ভবঘুরেকথা
পঞ্চভূতের পঞ্চতত্ত্ব সৃষ্টিতত্ত্ব

১. সৃষ্টি জিজ্ঞাসা

মনুমেকাগ্রমাসীনমভিগম্য মহর্ষযঃ।
প্রতিপূজ্য যথান্যাযমিদং বচনমব্রুবন্।।১

ভগবান মনু ঈশ্বরে একান্ত মনঃসমাধান করিয়া আসনে সমাসীন রহিয়াছেন, এমন সময়ে ধর্ম্মজিজ্ঞাসু মহর্ষিগণ সন্নিধানে সমাগত হইয়া বিধিমত পূজা-বন্দনাদি করত তাঁহাকে এই কথা জিজ্ঞাসা করিলেন। ১

ভগবন্ সর্ববর্ণানাং যথাবদনুপূর্বশঃ।
অন্তরপ্রভবানাং চ ধর্মান্নো বক্তুমর্হসি।। ২

হে ভগবন্‌! ব্রাহ্মণাদি বর্ণ সকলের ও অম্বষ্ঠ, করণ, ক্ষত্রিয় (ক্ষত্তা) প্রভৃতি অনুলোম-প্রতিলোমজাত সঙ্করজাতির* পৃথক পৃথকরূপে ধর্ম্মসকল আমাদিগকে বলুন।২

(* উচ্চবর্ণ পুরুষের ঔরসে নীচবর্ণা স্ত্রীর গর্ভে সন্তানের নাম অনুলোমজাত আর নীচবর্ণ পুরুষের ঔরসে উচ্চবর্ণা স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তানের নাম প্রতিলোমজাত।)

ত্বমেকো হ্যস্য সর্বস্য বিধানস্য স্বযংভুবঃ।
অচিন্ত্যস্যাপ্রমেযস্য কার্যতত্ত্বার্থবিত্ প্রভো।।৩

হে প্রভো! যে বেদ বহুশাখায় বিভক্ত হওয়াতে অসীমরূপে প্রতীয়মান হয়, এবং মীমাংসা, ন্যায় প্রভৃতি শাস্ত্রের সাহায্য ব্যতিরেকে যাহার প্রতিপাদ্য ভাগ বুঝা যায় না, কি প্রত্যক্ষ কি স্মৃত্যাদি শাস্ত্র দ্বারা অনুমেয়* সেই অপৌরুষয় ও নিত্য সমগ্র বেদশাস্ত্রে উল্লিখিত যজ্ঞাদি কার্য্য ও ব্রহ্মতত্ত্বের আপনিই অদ্বিতীয় বেত্তা হয়েন। ৩

(* সাক্ষাৎসম্বন্ধে শ্রুতি না থাকিলেও পণ্ডিতেরা স্মৃত্যাদি শাস্ত্রের উপপত্তি করিবার জন্য শ্রুতির কল্পনা করেন।)

স তৈঃ পৃষ্টস্তথা সম্যগমিতোজা মহাত্মভিঃ।
প্রত্যুবাচার্চ্য তান্ সর্বান্ মহর্ষীংশ্রূযতামিতি।।৪

অসীমতেজঃসম্পন্ন ভগবান মনু মহানুভব মহর্ষিগণ কর্ত্তৃক উক্ত প্রকারের জিজ্ঞাসিত হইয়া, তাঁহাদিগকে পূজা করিয়া ‘শ্রবণ করুন’ বলিয়া প্রকৃতপ্রস্তাবে উত্তর প্রদান করিলেন। ৪

২. প্রলয়কালে জাগতিক অবস্থা

‘আসীদিদং তমোভূতমপ্রজ্ঞাতমলক্ষণম্।
অপ্রতর্ক্যমবিজ্ঞেয়ং প্রসুপ্তমিব সর্বতঃ।।’

