় খন্ড
সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের বাণী: এক
সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের বাণী: দুই
সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের বাণী: তিন
সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের বাণী: চার