-সত্যানন্দ মহারাজ
মহাত্মারা বলেন, আমাদের সাধারণ মানুষগুলোর প্রধান চাহিদা- আহার, নিদ্রা, মৈথুন ও ভয়। আর জ্বরা ব্যধি ও মৃত্যু মানবজীবনের অবশ্যম্ভাবী সত্য।
সাধারণত: মানব জীবনের আয়ুষ্কাল গড় সত্তর থেকে একশো বছর। আমরা এই মানব জীবনটা পাই চুরাশি লক্ষ যোনি ভ্রমণ করার পর।
তবুও মানব-জীবন পেলেও খারাপ সংস্কারের ফলে বাইরেটা মানুষের মত হলেও ভেতরের স্বভাবটা তখনো পূর্ব জন্মের পশু স্বভাবের সংস্কার বা স্বভাব থেকে যায়।
তাই শুধু মানব জীবন পেয়েছি বলেই আমি মানুষ তা বলা যাচ্ছে না। তাই চাই মনুষ্যত্ব বোধের অনুশীলন করা যাতে আমি মানুষের মত আচরণ করতে পারি।
আর তা সম্ভব হয় সৎসঙ্গ, সাধুসঙ্গ, সৎগ্রন্থ পাঠ, ভগবৎ মুখী চিন্তা ভাবনা এবং ভগবানের পূজা-পাঠ জপ-ধ্যান, সৎকর্ম করা। তাই চাই সদ্গুরু সঙ্গ।
স্বামী বেদানন্দ মহারাজ বলেন, ‘বই দিলে যেমন তোমার সন্তান পড়াশোনা শিখতে পারে না, তার জন্য প্রয়োজন হয় মাস্টারের কাছে স্কুলে পড়তে যাওয়ার।
ঠিক তেমনি শাস্ত্র দিলেও বা শাস্ত্র পড়েও তোমার কিছু হবে না তার জন্য প্রয়োজন ধর্মীয় কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ধর্মগুরু বা সদগুরু ও সাধুর কাছে শিক্ষা নেওয়ার। শুভ ও সৎ সংস্কারে অভ্যস্ত হওয়ার।’
স্কুল-কলেজে গিয়ে আমরা জাগতিক শিক্ষার মাধ্যমে জাগতিক জ্ঞান অর্জন করি মাত্র- যা দিয়ে সম্পূর্ণ মনুষ্যত্ব অর্জিত হয় নি বা হয় না।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সদগুরু সঙ্গ বা তার কাছ থেকে শাস্ত্র শিক্ষা নিলে আমরা দেবত্ব অর্জন না করতে পারলেও মনুষ্যত্ব বা মানবিক গুণ অর্জনের পথে আমরা অনেকখানি সফলতা অর্জণ করতে পারি।
কিছু কিছু ব্যতিক্রম সবক্ষেত্রেই থাকে।
……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….
……………………………………
আরো পড়ুন:
গুরুজ্ঞান
গুরু শিষ্য ধারণা
ত্রিতাপ জ্বালা
সদগুরু সঙ্গ
এটা মহাপুরুষের দেশ
জীবাত্মা ও পরমাত্মা
ভগবান কোথায় থাকেন?
সংসার ধর্ম
কি ভাবে সংসার করবো?
ভগবানের সর্বব্যাপীত
ভগবানকে কেন ডাকি?
পরশ পাথর
খারাপ দিন
রথ ও রথের মেলা
জীবনধারা
আমরা সাধারণ মানুষ
সব থেকে বড় হৃদয়
আমার জীবন জুড়িয়ে দাও
2 Comments