এই পরিদৃশ্যমান বিশ্বসংসার এককালে (সৃষ্টির পূর্বে) গাঢ় তমসাচ্ছন্ন ছিল; তখনকার অবস্থা প্রত্যক্ষের গোচরীভূত নয়; কোনও লক্ষণার দ্বারা অনুমেয় নয়; তখন ইহা তর্ক ও জ্ঞানের অতীত ছিল। এই চতুর্বিধ প্রমাণের অগোচর থাকায় এই জগৎ সর্বতোভাবে যেন প্রগাঢ় নিদ্রায় নিদ্রিত ছিল। (১/৫)।

প্রলয়কালে এই জগৎ এ প্রকারে প্রকৃতিতে লীন ছিল যে, উহা প্রত্যক্ষ, অনুমান ও শব্দ, এই ত্রিবিধ প্রমাণের বিষয় ছিল না; যেন সকল জগৎ নিদ্রিতাবস্থায় ছিল। ৫

৩. পঞ্চভূতের স্থূলরূপে প্রকাশ

‘ততঃ স্বয়ম্ভূর্ভগবানব্যক্তো ব্যঞ্জয়ন্নিদম্।
এহাভূতাদিবৃত্তৌজাঃ প্রাদুরাসীৎ তমোনুদঃ।।’

তারপর (প্রলয়ের অবসানে) অব্যক্ত (বাহ্য ইন্দ্রিয়ের অগোচর অর্থাৎ যোগলভ্য) বৃত্তৌজাঃ (অপ্রতিহত সৃষ্টিসামর্থ্যশালী) ষড়ৈশ্বর্যশালী ভগবান স্বয়ম্ভূ (স্বেচ্ছায় লীলাবিগ্রহকারী পরমাত্মা) তমোনুদ হয়ে অর্থাৎ প্রলয়াবস্থার ধ্বংসক, মতান্তরে প্রকৃতিপ্রেরক হয়ে, এই স্থূল আকাশাদি মহাভূত- যা পূর্বে অপ্রকাশ ছিল- সেই বিশ্বসংসারকে ক্রমে ক্রমে প্রকটিত করে আবির্ভূত হলেন। (১/৬)।

প্রলয়ানন্তর বহিরিন্দ্রিয়ের অগোচর, অব্যাহত সৃষ্টি-সামর্থ্য-সম্পন্ন ও প্রকৃতিপ্রেরক পরমেশ্বর স্বেচ্ছাকৃত-দেহধারী হইয়া এই আকাশাদি পঞ্চ ভূত ঈ মহদাদি তত্ত্ব, যাহা প্রলয়কালে সূক্ষরূপে অব্যক্তাবস্থায় ছিল, সেই সমুদয় স্থূলরূপে প্রকাশ করত আপনিই প্রকাশিত হইলেন। ৬

৪. মহদহঙ্কারাদির উৎপত্তি

‘যোহসাবতীন্দ্রিয়গ্রাহ্যঃ সূক্ষ্মোহব্যক্তঃ সনাতনঃ।
সর্বভূতময়োহচিন্ত্যঃ স এব স্বয়মুদ্বভৌ।।’

যিনি মনোমাত্রাগ্রাহ্য, সূক্ষতম, অপ্রকাশ, সনাতন (চিরস্থায়ী), সকল ভূতের আত্মাস্বরূপ অর্থাৎ সর্বভূতে বিরাজমান এবং যিনি চিন্তার বহির্ভূত সেই অচিন্ত্য পুরুষ স্বয়ংই প্রথমে শরীরাকারে (মহৎ প্রভৃতিরূপে) প্রাদুর্ভূত হয়েছিলেন। (১/৭)।

যিনি সকল লোক, বেদ, পুরাণ, ইতিহাসাদিশাস্ত্র প্রসিদ্ধ, যিনি মনোমাত্র-গ্রাহ্য, অবয়ববিহীন, নিত্য ও সকল ভূতের অন্তরাত্মা হয়েন, এবং যাঁহার ইয়ত্তা করা যায় না, তিনি স্বয়ংই মহদহঙ্কারাদি কার্যরূপে প্রাদুর্ভূত হইলেন।৭

