কুতুবউদ্দিন কাকীকে লেখা খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী পত্র
আরেফের জ্ঞান ভাণ্ডার, হকতায়ারা সম্পর্কে অবহিত, আশেকুল্লাহ, প্রিয় ভাই খাজা কুতুবু্দ্দিন! খোদা তোমার ফিকির বর্ধিত করুন। দোওয়াগোর পক্ষ থেকে খুশি ও মহব্বত ভরা সালাম বাদ মারফতের অধিকারী হবার জন্য প্রার্থনা করি।
আজিজমান, স্বীয় মুরিদদেরকে অবশ্যই অবগত করিয়ে দিয়ো যে, ফিকির ও মুর্শিদে কামেলের মুরদ কী, তাদের আলামত কী এবং কিভাবে তাদেরকে চেনা যায়।
তরিকতের মাশায়েখরা বলেছেন, ‘ফকির ওই ব্যক্তি যে প্রয়োজন থেকে মুক্ত। তারা কোন কিছুর প্রতি খেয়াল রাখে না, এমন কি নিজের চেহারার খেয়াল থাকলে অন্য মকসুদ এসে পড়ে। মানবের এ চেহারা যাবতীয় মখলুকাতের আয়না স্বরূপ। কাজেই এতে মকসুদের বিদ্যমানতা অবশ্যম্ভাবী।
আবার অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, ‘কামেল ফকির ওই ব্যক্তি যার অন্তর থেকে খোদা ব্যতীত সব কিছু দূরীভূত হয়ে যায়; তখন তার মকসুদও হাসিল হয়। অতএব সর্বদা সেই মতলব ও মকসুদের অনুবর্তী ও অনুগত থাকা তালেবের একান্ত প্রয়োজন।
এখন বুঝার বিষয় হলো মতলব ও মকসুদ কী?
স্মরণ রেখো, মতলব ও মকসুদ প্রাপ্তি ব্যথা বা বেদনা প্রাপ্তির অনুরূপ। তবে এটা হকিকি ও মেজাজি হয়ে থাকে। মেজাজির জন্য শরিয়তের প্রাথমিক হুকুম-আহকাম।
…………………….
আরো পড়ুন:
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী পত্র:১
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী পত্র:২
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী পত্র:৩
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী পত্র:৪
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী পত্র:৫
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী পত্র:৬
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী পত্র:৭