৫. জল উৎপত্তি

‘সোহভিধ্যায় শরীরাৎ স্বাৎ সিসৃক্ষুর্বিবিধাঃ প্রজাঃ।
অপ এব সসর্জাদৌ তাসু বীজমবাসৃজৎ।।’

সেই পরমাত্মা স্বকীয় অব্যাকৃত (unmanifested) শরীর হতে বিবিধ প্রজা সৃষ্টির ইচ্ছা করে চিন্তামাত্র প্রথম জলের সৃষ্টি করলেন এবং তাতে আপন শক্তিবীজ অর্পণ করলেন। (১/৮)।

সেই পরমাত্মা প্রকৃতিরূপে পরিণত আপন শরীর হইতে নানাপ্রকার প্রজা সৃষ্টি করিবার অভিলাষে, কিরূপে সৃষ্টি-সম্পাদন হইবে, এই সঙ্কল্প করিয়া প্রথমতঃ ‘জল হউক’ বলিয়া আকাশাদিক্রমে জলের সৃষ্টি করিলেন ও তাহাতে আপন শক্তিরূপ বীজ অর্পণ করিলেন। ৮

৬. ব্রহ্মার শরীর পরিগ্রহ

তদণ্ডমভবদ্ধৈমং সহস্রাংশুসমপ্রভম্।
তস্মিঞ্জজ্ঞে স্বযং ব্রহ্মা সর্বলোকপিতামহঃ।। ৯

অর্পিত বীজ সুবর্ণ-নির্ম্মিতের ন্যায় ও সূর্য্যসদৃশপ্রভাযুক্ত একটি অণ্ড হইল, ঐ অণ্ডে সকল লোকের জনক স্বয়ং ব্রহ্মাই শরীর পরিগ্রহ করিলেন। ৯

৭. নারায়ণ শব্দের ব্যুৎপত্তি

আপো নারা ইতি প্রোক্তা আপো বৈ নরসূনবঃ।
তা যদস্যাযনং পূর্বং তেন নারাযণঃ স্মৃতঃ।। ১০

নরনামক পরমেশ্বরের দেহ হইতে জলের সৃষ্টি হইয়াছে বলিয়া উহাকে নার বলা যায়। যেহেতু, ঐ জলসকল প্রলয়কালে পরমাত্মার অয়ন অর্থাৎ স্থান হয়, এই জন্য পরমাত্মা নারায়ণ শব্দে কথিত হইয়াছে। ১০

৮. ব্রহ্মানামে বিখ্যাত

যত্ তত্ কারণমব্যক্তং নিত্যং সদসদাত্মকম্।
তদ্বিসৃষ্টঃ স পুরুষো লোকে ব্রহ্মৈতি কীর্ত্যতে।। ১১

যে পরমাত্মা সৃষ্টি বস্তুমাত্রেরই কারণ, যিনি ইন্দ্রিয়ের অগোচর, যাঁহারা ক্ষয়োদয় নাই, যিনি সৎপদের প্রতিপাদ্য, এবং যিনি প্রত্যক্ষের বিষয় নহেন বলিয়া অসৎশব্দেও কথিত হইয়াছেন, সেই পরম পুরুষ পরমেশ্বের হইতে উৎপন্ন এই অণ্ডজাত পুরুষ লোকে ব্রহ্মা বলিয়া বিখ্যাত হইয়াছেন। ১১

৯. পৃথিবী এবং আকাশাদি সৃষ্টি

তস্মিন্নণ্ডে স ভগবানুষিত্বা পরিবত্সরম্।
স্বযমেবাত্মনো ধ্যানাত্ তদণ্ডমকরোদ্ দ্বিধা।। ১২

ভগবান্‌ ব্রহ্মা সেই অণ্ডে ব্রাহ্ম পরিমাণে এক বৎসরকালে বাস করিয়া, অণ্ড দ্বিধা হউক মনে হইবামাত্র স্বয়ং সেই অণ্ডকে দুই খণ্ড করিলেন। ১২

তাভ্যাং স শকলাভ্যাং চ দিবং ভূমিং চ নির্মমে।
মধ্যে ব্যোম দিশশ্চাষ্টাবপাং স্থানং চ শাশ্বতম্।। ১৩

তিনি সেই দুই খণ্ডের উর্দ্ধ খণ্ডে স্বর্গ ও অপর খণ্ডে পৃথিবী করিলেন, এবং মধ্যভাগে আকাশ, অষ্ট দিক্‌ ও চিরস্থায়ী সমুদ্রনামক জলাধার প্রস্তুত করিলেন। ১৩

১০. অহং ও মনঃসৃষ্টি

উদ্ববর্হাত্মনশ্চৈব মনঃ সদসদাত্মকম্।
মনসশ্চাপ্যহঙ্কারমভিমন্তারমীশ্বরম্।। ১৪

ব্রহ্মা পরমাত্মা হইতে পরমাত্মার স্বরূপ হইয়া মনের সৃষ্টি করিলেন, যে মন এক এক সময় এক এক প্রকার জ্ঞানের আধার বলিয়া সৎস্বরূপ, ও প্রত্যক্ষ হয় না বলিয়া অসৎস্বভাব। মনের সৃষ্টির পূর্ব্বে অভিমানের জনক ও স্বকার্য্যসাধনক্ষম অহং অর্থাৎ আমিত্ব-বোধক অহঙ্কারতত্বের সৃষ্টি করিলেন। ১৪

১১. মহত্তত্ত্ব, অহঙ্কারতত্ত্ব, ত্রিতত্ত্ব, পঞ্চগুণ, পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয় ও পঞ্চকর্ম্মেন্দ্রিয় সৃষ্টি

মহান্তমেব চাত্মানং সর্বাণি ত্রিগুণানি চ।
বিষযাণাং গ্রহীতৄণি শনৈঃ পঞ্চৈন্দ্রিযাণি চ।। ১৫

ব্রহ্মা অহঙ্কারতত্ত্বের সৃষ্টির পূর্ব্বে পরমেশ্বর হইতে মহত্তত্ত্বের সৃষ্টি করিলেন, যে মহত্তত্ব আত্মা হইতে উৎপন্ন বলিয়া আত্মশব্দে কথিত হইয়াছে। আর সত্ত্বরস্তমোগুণযুক্ত অন্য পাদার্থ সকল সৃষ্টি করিলেন, এবং শব্দ স্পর্শ রূপ রস গন্ধের গ্রাহক শ্রোত্র, ত্বক্‌, চক্ষু, জিহ্বা, নাসিকা এই পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় ও বাক্‌, পাদ, হস্ত, গুহ্য, উপস্থ এই পঞ্চ কর্ম্মেন্দ্রিয় সৃষ্টি করিলেন। ১৫

১২. মনুষ্য পশুপক্ষী প্রভৃতি ভূতসৃষ্টি

তেষাং ত্ববযবান্ সূক্ষ্মান্ ষণ্ণামপ্যমিতৌজসাম্।
সংনিবেশ্যাত্মমাত্রাসু সর্বভূতানি নির্মমে।।১৬

অসীম কার্য্যনির্ম্মাণে সমর্থ অহঙ্কার ও তন্মাত্র-পদ-বাচ্য পঞ্চভূত। অহঙ্কারের বিকার ইন্দ্রিয়, তন্মাতর বিকার পঞ্চমহাভূত, তাহাতে তন্মাত্র ও অহঙ্কারের যোজনা করিয়া, মনুষ্য পশু পক্ষী স্থাবর প্রভৃতি সমুদয় ভূতের সৃষ্টি করিলেন। ১৬

১৩. ব্রহ্মমূর্ত্তিই শরীর

যন্ মূর্ত্যবযবাঃ সূক্ষ্মাস্তানীমান্যাশ্রযন্তি ষট্।
তস্মাচ্ছরীরমিত্যাহুস্তস্য মূর্তিং মনীষিণঃ।।১৭

যেহেতু মূর্ত্তিসম্পাদক পাঁচটি তন্মাত্র-পদ-বাচ্য সূক্ষ্ম অবয়ব ও অহঙ্কার এই ছয় প্রকৃতির সহিত বর্ত্তমান ব্রহ্মের কার্যরূপে শরীরকে আশ্রয় করে, কেন না, তন্মাত্র হইতে পঞ্চ মহাভূত ও অহঙ্কার হইতে ইন্দ্রিয়ের উৎপত্তি হয়, এই হেতু পণ্ডিতেরা ছয়ের আশ্রয় বলিয়ে ইন্দ্রিয়াদিবিশিষ্ট ব্রহ্মের মূর্ত্তিকে শরীর কহিয়াছেন। ১৭

১৪. আকাশাদি পঞ্চভূতের অর্থ বিভাগ

তদাবিশন্তি ভূতানি মহান্তি সহ কর্মভিঃ।
মনশ্চাবযবৈঃ সূক্ষ্মৈঃ সর্বভূতকৃদব্যযম্।।১৮

শব্দাদি পঞ্চতন্মাত্রাত্মক ব্রহ্ম হইতে আকাশাদি পঞ্চ মহাভূত আপন আপন কার্য্যের সহিত উৎপন্ন হয়। আকাশের কর্ম্ম স্থানদান, বায়ুর কর্ম্ম বিন্যাস, তেজের কর্ম্ম পাক, জলের কর্ম্ম পিণ্ডীকরণ ও পৃথিবীর কর্ম্ম ধারণ। আর অহঙ্কারাত্মক ব্রহ্ম হইতে সকল ভূতের উৎপত্তির কারণ অবিনাশী মন উৎপন্ন হয়, যে মন শুভাশুভ সঙ্কল্প ও সুখদুঃখাদি কার্য্যের সহকৃত জনক হয়। ১৮

১৫. পুরুষ ও জগতের উৎপত্তি

তেষামিদং তু সপ্তানাং পুরুষাণাং মহৌজসাম্।
সূক্ষ্মাভ্যো মূর্তিমাত্রাভ্যঃ সংভবত্যব্যযাদ্ ব্যযম্।।১৯

মহত্তত্ত্ব, অহঙ্কারতত্ত্ব ও পঞ্চ মহাভূত এই সাতটি পরমপুরুষ পরমাত্মা হইতে উৎপন্ন বলিয়া উঁহাদিগকে পুরুষ বলে। উহাদিগের শরীরসম্পাদক যে সূক্ষ্ম অবয়ব, তাহা হইতে এই প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান জগতের উৎপত্তি হয়, যে জন্য জগৎ বলিয়া নশ্বর। ১৯

……………………………….
ভাববাদ-আধ্যাত্মবাদ-সাধুগুরু নিয়ে লিখুন ভবঘুরেকথা.কম-এ
লেখা পাঠিয়ে দিন- voboghurekotha@gmail.com
……………………………….

…………….
আরও পড়ুন-
মনুসংহিতায় সৃষ্টিরহস্য-বিজ্ঞানপ্রকরণ : পর্ব এক
মনুসংহিতায় সৃষ্টিরহস্য-বিজ্ঞানপ্রকরণ : পর্ব দুই
মনুসংহিতায় সৃষ্টিরহস্য-বিজ্ঞানপ্রকরণ : পর্ব তিন
মনুসংহিতায় সৃষ্টিরহস্য-বিজ্ঞানপ্রকরণ : পর্ব চার
মনুসংহিতায় সৃষ্টিরহস্য-বিজ্ঞানপ্রকরণ : পর্ব পাঁচ
মনুসংহিতায় সৃষ্টিরহস্য-বিজ্ঞানপ্রকরণ : পর্ব ছয়

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!